Monday, August 31

উজানী ঢলে কানাইঘাটে বন্যা!লোভাছড়া  কোয়ারী বন্ধ থাকায় হাজার হাজার বারকি শ্রমিক বেকার

উজানী ঢলে কানাইঘাটে বন্যা!লোভাছড়া কোয়ারী বন্ধ থাকায় হাজার হাজার বারকি শ্রমিক বেকার


নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও সপ্তাহ জুড়ে টানা ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল অব্যাহত ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সপ্তাহ দিন থেকে লোভাছড়া পাথর কোয়ারীর বন্ধ থাকায় হাজার হাজার বারকি শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। সোমবার কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৬৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলোর মানুষ আতংকের মধ্যে বসবাস করছেন। বিশেষ করে দু’দিন থেকে অব্যাহত ভাবে বন্যার পানি বেড়ে গিয়ে প্রায় শতাধিক গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের অধিকাংশ গ্রামীন রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া কানাইঘাট নিউজকে বলেছেন, সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে, তবে অদ্যবধি পর্যন্ত সরকারী ভাবে কোন ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্ধ দেওয়া হয়নি। তিনি আরো জানান, সরকারী হিসাব মতে ৪ হাজার হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট হয়েছে প্রায় ৭শত হেক্টর ফসলি জমি। তবে কোথাও সুরমা নদীর ডাইকগুলোর ভাঙ্গনের খবর পাওয়া যায় নি। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা জানিয়েছেন, তাদের ইউনিয়নে অধিকাংশ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। মানুষ দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। পানিবন্দী মানুষের জন্য জরুরী ভিত্তিতে সরকারী ত্রাণ বরাদ্ধের দাবিও জানিয়েছেন তারা।

Saturday, August 29

ব্লগার অনন্ত হত্যায় কানাইঘাটে গ্রেফতারকৃত  দুই ভাইকে নিয়ে এলাকায়  তোলপাড়

ব্লগার অনন্ত হত্যায় কানাইঘাটে গ্রেফতারকৃত দুই ভাইকে নিয়ে এলাকায় তোলপাড়


নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের সুবিদবাজারে ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে কানাইঘাট উপজেলার পূর্ব ফালজুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজ মাওঃ মঈন উদ্দিনের দুই পুত্র হাফিজ আব্দুল মান্নান ইয়াহিয়া (২৫) ও হাফিজ আব্দুল মোহাইমিন নোমান (১৯) কে গ্রেফতার নিয়ে এলাকায় জনমনে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। গত শুক্রবার ভোর রাতে পুলিশের অপরাদ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এই দুই সহোদরকে তাদের নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে। উগ্রবাদী ধর্মীয় গোষ্ঠীর সাথে তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে এবং বিজ্ঞান মনস্ক লেখক অনন্ত বিজয় দাস হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে এ দুই সহোদরকে গ্রেফতার করা নিয়ে এলাকায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। গ্রেফতারকৃত দুই সহোদর ভাইয়ের নামে ফেইসবুকে একাধিক আইডি রয়েছে। এরমধ্যে হাফিজ আব্দুল মান্নান ইয়াহিয়ার নামে ইবনে মঈন, মান্নান রাহি নামে ফেইসবুক আইডি রয়েছে, অপর ভাই হাফিজ আব্দুল মোহাইমিন নোমানের নামে এ.এম রুমান নামে একটি ফেইসবুক আইডি রয়েছে। উক্ত আইডিগুলোতে তারা নিয়মিত ধর্মীয় লেখালেখি সহ বিভিন্ন পোস্ট এবং ধর্মীয় উগ্রবাদী জঙ্গী সংগঠনগুলোর সাথে যোগাযোগ রাখত বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। শনিবার সরেজমিনে কানাইঘাট উপজেলা সদর থেকে অন্তত ৩৫ কিলোমিটার দূরে সুরমা নদীর তীরবর্তী পূর্ব ফালজুর গ্রামসহ আশপাশ এলাকার নানা শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, ফালজুর গ্রামের মৃত তাহির আলীর পুত্র ফালজুর জামে মসজিদের ইমাম এবং এলাকায় অবস্থিত আশরাফুল উলূম কৌমি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম দাখিল পাশ মাদ্রাসা পড়ুয়া সরকারী ভাতা প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজ মঈন উদ্দিন (৫৫) এর গ্রেফতারকৃত দুই পুত্রের মধ্যে বড় ছেলে হাফিজ আব্দুল মান্নান ইয়াহিয়া (২৫) প্রথমে কৌমি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে পরবর্তীতে স্থানীয় ঝিঙ্গাবাড়ী ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা থেকে দাখিল এবং একই মাদ্রাসা থেকে আলিম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। ছোট ছেলে হাফিজ আব্দুল মোহাইমিন নোমান (১৯) একই মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশ করে। সরেজমিনকালে গ্রেফতারকৃত দুই সহোদরের পিতা হাফিজ আব্দুর রহিম নিজেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা দাবী করে তার মুক্তিবার্তা, পরিচয়পত্র দেখিয়ে বলেন তিনি এলাকার একমাত্র ভাতা প্রাপ্ত একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন রণাঙ্গনে তিনি সরাসরি যুদ্ধ করেছেন। নিজেকে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি ও আওয়ামীলীগের একজন নিবেদিত কর্মী দাবী করে বলেন, তিনি রাজাগঞ্জ ইউপির ৯নং ওয়ার্ড আ’লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক। এলাকায় জামায়াত-শিবির ও জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তিনি সব সময় সোচ্চার ছিলেন এবং নিজ এলাকায় সকলের সহযোগিতায় আশরাফুল উলুম কৌমি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম এবং গ্রামের জামে মসজিদের ৩৫ বছর ধরে ইমামতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গ্রেফতারকৃত তার দুই ছেলে কোন ধরনে উগ্রবাদী জঙ্গী গোষ্ঠীর সাথে জড়িত রয়েছে এমন কোন তথ্য তিনি জানেননা এবং কোন রাজনৈতিক দলের সাথে তাদের সম্পৃক্ততা নেই। গ্রেফতারকৃত তার বড় ছেলে হাফিজ আব্দুল মান্নান @ ইয়াহিয়া আলিম পাশ করে কুমিল্লা ময়নামতি কলেজে ইংলিশ (অনার্স) কিছুদিন অধ্যয়নরত থাকার পর পরবর্তীতে সিলেট শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে একই বিভাগে ভর্তি হয়ে ৪র্থ সেমিস্টারে অধ্যয়নরত একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী। পাশাপাশি সে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গ্রেফতারকৃত অপর ছেলে হাফিজ আব্দুল মোহাইমিন নোমান (১৯) ঝিংঙ্গাবাড়ী ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশ করে সিলেট এম.সি কলেজে রাষ্ট্র বিজ্ঞানের একজন নিয়মিত অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী। তার দুই পুত্র বিজ্ঞান মনস্ক লেখক অনন্ত বিজয় দাস হত্যাকান্ডের সাথে কোন অবস্থায় জড়িত নয়। অনন্ত হত্যাকান্ডের পূর্বে ও পরে তার দুই পুত্র নিজ বাড়ীতে ছিল। হত্যাকান্ডের সাথে তাদের তার পুত্রদের নূন্যতম সম্পৃক্ততা নেই এবং তারা স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত থেকে মাঝে মধ্যে বাড়ীতে আসা যাওয়া করত। তবে তার গ্রেফতারকৃত দুই পুত্র যে, ফেইসবুকে নিয়মিত লেখালেখি করতঃ এ বিষেয় তিনি কিছু জানেনা বলে জানান। সরেজমিনে গ্রেফতারকৃত দুই সহোদরের বাড়ীতে গেলে সেখানে স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত হয়েছেন এমন খবরে এলাকার নানা শ্রেণি পেশার মানুষ ভীড় জমান। এসময় নানা জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত দুই সহোদর মাঝে মধ্যে তাদের নিজ বাড়ীতে আসত। কারো সাথে তেমন মিশত না তারা। নিয়মিত নামায পড়তো, এলাকায় কোন ধরনের জঙ্গীবাদের কর্মকান্ডের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার রয়েছে এমন কিছুই তারা জানেন না। তাদের পিতা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা বলে উপস্থিত স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ সহ এলাকার লোকজন জানান। গত শুক্রবার গভীর রাতে সিআইডির স্পেশাল ব্রাঞ্চের সদস্যরা ইয়াহিয়া ও নোমানের সাথে তাদের নবম শ্রেণি পড়ুয়া ভাই মামুন ও স্কুল পড়ুয়া ভাগ্না তানভীরকে ধরে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্কুল পড়ুয়া দুই জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আবার এলাকার অনেকে জানিয়েছেন গ্রেফতারকৃত দুই সহোদর ইসলামী ছাত্র মজলিশের কর্মী। রাজাগঞ্জ ইউপি আ’লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বিকাশ দাস বলেন, গ্রেফতারকৃতদের পিতা হাফিজ মঈন উদ্দিন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক। তার গ্রেফতারকৃত দুই পুত্র এলাকায় কোন ধরনের সাম্প্রদায়িক বিরোধী বা জঙ্গী সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছে এ ধরনের কোন কিছু তাদের জানা নেই। তিনি বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করে জঙ্গী সংগঠনের সাথে তাদের সম্পৃক্ততা থাকলে বিচার করা হউক দাবী করে বলেন, নির্দোশ হলে তাদের যেন হয়রানী না করা হয়। একই কথা বলেছেন স্থানীয় আ’লীগ নেতা ইউপি সদস্য ফখর উদ্দিন, রফিক আহমদ, আব্দুল কাদির, আব্দুল মন্নান, ফারুক আহমদ, আহমদ আলী, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান আহমদ, মঞ্জুর ইসলাম, লিটন চন্দ্র দাস, রুপক দাস সহ বিভিন্ন পেশার সাধারণ মানুষ।

Friday, August 28

কানাইঘাটে এমপি কেয়া চৌধুরী ! দেশের যেকোন ধরনের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড একমাত্র আওয়ামীলীগের মাধ্যমেই সম্ভব

কানাইঘাটে এমপি কেয়া চৌধুরী ! দেশের যেকোন ধরনের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড একমাত্র আওয়ামীলীগের মাধ্যমেই সম্ভব


নিজস্ব প্রতিবেদক: হবিগঞ্জ-সিলেট সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। শোকের মাস ১৫ই আগষ্ট বাঙালি জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান, স্বাধীনতার স্থপতি, জাতীর পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল, তার আদর্শকে বিলীন করার জন্য। কিন্তু জাতীর পিতার আদর্শ কখনো বিলীন হবেনা, তাই এ মাসকে আমরা শক্তির মাস হিসেবে পরিণত করতে চাই। আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তোলে ধরার জন্য তিনি আহবান জানান। দেশের যেকোন উন্নয়ন ও জাতির আশা আকাঙ্খা একমাত্র আওয়ামীলীগের মাধ্যমেই পূরন হওয়া সম্ভব। তিনি আরো বলেন, দেশের প্রতিটি ঘরকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে এবং আগামীদিনের যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য বঙ্গবন্ধুর সূযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার উপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করেছেন। কিন্তু কানাইঘাট পৌর শহরে প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত মহেষপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জাতীয় করন না হওয়ায় তিনি বিষ্ময় প্রকাশ করে বলেন, ইতিমধ্যে দেশের ২২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ এবং উপজেলা পর্যায়ে একটিকরে কলেজ ও মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ প্রক্রীয়া শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা সব ধরনের সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে নিজেদের দেশ ও জাতীর কল্যানে নিয়োজিত করতে সক্ষম হবে। আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধূরী এমপি শুক্রবার বিকেল ৩টায় কানাইঘাট পৌর সভাস্থ মহেষপুর বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন পরবর্তী স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও এলাকাবসীর উদ্যেগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন হলে আয়োজিত তাকে দেওয়া এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাবেক কাউন্সিলার মাসুক আহমদের সভাপতিত্বে প্রধান অথিতির বক্তব্যে এমপি কেয়া চৌধূরী আরো বলেন, হবিগঞ্জ ও সিলেট সংরক্ষিত আসনের মহিলা এমপি হিসাবে তিনি সরকারী ভাবে বরাদ্ধ একজন নির্বাচিত এমপির চেয়ে অনেকাংশে কম পান। তিনি যেটুকু বরাদ্ধ পান তা সুষ্ঠু ভাবে উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে সচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে বাস্তবায়নে জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্য মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকেন। স্থানীয় নির্বাচিত এমপির উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে যাতে কোন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি না হয় তার জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান। স্কুলের প্রধান শিক্ষক হেলাল আহমদ ও প্রজন্মলীগ নেতা আখতার হুসন তামিমের যৌথ পরিচালনায় উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক পৌর মেয়র লুৎফুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সদর ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, পৌর আ’লীগের আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ আহমদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম রানা, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি এম.এ হান্নান, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, কানাইঘাট নিউজ ডট কম এর সম্পাদক মাহবুবুর রশিদআ’লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এড. আব্দুস সাত্তার, এড. মামুন রশিদ, জলাল আহমদ, ফখর উদ্দিন শামীম, লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ চৌধুরী, পৌর আ’লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কেএইচএম আব্দুল্লাহ, আ’লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদ হোসেন। বক্তব্য রাখেন, পৌর কাউন্সিলার রহিম উদ্দিন ভরসা, কলামিস্ট মিলন কান্তি দাস প্রমুখ। অনুষ্ঠানের পূর্বে এমপি কেয়া চৌধুরী মহেষপুর বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। এসময় ছাত্র শিক্ষক ও এলাকার সর্বস্তরের মানুষ পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত স্কুলটিকে জাতীয় করনের দাবী জানালে তিনি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবেন বলে জানান। এছাড়া এমপি কেয়া চৌধুরীকে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি এবং আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ক্রেস্ট ও ফুলের তোড়া দিয়ে ভূষিত করেন।
 ব্লগার অনন্ত হত্যা মামলায় কানাইঘাটের দুই সহোদর গ্রেফতার

ব্লগার অনন্ত হত্যা মামলায় কানাইঘাটের দুই সহোদর গ্রেফতার

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
সিলেটের সুবিদবাজারে ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতারকৃত দুই সহোদরকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে সিআইডি পুলিশ। শুক্রবার ভোরে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে শুক্রবার সিলেট মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ১৫ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ৭ মঞ্জুর করেন। শুক্রবার রাত ৯টায় সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন সিআইডি কর্মকর্তা এবং অনন্ত বিজয় হত্যা মামলার তত্ত্বাবধায়ক আবদুল­াহ আল বাকী এই তথ্য জানিয়েছেন। রিমান্ডে নেয়া দুইজন হচ্ছে কানাইঘাটের পূর্ব লজুর গ্রামের হাফিজ মইনুদ্দিনের পুত্র মান্নান ইয়াহিয়া ওরফে মান্নাম রাহী ও তার ভাই মোহাইমিন নোমান ওরফে এএএম নোমান। এর আগে অনন্ত হত্যা মামলায় গত ৭ জুন সিলেটের স্থানীয় একটি দৈনিকের আলোকচিত্রী ইদ্রিছ আলীকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয় সিআইডি। প্রসঙ্গত, গত ১২ মে নগরীর সুবিদবাজারে ব্লগার অনন্তকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এরপর এর দায় স্বীকার করে আনসার উল্লাহ বাংলা টিম নামের একটি জঙ্গি সংগঠন টুইট করে।
 কানাইঘাট থেকে ভারতীয় খাসিয়া পানের চালান উদ্ধার

কানাইঘাট থেকে ভারতীয় খাসিয়া পানের চালান উদ্ধার


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্ত এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩৮০ বিড়া ভারতীয় খাসিয়া পানের চালান আাটক করেছে। উপজেলার সীমান্ত এলাকায় সুরাইঘাট এলাকার অভিযান চালানো হয়। শুক্রবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৪১ ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা যায়, সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সুরাইঘাট বিওপি’র বিজিবি’র সদস্যরা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে চতুল গ্রাম এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানকালে মালিকবিহীন অবস্থায় চতুল গ্রাম মাঠ থেকে ২৪০ বিড়া ভারতীয় খাসিয়া পান উদ্ধার করে। জব্দকৃত পানের সিজার মূল্য ৬ হাজার টাকা। অভিযানে নেতৃত্ব দেন কানাইঘাট উপজেলার সুরাইঘাট বিওপি’র নায়েক এনামুল হক । সুরাইঘাট বিওপি’র বিজিবি’র সদস্যরা বড়গন্ড এলাকায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অপর এক অভিযান চালায়। অভিযানকালে বড়গন্ড এলাকায় রাস্তার উপর মালিকবিহীন অবস্থায় ১৪০ বিড়া ভারতীয় খাসিয়া পান উদ্ধার করে। জব্দকৃত পানের সিজার মূল্য ৩ হাজার ৫০০ টাকা। অভিযানে নেতৃত্ব দেন কানাইঘাট উপজেলার সুরাইঘাট বিওপি’র হাবিলদার মুসলেম আলী ।

Thursday, August 27

হজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

হজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য


ইসলাম ডেস্ক হজ ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ ও মৌলিক ইবাদত। সচ্ছল মুসলিম নর-নারীর ওপর হজ পালন করা ফরজ। জিলহজ মাসের নির্দিষ্ট তারিখে পবিত্র বায়তুল্লাহ বা কাবাঘর প্রদক্ষিণ, আরাফাত ময়দানের মহাসম্মিলনে যোগদানসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা পালনের মাধ্যমে হজ আদায় করতে হয়। হজ পালনকারীকে এ সময় যথাযথ নির্দেশিত নিয়ম মেনে চলতে হয়। হজ পালনের সময় একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদতে নিমগ্ন থাকতে হয়। একদিকে একনিষ্ঠ ইবাদত-বন্দেগি, অন্যদিকে নিরহংকার, অনাড়ম্বর ও নির্মোহ জীবনযাপনের মাধ্যমে হজ পালনকারীদের আত্মা ষড়রিপুর কুপ্রভাব থেকে কলুষমুক্ত ও বিশুদ্ধ হয়। হজের মাধ্যমে যেমন আত্মার উন্নতি সাধিত হয়, তেমনি গুনাহও দূরীভূত হয়। হাদিসে আছে, ‘পানি যেমন ময়লা-আবর্জনা দূর করে, তেমনি হজও গুনাহ দূর করে।’ হজ শুধুই ইবাদত নয়, বিশ্বভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাপক। হজের সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ পবিত্র মক্কা নগরীতে একত্রিত হয়। ভাষা-বর্ণের ভিন্নতা, সাংস্কৃতিক-জাতীয় পরিচয়ের পার্থক্য ও ভৌগোলিক দূরত্ব থাকা সত্ত্বেও বিশ্বমুসলিমের ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত এবং সুসংহত হয় পবিত্র হজ উদযাপনে। বিশ্বমুসলিমের পারস্পরিক দুঃখ-অভাব, অভিযোগ-সমস্যা সম্পর্কে অবগত হওয়া ও তার সমাধানের সুযোগ হয় পবিত্র হজের বিশ্বসম্মিলনে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও রাজনৈতিক সংহতিতেও হজের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আরাফাত ময়দানে অবস্থান হজের অন্যতম জরুরি কাজ। এর প্রধান উদ্দেশ্য সমবেত বিশ্বমুসলিমের করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে বিশ্বনেতাদের দিকনির্দেশনা প্রদান। মহানবী (সা.)-এর হজ থেকে এ শিক্ষাই পাওয়া যায়। তিনি বিদায় হজের সময় আরাফাত ময়দানে উপস্থিত মুসলিমদের উদ্দেশে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিকসহ বিভিন্ন বিষয়ের দিকনির্দেশনা দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিয়েছেন। হজের প্রতিটি বিধানেই রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও নিজস্ব ঐতিহ্য। কাবাঘর প্রদক্ষিণ ও পশু কোরবানির মাধ্যমে হজরত ইবরাহিম ও ইসমাঈলের আদর্শ-ত্যাগের প্রতি প্রকাশ করা হয় গভীর শ্রদ্ধা। জামারায় পাথর নিক্ষেপের সঙ্গে জড়িত আছে শয়তানের প্রতি বালক ইসমাইলের অবজ্ঞার নিদর্শন। আবার সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে দৌড়ানোর মধ্যে নিহিত আছে শিশুপুত্র হজরত ইসমাঈলের প্রতি বিবি সারার ব্যাকুলতার ঘটনা। প্রকৃতপক্ষে হজ একটি ঐতিহ্যবাহী অনন্য ফরজ ইবাদত ও বিশ্বমুসলিম সম্মিলন। হজের মাধ্যমে বিশ্বমুসলিমের আধ্যাত্মিক-নৈতিক উন্নতি, সামাজিক-রাজনৈতিক সংহতি, অর্থনৈতিক-সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি এবং আধুনিক বিশ্বব্যবসায় ইসলাম-মুসলিমের অবস্থান সুসংহত ও সুদৃঢ় হবে-এটাই প্রত্যাশা।
নিলয় হত্যা: আরও দুই সন্দেহভাজন আটক

নিলয় হত্যা: আরও দুই সন্দেহভাজন আটক


ঢাকা: ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয়কে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কাওসার হোসেন খান (২৯) ও কামাল হোসেন সরদার (২৭) নামে দু’জনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তারা দুজন ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন হত্যাচেষ্টা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় কাওসারকে মিরপুর-১০ ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শ্যামপুরের ধোলাইপাড় থেকে কামালকে আটক করা হয়। এর আগে ১৩ সন্ধ্যায় আগস্ট শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুর ভাতিজা সাদ আল নাহিন ও মাসুদ রানা নামে দুজনকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। উল্লেখ্য, চলতি আগস্ট মাসের ৭ তারিখ রাজধানীর পূর্ব গোড়ান টেম্পোস্ট্যান্ডের কাছে ৮ নম্বর রোডের ১৬৭ নম্বর ভবনের পঞ্চম তলার ভাড়া বাসায় নিজ রুমে খুন হন নিলয়। দুই দফায় চারজন লোক বাসা দেখতে আসার কথা বলে ওই বাসায় ঢোকে। তারা নিলয়কে কুপিয়ে হত্যা করে চলে যায়।
সন্ত্রাসবাদের হুমকিতে কাঁপছে তিউনিসিয়ার তরুণ গণতন্ত্র!

সন্ত্রাসবাদের হুমকিতে কাঁপছে তিউনিসিয়ার তরুণ গণতন্ত্র!


ঢাকা: সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে সম্প্রতি তিউনিসিয়ার একটি জেলখানায় এক সপ্তাহ আটক ছিলেন সাত ব্যাক্তি। সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে চলতি আগস্টের প্রথম দিকেই তাদের ছেড়ে দেওয়ার আদেশ দেন বিচারক। কিন্তু জেলে আটক থাকা অবস্থায় তাদের উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই সাত ব্যক্তি। মুক্তির পর আদালত প্রাঙ্গন থেকে বের হওয়া মাত্রই সাদা পোশাকে কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে পূণরায় তাদের আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এভাবে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই ওই সাত ব্যাক্তিকে পূণরায় গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে তাদের আইনজীবি আদালতে প্রতিবাদ জানান। এর জবাবে দেশটির বিচার মন্ত্রী সালাহ বেনাইসা স্থানীয় একটি রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নতুন করে যুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রেক্ষিতে এখন যে কোনো সন্দেহভাজন আসামিকে কোনো পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেপ্তার করা অনুমোদনযোগ্য। এ ব্যাপারে বিচার মন্ত্রণালয় ও পুলিশ বাহিনীর মাঝে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ওই সমঝোতার মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদেরকে বিচার মন্ত্রণালয় বা আদালতের পূর্ব অনুমতি ছাড়াই স্বাধীনভাবে সন্ত্রাসবাদবিরোধী কর্মকাণ্ড ও অভিযান চালানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিউনিসিয়া ছিল ২০১১ সালে শুরু হওয়া কথিত আরব বসন্তের সুতিকাগার। আরব বসন্ত কবলিত দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র এই দেশটিতেই গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটেছিল। উত্তোরত্তর বেড়ে চলা নাগরিক স্বাধীনতা ও নিয়মতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পালাবদলে দেশটির গণতন্ত্রের জয়যাত্রা অব্যাহত ছিল। কিন্তু সম্প্রতি দু’টি সন্ত্রাসী হামলায় ৬০ জন বিদেশি পর্যটক নিহত হওয়ার ঘটনায় দেশটিতে এখন প্রায় একপ্রকার জরুরি অবস্থা চলছে। নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা নির্বিচারে কয়েকশত সন্দেহভাজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। এর ফলে দেশটির মানবাধিকার কর্মীরা আশঙ্কা করছেন সাবেক স্বৈরশাসক জয়নুল আবেদিন বেন আলীর শাসনমালের নির্যাতন-নিপীড়ন পূণরায় ফিরে আসবে। আরব বসন্তের গণতান্ত্রিক প্রতিশ্রুতিসমূহ বাস্তবায়নে তিউনিসিয়াই একমাত্র আশার আলো জ্বেলেছিল। বাকী দেশগুলোতে আরব বসন্ত থেকে উদ্ভুত গণজাগরণ চরম নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলায় নিপতিত হয়েছে- যেমন লিবিয়ায়। কোনো কোনো দেশে আবার আগের চেয়েও বেশি নিপীড়নমূলক শাসক শ্রেনী ক্ষমতার মসনদ দখল করে নিয়েছে- যেমন মিশরে। কিন্তু নতুন করে সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায় দেশটির পর্যটন অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়ে গেছে। যার ফলে দেশটির সরকার সন্ত্রাসবাদ দমণে কঠোর সব পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এতে দেশটির নাগিরকদের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রও বিলুপ্ত হওয়ার পথে রয়েছে। দেশটিতে এখন আর প্রকাশ্যে কোনো বিক্ষোভ প্রদর্শন করা যায় না। এমনকি পার্লামেন্টে যে কোনো ধরনের স্বৈরতান্ত্রিক আইন প্রণয়নের অনুকুল পরিবেশও বিরাজ করছে। এমনকি আরব বসন্তের গণতান্ত্রিক বিপ্লবের চার বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও পুরোনো পুলিশ বাহিনীতে কোনো সংস্কার আনা হয়নি। বেন আলীর শাসনামলে তিউনিসিয়া ছিল পুরোপুরি একটি পুলিশি রাষ্ট্র। সেসময় ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কতাড়িত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিরোধীদের উপর হরদম নির্মম দমণ-পীড়ন চালিয়ে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করত। স্বৈরশাসক বেন আলীর বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনরাই ছিল তখন দেশটির অর্থনীতির প্রধান নিয়ন্ত্রক। আরব বসন্তের বিপ্লবের পর গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত উদারবাদি ইসলামপন্থী দল এন্নাহাদর নেতৃত্বাধীন নতুন সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিচারের জন্য একের পর এক আইন পাশ করতে থাকে। এন্নাহাদার নেতৃত্বাধীন সরকার স্বৈরশাসনামলের অপরাধগুলোর বিচারের জন্য একটি ট্রুথ অ্যান্ড ডিগনিটি (সত্য ও মর্যাদা) কমিশনও গঠন করে। কিন্তু আরব বসন্তের বিপ্লব পরবর্তী সময়কালে দেশটির অর্থনীতিতে বিপর্যয় নেমে আসে। একের পর এক শ্রমিক ধর্মঘট ও বিক্ষোভ সহিংসতার ঘটনা ঘটতে থাকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে ইসলামি চরমপন্থীরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ইসলামি চরমপন্থীরা একের পর এক সেক্যুলার নেতাদের হত্যা ও পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালায়। এর ফলে সেক্যুলার গণতন্ত্রপন্থী ও উদারবাদি ইসলামপন্থীদের মাঝে যে গণতান্ত্রিক ঐক্য ও সমঝোতা হয়েছিল তাতে ফাটল ধরে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে জনগন রাষ্ট্রকে আরো কঠোর হওয়ার আহবান জানায়। পরিণতিতে সরকার এমনকি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই অসংখ্য মানুষকে গ্রেপ্তার করতে থাকে। উদারবাদি ইসলামপন্থীদের ব্যর্থতায় গত বছরের শেষদিকে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সেক্যুলার নিদা তিউনিস পার্টি বিজয় লাভ করে। নিদা তিউনিস পার্টি দেশটির স্বাধীনতা পরবর্তী নেতা হাবিব বারগুইবার সময়কার গৌরব ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেয়। হাবিব বারগুইবার পিতৃতান্ত্রিক ও কর্তৃত্ববাদি ধরনের শাসনামলেই তিউনিসিয়ার আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার গোড়া পত্তন হয়। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নিদা তিউনিস পার্টি নতুন নতুন সন্ত্রাসবাদবিরোধী আইন প্রণয়ন করে দেশটির পুলিশ বাহিনীকে আরো শক্তিশালি করতে থাকে। এছাড়া তারা দেশে এক ধরনের জরুরি অবস্থা জারি করে রেখেছে। এমনকি উদারবাদি ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল এন্নাহাদার নেতৃত্বাধীন সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল সেসবও বন্ধ করে দেয় নিদা তিউনিস পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার। এক্ষেত্রে তারা সবচেয়ে বিতর্কিত যে আইনটি প্রণয়ন করে সেটি হল দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদেরকে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ থেকে দায়মুক্তি দেওয়ার জন্য অর্থনৈতিক পূনঃআত্মীকর‌ণ আইন। এই আইনে ব্যবসায়ীদেরকে তাদের কালো টাকার একটা অংশ রাষ্ট্রের কাছে সমর্পণের বিনিময়ে দায়মুক্তির ব্যবস্থা করা হয়। তার চেয়েও বড় কথা হল গত বছর স্থাপিত ট্রুথ অ্যান্ড ডিগনিটি কমিশনের হাত থেকেও তাদের রেহাই দানের ব্যবস্থা করা হয়। এর ফলে দেশটিতে পূণরায় দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক নৈরাজ্য ফিরে আসা এবং বিদেশি বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া যেসব বাধা-বিপত্তির কারণে দেশটির চলমান অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে সেগুলো আরো স্থায়ী হবে এবং বেন আলীর সময়কার দুর্নীতিগ্রস্ত সিস্টেমও পূণর্বহাল হবে। তবে অর্থনৈতিক দুর্যোগ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার অজুহাতে এসব অভিযোগের কোনো তোয়াক্কাই করছেন না নিদা তিউনিস পার্টির নেতৃবৃন্দ। তাদের মতে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হলে ব্যবসায়ীদের উপর খড়গহস্ত হওয়া যাবে না। বিখ্যাত ভূমধ্যসাগরীয় পর্যটন স্পট সুসের সমুদ্র সৈকতে সন্ত্রাসী হামলার পর দেশটির পার্লামেন্টে উত্থাপিত সন্ত্রাসবাদবিরোধী আইনের বিরোধীতা করেননি একজন সংসদ সদস্যও। কিন্তু ওই বিলটি উপস্থাপনের সময় অনুপস্থিত দশ গণপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে একযোগে আক্রমণ চালায় সরকারপ্রভাবিত গণমাধ্যমগুলো। দেশটির সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রধান নেজি বিঘৌরি বলেন, গণমাধ্যমগুলোর এ ধরনের আচরণ শুধুমাত্র সাবেক স্বৈরশাসক বেন আলির শাসনামলেই দেখা যেত। নেজি বিঘৌরি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অজুহাতে পুরোনো স্বৈরশাসনামলের সব খারাপ চর্চাই ফিরে আসছে। অথচ আমরা এখনো গণতন্ত্রে উত্তরণের অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে রয়েছি। আমাদের এক পা গণতন্ত্রে তো আরেক পা এখনো স্বৈরতন্ত্রে।’
৩৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার আসন বিন্যাস

৩৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার আসন বিন্যাস


ঢাকা: ৩৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার আসন বিন্যাস প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বৃহস্পতিবার কমিশনের ওয়েবসাইটে আসনবিন্যাস প্রকাশ করা হয়। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ ২০,৩৯১ প্রার্থী এবার লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেবেন। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবশ্যিক বিষয়ের পরীক্ষা এবং ৯ থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত পদসংশ্লিষ্ট বিষয়ের পরীক্ষা ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার জন্য চার ঘণ্টা এবং ১০০ নম্বরের পরীক্ষার জন্য তিন ঘণ্টা সময় পাবেন প্রার্থীরা। পরীক্ষায় গড় পাস নম্বর ন্যূনতম ৫০ শতাংশ। তবে কোনো বিষয়ে ৩০ নম্বরের কম পেলে প্রার্থী অকৃতকার্য হবেন। গাণিতিক যুক্তি, গণিত, ফলিত গণিত, পদার্থবিদ্যা, ফলিত পদার্থবিদ্যা, পরিসংখ্যান, হিসাববিজ্ঞান এবং কম্পিউটার সায়েন্স, ইলেকট্রনিক্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়গুলোর পরীক্ষায় ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন প্রার্থীরা।
গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ মানুষ

গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ মানুষ


ঢাকা: ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে সরকার। গ্যাসের দাম গড়ে ২৬.২৯ শতাংশ এবং বিদ্যুতের দাম গ্রাহক পর্যায়ে ২.৯৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। গৃহস্থালির গ্যাস ব্যবহারের জন্য গ্রাহককে এক চুলার ক্ষেত্রে ৬০০ টাকা এবং দুই চুলার ক্ষেত্রে ৬৫০ টাকা দিতে হবে। গৃহস্থালিতে মিটারভিত্তিক গ্যাসের বিল প্রতি ঘনমিটার ৫ টাকা ১৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭ টাকা করা হয়েছে, যা আগামী মাস থেকেই কার্যকর হবে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কম থাকা সত্ত্বেও গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের আশঙ্কা, দ্রব্যমূ্ল্যের দামও বাড়বে, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান এ আর খান গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেন। ঘোষণা অনুসারে, গ্রাহক পর্যায়ে ১-৭৫ ইউনিট বিদ্যুতের নতুন মূল্য ৩ টাকা ৮০ পয়সা, ৭৩-২০০ ইউনিটে ৫ টাকা ১৪ পয়সা, ২০১-৩০০ ইউনিটে ৫ টাকা ৩৬ পয়সা, ৩০১-৪০০ ইউনিটে ৫ টাকা ৬৩ পয়সা, ৪০১-৬০০ ইউনিটের জন্য ৮ টাকা ৭০ পয়সা ও ৬০০ ইউনিটের উপরে ৯ টাকা ৯৮ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। গাড়িতে ব্যবহৃত সিএনজির দাম প্রতি ঘনমিটারে ৫ টাকা বাড়িয়ে ৩৫ টাকা করা হয়েছে। একইসঙ্গে শিল্পের ক্ষেত্রে ৫ টাকা ৮৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৭৪ পয়সা, ক্যাপটিভ ক্ষেত্রে ৪ টাকা ১৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৮ টাকা ৩৬ পয়সা, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ৯ টাকা ৪৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১১ টাকা ৩৬ পয়সা, গাড়িতে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস বা সিএনজির দাম প্রতি ঘনমিটার ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫ টাকা করা হয়েছে। সার ও বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়া সব ক্ষেত্রে গ্যাসের এ দাম কার্যকর হবে। আর সেচ ও প্রান্তিক পর্যায় ছাড়া বাকি সবক্ষেত্রে বিদ্যুতের নতুন দাম কার্যকর হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভোক্তা পর্যায়ে ক্রেতাদের অবস্থা বিবেচনা না করে অযৌক্তিকভাবে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি সদস্য সচিব অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে অনেক গণশুনানি হয়েছে। তাতে অংশগ্রহণকারী সবাই না বাড়ানোর মতামত দিয়েছে। এখন সরকার বিশেষ গোষ্ঠির স্বার্থ রক্ষা করতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, “বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলেও সরকার তেলের দাম না কমিয়ে উল্টো বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম কমার কারণে দেশে বিদ্যুতের দাম কমা উচিত, সেখানে দাম বাড়িয়েছে।” আনু মুহাম্মদ বলেন, “যে কমিশন জনস্বার্থে কাজ করেনা সে কমিশনের কোনো দরকার নাই। এ ধরনের কমিশন পুরোটাই অযৌক্তিক।” কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) বিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.এম শামসুল আলম বলেন, “গ্যাস ও বিদ্যুতের যে দাম বাড়ানোর হয়েছে, তা কোনভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এটি একটি জনস্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্ত। সরকারের এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা উচিত। এটি বাতিল করা উচিত। এর ফলে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কাজী জাফরের মরদেহে খালেদার শ্রদ্ধা

কাজী জাফরের মরদেহে খালেদার শ্রদ্ধা


ঢাকা: জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদের লাশ দেখতে যান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর গুলশানে কাজী জাফরের বাসভবনে গিয়ে মরদেহে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এর আগে সন্ধ্যা ৭টায় ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে গুলশান ২ নম্বর সেক্টরের ৬৮ নম্বর রোডের ২ নম্বর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় কাজী জাফর আহমেদের মরদেহ। কাজী জাফর আহমেদের মরদেহে শ্রদ্ধা জানানোর পর মরহুমের পরিবারের স্বজনদের সান্ত্বনা দেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি সেখানে তাদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটান। এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসারত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব টেলিফোনে কাজী জাফর আহমেদের স্ত্রী ও দুই মেয়ের সঙ্গে কথা বলে তাদের সান্ত্বনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার প্রেসউইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান। জানা গেছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত গুলশান বাসভবনেই থাকবে কাজী জাফর আহমেদের মরদেহ। এ সময়ের মধ্যে মরহুমের আত্মীয়-স্বজন, রাজনৈতিক সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পাবেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় নিজ বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হন কাজী জাফর আহমেদ। সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্ট আইন- প্রণয়নে কাজ শুরু

কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্ট আইন- প্রণয়নে কাজ শুরু


ঢাকা: কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্ট গঠনের লক্ষ্যে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্ট আইন-২০১৫’ প্রণয়নে কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম স্বাস্থ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ আইনের খসড়া নিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক, কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পের সাবেক পরিচালক ডা. মাখদুমা নার্গিসসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় ‘কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্ট আইন-২০১৫’ এর কাঠামো, লক্ষ্য, উদ্দেশ্যে, পরিচালনা বোর্ড গঠনসহ বিভিন্ন ধারা ও উপধারা নিয়ে আলোচনা হয়। প্রসঙ্গত, ভবিষ্যতে সরকার পরিবর্তন হলেও কার্যক্রম যেন বন্ধ না হয়, সেজন্য জাতীয় পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি ক্লিনিক পুরস্কার বিতরণ এবং কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের ই-লার্নিং কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আমরা একটি ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করব। প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকের একটি নিজস্ব অ্যাকাউন্ট থাকবে। ভবিষ্যতে সরকার পরিবর্তন হলেও এক হুকুমে কেউ যেন বন্ধ করতে না পারে।’
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় সন্ত্রাসবিরোধী আদালত আজ বৃহস্পতিবার এই অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানাটি জারি করেন। পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) এই নেতার সঙ্গে দলের আরেক নেতা মাখদুম আমিন ফাহিমের বিরুদ্ধেও একই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বাণিজ্য উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (টিডিএপি) কয়েক কোটি রুপি কেলেঙ্কারি নিয়ে ১২টি মামলায় পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফআইএ) এ দু’জনের বিরুদ্ধে আজ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পিপিপির সাবেক এই দুই নেতা ছাড়াও টিডিএপি-এর সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এসব মামলায় অর্থ কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির যোগসাজশের অভিযোগও আনা হয়েছে। এর আগে আদালত গিলানি ও ফাহিমকে আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা তা অমান্য করেছেন। আজকের শুনানিতে আদালত কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে তাঁদের বিরুদ্ধে অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানিতে তাঁদের গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে গতকাল বুধবার করাচিতে এক সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অসিম হোসাইনকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। তিনি পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। শান্তিপূর্ণ ও সন্ত্রাসমুক্ত করাচি নিশ্চিত করতে সম্প্রতি দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরিফ ‘সন্ত্রাসবাদ, মাফিয়া, সহিংসতা ও দুর্নীতির মধ্যে বিদ্যমান দুষ্টু চক্রকে’ ভেঙে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। এর একদিন পরই অসিমকে আটক করা হয়।
ভারতে ২৯ লাখ মানুষ ধর্মে বিশ্বাসী নয়

ভারতে ২৯ লাখ মানুষ ধর্মে বিশ্বাসী নয়


আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ভারতের ০.২৪ শতাংশ লোক কোনো ধর্মে বিশ্বাসী নয়। অর্থাৎ প্রায় ২৯ লাখ মানুষ কোন ধর্মেই বিশ্বাসী নয়। ২০১১ সালের আদমশুমারির তথ্যের ভিত্তিতে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে নাস্তিক, যুক্তিবাদী এবং কিছু অজানা শক্তিতে বিশ্বাসীরাও। ধর্মে অবিশ্বাসীদের বেশিরভাগ (১৬ লাখ ৪৩ হাজার ৬৪০) গ্রামে থাকে এবং তুলনামূলক কম অংশটি (১২ লাখ ২৩ হাজার ৬৬৩) শহরবাসী। অবিশ্বাসীদের মধ্যে নারীদের সংখ্যা ১৪ লাখ তিন হাজার ৫৯১ এবং পুরুষের সংখ্যা ১৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭১২ জন। যেকোন রাজ্যের তুলনায় উত্তর প্রদেশে ধর্মে অবিশ্বাসীদের সংখ্যা বেশি। বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্র প্রদেশ, তেলেঙ্গনা, কর্ণাটক এবং তামিল নাড়– রাষ্ট্রে এক লাখেরও বেশি মানুষ আছে এই তালিকায়। নিরীশ্বরবাদের একটি ইতিহাস রয়েছে। ই ভি রামস্বামী(১৮৭৯-১৯৭৩) ১৯৯০ শতাব্দীতে ভারতে নিরীশ্বরবাদের ধারণা প্রচার করেন। সে সময় রাজনৈতিক নেতা দ্রাভিদার কাঝাগাম এবং তার দল নাস্তিকতাকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য কিছু নাস্তিক ধর্মে বিশ্বাস এনেছে। নাস্তিক্যবাদের সমর্থক দ্রাভিদার কাঝাগাম বলেন, ‘এটা ভালো যে আদমশুমারিতে প্রথমবারের মতো আমাদের সংখ্যা লিপিবদ্ধ হয়েছে।’ কিন্তু তিনি মনে করেন প্রকাশিত সংখ্যার চেয়ে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ অবিশ্বাসী। দ্রাভিদার কাঝাগাম আরও বলেন প্রকাশিত সংখ্যাটি কম হওয়ার দুটি কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, আদমশুমারি বিভাগ সঠিক তথ্য প্রকাশে অনিচ্ছুক। দ্বিতীয়ত, অনেক অবিশ্বাসী মানুষ আছে যারা ব্যাপারটি স্বীকার করার সাহস পায় না। অন্ধ্র প্রদেশেও অবিশ্বাসীদের সংখ্যা অনেক। অন্ধ্র প্রদেশের বিজয়ওয়াড়া এর নিরীশ্বরবাদী কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা গোরা এবং তার স্ত্রী সরস্বতী ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং স্বাধীনতাপরবর্তী সময়েও ধর্মান্ধতা, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন।
খুনীদের আশ্রয় দিয়ে আমেরিকা মানবাধিকারের কথা বলছে

খুনীদের আশ্রয় দিয়ে আমেরিকা মানবাধিকারের কথা বলছে


ঢাকা: আমেরিকা ও কানাডার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, আপনারা বঙ্গবন্ধুর খুনীদের আশ্রয় দিয়ে এখন মানবাধিকারের জন্য লম্বা লম্বা কথা বলছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে শেখ রাসেল চেস ক্লাব আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মতিয়া চৌধুরী বলেন, আমরা যদি আপনাদের রাষ্ট্রপতি খুনীদের আশ্রয় দিতাম। তাহলে আপনারা কি আমাদের ছেড়ে কথা বলতেন। আমাদের বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা নিতেন। আপনার বঙ্গবন্ধুর খুনীদের আশ্রয় দিয়েছেন এখন তারা মানবাধিকারের জন্য লম্বা লম্বা কথা বলছেন। অধিকার শুধু কি আপনাদের। শিশু শেখ রাসেলের কি কোনো অধিকার নেই? এসময় তিনি বলেন, সকল শিশু হত্যার বিচার করতে হবে। তাহলেই দেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। মতিয়া চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না আসলে আমরা বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করতে পারতাম, তা বিশ্বাস করি না। উনি কিন্তু উনার (শেখ হাসিনা) পিতার হত্যা ও আত্মীয় স্বজনের হত্যার বিচার করেই ক্ষান্ত হয়নি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছেন। যা বঙ্গবন্ধু শুরু করেছিলেন। আর জিয়াউর রহমান বাতিল করেছিলেন। শেখ হাসিনা না হলে এ দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতো? সংগঠনের সভাপতি কে এম শহিদ উল্যার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, ডা. সিরাজুল ইসলাম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল তারেক প্রমুখ।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: খালেদার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৩০ সেপ্টেম্বর

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: খালেদার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৩০ সেপ্টেম্বর


ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও জাতিবিভেদ সৃষ্টির অভিযোগের মামলায় প্রতিদেন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল আরেফীন এ তারিখ ধার্য করেন। ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদেৃর সভাপতি এ বি সিদ্দিকীর এ মামলা দায়ের করেন। ওইদিন আদালত শুনানি শেষে শাহবাগ থানার ওসিকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী গত ১৪ অক্টোবর বিকালে হিন্দু সম্প্রদায়ের শুভ বিজয়া অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মালম্বীকারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্ম নিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের কাছে কোন ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয়। হরতালের সময় তারা পুরান ঢাকায় বিশ্বজিতকে হত্যা করেছে। নারায়ণগঞ্জে ৭ খুনের ঘটনায় তারা অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারকে র‌্যাব দিয়ে ধরে নিয়ে খুন করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেছে। হিন্দুদের ওপর হামলা করেছে। আওয়ামী লীগ হিন্দুদের ওপর হামলার সময় বলে, তোরা হিন্দু হয়ে বিএনপি করিস কেন?’ মামলায় বলা হয়, খালেদা জিয়ার এ সকল বক্তব্য যেমন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে তেমনী হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে শ্রেণীগত বিভেদও সৃষ্টি করেছে। যা দন্ডবিধির ১৫৩(ক) ও ২৯৫(ক) ধারার অপরাধ। মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছিল।

Wednesday, August 26

শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে বিএনপি!

শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে বিএনপি!


ঢাকা: বিএনপি ও খালেদা জিয়া সব সময় আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, তারা এক সেকেন্ডও বসে নেই। বুধবার বিকালে রাজধানী মহানগর নাট্যমঞ্চের কাজী বশির উদ্দিন মিলায়তনে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। জাতীয় শ্রমিক লীগ আলোচনা সভাটি আয়োজন করে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সৈয়দ আশরাফ বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, ঐক্যবদ্ধ হই। ক্ষমতায় আছেন বলেই সামান্য দুই চার পয়সার ভাগবাটোয়ারা আপনারা ত্যাগ করতে পারেন না। দেশ, দল ও জননেত্রী শেখ হাসিনার বৃহত্তর স্বার্থে সামান্য কিছু পাওয়ার জন্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন না। আপনারা ঐক্যবন্ধ থাকুন তাহলে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের কিছুই হবে না। যদি আপনারা ঐক্যবদ্ধ না থাকেন দেশে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। ষড়যন্ত্রকারীরা, খালেদা জিয়ারা এক সেকেন্ডের জন্যও বসে নেই। তারা সবসময় সুযোগ খুঁজে। সুযোগ সৃষ্টির প্রচেষ্টা করে। আমাদের কাজ হবে যতবারই তারা প্রচেষ্টা করবে আমরা তাদের কায়েমি হতে দেব না। সেটিই থাকতে হবে আমাদের মূল দৃঢ়তা। তিনি বলেন, বিএনপি কোনোদিনই মুক্তিযুদ্ধ চায়নি। কোনোদিন মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেনি। আওয়ামী লীগের পাপ কী? বঙ্গবন্ধুর পাপ কী? তাদের সাধের পাকিস্তানকে ভেঙে দেয়া। সেই আঘাত তারা সহ্য করতে পারেনি। এর প্রতিশোধ নিতে তারা প্রতিদিনই চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের সেই প্রচেষ্টা চলছে এবং চলবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, সজাগ থাকতে হবে। যদি আমরা সজাগ না থাকি, এখন যদি প্রস্তুত না থাকি, তাহলে সে ঘটনা আবারও ঘটাতে চাইবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেন, আমরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাই ঠিকই আছি। আমাদের গার্ড আরও শক্তিশালী হতে হবে। ক্ষমতায় এলে যদি আপনারা মনে করেন আমরা নিরাপদ, কিন্তু তা না। আমাদের সবসময় সজাগ থাকতে হবে। আমরা যদি সবকিছুকে হেলায় হেলায় করি, নিজেদের ভেতরে কোন্দল সৃষ্টি করি, নিজেদের দ্বন্দ্বের কারণে সংগঠনের ভেতরে বিবেদ সৃষ্টি করলে আমরা দুর্বল হয়ে যাবো। তখনই কিন্তু তারা আবার আঘাত হানবে। বিএনপিকে খুনি ও ষড়যন্ত্রকারীদের দল আখ্যায়িত করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, বিএনপি ষড়যন্ত্রকারীদের দল, খুনিদের দল। এ দল সব সময় পরিকল্পনা করে কিভাবে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতাদের ধ্বংস করা যায়। শেখ হাসিনাকে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের এবং শতশত নেতাকর্মীর মৃত্যুর ভার প্রতিদিন বইতে হচ্ছে। তাকে বারবার আত্মত্যাগ করতে হচ্ছে। এখনও ষড়যন্ত্র হচ্ছে প্রতিদিনই তার ওপর হামলা করার পরিকল্পনা হচ্ছে। তিনি বলেন, ২১ আগস্ট এবং ১৫ আগস্টের লক্ষ্যের মধ্যে ব্যবধান আছে। ১৫ আগস্টের লক্ষ্য ছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা এবং স্বাধীনতা নস্যাৎ করা। অন্যদিকে ২১ আগস্টের লক্ষ্য ছিল নেত্রীসহ আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃত্বকে এক হামলায় শেষ করে দেয়া। এসময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে এদেশের মানুষ কখনও ভুলে যেতে পারে না। বঙ্গবন্ধু মৃত হলেও তিনি আমাদের সব আশা এবং ভরসা। ঠিক তেমনিভাবে আওয়ামী লীগকেও আমাদের সব আশাও ভরসা। এটা একই সঙ্গে গাঁথা। তাই আওয়ামী পরিবারের সবার প্রতি পরিপূর্ণ ঐক্যের ডাক আমি দিয়ে যেতে চাই। শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু প্রমুখ।

Friday, August 21

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে কানাইঘাটে প্রজন্মলীগের আলোচনা সভা

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে কানাইঘাটে প্রজন্মলীগের আলোচনা সভা


নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জোট সরকারের আমলে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টা ও আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মীদের হত্যার বিচার দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্নের দাবীতে কানাইঘাট পৌর আওয়ামী প্রজন্মলীগের উদ্যোগে শুক্রবার বাদ আসর সংগঠনের কানাইঘাট বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে এক প্রতিবাদ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পৌর প্রজন্মলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আহসান হাবিবের সভাপতিত্বে ও সহ সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমদের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী প্রজন্মলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুক আহমদ, সিনিয়র সদস্য নজরুল ইসলাম, প্রজন্মলীগ নেতা মাহবুব, মোহাম্মদ, রুবেল, শাহেদ, সমছু, ছাত্রলীগ নেতা রেহান উদ্দিন, শাহীন, আব্দুর রহমান, আলমগীর, যুবলীগ নেতা ইয়াহিয়া, হারিছ আহমদ প্রমুখ। সভা শেষে ২১ আগস্টের নিহত শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
কানাইঘাটে শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ

কানাইঘাটে শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারীভাবে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের জন্য বরাদ্ধকৃত কানাইঘাট উপজেলার ১২০টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক শিশু শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ে ব্যাপক দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়ায় অভিযোগ উঠেছে। কিছু শিক্ষকনেতা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নামমাত্র প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ ক্রয় করার জন্য পায়তারায় লিপ্ত রয়েছেন বলে জানা গেছে। সরকারীভাবে প্রতিটি স্কুলের জন্য গত জুলাই মাসে ৫হাজার টাকা করে অর্থ বরাদ্ধ দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা হওয়ার পরও অদ্যবধি পর্যন্ত শিক্ষা উপকরণ ক্রয় করেননি স্কুলের শিক্ষকরা বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষকগণ টাকা উত্তোলন করে কিছু শিক্ষক নেতাদের নিয়ে গড়া সিন্ডিকেট চক্রকে ২হাজার ৯শত টাকা শিক্ষা উপকরণ ক্রয় করার জন্য দিয়েছেন অধিকাংশ স্কুলের প্রধান শিক্ষকগণ। বাকি টাকা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে রক্ষিত রয়েছে। সিন্ডিকেট চক্র প্রতিটি স্কুলে নামমাত্র ১হাজার/১৫শত টাকা শিক্ষা উপকরণ কিনার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছেন। সরকারী বিধি মোতাবেক ভাবে প্রতিটি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে নিয়ে ক্রয় কমিটি গঠনের মাধ্যমে শিক্ষা উপকরন কিনার কথা থাকলেও এক্ষেত্রেও জাল জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। গত ১২ ও ১৩ অর্থ বছরে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্ধকৃত উপকরণ ক্রয়ে ব্যাপক দুর্নীতি করা হয়। এছাড়া ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে উপজেলা বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আনুসাঙ্গিক উন্নয়নের জন্য বরাদ্ধকৃত কাজে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দিলীপ কুমার শাহার সাথে কথা হলে তিনি কানাইঘাট নিউজকে বলেন, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য উপজেলার ১২০টি স্কুলে ৫হাজার টাকা করে বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। সিন্ডিকেট চক্রের মাধ্যমে শিক্ষা উপকরণ কেনা হচ্ছে এই ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষা উপকরণ ক্রয় করা না হলে তদন্ত পূর্বক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২১শে আগষ্ট!নারকীয় ট্রাজেডি এবং প্রাসঙ্গিক কিছু কথা

২১শে আগষ্ট!নারকীয় ট্রাজেডি এবং প্রাসঙ্গিক কিছু কথা


মিলন কান্তি দাস: ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কতম দিন, ইতিহাসের পাতার একটি কলঙ্কতম অধ্যায়। সেদিন ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে প্রকাশ্য দিবালোকে আওয়ামীলীগ নেতাদেরকে হত্যাযঙ্গে নেমেছিল জঙ্গী সন্ত্রাসীরা। সেদিন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আয়োজিত জনসভা চলাকালীন যখন আওয়ামীলীগ সভানেত্রী, তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্যরত ঠিক সেই মুহুর্তে একের পর এক গ্রেনেড নিক্ষেপিত হয়। মূলত জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এই গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল যা সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথেই আজ দেশবাসীর নিকট সচ্ছ পানির মতো স্পষ্ট। আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় ও নিবেদিত প্রাণ নেতারা তাদের জীবনের মায়াকে ত্যাগ করে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন বাঁচিয়েছিলেন। সেই নেতাদের অনেকেই আজ আর নেই। চলে গেছেন না ফেরার দেশে। আর গ্রেনেড বিস্ফোরিত হওয়ার সাথে সাথেই ঝরে যায় ২২টি তাজা প্রাণ। ঠিক একদিন পর মারা যান প্রয়াত বর্ষীয়ান আওয়ামীলীগ নেতা এবং পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সর্বজন শ্রদ্ধেয় রাজনীতিবিদ জিল্লর রহমানের স্ত্রী ও মহিলা আওয়ামীলীগ সভানেত্রী আইভি রহমান। এতোগুলো তাজা প্রাণ ঝরে গেলো প্রকাশ্য দিবালোকে, কেউবা পঙ্গুত্ব নিয়ে আজো বেঁচে আছে এ পৃথিবীর বুকে। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে এই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট দিনটি একটি জঘন্যতম কালো দিন হয়ে থাকবে। সেদিনের রাষ্ট্রক্ষমতায় যারা ছিলো তারা এই গ্রেনেড হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের ব্যবস্থা না করে “জজ মিয়া” নাটক সাজিয়েছিল। দেশবাসী আজও এই জজ মিয়া নাটকের কথা ভুলেনি। সেদিনের সেই নারকীয় হত্যাযঙ্গের পর তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা এই নারকীয় হামলা ও হত্যাযঙ্গের জন্য তৎকালীন রাষ্ট্রীয় মদদপৃষ্ট সন্ত্রাসকে দায়ী করেছিলেন। সেদিনের সরকারীদল শেখ হাসিনার এই অভিযোগ প্রত্যাখান করেছিলো। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে আজ সব সত্য বের হয়ে এসেছে। সেদিনের সেই কাপুরুষুচিত হামলার পিছনে ও সামনে কারা, পরিচালনাকারী বা নির্দেশদানকারী কারা তা গ্রেফতারকৃত আসামীদের স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে এসেছে। আজ এদের অনেকেই কারাগারে, আবার অনেকেই পলাতক হয়ে দেশের বাইরে। এখন ২০১৫ সাল চলছে। দেখতে দেখতে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার একদশক পেরিয়ে একযুগ পদার্পন করতে যাচ্ছে। সেদিন যে শিশুটি এই বাঙলার বুকে বাংলা মায়ের গর্ভ হতে ভূমিষ্ট হয়েছিলো সে এখন প্রাথমিক বিদ্যালয় পেরিয়ে আজ উচ্চ বিদ্যালয়গামী। অর্থাৎ সে আজ বর্তমান বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম। এই প্রজন্মটি সেদিনের সেই ন্যাক্কারজনক হত্যাযজ্ঞ দেখেনি। যেমনটি আমরা দেখিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। আমরা যেমনি দেখিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়, তেমনি দেখিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকহানাদার বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় দালালদের কর্তৃক সংগঠিত গণহত্যা, লুন্টন, নির্যাতনের বিভীষিকাময় চিত্র। আমাদের দেখার সুযোগ হয়নি ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের কালোরাত্রি। যেই কালোরাত্রিতে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর এদেশীয় ঔরষজাতেরা নির্মম ভাবে হত্যা করেছিলো বাঙালী জাতীর অবিসংবাদিত নেতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা ও স্থপতি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবার পরিজনকে। বয়োজৈষ্ট্যদের কাছ থেকে শুনেছি মুক্তিযুদ্ধের কথা, মুক্তিযোদ্ধার কথা।
শুনেছি পাকিস্থানী শাসন শোষন নির্যাতন লাঞ্চনা বঞ্চনার ইতিহাসের কথা। বয়োজৈষ্ট্যদের মুখ থেকে আরো শুনেছি ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্টের কালোরাত্রির কথা। পরবর্তীতে ইতিহাসের পাতায় পড়েছি এই নির্মম হত্যাযজ্ঞের কথা। শুনেছি, পড়েছি এবং বিবেক স্থব্ধ হয়েছে। কিন্তু দেখিনি, দেখা হয়নি। শুধু কল্পনার বেড়াজালে চোখের সামনে এনে বাস্তবতাকে খুঁজে ফিরেছি। কিন্তু ২০০৪ সালের ২১ আগষ্টকে আর কল্পনায় থেকে দেখতে হয়নি। বাস্তবেই দেখা হয়ে গেলো। দেখা হয়ে গেলো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে প্রকাশ্য দিবালোকে গ্রেনেড মেরে হত্যা করার দৃশ্য। সেদিন সারা বাংলাদেশের মানুষ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলো এবং সারা দেশের মানুষ এই জঘন্যতম ও নারকীয় হত্যাযঙ্গের বিচারের দাবীতে রাজপথে নেমে এসেছিলো। কিন্তু সেদিন যারা রাষ্ট্র পরিচালনায় ছিলো তারা এই ঘটনায় নীরব ছিলো। অনেকটা ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা সেদিন তাদের মধ্যে লক্ষ্য করা গেছে। সেদিনের সরকারীদল ছিলো আজকের বিএনপি এবং তাদের নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোট। আজ প্রায় একদশক ধরে এই জোটটি রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে রয়েছে। মূলত এই ২১ আগষ্ট সহ আরো কিছু রাজনৈতিক হত্যাকান্ড, দেশব্যাপী বোমাবাজি, জঙ্গিদের উত্থান প্রভৃতি কারনে সেদিনকার সরকারের উপর দেশের সর্বস্থরের জনগণের নাভিশ্বাস জন্মেছিলো। যার চূড়ান্ত সত্যতা আমরা পেয়েছিলাম ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্টিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। সেই নির্বাচনে বিএনপি জামায়াত জোটের ব্যাপক ভরাডুবি হয়েছিলো। মহান জাতীয় সংসদের মাত্র ৩২টি আসন নিয়ে তাদের সন্তোষ্ট থাকতে হয়েছিলো। আজ কোথায় বিএনপি? বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলকে তো আজ এ দেশের মানুষ টর্চ দিয়ে খুজেও খুজে পায়না। মূলত অদক্ষ নেতৃত্বের উপর অতি নির্ভরশীলতাই আজ এই দলটির পতন ঘটিয়েছে এবং এক ধরনের নাম সর্বস্ব রাজনৈতিক দলে পরিণত করে রেখেছে। ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা, ১৭ই আগষ্ট দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা, জঙ্গীবাদের উত্থান, আওয়ামীলীগ নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যাকান্ড, সাবেক বিশ্ববরেণ্য অর্থনীতিবিদ শাহ এএসএম কিবরিয়া হত্যাকান্ড, নাটোরের সাবেক সাংসদ মমতাজ উদ্দিন হত্যাকান্ড, খুলনার মঞ্জুরুল ইমাম হত্যাকান্ড, সিলেটের গুলশান সেন্টারে আওয়ামীলীগ নেতাদের হত্যা উদ্দেশ্যে বোমা বিস্ফোরণ ও আওয়ামীলীগের নিবেদিত প্রাণ কর্মী ইব্রাহীম আলী হত্যাকান্ড, বৌদ্ধ ভিক্ষু জ্ঞান জ্যোতি মহাথেরো হত্যাকান্ড, বাঁশখালীতে একটি সংখ্যালঘু পরিবারের ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যা, সংখ্যালঘু কিশোরী পুর্ণিমা ধর্ষন ও হত্যাকান্ড, আলোচিত শিশু নওশিন, তৃষা প্রভৃতি হত্যাকান্ড তো আজও চোখের সামনে ভেসে উঠে। দেশের জনগণতো আজও ভুলেনি এই নির্মম নিষ্টুর পৈশাচিকতার কথা। এগুলো কখনোই ভুলার নয়। কিছুতেই ভুলার নয়। এতোসব অসংখ্য অগণিত হত্যাকান্ডের পর আজ যারা গণতান্ত্রিক শাসনের দাবীতে মাঝে মাঝে রাজপথে উকি দেয়, এটা একধরনের হাস্যরসের খোরাক ছাড়া আর কিছুই হতে পারেনা। এই বাংলার মাটিতে যাদের হাতে এই বাংলার সাড়ে ষোল কোটি মানুষের গণতন্ত্র হরণ হয়ে গিয়েছিলো, তারা আবার গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার দাবী করে কোন যুক্তিতে? গণতন্ত্রের হত্যাকারীদের হাতে কিভাবে আবার এদেশের মানুষ গণতন্ত্রের চাবি তুলে দেবে? ওরা কিভাবে ভাবতে পারলো যে দেশের মানুষ এসব অমানবিকতা, পৈশাচিকতা, নারকীয়তা, দানবতা আজ ভুলে গেছে। দেশের মানুষ আজও তাদের অপরাজনীতির কথা ভুলেনি। বরং তারা মাঝে মাঝে হরতাল অবরোধের নামে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, চলন্তবাসে জীবন্ত মানুষের উপর পেট্রোলবোমা মেরে জানান দেয় যে, আমরা আমাদের অতীতের অবস্থানেই আছি। সুতরাং বলা যায় যে, খোলস বদল করলেই মানুষ বদল হয়ে যায়না। মানুষের চারিত্রিক বদল বা পরিবর্তন একটি সাধনার বিষয়। সুতরাং যারা দেশবাসী কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত তাদেরকে অবশ্যই তাদের সময়কার বা শাসনামলের ত্রুটিগুলার জন্য ক্ষমা চেয়ে রাজনীতি করতে হবে। নতুবা তারা যেভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, সেভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েই থাকবে। আজও ২০০৪ সালের ২১ আগষ্টের কথা মনে হলে আতঙ্কে গা কেঁপে উঠে। সেই সময় মানুষ মিছিল, মিটিং, সভা, সমাবেশে যেতে ভয় পেতো। মানুষের মধ্যে তখন একটি আতঙ্ক বিরাজ করতো। কারন দেশব্যাপী আজ এখানে, কাল সেখানে বোমাবাজি, গ্রেনেডবাজিটা ছিল একটি নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার। আজকের বাংলাদেশতো অন্ততপক্ষে সেই দিক থেকে মুক্ত রয়েছে। শেখ হাসিনার শাসনামলে তো অন্ততপক্ষে এই দিক তেকে দেশবাসী শান্তি পাচ্ছে এবং সস্থির নিঃশ্বাস ফেলছে। অন্ততপক্ষে এটা তো শেখ হাসিনার শাসনামলের অন্যতম ইতিবাচক দিক। ইতিমধ্যে আমরা মিডিয়ার কল্যানে জানতে পেরেছি যে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার চার্জশীট এবং তৎপরবর্তী সম্পূরক চার্জশীট প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে এই মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। দেশবাসীর প্রত্যাশা এই হামলার পেছনের এবং অগ্রভাগের সকল খলনায়কদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা হবে। কেউই যে আইনের উর্ধ্বে নয় তা বিচারের মাধ্যমে প্রমাণ হবে। আমরা দেশের সাধারণ মানুষ। দেশের শাসন বিভাগ এবং বিচার বিভাগের কাছে এটাই আমাদের সর্বোচ্চ প্রত্যাশা। আমরা চাই একুশে আগষ্টের খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। বাংলার মাটিতে আর যেন অপরাজনীতির ফেরিওয়ালারা অপরাজনীতির ফেরী আর না করতে পারে। আজকের এই লিখার মাধ্যমে বিন¤্র চিত্তে স্মরণ করছি একুশে আগষ্টের গ্রেনেড হামলায় আত্মদানকারী আওয়ামীলীগ নেত্রী আইভি রহমান সহ সেই সকল আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের যারা সেদিন আওয়ামী তথা প্রগতিশীল ধারায় রাজনীতি করার অপরাধে প্রাণ হারিয়েছিল। আজ আরো কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় আহত সেই সকল আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের যারা সেদিন তাদের প্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে মানববর্ম তৈরী করে বাঁচিয়েছিল। তারা সেদিন প্রিয় নেত্রীর প্রতি যে ভালোবাসা দেখিয়েছিলো যা বাঙালী জাতীর ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে। আমি আরো শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি তাদের, যারা সেদিন এই জনসভায় যোগ দিতে গিয়ে আজ অসহায় বিকলাঙ্গ পঙ্গুত্ব নিয়ে জীবন যাপন করছে। আর যেন বাংলার মাটিতে আরেকটি ২১ আগষ্ট না ঘটে, সেদিকে দেশবাসীর সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। নিপাতযাক জঙ্গীবাদ, জয়ী হোক মানবতাবাদ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে দেশ এগিয়ে যাক এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।

Tuesday, August 18

কানাইঘাট প্রেসক্লাবের উদ্যোগে যুক্তরাজ্য প্রবাসী কমিউনিটি নেতা এম.এ. শাকুর সিদ্দিকীকে সংবর্ধনা প্রদান

কানাইঘাট প্রেসক্লাবের উদ্যোগে যুক্তরাজ্য প্রবাসী কমিউনিটি নেতা এম.এ. শাকুর সিদ্দিকীকে সংবর্ধনা প্রদান


নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা এডুকেশন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান দানশীল ব্যক্তিত্ব সমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগী এম.এ শাকুর সিদ্দিকীকে সমাজসেবা মূলক কর্মকান্ডে বিশেষ অবদান রাখায় কানাইঘাট প্রেসকাবের উদ্যোগে তাঁকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে কানাইঘাট প্রেসকাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম.এ হান্নানের সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক নিজাম উদ্দিনের পরিচালনায় আয়োজিত উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশিক উদ্দিন চৌধুরী বলেন, যুক্তরাজ্য সহ বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত সিলেটের প্রবাসীরা সরকারের পাশাপাশি এলাকার উন্নয়ন, ব্যবসা বাণিজ্য ও শিাামূলক কার্য্যক্রমে বিশেষ অবদান রেখে আসছেন। প্রবাসীরা দেশের সম্পদ উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, কানাইঘাটের কৃতি সন্তান যুক্তরাজ্য প্রবাসী কমিউনিটি নেতা এম.এ. শাকুর সিদ্দিকী তার নিজ অর্থায়নে কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে এলাকায় ব্রীজ ও পাকা রাস্তা সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে যে অবদান রেখে চলছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এম.এ শাকুর সিদ্দিকীর সমাজসেবা মূলক যে কোন কর্মকান্ডে উপজেলা প্রশাসন তাকে সহযোগিতা করবে বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, শাকুর সিদ্দিকীর মতো সমাজ হৈতশী ব্যক্তিরা দেশের সম্পদ। তাদের সম্মানিত করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। তা না হলে সমাজসেবা মূলক কর্মকান্ডের কেউ এগিয়ে আসবে না। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন, উপজেলা আ’লীগের আহ্বায়ক পৌর মেয়র লুৎফুর রহমান,তিনি তার বক্তব্যে বলেন যারা সমাজের জন্য কাজ করেন,তারা কোন দলের সেটা বড় কথা নয়। সংবর্ধিত ব্যক্তিত্ব এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে এর চেয়ারম্যান এম.এ শাকুর সিদ্দিকী তার বক্তব্যে বলেন, তিনি তার নিজ জন্মভূমি কানাইঘাট সহ বৃহত্তর জৈন্তিয়ার মানুষের আর্তসামাজিক উন্নয়নে কাজ করতে চান। কোন রাজনৈতিক দলের সাথে তার সম্পৃক্ততা নেই উল্লেখ করে বলেন, তিনি দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চান। এজন্য তাঁকে সাংবাদিক সমাজসহ সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। প্রেসক্লাবের একটি নতুন মিলনায়তন ভবন নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন, কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শামসুল আলম মামুন, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন-আহ্বায়ক রফিক আহমদ, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, উপজেলা জাপার সভাপতি আলা উদ্দিন মামুন, মোহনা টিভির সিলেট ব্যুারো চিফ সাংবাদিক মুজিবুর রহমান ডালিম, বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কানাইঘাট উপজেলা শাখার সভাপতি মাস্টার জার উল্লাহ, সচিব ফজলুর রহমান, কানাইঘাট কমিউনিটি ক্লাবের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খোকন, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি কলামিষ্ট মাস্টার মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আহমদ হোসাইন, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এখলাছুর রহমান, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফয়েজ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক জামাল উদ্দিন, সিনিয়র সদস্য শাহজাহান সেলিম বুলবুল, কানাইঘাট নিউজ ডটকমের সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ, সাংবাদিক আব্দুন নুর, মিসবাহুল ইসলাম চৌধুরী, কলামিস্ট মিলন কান্তি দাস, আমিনুল ইসলাম, মাহফুজ সিদ্দিকী, শাহীন আহমদ, ফটোসাংবাদিক সুজন চন্দ অনুপ। উপস্থিত ছিলেন, কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজের ইসলামি স্টাডি বিভাগের প্রভাষক এবাদুর রহমান, শরীর চর্চা শিক্ষক ওলিউর রহমান, পৌর কাউন্সিলার তাজ উদ্দিন, পৌর কাউন্সিলার রহিম উদ্দিন ভরসা, উপজেলা যুবদলের সভাপতি নুরুল ইসলাম, কানাইঘাট উপজেলা সচিব সমিতির সভাপতি মোঃ নজমুল ইসলাম চৌধুরী, কানাইঘাট বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শিব্বির আহমদ, বাউল শিল্পী দেওয়ান কালা মিয়া, যুবনেতা আলতাফুর রহমান বেলাল, কানাইঘাট বাজার ইজারাদার হাজী করামত আলী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, ছাত্রনেতা আহমেদুল কবির মান্না, হাবিবুল্লাহ বাহার, তরুন উদীয়মান কবি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সহ কানাইঘাটের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। অনুষ্ঠান শেষে কানাইঘাট প্রেসকাবের পক্ষ থেকে প্রেসকাবের আজীবন সদস্য এম.এ শাকুর সিদ্দিকীকে সম্মাননা স্বরূপ ক্রেস্ট প্রদান করেন কাবের নেতৃবৃন্দ। সারাদেশের মধ্যে বৃক্ষরোপণে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর বৃক্ষরোপণ স্বর্ণপদক লাভ করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়ার হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী এম.এ শাকুর সিদ্দিকী। এছাড়া অতিথিবৃন্দ কানাইঘাট প্রেসকাব চত্ত্বরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীর শুভ উদ্বোধন করেন। এছাড়া তিনি কানাইঘাটের প্রাচীনতম কমিউনিটি কাবের পরিত্যক্ত ভবন পরিদর্শন এবং কানাইঘাট থানা জামে মসজিদের জন্য কারপেট প্রদান করেন।

Sunday, August 16

যুক্তরাজ্য প্রবাসী কমিউনিটি নেতা এমএ শাকুর সিদ্দিকীর সাথে কানাইঘাট নিউজ পরিবারের সৌজন্য সাক্ষাত

যুক্তরাজ্য প্রবাসী কমিউনিটি নেতা এমএ শাকুর সিদ্দিকীর সাথে কানাইঘাট নিউজ পরিবারের সৌজন্য সাক্ষাত


নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা দানশীল ব্যক্তিত্ব সমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগী এম.এ শাকুর সিদ্দিকীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন অনলাইন দৈনিক কানাইঘাট নিউজ ডটকমের কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ। গত শুক্রবার এম.এ শাকুর সিদ্দিকীর সিলেট শাহপরানস্থ বাসায় তাঁর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন, দেশের আঞ্চলিক সর্বাধিক পাঠকপ্রিয় অনলাইন দৈনিক কানাইঘাট নিউজ ডটকমের সম্পাদক মোঃ মাহবুবুর রশিদ, নির্বাহী সম্পাদক নিজাম উদ্দিন। সাক্ষাতকালে দানশীল ব্যক্তিত্ব বিশিষ্ট সমাজসেবী যুক্তরাজ্য প্রবাসী কমিউনিটি নেতা ও কানাইঘাটের কৃতি সন্তান এম.এ শাকুর সিদ্দিকী বলেন, তিনি কানাইঘাট নিউজ ডটকমের নিয়মিত একজন পাঠক। এ অনলাইন পত্রিকাটি যুক্তরাজ্যসহ বহিঃবিশ্বে কানাইঘাটের মুখপাত্র হিসাবে তাৎক্ষণিক সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে প্রবাসীদের মন জয় লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, অনলাইন গণমাধ্যম পাঠকদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি কানাইঘাট নিউজ ডটকমের সবসময় এলাকার সমস্যা, সম্ভাবনা তুলে ধরে বাস্তবধর্মী বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এ পত্রিকার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে তার পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ মাদ্রাসা সহ গ্রামীন রাস্তাঘাটের উন্নয়নের অসামান্য অবদান রাখায় কানাইঘাট নিউজ ডটকম পরিবারের পক্ষ থেকে দানশীল ব্যক্তিত্ব এম.এ শাকুর সিদ্দিকীর সমাজসেবা মূলক কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করে পত্রিকার সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ, নির্বাহী সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বলেন, প্রবাসীরা হচ্ছেন দেশের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। তাদের কষ্টার্জিত রেমিটেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিল্পায়ন সহ সব ধরনের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে থাকে। সরকারের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকার উন্নয়ন, শিক্ষার প্রচার প্রসারে প্রবাসীদের বিশেষ অবদান রয়েছে। সৌজন্যে সাক্ষাতকালে অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন, মোহনা টিভির সিলেটের ব্যুারো প্রধান সাংবাদিক মুজিবুর রহমান ডালিম, গাছবাড়ী বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, ছাত্রলীগ নেতা জসীম উদ্দিন, মেধাবী শিক্ষার্থী হোসেন আহমদ প্রমূখ।
 দিলদার হোসেন সেলিমের বাসায় তল্লাশীর প্রতিবাদ জানিয়েছে কানাইঘাট বিএনপি

দিলদার হোসেন সেলিমের বাসায় তল্লাশীর প্রতিবাদ জানিয়েছে কানাইঘাট বিএনপি


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: সিলেট জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য দিলদার হোসেন সেলিমের বাসায় পুলিশী তল্লাশী ও হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়েছেন কানাইঘাট উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ। রবিবার যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন- ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হয়রানির উদ্দেশ্যে জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক দিলদার হোসেন সেলিমের বাসায় গত শনিবার রাতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পুলিশ তল­াশীর নামে বাসার লোকজনকে হয়রানি করেছে। বিবৃতিদাতারা হলেন- উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন, পৌর বিএনপি’র সভাপতি হাজী শরিফুল হক, উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, পৌর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুল হোসেন বুলবুল, উপজেলা বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, কাওছার আহমদ বাঙালী, জাকারিয়া আহমদ, প্রচার সম্পাদক বখতিয়ার চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক সায়িক আহমদ প্রমুখ।
কানাইঘাটে বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদত বার্ষিকী পালিত

কানাইঘাটে বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদত বার্ষিকী পালিত


নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুবিজুর রহমানের ৪০তম শাহাদত বার্ষিকী ও ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস কানাইঘাটে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক শোক র‌্যালী উপজেলা সদরে বের হয়। শোক র‌্যালীতে সরকারী কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী শিক্ষক আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তী এক শোকসভা উপজেলা ইউটিডিসি হলে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়ার সভাপতিত্বে ও উপজেলা পরিষদের সিও অপু দাসের পরিচালনায় শোকসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র লুৎফুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার ও উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম রানা, আ’লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিক আহমদ, ফারুক আহমদ চেয়ারম্যান, এডভোকেট আব্দুস সাত্তার, আ’লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান মুবেশ্বির আলী, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইমরান আহমদ চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাব উদ্দিন, ছাত্রলীগ নেতা মামুন রশিদ রাজু, আজমল হোসেন প্রমুখ। শোক সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে বিশ্বের দরবারে স্বীকৃতি পেত না। স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনককে ১৫ই আগস্টের কালো রাত্রিতে স্বপরিবারে হত্যার মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর আদর্শকে ধ্বংস করতে পারেনি হত্যাকারী মির্জাফররা। বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে তাঁর আদর্শকে জীবনের সকল ক্ষেত্রে অনুস্মরণ করার জন্য আমাদের সবাইকে দলমতের উর্ধ্বে উঠে কাজ করতে হবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাদ যোহর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এছাড়া কানাইঘাট পৌর আ’লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে অনুরূপ কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
কানাইঘাটে স্বেচ্ছাসেবকলীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদত বার্ষিকী পালিত

কানাইঘাটে স্বেচ্ছাসেবকলীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদত বার্ষিকী পালিত


নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে কানাইঘাট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল গত শনিবার বিকেল ৫টায় সংগঠনের কানাইঘাট উত্তর বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায় মাসুক আহমদের সভাপতিত্বে ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের সিনিয়র সদস্য নজরুল ইসলামের পরিচালনায় শোক সভায় বঙ্গবন্ধুর খুনীদের অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, কানাইঘাট পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক মোঃ ইয়াহিয়া, জেলা আ’লীগ প্রজন্মলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন আহমদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সেলিম আহমদ, সেবুল আহমদ, শামীম আহমদ, মোক্তার হোসেন, যুবলীগ নেতা কয়সর আহমদ, নাজমুল, বুলবুল, ফজলু, শ্রমিকলীগ নেতা সেবুল আহমদ, ছাত্রলীগ নেতা হাসান রিজভী, রায়হান আহমদ, শাহীন আহমদ, আব্দুর রহমান, আরিফ, সফর, জুবের, রিয়াজ, ইমরান, মিজান, মনি প্রমুখ। শোক সভা শেষে ১৫ই আগষ্টের কালো রাত্রিতে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন মাওঃ শহর উল্লাহ।
কানাইঘাট বানীগ্রাম ও ঝিঙ্গাবাড়ী ইউপি আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদত বার্ষিকী পালিত

কানাইঘাট বানীগ্রাম ও ঝিঙ্গাবাড়ী ইউপি আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদত বার্ষিকী পালিত


নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে কানাইঘাট ৭নং দক্ষিণ বানীগ্রাম ও ৮নং ঝিঙ্গাবাড়ী ইউপি আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের যৌথ উদ্যোগে এক শোকসভা ও মিলাদ দোয়া মাহফিল গত শনিবার বিকেল ৩টায় গাছবাড়ী বন্ধন কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। বানীগ্রাম ইউপি আ’লীগের সভাপতি মাস্টার সিরাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ছাত্রলীগ নেতা আবু জহরের পরিচালনায় উক্ত শোক দিবসে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট আব্দুস সাত্তার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ঝিঙ্গাবাড়ী ইউপি আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, বানীগ্রাম ইউপি আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ। বক্তব্য রাখেন, আ’লীগ নেতা মাস্টার মরতুজ আলী, ফারুক আহমদ, ইজ্জত উল্লাহ, শাহাব উদ্দিন, ইসলাম উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান, সেলিম উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিন, ছাত্রলীগ নেতা ডালিম আজাদ, সাদেক, রাহিতুল, আশিক, সেলিম প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধু এবং ১৫ আগস্টের কালো রাত্রিতে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
কানাইঘাট বড়চতুল হাইস্কুলের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদত বার্ষিকী পালিত

কানাইঘাট বড়চতুল হাইস্কুলের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদত বার্ষিকী পালিত


নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে কানাইঘাট বড়চতুল হাই স্কুলের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল গত শনিবার বিকেল ২টায় স্কুল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক এম.বি আহমদের সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক মোঃ রশিদ আহমদের পরিচালনায় উক্ত শোক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম রানা। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাবেক ছাত্রনেতা ও পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তা মোঃ জাকারিয়া, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কানাইঘাট উপজেলা শাখার সচিব স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ফজলুর রহমান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল লতিফ চৌধুরী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক আজমল হোসেন। বক্তব্য রাখেন, ছাত্রলীগ নেতা মামুন রশিদ রাজু। সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবনের উপর আলোকপাত করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জিবীত হয়ে দেশ গঠনের জন্য শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন। সবার শেষে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন কবিতা আবৃতি ও বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন বিষয়ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।

Thursday, August 13

রবিবার খুলছে কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজ

রবিবার খুলছে কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজ


নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ৪ আগস্ট উপজেলা ছাত্রলীগের বিবধমান দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ২৫ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আহতের ঘটনায় ৫আগস্ট থেকে কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজ অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কলেজ বন্ধ থাকায় সার্বিক শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ চরমভাবে ব্যাহত হওয়ায় এবং কলেজের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে কলেজ মিলনায়তনে কলেজ গভর্ণিং বডি, অভিভাবকবৃন্দ ও সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। কলেজ গভর্ণিং বডির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সাবেক সাংসদ আব্দুল কাহির চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও কলেজ গভর্ণিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি প্রভাষক ফরিদ আহমদের পরিচালনায় উক্ত সভায় কলেজের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে এবং কলেজ ক্যাম্পাসে সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং গত ৪ আগস্টের ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে কলেজ থেকে সাময়িক বহিস্কার, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, বহিরাগতদের বিরুদ্ধে যথাযথভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ সহ একাধিক সিন্ধান্ত গৃহীত হওয়ার পাশাপাশি আগামী রবিবার থেকে কলেজ খোলার সিন্ধান্ত নেওয়া হয় সভায়। সভায় উপস্থিত শিক্ষক নেতৃবৃন্দ, অভিভাবক, গভর্ণিং বডির সদস্য ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, ঐতিহ্যবাহী কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যাহত হবে এমন ঘটনার সাথে যেকোন ছাত্র সংগঠনের সদস্য ও কোন ব্যক্তিগোষ্ঠীকে জড়িত থাকতে দেওয়া হবে না। এ কলেজের সুনাম এ অঞ্চলের মানুষকে ধরে রাখতে হবে। সন্ত্রাসীরা কোন দল বা ছাত্র সংগঠনের কর্মী হতে পারে না। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সবাইকে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে প্রতিহত করতে হবে। সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক অধ্যক্ষ উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির সভাপতি আলা উদ্দিন মামুন, আ’লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কলেজ গভর্ণিং বডির সদস্য রফিক আহমদ, কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধিদের মধ্যে ভাইস প্রিন্সিপাল সহ অধ্যাপক লোকমান হোসেইন, সহ অধ্যাপক হাবিব আহমদ, প্রভাষক এবাদুর রহমান, প্রভাষক নুর জাহান বেগম, কলেজ গভর্ণিং বডির অভিভাবক সদস্য সাংবাদিক এম.এ. হান্নান, আব্দুন নুর, ডাঃ নাজমুল হক, অভিভাবকদের মধ্যে সিরাজুল ইসলাম খোকন, আ’লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
শৈশবের মহানায়ক:বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

শৈশবের মহানায়ক:বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান


মিলন কান্তি দাস : এটা আমার শৈশবের কথা বলছি। একজন মানুষের শৈশব জীবন মানে একটি সম্পূর্ণ আলাদা কিছু। শৈশব মানেই একটি সম্পূর্ণ ব্যাতিক্রমধর্মী অনুভূতি। তাইতো প্রতিটি স্বপ্নময় মানুষ তার শৈশবের স্মৃতিচারণ করে। শৈশবের স্মৃতিচারণ করে একজন মানুষ তার হৃদয়ের আত্মতৃপ্তি খুজে পায়। আমার কাছেও আমার শৈশব মানে আলাদা একটি কিছু। তাইতো বারংবার শৈশবের স্মৃতিচারন করি। নানা রঙের সেই দিনগুলির স্মৃতি চারন করে খুজে পাই এক ধরনের স্বর্গীয় আত্মতৃপ্তি। খুব ছোটবেলায় আমার নিয়মিত অভ্যাসগুলির অন্যতম একটি অভ্যাস ছিল কোন ভালো বক্তার বক্তব্য শোনা। বিশেষ করে রাজনৈতিক নেতাদের হাতের তর্জনী উচিয়ে মায়াকান্না ঝরানো বক্তব্য আমাকে বিমুগ্ধ করতো। অপলক দৃষ্টিতে হা করে চেয়ে চেয়ে নেতাদের বক্তব্য শোনতাম। সেই থেকে বক্তব্য শোনার সূচনা, যা অদ্যবধি চলছে। তবে আগেকার দিনে নেতারা তাদের মায়াকান্না ঝরানো বক্তব্যে যা বলতো, তার সবটুকুই বিশ্বাস করে ফেলতাম। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে বক্তব্য শোনার অভ্যাসে তেমন একটা পরিবর্তন না এলেও, বক্তব্য থেকে প্রাপ্ত বিশ্বাসে আমুল পরিবর্তন এসেছে। এখনকার বক্তব্যকে বক্তব্য মনে হয় না। এক ধরনের ডিগবাজি মনে হয়। মানুষের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে মনে হয়। আগে সাধারণ মানুষও সবকথা বিশ্বাস করে নিতো। এখন সাধারনদের বিশ্বাসেও অসাধারণ পরিবর্তন চলে এসেছে। এখন সাধারন মানুষও আর আগের মতো বক্তব্যের কথাগুলো বিশ্বাস করে না। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, একজন ভালো বক্তার বক্তব্য থেকে শিক্ষনীয় অনেক কিছু আছে। একজন ভালো বক্তা একটি সমাজের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর চিন্তাধারার ব্যাপক পরিবর্তন আনার ক্ষমতা রাখে। তাছাড়া বক্তব্য শোনাটাও একজন মানুষের মৌলিক গুণের অন্যতম একটি গুণ বলে আমি চিন্তা করি। সেই শৈশবকালে যখন প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী ছিলাম, তখন থেকেই স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস (বর্তমান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস), পালনের স্বতস্ফুর্ত চর্চা বাঙালী জাতির মধ্যে লক্ষ্য করে আসছি। অনেকটা না বুঝেই তখন বড়দের সাথে মিছিল সহকারে শহীদ মিনারে যেতাম। একুশের প্রভাত ফেরীতে প্রচন্ড শীতের সময়ও খালি পায়ে শহীদ মিনারে যেতাম। সেই যাওয়ার মধ্যে কি যেন একটা আত্মতৃপ্তি পেতাম। সাথে বড়দের কন্ঠে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ধ্বনিটি শোনার পর আমার সেই সময়ের কোমলমতি শিশু হৃদয়ের প্রতিটি ধমনী, প্রতিটি শিরা শিহরিত হতো। কেন জানি মনে হতো এই সবের মাঝেই আমার আনন্দ লুকিয়ে আছে, লুকিয়ে আছে আমার ভবিষ্যৎ পৃথিবীতে বেঁচে থাকার চেতনা। তার চেয়ে বেশি ভালো লাগতো সে সময়ের এই জাতীয় দিবসগুলিতে রাস্তায় রাস্তায় দিনব্যাপী পাতানো ৭ই মার্চ ১৯৭১ সালে ঢাকার ঐতিহাসিক ভাষন। রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় প্রথম যেদিন শুনেছিলাম সেই বজ্রকন্ঠে “ভাইয়েরা আমার, আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি”। কন্ঠটি শোনার সাথে সাথেই মনে হয়েছে যে আসলে যিনি বক্তব্য দিচ্ছেন তিনি সীমাহীন দুঃখ বেদনা নিয়ে আজ কোথায় জানি এই বক্তব্যটি দিচ্ছেন। যে দুঃখের এপার আছে কিন্তু ওপার নেই। এ ধরনের কোন দুঃখ নিয়ে এই নেতা বক্তব্য দিচ্ছেন। সাথে সাথেই নেতার দুঃখের কথাগুলো বুঝে না বুঝে শোনার জন্য আগ্রহী হয়ে যেতাম।
দিবসগুলোতে দিন ব্যাপী শোনতাম নেতার বজ্রকন্ঠে তার দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ের সব কথা, সব বাক্য। সবগুলি কথার মধ্যেই কি যেন এক অলৌকিক শিক্ষা লুকায়িত। বয়স বাড়ার সাথে সাথে খুজতে লাগলাম সেই ঐতিহাসিক বক্তব্যের প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি লাইনের যথাযথ অর্থ। ধীরে ধীরে বুঝতে পারলাম যে এই মহান নেতার দুঃখটা তার ব্যাক্তিগত কোন দুঃখ নয়, নয় তার পারিবারিক দুঃখ। সে দিনের সেই ঐতিহাসিক বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু যে তার দুঃখের কথাগুলো বজ্রকন্ঠে উচ্চারন করেছিলেন সেই দুঃখটি ছিল একটি জাতীর দীর্ঘ পনে দুই শত বছরের ব্রিটিশ শাসন নির্যাতন এবং ২৪ বছরের পাকিস্থানী শাসন শোষন নির্যাতন থেকে প্রাপ্ত সীমাহীন দুঃখ ও পুঞ্জিভূত দুঃখের ইতিহাস। একটি জাতীয় পুঞ্জিভুত দুঃখকে সেদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু থেকে মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের তার ঐতিহাসিক বক্তব্যের মাধ্যমে উপস্থাপন করেছিলেন। সেই বক্তব্যের প্রতিটি অক্ষর, প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি বাক্য, প্রতিটি আইন একের পর এক অবিসংবাদিত এই নেতার কন্ঠে সুনিপণ ভাবে এবং ধারাবাহিক ভাবে সাজানো। এই বক্তব্যের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু একটি জাতীর দুঃখের কথাকে যেমন উপস্থাপন করেছিলেন, তেমনি সেই দুঃখ থেকে মুক্তি লাভের ক্ষেত্রে সেই সময়ের দুর্দশাগ্রস্ত বাঙ্গালী জাতীকে দেখিয়ে দিয়েছিলেন। বাঙ্গালী মনোবল দৃঢ় ও চাঙ্গা করার নির্দেশনাও ছিল এই বক্তব্যের প্রতিটি লাইনে। ছিল আকারে ও ইঙ্গিতে স্বাধীনতার ঘোষনাও। বক্তব্যের একটি লাইনে ছিল, “আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাইনা, আমি এই বাংলার মানুষের অধিকার চাই।” এই উক্তিটি সেই থেকে আমার হৃদয়ে নাড়া দিতো। সেই সময়ই আমার মনে বিশ্বাস জন্মেছিল যে, এই মানুষটি সত্যিকারের একজন নিলোর্ভ রাজনীতিবিদ। পরবর্তীতে বই পুস্তক পড়ে, বয়োজৈষ্ট্যদের কাছ থেকে সহ নানা ভাবে জানা হয়ে গেলো আমার শৈশব জীবনের সেই মহানায়কের কথা। আমার শৈশবের সেই মহানায়ক জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সবাই শৈশবে ইঞ্জিনিয়ার ও ডাক্তার হবার স্বপ্ন দেখতো, আর আমি এই মহান ব্যক্তির মতো রাজনীতিবিদ হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। মূলত এই মহান নেতার ৭ই মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষন আমার জীবন দর্শনকে প্রভাবিত করে ফেলে। আমার কেন জানি সেই সময় থেকেই মনে হতো এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে এই মহান নেতার মতো বেঁচে থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুর মতো পৃথিবীতে একদিনও বেঁচে থাকাও স্বার্থক বলে আমি মনে করি। বঙ্গবন্ধুর তুলনা বঙ্গবন্ধুই। অনেকেই এই অবিসংবাদিত বিশ্বনেতার সাথে অমুক আর তমুকের তুলনা করার দৃষ্টতা দেখায়। অনেকে এই মহান নেতাকে নিয়ে কটুক্তিও করেন, কিন্তু যে যাই করুক না কেন, বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধুই এটই ধ্রুব সত্য। বঙ্গবন্ধু একটি অমর মৃত্যুঞ্জয়ী চেতনার নাম। বঙ্গবন্ধু একটি শোষিত বঞ্চিত জাতির লাঞ্চনা বঞ্চনা থেকে মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টার নাম। সুতরাং এই মহান নেতাকে নিয়ে কটুক্তিকারীরা কে, কি বা কোথা থেকে এসেছে তা নতুন করে কিছু বলার অবকাশ আছে বলে আমি মনে করিনা। আমরা এটা বিশ্বাস করি যে, যারা মৃত্যুঞ্জয়ী মহানায়ক তাদেরকে নিয়ে কুৎসা রটনা করে কোন লাভ হবেনা। বরং ঐ অথর্বরাই ইতিহাসের আস্থাকুড়ে নিক্ষেপিত হবে। পরিশেষে শুধু একটি কথাই বলবো যে, বঙ্গবন্ধুকে কাউকে চেনাতে হয় না। একজন বাঙ্গালীর স্বীয় বিবেক এবং চেতনাই আপনা আপনি ভাবে বঙ্গবন্ধুকে চিনে ফেলে। আমাকেও যেমন কেউ বঙ্গবন্ধু চিনিয়ে দেয়নি, তেমনি এদেশের নতুন প্রজন্মের বাচ্চাদেরও বঙ্গবন্ধুকে কেউ চিনিয়ে না দিলেও তারা চিনে ফেলে। কারন বঙ্গবন্ধুর মতো রাজনীতিবিদদের কাউকে চিনিয়ে দেওয়া লাগেনা। ইতিহাসই এই মহানায়কদের চিনিয়ে দেয়। আর ইতিহাসের পাতাকে মিথ্যা দিয়ে সাজিয়ে যদি কেউ মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, সেই বরং ইতিহাসের আস্থাকুড়ে নিক্ষেপিত হয়। ইতিহাত জাতীর এই খলনায়কদের ক্ষমা করে না। আর বঙ্গবন্ধুর মতো মহানায়করা বেঁচে আছেন মানুষের অন্তরে, প্রতিটি ঘরে ঘরে এবং শ্রদ্ধার পরশে। শৈশবে বঙ্গবন্ধুর মতো একজন ত্যাগী নেতা হওয়ার স্বপ্ন এই বাংলার অসংখ্য অগণিত শিশু দেখে। বাংলার এই ক্ষুদে শিশুগুলো এই বয়সে বুঝে না বুঝে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানটি শিখে ফেলে। সুতরাং এটাই বলা যায় জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু একজন অনন্য ও অতুলনীয় রাজনীতিবিদ। তাইতো আগস্টের এই শোকাবহ মাসে বিন¤্র চিত্তে স্মরণ করি- হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধুকে। হয়তো তাতে মিলে আত্মতৃপ্তি, বা একটু স্বান্তনা।

মিলন কান্তি দাস
বি.কম (অনার্স), এম.কম (হিসাব বিজ্ঞান)
কানাইঘাট সীমান্তে ৮৪ হাজার পিস নাসির বিড়ি জব্দ

কানাইঘাট সীমান্তে ৮৪ হাজার পিস নাসির বিড়ি জব্দ


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: কানাইঘাট সীমান্ত থেকে ৮৪ হাজার পিস ভারতীয় নাসির বিড়ি জব্দ করেছে বিজিবি। ৪১ বর্ডার গার্ড ব্যাটলিয়নের সুরাইঘাট বিওপির বিড়িগুলো জব্দ করে। বৃহস্পতিবার বিজিবির সহকারী পরিচালক মো. ছাইফুল ইসলাম জানান, বুধবার সুরাইঘাট বিওপি এলাকার কুমারপাড়া গ্রামের টিলার উপর থেকে বিড়িগুলো জব্দ করা হয়। বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা পালিয়ে যায়। জব্দকৃত ভারতীয় নাসির বিড়ির সিজার মূল্য ৮৪ হাজার টাকা। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সুরাইঘাট বিওপির হাবিলদার মো. মন্টু মিয়া।
কানাইঘাটে এসিডি চেয়ারম্যান সংবর্ধিত

কানাইঘাটে এসিডি চেয়ারম্যান সংবর্ধিত


নিজস্ব প্রতিবেদক: এ্যাসোসিয়েশন ফর ক্রিয়েটিভ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এসিডি)’র চেয়ারম্যান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার বদর উদ্দিন আহমদকে কানাইঘাট পাবলিক স্কুলের উদ্যোগে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় স্কুল মিলনায়তনে এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলার রহিম উদ্দিন ভরসার সভাপতিত্বে উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী সমাজসেবী ডাঃ মুফাজ্জিল হোসাইন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংবর্ধিত অতিথি এসিডি’র চেয়ারম্যান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কমিউনিটি নেতা বদর উদ্দিন আহমেদ বলেন, সুদুর প্রবাসে স্বপরিবার নিয়ে বসবাস করলেও জন্মভূমি কানাইঘাটের মানুষের জীবন মানের পরিবর্তন ও শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নে তার মন সব সময় কাঁদে। দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নে এসিডি সব সময় কাজ করে যাবে বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বদর উদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, এজন্য শিক্ষার্থীদের গুরু জনদের সম্মান এবং পারিবারিক শাসনের মাধ্যমে সুশিক্ষায় বড় হয়ে সমাজকে আলোকিত করতে হবে। পাবলিক হাই স্কুলের ভবন নির্মাণ সহ আনুসাঙ্গিক উন্নয়নে এসিডির সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান। স্কুলের সহকারী শিক্ষক সুকান্ত দাস সুমনের পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্বনাথ কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ শিক্ষাবিদ এস.এম মঞ্জুর রহমান, কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল সহ অধ্যাপক লোকমান হোসেইন, যুক্তরাজ্য প্রবাসী কমিউনিটি নেতা মনোয়ার হোসেন বদরুদ্দুজা, এসিডি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরিফ উদ্দিন আহমেদ। বক্তব্য রাখেন, এসিডির সদস্য চিত্রশিল্পী ভানু লাল দাস, কানাইঘাট পাবলিক হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইয়াহিয়া, ছাত্রনেতা মোঃ শাহাব উদ্দিন, স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মনির আহমদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে স্কুলের ভবন নির্মাণ সহ শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রাখায় পাবলিক হাই স্কুল ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে ইঞ্জিনিয়ার বদর উদ্দিন আহমদকে সম্মাননা স্বরূপ ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এছাড়া এসিডির উদ্যোগে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠ্যবই বিতরণ করা হয়।
 কানাইঘাট ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা বিতরণ

কানাইঘাট ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা বিতরণ


নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট ইসলামী ব্যাংক লিঃ এর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় স্থানীয় খেয়াঘাট বাস স্ট্যান্ডে বৃক্ষ রূপন কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়। শাখা ব্যবস্থাপক আইয়ুব আলীর সভাপতিত্বে ও আরডিএসের প্রজেক্ট অফিসার সাইফুল আলমের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বৃক্ষরোপণ কার্য্যক্রমে উদ্বোধন করেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম রানা। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কাউন্সিলার শরিফুল হক, সাবেক কাউন্সিলার হাজী সফর আলী, কানাইঘাট উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষক মোহাম্মদ আলী প্রমুখ। ১৫০ পরিবারকে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ, বণজ ও ঔষধী গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

Wednesday, August 12

কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজ জাতীয় করণের দাবীতে মানববন্ধন

কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজ জাতীয় করণের দাবীতে মানববন্ধন


নিজস্ব প্রতিবেদক: ঐতিহ্যবাহী কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজকে জাতীয়করনের দাবীতে প্রাচীনতম কানাইঘাট কমিউনিটি ক্লাবের উদ্যোগে বুধবার বিকেল ৫টায় কানাইঘাট দক্ষিণ বাজারে এক বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বৃহত্তর সিলেটের অন্যতম উচ্চ শিক্ষার বিদ্যাপীট কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজকে অবিলম্বে জাতীয়করনের জন্য মাননীয় প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের আশু সুদৃষ্টি কামনা করে দুই ঘন্টা ব্যাপী উক্ত মানববন্ধনে নানা শ্রেণি পেশার মানুষ স্বতস্ফুর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেন। কানাইঘাট কমিউনিটি ক্লাবের সভাপতি সমাজসেবী সিরাজুল ইসলাম খোকনের সভাপতিত্বে ও ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক নিজাম উদ্দিনের পরিচালনায় মানববন্ধন কর্মসূচীতে কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজকে জাতীয় করণের দাবীতে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, কাবের সাধারণ সম্পাদক ও কলেজ গভর্ণিং বডির সদস্য সাংবাদিক আব্দুন নুর, কলেজের প্রভাষক ও কমিউনিটি ক্লাবের লাইব্রেরীয়ান সম্পাদক ফরিদ আহমদ, প্রভাষক মোঃ তাজ উদ্দিন, কানাইঘাট বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শিব্বির আহমদ, কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজের প্রাক্তণ ছাত্র উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনসুর আলম, কলামিস্ট মাস্টার মিলন কান্তি দাস, প্রাক্তন ছাত্র সেলিম উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন, কমিউনিটি ক্লাবের সহ সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পদাক সেলিম উদ্দিন, ক্রীড়া সম্পাদক রাশিদুল হাসান টিটু, কানাইঘাট নিউজ ডট কমের সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ, সাংবাদিক জামাল উদ্দিন, হারিছ চৌধুরী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক মোঃ আব্দুল্লাহ, বাউল শিল্পি দেওয়ান কালা মিয়া, যুবনেতা শামীম আহমদ, সংবাদকর্মী মাহফুজ সিদ্দিকী, কলেজ শিক্ষার্থী ও ফটো সাংবাদিক সুজন চন্দ অনুপ সহ ব্যবসায়ী, ছাত্র, শিক্ষক সহ সর্বস্তরের জনসাধারণ অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৯৯০ইং সনে কানাইঘাট কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। হাটি হাটি পা পা করে কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজ বর্তমানে বৃহত্তর সিলেটের উচ্চ শিক্ষার শ্রেষ্ট বিদ্যাপীটের স্বীকৃতি লাভ করতে সক্ষম হলেও এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী এ কলেজকে সরকারী করন করা হয়নি। বর্তমান শিক্ষা বান্ধব সরকার সম্প্রতি দেশের একাধিক কলেজকে জাতীয় করণ করলেও কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজকে অদ্যবধি পর্যন্ত জাতীয় করন করা হয়নি। বর্তমানে কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজে বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য এবং অনার্স কোর্সে বাংলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিষয় নিয়ে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী কলেজে শিক্ষা গ্রহণ করছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ একাডেমিক ভবন ও সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকার পরও কলেজকে জাতীয় করণ না করায় এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মানববন্ধনে বক্তারা সিলেটের উচ্চ শিক্ষার প্রচার প্রসারে গ্রামীণ জনপদে অবস্থিত কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজকে জাতীয় করনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন।