Tuesday, June 30

কানাইঘাটে বিভিন্ন সংগঠনের ইফতার মাহফিল

কানাইঘাটে বিভিন্ন সংগঠনের ইফতার মাহফিল


নিজস্ব প্রতিবেদক: 
কানাইঘাট দিঘীরপার ইউপি স্বেচ্ছাসেবকলীগ: কানাইঘাট দিঘীরপার পূর্ব ইউপি শাখা স্বেচ্ছাসেবকলীগের উদ্যোগে এক ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা গত সোমবার বিকেল ৫টায় স্থানীয় সড়কের বাজার উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল ওদুদ দুদুর সভাপতিত্বে ও ইউপি স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মাছুম আহমদের পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক আজমল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ইউপি স্বেচ্ছাসেবকলীগের উপদেষ্টা আব্দুল লতিফ লতাই, উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সদস্য আসাদ উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আম্বিয়া, জহির আহমদ। বক্তব্য রাখেন, যুবলীগ নেতা আমিন, সেবুল, জামাল উদ্দিন, দিঘীরপার ইউপি স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক সুহেল আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান লিটন, ছাত্রলীগ নেতা তালুকদার, তুহিন, রোমান আহমদ, হিমেল, আফতাব উদ্দিন, মনির আহমদ, রহমত আলী, আরিফ, সুমন, সাদিকুর রহমান, দেলোয়ার, রাজীব, অনুপ, মামুন, রুকন, অপন কুমার, ফয়সল, জুবায়ের, সাইদুল, আনোয়ার, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা গিয়াস, সেবুল, মামুন, হান্নান, কামরুল প্রমুখ। 
 গ্রীণ বাংলা সোসাইটি কানাইঘাট: গ্রীণ বাংলা সোসাইটি কানাইঘাটের উদ্যোগে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল গত সোমবার বিকেল ৪টায় স্থানীয় আল-রিয়াদ কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি শহিদুল্লাহ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও সদস্য হুমায়ুন রশিদ অপির পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর সিলেট বিভাগীয় প্রধান মোঃ রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সমাজসেবী এডভোকেট এ.কে.এম ওলিউল্লাহ, যুবনেতা নুরুল ইসলাম, সিলেট ওয়েলফোর এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরু, কানাইঘাট প্রেসকাবের দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল পাঞ্চায়িত, ছাত্রনেতা হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী রাসেল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান। বক্তব্য রাখেন, গ্রীণ বাংলা সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদ, আব্দুর রহমান, শাহীন আহমদ, রাসেল আহমদ, রহমত উল্লাহ, আবুল হাসনাত প্রমুখ। ইফতার পূর্ব রমজানের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, কানাইঘাট উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওঃ নজির আহমদ, পবিত্র কোরআনে পাক থেকে তেলোয়াত করেন ইফতেখার মালিক তামিম।
যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবি শিক্ষক চাকরিচ্যুত

যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবি শিক্ষক চাকরিচ্যুত


ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাইফুল ইসলামকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। মঙ্গলবার রাতে সিন্ডিকেটের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Monday, June 29

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি করায় কানাইঘাটে মসজিদের ইমাম গ্রেফতার

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি করায় কানাইঘাটে মসজিদের ইমাম গ্রেফতার


নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটুক্তি করে মসজিদে কথা বলার অভিযোগে কানাইঘাট থানা পুলিশ এক ইমামকে গ্রেফতার করেছে। স্থানীয় আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানান, উপজেলার সাতবাঁক ইউপির চরিপাড়া করডি জামে মসজিদের ইমাম মাওঃ ছিদ্দিকুর রহমান (৩৪) গত শুক্রবার মসজিদে জুম্মার নামাযের কুৎবার পূর্বে ধর্মীয় বয়ানের সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটাক্ক করে অযাচিত কথা বলেন। এ সময় মসজিদে অবস্থানরত আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা ইমাম ছিদ্দিকুর রহমান কর্তৃক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদ করেন। পরে বিষয়টি স্থানীয় আ’লীগের নেতাকর্মীরা কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল চৌধুরীকে অবহিত করলে থানার এস.আই তাপস চন্দ্র রায় শুক্রবার গভীর রাতে চরিপাড়া করডি জামে মসজিদ থেকে ইমাম মাওঃ ছিদ্দিকুর রহমানকে গ্রেফতার করেন। সোমবার ৫৪ ধারায় বিভিন্ন অভিযোগ এনে কানাইঘাট থানা পুলিশ ইমাম মাওঃ ছিদ্দিকুর রহমানকে আদালতে সোপর্দ করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে এই ইমামকে জেল হাযতে প্রেরন করেন। বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে থানার এস.আই তাপস চন্দ্র রায় বলেছেন, গ্রেফতার পূর্বক ,মসিজিদের ইমামকে ৫৪ ধারায় আদালতে সোপদৃ করা হয়েছে। অভিযুক্ত ইমাম ছিদ্দিকুর রহমান জানিয়েছেন, তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কোন ধরনের কটুক্তি করেন নি। গত শুক্রবার জুম্মার নামাযের পূর্বে ধর্মীয় বয়ানে সহি ও শুদ্ধ ভাবে নামায আদায় করার জন্য মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে কথা বলার সময় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আমি কটুক্তি করেছি এমন অভিযোগ এনে কতিপয় লোকজন আমাকে হয়রানী করার জন্য এমন মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।
কানাইঘাটে সুপারি বাগান থেকে রিভলবার উদ্ধার

কানাইঘাটে সুপারি বাগান থেকে রিভলবার উদ্ধার


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: কানাইঘাট উপজেলার সুপারি বাগান থেকে একটি বিদেশি রিভলবার উদ্ধার করা হয়েছে র‌্যাব-৯। সোমবার সকালে কানাইঘাটের উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের শামসুল হকের ছেলে আলী আহমদে বাড়ির পূর্ব পাশের সুপারি বাগান থেকে অবস্থায় এ রিভলবারটি উদ্ধার করা হয়। সোমবার বিকেলে র‌্যাব-৯ সূত্র এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানায়, র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল সোমবার সকাল সাড়ে ৬ টায় কানাইঘাট এলাকায় অভিযান চালায় । অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে অস্ত্রধারীরা রিভলবারটি ফেলে চলে যায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র‌্যাব-৯ সিলেট ক্যাম্পের মেজর হুমায়ুন কবির ও এএসপি মাইনুদ্দিন চৌধুরী।
 আলমাছ চৌধুরী বড়চতুল হাই স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত

আলমাছ চৌধুরী বড়চতুল হাই স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত


নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট বড়চতুল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মতো সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ৫নং বড়চতুল ইউপির ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও দাতা সদস্য সমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব আলমাছ উদ্দিন চৌধুরী। গত রবিবার স্কুল মিলনায়তনে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে আলমাছ উদ্দিন চৌধুরী সভাপতি পদে ৫ ভোট পেয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। সভাপতি পদে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ৫নং বড়চতুল ইউপির চেয়ারম্যান মুবেশ্বির আলী চাচাই পেয়েছেন ৪ ভোট। অভিভাবক ও শিক্ষক প্রতিনিধি সহ মোট ১০জন ভোটারের মধ্যে ৯ জন প্রতিনিধি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন কালে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইমরান হোসেন চৌধুরী, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী হাবিবুর রহমান।
‘মুস্তাফিজকে’ বিয়ের প্রস্তাব দিল সিলেটি কন্যা !!

‘মুস্তাফিজকে’ বিয়ের প্রস্তাব দিল সিলেটি কন্যা !!


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: মুস্তাফিজুর রহমানকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কোন মানে হয় না। মাত্র ৩টি ওয়ানডে আর একটি মাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেই গড়েছেন বিশ্বরেকর্ড। ৩ ম্যাচের সিরিজে ১৩ টি উইকেট শিকার করে বিশ্ব ক্রিকেটে তরুণ টাইগারকে নিয়ে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই। ভারতের বিপক্ষের সিরিজ সেরা এ নায়ককে ঘিরে মাতামাতি চরম পর্যায়ে তখনই বোমা ফাঁটালেন উম্মে কুলসুম নামের ১৮ বছরের এক তরুণী। ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে মহানায়ক বনে যাওয়া ১৯ বছরের এ তরুণের প্রেমে পড়েছেন সিলেটের এই তরুণী। উম্মে কুলসুম ফেসবুকে মোস্তাফিজের সঙ্গে ছবি এডিট করে ঘোষণা দিয়েই বলেছেন, ‘ মুস্তাফিজ আমার পরানে গেথে গেছে।’ আর মাত্র ২ বছর পর মোস্তাফিজের বয়স ২১ হলেই তাকে বিয়ের প্রস্তাবও দিতে চান। উল্লেখ্য, উম্মে কুলসুম সিলেটে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

Sunday, June 28

রাজধানীতে অস্ত্রসহ দুই ডাকাত আটক

রাজধানীতে অস্ত্রসহ দুই ডাকাত আটক


ঢাকা: রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ দুই ডাকাত সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে অস্ত্রসহ তাদের আটক করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া শাখার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাতে ওই এলাকার বায়তুল আজমত জামে মসজিদ সংলগ্ন ১২/ই বাসায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল ডাকাত দলের সদস্যরা। এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে দুইজনকে আটক করা হয়। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন এবং দেশিয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।
ডিএনডিতে জলাবদ্ধতা, পানিবন্দী লাখো মানুষ

ডিএনডিতে জলাবদ্ধতা, পানিবন্দী লাখো মানুষ


নারায়ণগঞ্জ: অব্যাহত প্রবল বর্ষণে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) প্রকল্পের অভ্যন্তরে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। মধ্য ডিএনডিসহ বিভিন্ন স্থানে এক থেকে চার ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে কয়েক লাখ লোক পানিবন্দী হয়ে দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছে। ডিএনডির বহু বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, শিল্প-কারখানা, মসজিদ, মাদ্রাসা ও স্কুল-কলেজ, সবজি ক্ষেত ও নার্সারিসহ বিভিন্ন স্থাপনা পানিতে তলিয়ে আছে। ডিএনডি থেকে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের অভাবে ডিএনডিতে এ ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জলাবদ্ধতার শিকার লোকজন অভিযোগ করেন। শিমরাইলস্থ পাম্প হাউজের ১২৮ কিউসেক ক্ষমতাসম্পন্ন চারটি পাম্প ছাড়াও অতিরিক্ত আরও ৫ কিউসেক ক্ষমতা সম্পন্ন ২৬টি পাম্প চালু রয়েছে বলে পাম্প হাউজ সূত্র জানায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ডিএনডি প্রজেক্টটি ১৯৬২-১৯৬৮ সালে রাজধানী ঢাকার ডেমরা, কদমতলী, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর, কদমতলী ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আট হাজার ৩৪০ হেক্টর এলাকাজুড়ে নির্মিত হয়েছে। ডিএনডি প্রতিষ্ঠার পর এর অভ্যন্তরে শুধু ইরিগ্রেশন প্রজেক্ট ছিল। কিন্তু ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় ডিএনডি ছিল বন্যামুক্ত। ফরে এর চাহিদা দিন দিন বাড়তে থাকে। শুরু হয় ডিএনডিতে বসবাসের প্রতিযোগিতা। বর্তমানে প্রজেক্টি ইরিগ্রেশন হিসেবে ধরা হচ্ছে না। এটি একটি আবাসিক এলাকায় পরিণত হয়েছে। বর্তমানে ডিএনডিতে আনুমানিক ২০ লাখ লোক বসবাস করছে। প্রতিষ্ঠার পরডিএনডিতে সেচ খাল তৈরি করা হয় ৫৫ দশমিক ২০ কিলোমিটার, নিষ্কাশন খাল ৪৫ দশমিক ৪০ কিলোমিটার। বর্তমানে এই সেচ খাল ও নিষ্কাশন খালগুলো ভরাট হয়ে গেছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। ফলে দ্রুত পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। সূত্র আরো জানায়, পাম্প হাউজ নির্মাণের সময় ১৪ দশমিক ৫২ কিউমেক (৫১২ কিউসেক) ক্ষমতাসম্পন্ন চারটি পাম্প সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় বসানো হয়েছে। অথচ এ পাম্পগুলো ৫০ বছরের পুরোনে। তাই পানি নিষ্কাশনের ক্ষমতা আগের মতো নেই বলেও খোদ কর্মকতাই অকপটে স্বীকার করেন। এদিকে কয়েক দিনের অব্যাহত প্রবল বর্ষণের পানিতে ডিএনডির প্রজেক্ট অভ্যন্তরে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সাধারণত নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, স্কুল-কলেজ, মসজিদ- মাদ্রাসা পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে শিশু, মহিলা, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাসহ রোজাদারা চরম দুর্ভোগ পোহাতে বাধ্য হচ্ছে। অব্যাহত প্রবল বর্ষণে মিজমিজির পাইনাদী, সিআইখোলা, কালাহাতিয়ার পাড়, নতুন মহল্লা, মজিববাগ, রসুলবাগ, নয়াআটি, নিমাইকাশারী, সানারপাড়, টেংরা, কোদাল দোয়া, তুষার ধারা, বক্সনগর, হাজীগঞ্জ, গিরিধারা, সাহেবপাড়া, বাঘমারা, সাদ্দাম মার্কেট, জালকুড়ি, হাজীনগর, মাতুইয়াল, শহীদ নগর, সবুজবাগ, ভূইঘর, দেলপাড়া, পূর্ব ইজদাইর, ডগাইর, মাতুয়াইল, নয়াপাড়া ও ধনকুন্ডাসহ বিভিন্ন এলাকার অনেক বাড়িরঘর ও রাস্তাঘাট, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ, সবজি খেত, নার্সারি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। স্থান ভেদে ডিএনডির অভ্যন্তর এক থেকে চার ফুট পানিতে ডুবে আছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। এতে ডিএনডির অভ্যন্তরে বসবাসরত প্রায় কয়েক লাখ লোক পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ফতুল্লার পূর্ব ইসদাইর এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন জানান, তাদের ঘরে ভেতরে এখন হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট পানির নিচে। তারা নর্দমার কালো কুচ কুচে পানি দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। একই এলাকার বাসিন্দা ওয়াজউদ্দিন জানান, পূর্ব ইজদাইরের কমপক্ষে দেড়শ বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। লোকজন পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পাইনাদী নতুন মহল্লার প্রধান নিষ্কাশন খালের উত্তর পাড়ের রাস্তাটি ডুবে গেছে। অনেক স্থানে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে লোকজন। অনেক এলাকায় লোকজন বালির বস্তা ও ইট ফেলে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। পূর্ব জালকুড়ির খিলপাড়ার বাসিন্দা সোহেল জানান, বর্তমানে আমাদের ওঠানে হাঁটু সমান পানিতে তলিয়ে আছে। দরজায় বাঁধ দিয়ে পানি ঠেকানো হয়েছে। তিনি ডিএনডি থেকে দ্রুত পানি নিষ্কাশন করার দাবি জানান। ফতুল্লার দেলপাড়ার বাসিন্দা জোৎস্না জানান, বর্ষণের পানিতে তাদের গ্যাসের চুলো ডুবে গেছে। ঘরে রান্না-বান্না বন্ধ হয়ে গেছে। দোকান থেকে খাবার কিনে আনতে হচ্ছে। ডিএনডি সূত্রে জানা যায়, ডিএনডি থেকে সুষ্ঠুভাবে সেচকার্য পরিচালনা করা এবং পানি নিষ্কাশন করার জন্য ৯টি সেচ খাল, ৯টি ডিটিও খাল, ২১০টি আউট লেক খাল, ৮৫টি চকবন্দী খাল অনুসারে ১০টি নিষ্কাশন খাল রয়েছে। এ ছাড়াও এক কিলোমিটার দীর্ঘ ইনটেক খাল, ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ মেইন ক্যানেল টার্ন আউট খাল রয়েছে। এর মধ্যে চ্যানেল-১ খালের দৈর্ঘ ৭ দশমিক ৯০ কিলোমিটার, চ্যানেল-২ এর দৈর্ঘ্য ৫ দশমিক ৮০ কিলোমিটার, পাগলা খাল ৩ কিলোমিটার, জালকুড়ি খাল ২ দশমিক ১০ কিলোমিটার, শ্যামপুর খাল ২ দশমিক ৭০ কিলোমিটার, ফতুল্লা খাল ১ দশমিক ৮০ কিলোমিটার ও সেকেন্ডারি চ্যানেলের দৈর্ঘ্য ১০ কিলোমিটার। এ খালগুলোর অধিকাংশই ভরাট হয়ে গেছে বলে ভূক্তভোগীরা জানান। মিজমিজির বাসিন্দা আহম্মদ উল্লাহ জানান, মিজমিজি টিসি রোড সংলগ্ন কংশ নদী নামে একটি নিষ্কাশন খাল রয়েছে। যে খাল দিয়ে পাইনাদী পূর্বপাড়া, সিআইখোলা, মধ্যপাড়া, মিজমিজি পূর্বপাড়া, মজিববাগ, জুয়েল রোড ও রেকমত আলী উচ্চ বিদ্যালয় এলাকার বৃষ্টির পানি ডিএনডির প্রধান নিষ্কাশন খালে গিয়ে পড়ছে। অথচ এ খালটি ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভরাট করে ফেলেছে। এ ছাড়াও খালটি দখল করে দোকানপাট, অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করায় পানি দ্রুত নিষ্কাশন হতে পারছে না। এতে ডিএনডির নিচু এলাকার বাসিন্দা এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। ডিএনডির পাম্প হাউজের এক কমকর্তা জানান, নিষ্কাশন খালে পানি পলিথিনসহ বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা এসে পাম্প হাউজের মুখে জমা হচ্ছে। এতে পানি নিষ্কাশনে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি আরও জানান, পাম্প হাউজের মুখ থেকে প্রতিদিন তিন ট্রাক ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হচ্ছে। তিনি প্রধান নিষ্কাশন খালসহ শাখা-প্রশাখা খালগুলো ময়লা-আবর্জনা না ফেলতে ডিএনডিবাসীকে অনুরোধ জানান। শনিবার দুপুরে পাম্প হাউজে গেলে কর্মকর্তারা জানান, ১২৮ কিউসেক ক্ষমতা সম্পন্ন চারটি পাম্প ও একই স্থানে পাঁচ কিউসেক ক্ষমতাসম্পন্ন আরও ২২টি পাম্প এবং ডেমরার বামৈল ও শুকুরসীতে আরও ৫ কিউসেক ক্ষমতাসম্পন্ন চারটি সার্বক্ষণিক চালু রয়েছে। তবে তারা বলছেন, যদি আর বৃষ্টিপাত না হয় তবে ডিএনডি থেকে পুরোপুরি পানিষ্কাশন করতে অন্তত ১৫ দিন সময় লাগবে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবোর) ঢাকা যান্ত্রিক পাম্প হাউজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এম গোলাম সারওয়ার ডিএনডিতে ব্যাপক জলাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে জানান, ডিএনডি থেকে দ্রুত পানি নিষ্কাশন করতে হলে ৮৮ কিউমেক ক্ষমতা সম্পন্ন আরও নতুন তিনটি পাম্প স্টেশন নির্মাণ করতে হবে। তাহলে ডিএনডিবাসী জলাবদ্ধতার কষ্ট থেকে মুক্তি পাবে। তিনি জানান, যদি আরও ৩-৪ দিন একটানা বৃষ্টি হয় তবে ডিএনডির ৮০ ভাগ এলাকা ডুবে যাবে। বর্তমানে পাম্প হাউজটি প্রায় অকেজো হয়ে পড়েছে। কারণ ১৯৬৮ সালে নির্মাণ করা এ পাম্প হাউজটির কার্যক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে।
 কানাইঘাটে ১০ জন আহত!জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষ

কানাইঘাটে ১০ জন আহত!জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষ


নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির বড়বন্দ ৪র্থ খন্ড গ্রামে রবিবার জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত নারী পুরুষ সহ ১০জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৪জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সিলেট ওমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। জানা যায়, বড়বন্দ ৪র্থ খন্ড গ্রামের আমির আলী ও তার ভাই মৃত আব্দুল হকের পুত্র কুতুব উদ্দিন গংদের মধ্যে দেড় বিঘা ফসলী জমির মালিকানা ও দখল নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে আজ রবিবার বিকেল অনুমান ৩টার দিকে আমির আলী গংরা লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপি কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থিত উক্ত ফসলী জমিতে ট্র্যাক্টর দিয়ে হাল চাষ করতে গেলে প্রতিপক্ষ কুতুব আলী গংরা বাঁধা প্রদান করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে ১০জন আহত হন। গুরুতর আহতের মধ্যে কুতুব উদ্দিন (৩২), মঈন উদ্দিন (৩০), সুলেমান (২৭), ফারুক আহমদ (২৫) কে সিলেট ওমেক হাসপাতালে এবং অন্যান্য আহতদের মধ্যে শরীফ উদ্দিন (৪৫), মায়ারুন নেছা (৩৮), হাজিরা বিবি (৫০), আমির আলী (৬০), মতিউর রহমান (২০) কে কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। উভয় পক্ষ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কানাইঘাট থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
ইনসুলিনের ঝামেলা দূর করবে স্মার্ট প্যাচ

ইনসুলিনের ঝামেলা দূর করবে স্মার্ট প্যাচ


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: মার্কিন ডায়াবেটিস রোগীদের কাছে অতীতে পরিণত হতে যাচ্ছে বেদনাদায়ক ইনসুলিন ইনজেকশন। নর্থ ক্যারোলিনা ইউনির্ভাসিটির একদল গবেষণা সম্প্রতি আবিষ্কার করেছেন স্মার্ট ইনসুলিন প্যাচ। গবেষণা পত্রটি প্রকাশ করেছে সাইন্স ডেইলি। এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্যাচটি রক্তে শর্করার মাত্রা কী পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে এটি নির্ণয় করতে সক্ষম। সেই অনুযায়ী যেখানে প্রয়োজন শরীরের ওই স্থানে প্যাচটি প্রয়োগ করা যাবে। প্রত্যেকটি প্যাচে একশটিরও বেশি ছোট আকারের সূক্ষ্ম সূঁচ রয়েছে। প্রত্যেকটির আকার চোখের পাপড়ির চেয়েও ছোট। পৃথকভাবে প্রত্যেকটিকে দেখতে মাইক্রোস্কোপের সাহায্য লাগবে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে এই প্যাচ দ্রুতই শরীরের ওই অংশে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করবে। এটিকে বাজারজাতকরণের আগে আরও বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন। তবে এর প্রাথমিক সাফল্য ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ গবেষকদের।
দলে ফিরতে ব্যাকুল তাসকিন

দলে ফিরতে ব্যাকুল তাসকিন


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ইনজুরির কারণে ভারতের সঙ্গে শেষ ওয়ানডে খেলতে পারেননি তাসকিন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপেক্ষ মাঠে নামতে ব্যাকুল এই পেসার। রোববার বিসিবি একাডেমিতে সাইড স্ট্রেইন ট্রিটমেন্ট নিতে এসে সাংবাদিকদের বলেন,‘আমি ধীরে-ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছি। এ সপ্তাহেই বোলিং অনুশীলন শুরু করবো। আমার লক্ষ্য দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগে সুস্থ হওয়া এবং দলে ফেরা। আমি ওয়ানডে সিরিজ কিছুতেই মিস করতে চাইনা।’ ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে বাম পাঁজরের পেশীতেচোট পান তাসকিন। যে কারণে শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি খেলতে পারেনি তিনি। বর্তমানে অনেকটা ভালো বোধ করছেন বলে জানালেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে পুর্নাঙ্গ টেস্ট সিরিজ খেলতে ৩০ জুন ঢাকায় পা রাখার কথা দাক্ষিণ আফ্রিকার। সিরিজে দুটি টি২০, তিনটি ওয়ানডে এবং দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে প্রোটিয়ারা। টি২০ সিরিজ দিয়ে শুরু হবে লড়াই। ৫ ও ৭ জুলাই মিরপুরে হবে টি২০ ম্যাচ দুটি। এরপর ৭ জুলাই শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। ভারতের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজটা সহজ হবে না বলে মনে করছেন তাসকিন। বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা যথেষ্ট শক্তিশালী দল। উপমহাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকা এরআগেও ভালো খেলেছে। তাই আমাদের বোলারদের খুবই ভালো করতে হবে। সে সঙ্গে ব্যাটসম্যানদেরও ভালো পারফর্ম করতে হবে।’ দাক্ষিণ আফ্রিকা দল স্পিনে দুর্বল। এবার স্পিন সহায়ক উইকেটের দিকে যেতে পারে বিসিবি। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে কেমন উইকেট চান এমন প্রশ্নের জবাবে তাসকিন বললেন, ‘ আসলে উইকেট যেমনই হোক না কেন, আমাদের কাজ ভালো বোলিং করা।’
ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেবে প্রযুক্তি

ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেবে প্রযুক্তি


তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক: ভূমিকম্প সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তাছাড়া এই ভয়াবহ দুর্যোগ থেকে বাঁচাতে আগে পূর্বাভাস পাওয়ার কোন প্রযুক্তি আবিষ্কার হয়নি। তবে ভুমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়ার প্রযুক্তি আবিষ্কার করতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গবেষণা সফল হলে ১৫ দিন আগে ভূমিকম্পের খবর পাওয়া যাবে। তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে এ প্রযুক্তি বাজারজাত করবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন মহাকাশ প্রকৌশলী জন পিনো এ তথ্য জানায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ চাইলে এখনই আমাদের অংশীদার হতে পারে। মার্কিন মহাকাশ প্রকৌশলী জন পিনো বলেন, আমরা উত্তেজিত এই কারণে যে, সত্যিই ভূমিকম্প পূর্বাভাসের খবর জানাতে পারবো। ভূকম্পনে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ, পরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে দু’সপ্তাহে আগে ভূমিকম্পনের খবর জানাতে পেরেছি গবেষণাকালে। যুক্তরাষ্ট্রে ক্যালিফোর্নিয়ায় ভূমিকম্পের ফাটলে সেন্সর রেখে পরীক্ষামূলকভাবে চলছে এই প্রকল্প। ক্যালিফোর্নিয়ায় এই এলাকায় গবেষণা করে সফলভাবে ৮ বার সঠিক তথ্য দিতেও পেরেছেন গবেষকরা। মার্কিনীদের সাথে এই প্রকল্পে যুক্ত হচ্ছে ভূমিকম্পনপ্রবণ চিলি ও পেরু। ভূকম্পন জরিপে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন তারা। তিনি আরও বলেন, ভূমিকম্প জানার কাজটা আরো নিখুঁত করতে চাই আমরা কারণ কোথায় ভূমিকম্প হচ্ছে আমরা জানি না। তাই সেন্সর প্রযুক্তিটি ভালভাবে আসতে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর লাগবে। এখন এই প্যাকেজের দাম ৩৫ থেকে ৫০ হাজার ডলার। ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকা যেকোন দেশ অংশীদের হতে পারবে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার অর্থায়নে চলছে ভূমিকম্পের আগাম খবর জানার প্রকল্পের কাজ ওয়েটফাইন্ডার। সফলতার ব্যাপারে দারুণ আশাবাদী মার্কিন এই গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
জিম্বাবুয়ে সফরে থাকছেন না ধোনি-কোহলি

জিম্বাবুয়ে সফরে থাকছেন না ধোনি-কোহলি


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: আসন্ন জিম্বাবুয়ে সফরে ভারত দ্বিতীয় সারির দল পাঠানোর পরিকল্পনা করছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। সীমিত ওভারের এই সিরিজে অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনিসহ আরো কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দেয়া হতে পারে। আগামীকাল নির্বাচকরা জিম্বাবুয়ে সফরের দল ঘোষণা করবে, তার আগে ভারতীয় ক্রিকেট এখন এই খবরে মুখরিত হয়ে উঠেছে। সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ সফরে দলের হতাশাজনক পারফরমেন্সের পরে খেলোয়াড়দের বিশ্রামের বিষয়টি আরো বেশি করে সামনে চলে এসেছে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে টাইগারদের কাছে ১-২ ব্যবধানে পরাজিত হয় ধোনি বাহিনী। গত সাত মাস যাবত একটানা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার ধকল সামলাতে খেলোয়াড়দের হিমশিম খেতে হচ্ছে। আর সেই চিন্তাকে মাথায় রেখে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তারুণ্যনির্ভর দল গড়তে চায় নির্বাচকরা। তারই ধারাবাহিকতায় ধোনি ছাড়াও টেস্ট অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং দলের শীর্ষ স্পিনার রবিচন্দ্রর অশ্বীনকে বিশ্রামে রাখা হতে পারে। আর সেই ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হলে রোহিত শর্মা অথবা সুরেশ রাইনার মধ্যে যেকোনো একজনের উপর অধিনায়কের দায়িত্ব পড়তে পারে। এর মধ্যে আইপিএলের এবারের আসরে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে সাফল্যের সাথে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে রোহিতই এগিয়ে আছে। অন্যদিকে ছোট ভার্সনে রাইনার অধিানয়কত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচিত হয়ে আসছে। আগামী ১০ জুলাই থেকে শুরু হওয়া সিরিজে ব্যাটসম্যান অজিঙ্কে রাহানে ফিরছেন। বিসিসিআই এর এক সূত্র জানিয়েছে, অশ্বিন এবং কোহলি উভয় ফরম্যাটের ক্রিকেট খেলে থাকেন। অস্ট্রেলিয়া সফরের পরে বিশ্বকাপ এবং এরপর আইপিএল এর কারণে ধোনিও বেশ কিছুদিন যাবত ক্রিকেটের মধ্যেই আছে। এই তিনজনের বিশ্রাম জরুরি হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কঠিন টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে কোহলি এবং অশ্বীনের বিশ্রাম পাওয়াটা বেশি প্রয়োজন। অশ্বিনকে যদি শেষ পর্যন্ত বিশ্রাম দেয়া হয় তবে পারভেজ রাসুল এবং হারভাজন সিংয়ের মধ্যে যেকোনো একজনকে বেছে নেয়া হবে। এক্ষেত্রে নির্বাচকরা তরুণদের দিকে বেশি নজর দিলে রাসুলের সম্ভাবনাই বেশি। রবিন উথাপ্পাও দলে ফিরতে পারেন। স্টুয়ার্ট বিনি, আম্বাতি রাইডু এবং মোহিত শর্মার দলভূক্তি প্রায় নিশ্চিত। তবে গত ছয় মাসে ইনজুরির কারণে খেলতে না পারা পেসার উমেশ যাদবের বিশ্রামে থাকা প্রায় নিশ্চিত। জিম্বাবুয়ে সফরে ভারত তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-২০ ম্যাচ খেলবে। প্রাথমিকভাবে সফরটি নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিলেও শনিবার সফরের ব্যপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই। সিরিজ সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান টেন স্পোর্টসের সাথে বিরোধের জের ধরে একপর্যায়ে সিরিজটি বাতিলের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিরিজ আয়োজনের নিশ্চয়তা দেয়া হয়। ২০১০ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে ১৫ সদস্যের ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সুরেশ রাইনা। ২০১৩ সালে দলের নেতৃত্ব ছিলেন বিরাট কোহলি।
রাজধানীর যেখানে সবচেয়ে বেশি আড্ডা দেন ক্রিকেটাররা

রাজধানীর যেখানে সবচেয়ে বেশি আড্ডা দেন ক্রিকেটাররা


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ভারতের সাথে সিরিজ শেষে চার দিনের ছুটি পেলেন ক্রিকেটাররা। সাকিব দুইটি যায়গায় না যেয়ে পারলেন না। এক হলো তার গ্রামের বাড়ি। দুই তার হাতে গড়া রেস্টুরেন্ট সাকিব’স ডাইনে। সাকিব’স ডাইনে সব সময় উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা সবাই আড্ডা দেন সেখানে। মেলে ভক্তকূলের মেলা। বেশ কয়েকটি কারণে সাকিবের রেস্টুরেন্টটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অন্যন্য ক্রিকেটার ও সাকিবের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ, সেলফি তোলার ইচ্ছা নিয়ে সেখানে যান ক্রিকেট ভক্তরা। কয়েকদিন আগে আলোচিত হ্যাপিও ঘুরে সাকিবের রেস্টুরেন্টটি থেকে। নারী ক্রিকেট দলের ক্রিকেটারাও যান সেখানে। বিভিন্ন ক্রিকেট ক্লাবের শিক্ষার্থীরা সেখানে ভির জমান। সব মিলিয়ে সাকিবের রেস্টুরেন্টটি যেন একটি ব্যতিক্রমি জায়গা হয়ে উঠছে।
নকল করলে ৭ বছর জেল!

নকল করলে ৭ বছর জেল!


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় দুর্নীতি করলে শাস্তি হিসেবে জেল-জরিমানার বিধান চালু করতে যাচ্ছে চীনের কর্তৃপক্ষ। নতুন আইনে অপরাধ হিসেবে ৩-৭ বছরের কারাদণ্ড থাকছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় নকল বা একজনের পরিবর্তে আরেকজন পরীক্ষা দিলে অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার লক্ষ্যে ওই নতুন আইনের খসড়া বিবেচনা করছে চীনা পার্লামেন্টের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটি। খসড়া আইনে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী আসামির সর্বনিম্ন ৩ এবং সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া আটক বা জরিমানার বিধানও আছে। দেশটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে চীনা শিক্ষার্থীদের দেশজুড়ে আয়োজিত একটি পরীক্ষায় পাস করতে হয়। সম্প্রতি শেষ হওয়া ওই পরীক্ষায় ব্যাপক দুর্নীতির চিত্র ধরা পড়ে। এমন প্রেক্ষাপটে পরীক্ষায় দুর্নীতি বন্ধ করতে দেশটিতে নতুন আইন চালু হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতির বরাত দিয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, পরীক্ষায় দুর্নীতি করার বিষয়টিকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হলে তাতে স্বচ্ছতা ও সুস্থ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত হবে।
হক্কানি নেতার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

হক্কানি নেতার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের বৈঠক


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: আফগানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হক্কানি নেটওয়ার্কের নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে সৌদি আরবের। সম্প্রতি, উইকিলিকসের ফাঁস করা গোপন দলিলে বিষয়টি প্রকাশ করা হয়েছে। নথিতে দেখা গেছে, আফগানিস্তানের রাশিয়ার দখল থেকে মুক্ত হওয়ার যুদ্ধে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইয়ের অর্থায়নে পরিচালিত জিহাদের সময় থেকে এখনও হক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে চলছে সৌদি আরব। পাকিস্তানের ইসলামাবাদে নিযুক্ত তৎকালীন সৌদি রাষ্ট্রদূত ২০১২ সালে দুইবার হক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান জালালুদ্দিন হক্কানির ছেলে নাসিরুদ্দিন হক্কানির সঙ্গে বৈঠক করেন। সে সময় সৌদিতে জালালুদ্দিনকে চিকিৎসা করানোর ব্যাপারে কথাবার্তা হয়। তবে উইকিলিকসের ফাঁস করা এ সকল নথির কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই উল্লেখ করে জনগণকে তা বিশ্বাস না করার আহ্বান জানিয়েছে সৌদি সরকার। ফাঁস করা নথিতে উল্লেখ রয়েছে, ২০১২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি হক্কানি নেটওয়ার্কের তৎকালীন প্রধান অর্থের যোগানদাতা নাসিরুদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন ইসলামাবাদে নিযুক্ত তৎকালীন সৌদি রাষ্ট্রদূত আব্দুল আজিজ ইব্রাহীম সালেহ আল গাদের। বৈঠকটি ঠিক কোথায় অনুষ্ঠিত হয় তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে সাধারণত দূতাবাস ও নিজ ভবনে বৈঠক করতেন গাদের। কূটনীতিক পরিবেষ্টিত ওই স্থানগুলো পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরদারির মধ্যেই ছিল। ওই বৈঠকে সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজের কাছে বাবা জালালুদ্দিনকে সৌদিতে চিকিৎসা দেয়ার আহ্বান জানান নাসিরুদ্দিন। একই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি আরেকটি বৈঠকে গাদেরের কাছে বাবার অসুস্থতার প্রকৃতি ও পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন নাসিরুদ্দিন। তবে নথিতে রোগের নাম উল্লেখ করা হয়নি। সৌদিতে পাঠানো গাদেরের বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে, জালালুদ্দিন পাকিস্তানের ওয়াজিরিস্তানে রয়েছেন এবং চিকিৎসকরা তাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছেন। তবে জালালুদ্দিনকে সৌদিতে চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল কি না- নথিতে এ তথ্যের উল্লেখ নেই। নাসিরুদ্দিন ও গাদেরের এই বৈঠকের কিছুদিন আগে পাকিস্তানে সফর করেছিলেন তৎকালীন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। ওই সফরে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও সাবেক সেনাপ্রধান আশফাক পারভেজ কায়ানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। কায়ানিকে কারজাই বলেছিলেন, তিনি হক্কানি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে রাজি আছেন, কিন্তু তারা (হক্কানি) সম্ভবত তাকে (কারজাই) দেখতে চাইবে না। আফগানিস্তানে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় তালেবান সরকারের পতনের পর পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন উত্তর ওয়াজিরিস্তানে ঘাঁটি গাড়েন জালালুদ্দিন। পাকিস্তানের মাটিতে বসেই আফগাননিস্তানে হামলা পরিচালনা করে আসছেন তিনি। ২০০১ সালের ৩১ জানুয়ারি জালালুদ্দিনের আন্তর্জাতিক চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল। উইকিলিকসে প্রকাশ করা নথিতে দেখা গেছে, বৈঠককালীন সৌদি রাষ্ট্রদূতের কাছে জালালুদ্দিনের পাসপোর্ট জমা দেন নাসিরুদ্দিন। আফগান জিহাদের সময় থেকেই জালালুদ্দিনের সৌদি আরবের পাসপোর্ট ছিল। ধারণা করা হয়, নবায়নের জন্যই পাসপোর্টটি জমা দেয়া হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশ করা ‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেরোরিজম-২০১৪’ এ উল্লেখ করা হয়েছে, পাকিস্তানে নিরাপদে বসেই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন হক্কানি নেটওয়ার্কের নেতারা।
সুদ হারাম হওয়ার নেপথ্যে

সুদ হারাম হওয়ার নেপথ্যে


এ কিউ এম ছফিউল্লাহ আরিফ: হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) আরও বর্ণনা করেছেন, হজরত বিলাল (রা.) একবার রাসুল (সা.) এর কাছে কিছু উন্নতমানের খেজুর নিয়ে এলেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কোথা থেকে এ খেজুর আনলে?’ বিলাল (রা.) উত্তরে বললেন, ‘আমাদের খেজুর খারাপ ছিল। তাই আমি দ্বিগুণ পরিমাণ খারাপ খেজুরের পরিবর্তে ভালো খেজুর বদলে নিয়েছি।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আহ! এটা তো সুদের মতোই। কখনও এরূপ করো না। ভালো খেজুর পেতে চাইলে প্রথমে তোমার খেজুর বাজারে (মুদ্রা কিংবা অন্য দ্রব্যের বিনিময়ে) বিক্রি করবে। তারপর তার (মুদ্রা কিংবা অন্য দ্রব্যের) বিনিময়ে ভালো খেজুর কিনে নেবে।’ কোনো কোনো ফকিহর মতে, শুধু হাদিসে উল্লিখিত ছয়টি পণ্যের ব্যাপারেই ‘রিবা ফদল’-এর সীমা নির্ধারিত। কিন্তু অধিকাংশ শরিয়া বিশেষজ্ঞের মতে, হাদিসে উল্লিখিত ক’টি পণ্য উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। হাতে হাতে অন্য যে কোনো পণ্য বদলের ক্ষেত্রে এ নীতি প্রযোজ্য হবে। এখানে মূলনীতি হলো দ্রব্যের পরিমাণ ও প্রকৃতি বা ধরন ভিন্ন না হওয়া। উল্লেখ্য, ‘রিবা ফদলে’র বিষয়টি হাদিসের মাধ্যমে নিষিদ্ধ হয়েছে। শরিয়া বিশেষজ্ঞদের সর্বসম্মত ফতোয়া হলো, ইসলামে সব ধরনের সুদ নিষিদ্ধ। শরিয়ার পর্যালোচনা ও গভীর অনুশীলনের পর তারা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। শরিয়া বিশেষজ্ঞদের সব আন্তর্জাতিক সংস্থা এ ব্যাপারে অভিন্ন রায় বা ফতোয়া দিয়েছেন। সাধারণভাবে তারা সুদের সংজ্ঞায় বলেছেন, মূল ঋণের ওপর পূর্বনির্ধারিত লাভই ‘সুদ’। মুদ্রার নিজস্ব উৎপাদন ক্ষমতা নেই; বরং মুদ্রা হলো বিনিময়ের মাধ্যম। ১ লাখ টাকা তালাবদ্ধ বাক্সে ১ বছর ফেলে রাখলে এক টাকাও বৃদ্ধি পাবে না। কিন্তু এক বস্তা চাল ২ হাজার টাকায় কিনে রাখলে ১ মাস পর তার দাম ২ হাজার টাকা থাকবে না। কমবে, নয়তো বাড়বে। সুদ নিষিদ্ধ হওয়া সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসের নির্দেশ স্পষ্ট। কোনো কোনো মহলে অজ্ঞতার কারণে এ ব্যাপারে কিছু বিভ্রান্তি রয়েছে। মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও যারা সুদ সম্পর্কে প্রশ্ন তোলেন তাদের বক্তব্য মূলত দুইটি ক্ষেত্রে কেন্দ্রীভূত। কিছু লোকের ধারণা, সরল ও নিম্নহারের সুদের ব্যাপারে ইসলামে নিষেধাজ্ঞা নেই। তাদের মতে, ইসলাম শুধু চক্রবৃদ্ধি বা উচ্চহারের সুদ নিষিদ্ধ করেছে। এ উচ্চসুদ স্বল্প সময়ের মধ্যে মূলের ওপর দ্বিগুণ, চারগুণ হারে বেড়ে যায়। এ যুক্তির পক্ষে তারা সূরা আলে ইমরানের ১৩০ নম্বর আয়াত উদ্ধৃত করেন। এ আয়াতে বলা হয়েছে- ‘হে ঈমানদাররা, তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খাওয়া ত্যাগ করো এবং আল্লাহকে ভয় করো; আশা করা যায় তোমরা কল্যাণ লাভ করবে।’ এ শ্রেণীর লোক আল কোরআনের একটিমাত্র আয়াত পাঠ না করে পুরো কোরআন সামনে রাখলে দেখবেন, মক্কা ও মদিনা মুনাওয়ারায় সময়ের ব্যবধানে চারটি স্তরে সুদ সম্পর্কিত আয়াত নাজিল হয়েছে। প্রতিটি সময়ের একটি তাৎপর্য রয়েছে। প্রতিবার আয়াত নাজিলের রয়েছে স্বতন্ত্র পটভূমি ও প্রেক্ষাপট। সামগ্রিক বিষয় একসঙ্গে না দেখে, কোরআন থেকে বিধান অনুসরণের সঠিক নীতি ও পদ্ধতি অনুসরণ না করে বিচ্ছিন্নভাবে কোনো আয়াত বা তার অংশ উদ্ধৃত করলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়াই স্বাভাবিক। সুদ সম্পর্কিত সব আয়াত সামনে রাখলে তারা এ ধরনের বিভ্রান্তি থেকে মুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন। পবিত্র কোরআনে সুদের বিষয়ে প্রথম ঘোষণা এসেছে, ‘মানুষের ধন-সম্পদে তোমাদের সম্পদ বৃদ্ধি পাবে, এ আশায় যা কিছু তোমরা সুদে দিয়ে থাক, আল্লাহর কাছে তা বর্ধিত হয় না। পক্ষান্তরে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য যা কিছু তোমরা জাকাতরূপে দিয়ে থাক, তবে এরূপ লোকরাই (তাদের প্রদত্ত বস্তুকে) আল্লাহর সমীপে বর্ধিত করতে থাকবে।’ (সূরা রুম : ৩৯)। দ্বিতীয় ঘোষণা : ‘আর (ইহুদিদের জন্য আমি অনেক উপাদেয় বস্তু হারাম করে দিয়েছি) তাদের সুদ গ্রহণের কারণে, অথচ তা তাদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং তাদের অন্যায়ভাবে মানুষের ধন-সম্পদ গ্রাস করার কারণে। আর আমি তাদের মধ্য থেকে কাফেরদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’ তৃতীয় ঘোষণা : তৃতীয় ধাপে উপর্যুক্ত সূরা আলে ইমরানের ১৩০নং আয়াত অবতীর্ণ হয়। ‘হে ঈমানদাররা, তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খাওয়া ত্যাগ করো এবং আল্লাহকে ভয় করো; আশা করা যায় তোমরা কল্যাণ লাভ করবে।’ এ আয়াতে চক্রবৃদ্ধি প্রাসঙ্গিক নয়; বরং সাধারণভাবে তা সুদের নিষিদ্ধতা ঘোষক। সুতরাং এটাই সুদ হারামের ভিত্তি এবং চক্রবৃদ্ধির সুদ তো ভয়াবহ শোষণ, বৈষম্যের নির্মাতা হিসেবে আরও ঘৃণ্য ও পরিত্যাজ্য। যেভাবে চতুর্থ ও চূড়ান্ত ধাপে সূরা বাকারার ২৭৫-২৮১নং আয়াত অবতীর্ণ করে আল্লাহ তায়ালা সব ধরনের সুদকে হারাম ঘোষণা করেন এবং তার ভয়াবহ পরিণতি জানিয়ে দেন। আবার কেউ কেউ বলতে চান যে, ব্যবহার্য পণ্য সংগ্রহ বা ভোগ্য ঋণের বেলায় সুদ পুরোপুরি নিষিদ্ধ হলেও ব্যবসায়িক কর্মকা- পরিচালনার জন্য ঋণ গ্রহণ বা উৎপাদন ঋণের বেলায় সুদ নিষিদ্ধ নয়। এ ধারণার পেছনে তাদের যুক্তি হলো, প্রথমত বাণিজ্যিক ঋণগ্রহীতা ঋণের টাকা দিয়ে ব্যবসা করেন লাভের উদ্দেশ্যে। কাজেই তার উপার্জিত লাভ থেকে একটি নির্দিষ্ট হারে সুদ দেয়ায় আপত্তির কারণ নেই। তাদের দ্বিতীয় যুক্তি হলো, রাসুলুল্লাহ (সা.) এর যুগে মূলত ভোগ-ব্যয়ের উদ্দেশ্যেই ঋণের লেনদেন হতো। বর্তমান যুগে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য নেয়া ঋণের বেলায় সুদ গ্রহণ ও প্রদান তাদের মতে অবৈধ না হওয়াই যুক্তিযুক্ত। ব্যবসায়িক সুদ বা ব্যাংকিং সুদকে তারা বৈধ বলতে চান। তাদের এ যুক্তি সঠিক নয় এ কারণে যে, ব্যবসায়ে লাভের সম্ভাবনার পাশাপাশি লোকসানের ঝুঁকিও থাকে। সুদের কারবারে লোকসানের ঝুঁকি পুরোটাই উদ্যোক্তার মাথায় চাপিয়ে দিয়ে মূলধনের জোগানদাতা পূর্বনির্ধারিত নিশ্চিত লাভের সুযোগ ভোগ করেন; চাই সে টাকা আদৌ ব্যবসায় খাটানো হোক কিংবা না হোক। এটি তো ন্যায়বিচার হতে পারে না। ব্যবসায় সেই টাকা বিনিয়োগ করে কখনও ক্ষতির সম্মুখীন হলে ঋণগ্রহীতার সে ক্ষতির দায় ঋণদাতা নিতে সম্মত থাকেন না। কারণ অর্থের জোগানদাতা নিজেকে কখনোই ব্যবসায়ী ভাবতে রাজি হন না; বরং সুদগ্রহণকারী মনে করেন। অনেকে আবার সুদ মানবিক চিন্তাধারার ফসল বলে থাকেন ‘কস্ট অব ফান্ড’ এবং ‘কস্ট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ নামে। লেখক : সেক্রেটারি জেনারেল, সেন্ট্রাল শরিয়া বোর্ড ফর ইসলামিক ব্যাংক অব বাংলাদেশ
রমজানেও ধোঁকা!

রমজানেও ধোঁকা!


নাঈম বিন মাসউদ: অর্থলোভী একশ্রেণীর ব্যবসায়ী রয়েছে, যারা এ মাসে খাদ্যে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে। সিন্ডিকেট করে খাদ্যের মজুদ আটকে রাখে, খাদ্যে ভেজাল মিশ্রিত করে। নানা রঙের খাবারের পসরা সাজিয়ে রাখে অথচ সে খাবারে মেশানো রয়েছে বিষাক্ত কেমিক্যাল। যারা রমজানে রোজাদারের সঙ্গে কিংবা যে কারও সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে তাদের সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করে, সে আমাদের লোক নয় এবং যে আমাদের প্রতারিত করবে, সেও আমাদের লোক নয়।' এ হাদিসে প্রতারককে মুসলমানের জামাত থেকে বহিষ্কার করে দেয়ার সতর্ক করা হয়েছে এবং প্রতারণার মাত্রানুযায়ী শাস্তিও প্রধান করা হবে। আরেক হাদিস থেকে জানা যায়, 'রাসুল (সা.) একবার রাস্তায় খাদ্যশস্য স্তূপের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন, তিনি এর ভেতরে হাত ঢোকালেন এবং ভেজা ভেজা অনুভব করলেন। অথচ স্তূপটির উপরিভাগ ছিল সম্পূর্ণ শুকনো। তিনি এ পণ্যের মালিককে জিজ্ঞেস করলেন, কী ব্যাপার? লোকটি বলল, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! এ খাদ্যশস্য বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। রাসুল (সা.) তাকে বললেন, বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত খদ্যশস্য কেন স্তূপের উপরিভাগে রাখনি? তাহলে লোকজন তা দেখতে পেত। যে প্রতারক, সে তো আমাদের লোক নয়।' (মুসলিম)। প্রতারণা করা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। কোনো বিবেকবান মানুষ তা করতে পারে না। সত্যকে ইচ্ছেকৃতভাবে বিকৃত করে অন্যদের বিভ্রান্ত করা সততার পরিপন্থী। আর সততার জন্য প্রয়োজন আন্তরিকতা, সরলতা ও খোদাভীরুতা। এর মাঝে প্রবঞ্চনা, মিথ্যাচার, ধূর্ততা ও ফাঁকিবাজির কোনো স্থান নেই। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের অনেক স্থানেই এ কথা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রতারণা যার সঙ্গেই হোক না কেন, সে মুসলিম কিংবা অমুসলিম, যে কোনো কারণেই হোক, তা সব সময় নিষিদ্ধ। প্রতারণা ইসলামের দৃষ্টিতে জঘন্য পাপ। যে প্রতারণা করে, তার জন্য খুবই লজ্জাকর ও দুর্ভাগ্যের বিষয়। আর এ লজ্জা ইহকাল ও পরকাল উভয় জাহানে তাকে আজাবের পথে টেনে আনবে। রাসুল (সা.) প্রতারকদের নিন্দা করেছেন। তাদের মুসলিম সমাজে অন্তর্ভুক্ত করেননি। শুধু তাই নয়, তিনি ঘোষণা করেছেন, শেষ বিচারের দিন প্রত্যেক প্রতারকের পুনরুত্থান হবে এ অবস্থায় যে, ওরা বিশ্বাসঘাতকতার পতাকা বহন করে। হাশরের বিশাল ময়দানে একজন আহ্বানকারী প্রতারকের দিকে ইঙ্গিত করে সবার মনোযোগ আকর্ষণ করে চিৎকার দিয়ে বলবে, পুনরুত্থান দিবসে প্রত্যেক প্রতারকের একটি করে পতাকা থাকবে এবং সবার সামনে তার প্রতারণার ধরন তুলে ধরা হবে। (বোখারি)। সেদিন প্রতারকরা সবচেয়ে বেশি লজ্জিত হবে। যারা ভেবেছে, তাদের প্রতারণার বিষয়টি কেউ জানে না বা সবাই ভুলে গেছে তারা আশ্চর্য হয়ে যাবে যে, তাদের প্রতারণার কা-কীর্তি সব মানুষের সামনে প্রকাশ পেয়ে গেছে। আর চিহ্নস্বরূপ বিশেষ পতাকা বহন করবে। হাদিসে কুদসিতে এরশাদ হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেছের, 'আল্লাহ তায়ালা বলেন, হাশরের দিন আমি তিন ধরনের লোকের বিরোধিতা করব। তারা হলো- যে কথা দিয়ে কথা রাখেনি; যে আজাদ ব্যক্তিকে বিক্রি করে দিয়েছে; আর যে কাউকে ভাড়া করে তার শ্রমে লাভবান হয়েও মজুরি পরিশোধ করেনি।' (বোখারি)। যে মুসলমানের মধ্যে ইসলামের প্রকৃত অনুভূতি আছে, আল্লাহর সামনে জবাবদিহিতার সামান্য ভয় আছে, তার উচিত প্রতারণা, ফাঁকি দেয়া, ওজনে কমবেশি বর্জন করা। আর এসব করার কারণে কথিত লাভ পাওয়ার সুযোগ থাকলেও এর থেকে বিরত থাকা। সুতরাং আসুন, পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে আমরা আত্মশুদ্ধির পথ বেছে নিই। তবেই সুন্দর একটি সমাজ ও রাষ্ট্র বিশ্বকে উপহার দিতে পারব।
কোরআনের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক

কোরআনের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক


মহিউদ্দীন ফারুকী: রমজান মাস। কোরআন নাজিলের মাস। এ কোরআনের কারণেই মূলত রমজানের এতো ফজিলত, মর্যাদা ও বিশেষত্ব। আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, 'রমজান মাসেই মানুষের দিশারি এবং সৎ পথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কোরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে। অতএব তোমাদের মাঝে যে এই মাস পাবে, সে যেন এ মাসে সিয়াম পালন করে।' (সূরা বাকারা : ১৮৫)। তাই এ মাসে রাসুল (সা.) সবচেয়ে বেশি কোরআন তেলাওয়াত করতেন। জিবরাঈল (আ.) এর সঙ্গে পবিত্র কোরআনের দাওর করতেন। অর্থাৎ তারা একে অপরকে শোনাতেন। সাহাবায়ে কেরামসহ পূর্ববর্তীরা এ মাসে অধিক পরিমাণে কোরআন তেলাওয়াত করতেন। তেলাওয়াতের মাধ্যমে একাধিক খতম করতেন। সেই সূত্র ধরে এখনও মুসলিম সমাজে রমজান মাসে সবাইকেই কোরআন তেলাওয়াত করতে দেখা যায়। তবে কোরআন তেলাওয়াত করে পূর্ণ সওয়াব পেতে এবং কোরআনের মাসে কোরআনের সঙ্গে সুনিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে কিছু বিষয়ের দিকে লক্ষ রাখতে হবে। এক. তেলাওয়াতের আগে আপনার অজু থাকলেও নতুন করে অজু করে নিতে পারেন। এতে আপনার তেলাওয়াতে উজ্জিবিতা আসবে। শরীর-মন চাঙ্গা মনে হবে। এরপর আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ বলে তেলাওয়াত শুরু করুন। আর কোরআন তেলাওয়াতের যে ফজিলত তা স্মরণে রাখুন। সঙ্গে সঙ্গে ভাবুন যে, রমজানে প্রতিটি সওয়াব ৭০ গুণ বেড়ে যায়। দুই. তেলাওয়াতের সময় আপনার আওয়াজ যেন মাঝামাঝি হয়। এমন বেশি যেন না হয়, যাতে অন্যের সমস্যা হয়, আবার এত আস্তে যেন না হয় যাতে আপনি ঝিমিয়ে যাচ্ছেন। আর তেলাওয়াত যেন অতি দ্রুত না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখুন। তেলাওয়াত তারতিলের সঙ্গে বুঝে করার চেষ্টা করুন। আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, 'কোরআন তেলাওয়াত করুন ধীরে ধীরে, সুস্পষ্টভাবে।' (সূরা মুজ্জাম্মিল : ৪)। তিন. কোরআনের মর্যাদা ও সম্মান অনেক। তাই এর সম্মানের দিকে লক্ষ রাখুন। এর মর্যাদার প্রতি সচেতন হোন। তেলাওয়াতের মাঝে অন্যের সঙ্গে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। যদি কেউ কথা বলে বা আপনার সঙ্গে বলতে চায় তাহলে আপনি হাতের ইশারায় তাকে বুঝিয়ে দিন আপনি তেলাওয়াত করছেন। কোরআনের প্রতি এভাবেই সম্মান প্রদর্শন করুন। তবে যদি আপনি কথা বলতে বাধ্য হন, তাহলে তার কথার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর না দিয়ে অন্তত আপনার আয়াতটি শেষ করে কোরআন বন্ধ করে কথা বলুন এবং কথা অতি সংক্ষেপ করার চেষ্টা করুন। চার. পূর্ববর্তী সাহাবা ও ওলামায়ে কেরামরা কোরআনের সূরা শুরু করলে শেষ করেই ক্ষান্ত হতেন। তাই আপনিও যথাসম্ভব চেষ্টা করুন। সম্ভব না হলে অন্তত আয়াতের মাঝে থেমে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। আর আমরা অনেকেই তেলাওয়াত শুরু-শেষ হিসাব করি পারা থেকে পারা। হিসাব রাখার জন্য এটিও একটি পদ্ধতি। তবে সূরা থেকে সূরাই হচ্ছে পূর্ববর্তী ওলামায়ে কেরামের তেলাওয়াতের হিসাব রাখার পদ্ধতি। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) সূরা শুরু করলে তা শেষ করেই ক্ষান্ত হতেন। পাঁচ. অনেকেই আয়াতের ওপর চোখ বুলিয়ে তেলাওয়াত করেন। এ ধরনের তেলাওয়াতে সওয়াব পাওয়ার প্রত্যাশা করা যায় না। তাই মুখ নাড়িয়ে হালকা আওয়াজে হলেও তেলাওয়াত করুন। তাহলেই আপনি প্রতি হরফে ১০ নেকি করে পাবেন। আর রমজানের বেশিটুকু তো থাকছেই। ছয়. বাসায় তেলাওয়াতের পরিবেশ না হলে আপনি পাশের মসজিদে চলে যান। সেখানে একাগ্রচিত্তে তেলাওয়াত করুন। আর প্রিয় বোন আপনি ঘর বন্ধ করে নিরিবিলি তেলাওয়াতের চেষ্টা করুন। এতে আপনার খতম দেয়া সহজ হবে। তেলাওয়াতে বরকত হবে। সাত. সাম্প্রতিক তেলাওয়াতে একাগ্রতা বিনষ্টকারী সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে আপনার মোবাইল। তাই তেলাওয়াতের আগেই মোবাইলটি দূরে রাখুন। অথবা বাসায় রেখে আসুন। যেন এর ওপর ভর করে শয়তান আপনাকে কোরআনের পরশ থেকে বঞ্চিত না করতে পারে। আট. তেলাওয়াতের মাঝে জান্নাত-জাহান্নামের আয়াত আসবে। আপনি তখন হাত তুলে আল্লাহর কাছে জান্নাত প্রাপ্তি ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির দোয়া করুন। রমজানে দোয়া কবুল হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। আর এতে রাসুলের সুন্নতের ওপর আপনার আমল হবে। কারণ রাসুল (সা.) নিজেও এভাবে দোয়া করতেন। নয়. আপনি যদি তেলাওয়াতে দুর্বল হন, তাহলে তেলাওয়াত ছেড়ে দেবেন না। বরং এভাবেই কষ্ট করে তেলাওয়াত করতে থাকুন। এতে আপনার সওয়াব দ্বিগুণ হবে। তবে সুযোগ করে নিকটস্থ কারও কাছে তেলাওয়াত সুন্দর ও বিশুদ্ধ করার চেষ্ট করুন। আর রমজান মাস এ ধরনের মহৎ কাজ সম্পাদন করার উত্তম সময়। প্রায় প্রতিটি মসজিদে ব্যবস্থা আছে বয়স্কদের কোরআন শেখার। আপনি সেখানে যোগাযোগ করুন। দশ. কোরআনকে গুরুত্ব না দিয়ে অনেকেই এর জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় রাখে না। সুযোগ পেলে তেলাওয়াতের আশা রাখে। সময়ের উচ্ছিষ্ট বা অতিরিক্ত অংশ কোরআনের জন্য বরাদ্দ রাখে। আপনি এমন না করে বরং একটা নির্দিষ্ট সময় রাখুন কোরআন তেলাওয়াতের জন্য। যেন আপনি নিরবচ্ছিন্ন ও একাগ্রচিত্তে এ মহাগ্রন্থ আল কোরআন তেলাওয়াত করতে পারেন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে কোরআনের মাসে কোরআনের মর্যাদা রক্ষা করার তৌফিক দান করুন। লেখক : এমফিল গবেষক, মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়
কীভাবে কাটাবেন রমজান

কীভাবে কাটাবেন রমজান


আল্লামা আনোয়ার শাহ: রমজান ইবাদতের বসন্তকাল। অধিক পরিমাণে নেকি অর্জনের সিজন। এ সিজন বছরান্তে একবার আসে। তাই এর প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগাতে হবে। আমাদের আকাবিররা রমজানকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে রুটিন মোতাবেক কাটাতেন। নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, তালিম ইত্যাদি আমলের মাধ্যমে রমজানের কদর করতেন। উম্মুল মোমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রমজান শুরু হলে রাসুল (সা.) এর ইবাদতের কোনো সীমা-পরিসীমা থাকত না। সাহাবি উবাদা ইবনে সামিত (রা.) বর্ণনা করেন, একদা রাসুল (সা.) আমাদের বললেন, 'রমজান তো এসে গেছে। এটি বরকতের মাস। এ মাসে আল্লাহ তায়ালা তোমাদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেন এবং খাস রহমত নাজিল করেন। গোনাহখাতা মোচন করেন। দোয়া কবুল করেন। ইবাদতের প্রতি তোমাদের আগ্রহ লক্ষ করেন এবং তা নিয়ে ফেরেশতাদের কাছে গর্ব করেন। অতএব তোমরা বেশি বেশি সৎকর্ম করে আল্লাহকে দেখিয়ে দাও। হতভাগা ওই ব্যক্তি, যে এ মাসে তার রহমত থেকে বঞ্চিত হয়।' (তিরমিজি)। অতএব রমজানে ফরজ নামাজ, রোজা, তারাবি ছাড়াও অতিরিক্ত নফল ইবাদত করা দরকার। রুটিন করে ইবাদতে লেগে যাওয়া উচিত। যেমন : ১. প্রত্যেক ফরজ নামাজের আগে-পরে নফল নামাজ পড়া। এমনিতেই নফল ইবাদত দ্বারা বান্দা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে সমর্থ হয়। তদুপরি রমজানের নফল অন্য মাসের ফরজের সমতুল্য। রাসুল (সা.) বলেন, 'যে ব্যক্তি রমজানে একটি নফল আদায় করল, সে যেন অন্য মাসে একটি ফরজ আদায় করল। আর যে রমজানে একটি ফরজ আদায় করল, সে যেন অন্য মাসে ৭০টি ফরজ আদায় করল।' (মেশকাত)। রমজান উপস্থিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ থেকে একজন ফেরেশতা অবিরত ঘোষণা করতে থাকে, 'হে কল্যাণ প্রত্যাশী! নেক কাজে অগ্রসর হও, হে মন্দ কাজে লিপ্ত ব্যক্তি! এবার তুমি ক্ষান্ত হও।' (মেশকাত)। *. নামাজের পর জিকিরের প্রতি মনোযোগী হওয়া। জিকির হলো সব ইবাদতের প্রাণ। ইবাদতের বিধান দেয়া হয়েছে মূলত আল্লাহপাকের জিকির বা তাঁর স্মরণের জন্যই। আল্লাহ বলেন, 'হে মোমিনরা! তোমরা অধিক পরিমাণে আল্লাহর জিকির করো। আর সকাল-সন্ধ্যা তার তাসবিহ পাঠ করো।' (সূরা আহজাব : ৪১, ৪২)। * কোরআন তেলাওয়াত করা। রমজানের আমলগুলোর মধ্যে কোরআন তেলাওয়াত অন্যতম। রমজানে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে বিধায় এ মাসের সঙ্গে কোরআনের রয়েছে বিশেষ সম্পর্ক। বোখারির বর্ণনায় এসেছে, রমজান এলে নবী করিম (সা.) জিবরাঈলের সঙ্গে কোরআনের দাউর করতেন। অর্থাৎ তিনি জিবরাঈলকে শোনাতেন এবং জিবরাঈল নবীজিকে কোরআন শোনাতেন। বুজুর্গ ওলামাদের সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে, রমজানে তারা অধিক পরিমাণে কোরআন খতম করতেন। ইমাম আবু হানিফা (রহ.) এর ব্যাপারে বর্ণনায় রয়েছে, তিনি রমজানে দিনে এক খতম, রাতে এক খতম এবং তারাবিতে এক খতম, এভাবে ৬১টি খতম দিতেন। *. তাহাজ্জুদের অভ্যাস গড়া। রমজানে তাহাজ্জুদ পড়ার সুযোগ আসে। সাহরি খাওয়ার জন্য আমাদের ঘুম থেকে জাগতে হয়। তখন যদি তাহাজ্জুদের নিয়তে দুই-চার রাকাত নামাজ পড়ে নিই, তাহলে এক মাসে তাহাজ্জুদের অভ্যাস গড়ে উঠবে। এরপর সারা বছর তা ধরে রাখা সহজ হবে। তাহাজ্জুদের মর্যাদা সব নফল নামাজের মধ্যে বেশি। পূর্ববর্তী বুজুর্গদের আমল ছিল তাহাজ্জুদ পড়া। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, 'তোমরা তাহাজ্জুদের নামাজকে নিজেদের ওপর আবশ্যক করে নাও। কেননা তা পূর্ববর্তী নেক্কারদের রীতি ছিল। এটি তোমাদের প্রতিপালকের নৈকট্যস্থাপনকারী, গোনাহ মোচনকারী এবং অন্যায় থেকে বিরত রাখে।' (তিরমিজি)। জগদ্বিখ্যাত আল্লাহর ওলি জুনায়েদ বাগদাদি (রহ.) এর ইন্তেকালের পর তার জনৈক শাগরেদ স্বপ্নযোগে তাকে জিজ্ঞেস করেন, আল্লাহ তায়ালা আপনার সঙ্গে কিরূপ আচরণ করেছেন। তিনি উত্তর দিলেন, 'শেষ রাতের কয়েক রাকাত তাহাজ্জুদের অছিলায় আল্লাহ আমাকে মাফ করে দিয়েছেন।' *. দানের হাত প্রসারিত করা। এ মাস দানের সওয়াব অন্য মাসের চেয়ে বেশি। ফরজ জাকাতও রমজানে আদায় করা উত্তম। রাসুল (সা.) রমজানকে সহানুভূতির মাস আখ্যায়িত করেছেন। এ মাসে ধনীরা গরিবের কষ্ট অনুধাবন করতে সক্ষম হয়। তাই তাদের প্রতি দানখায়রাত করা উচিত। হাদিসে এসেছে, 'রমজানে নবীজির দানের গতি ছিল প্রচ-বেগে প্রবাহিত বাতাসের চেয়েও বেশি।' (বোখারি)। *. বেশি বেশি দোয়া করা। কারণ রোজাদারের দোয়া কবুল হয়। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, 'রমজানের দিনে ও রাতে অসংখ্য কয়েদিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হয়। রমজানের দিনে ও রাতে প্রত্যেক মুসলমানের একটি করে দোয়া কবুল হয়।' (আততারগিব)। *. শেষ দশকে ইতিকাফ করা। ইতিকাফ রমজানের বিশেষ একটি আমল। এতে অনেক ফজিলত রয়েছে। একদিনের ইতিকাফ দ্বারা দোজখ তিন খন্দক দূরে সরে যায়। এক খন্দক আসমান ও জমিনের দূরত্ব সমান। তাছাড়া ইতিকাফকারী ব্যক্তির জন্য লায়লাতুল কদর পাওয়া অনেকটা নিশ্চিত। যার ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, 'কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম।' রমজানে চারটি বিশেষ আমলের কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, 'রমজানে তোমরা চারটি আমল বেশি বেশি করবে। এর মধ্যে দুইটি আমল দ্বারা আল্লাহ খুশি হন। তা হলো, লা ইলাহা ইল্লাল্লা পাঠ করা ও ক্ষমা প্রার্থনা করা। আর দুইটি না করে কারও উপায় নেই। তা হলো জান্নাত প্রার্থনা করা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি কামনা করা।' (ইবনে খুজায়মা) অনুলিখন : মাহবুবুর রহমান নোমানি
ঘুরে আসুন টাঙ্গুয়ার হাওড়

ঘুরে আসুন টাঙ্গুয়ার হাওড়


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদেরকে সব সময়ই আনেক বেশি আকর্ষণ করে। প্রকৃতির কোলো নিজে শরীরটাকে একটু এলিয়ে দিতে পারলে যেন আমরা হাফ ছেড়ে বাঁচার সুযোগ পাই। যারা নগরজীবনের বাসিন্দা তাদেরকে তো প্রকৃতি আরও বেশিই টানে বই তো নয়। প্রাকৃতিক নিসর্গের মধ্যে হাওড়ের নান্দনিকতাটা মনে হয় একটু বেশিই থাকে। আর হাওড়গুলোর মধ্যে টাঙ্গুয়ার হাওড়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ বাংলাদেশের অন্য সকল জলাভূমির চেয়ে অনেক বেশী সুন্দর। মেঘালয়ের কোল ঘেঁষে এই হাওরের জন্ম। সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও তাহেরপুর উপজেলায় এই হাওড়টি অবস্থিত। মেঘালয়ের সুবিশাল ও বিস্তৃত পাহাড়ের হাজারো ছড়া ও বেশ কিছু ঝর্ণা হল টাঙ্গুয়ার হাওড়ের পানির উৎস। শীতকালে এই হাওরে অনেক কান্দা বা পাড় জেগে উঠে। পুরো হাওর অনেকগুলি বিলে ভাগ হয়ে যায়। তখন শুধু বিলেই পানি থাকে।তবে বর্ষাকালে এই হাওড় যেন এক বিশাল সমুদ্র। আর সেই সমুদ্রের উত্তর পাড়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ভারতের মেঘালয়ের বিশাল পাহাড়। শীতকালে এখানে প্রচুর পরিযায়ী পাখি ভিড় জমায়।রয়েছে অনেকপাখিও।নিয়মিত দেখা যায় পানকৌড়ি, বেগুনি কালেম, বালিহাঁস, শঙ্খচিল, বিভিন্ন প্রজাতির বক, সারস, পাতি কুট, সরালি হাঁস, ডাহুক ইত্যাদি। এছাড়া অন্যান্য বন্যপ্রানী ও জীববৈচিত্রে টাঙ্গুয়ার হাওড় সমৃদ্ধ। স্থানীয় ভাষায় টাঙ্গুয়াকে বলা হয়- নয় কুড়ি কান্দা, ছয় কুড়ি বিল। বিশ্বের এক হাজার ৩১টি রামসার সাইটের মধ্যে টাঙ্গুয়া বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট। এ হাওর শুধু একটি জলমহাল বা মাছ প্রতিপালন, সংরক্ষণ ও আহরণেরই স্থান নয়। এটি একটি মাদার ফিশারী। এর একদিকে মেঘালয় পাহাড়। বাকি তিনদিকে দুইটি উপজেলা তাহিরপুর ও র্ধমপাশা। ভারতের মেঘালয়ের খাসিয়া, জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে সারি সারি হিজল-করচ শোভিত, পাখিদের কলকাকলি মুখরিত টাঙ্গুয়ার হাওর মাছ, পাখি এবং অন্যান্য জলজ প্রাণীর এক বিশাল অভয়াশ্রম। ৫১ টি বিল আর ৮৮ টি গ্রাম বেষ্টিত টাঙ্গুয়ার হাওড়ের আয়তন বর্ষায় ও হেমন্তে বাড়ে-কমে। হাওরের দৈর্ঘ্য ১১ কিলোমিটার এবং প্রস্থ সাত কিলোমিটার। বর্ষায় এর আয়তন দাঁড়ায় ২০ হাজার একরের বেশি আর হেমন্তে সাত হাজার একর। টাঙ্গুয়ার হাওড় প্রকৃতির এক অকৃপণ দানে সমৃদ্ধ। দৃষ্টিনন্দন সারি সারি হিজল ও করচ বন হাওড়কে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এ ছাড়াও নলখাগড়া, দুধিলতা, নীল শাপলা, পানিফল, শোলা, হেলেঞ্চা, শতমূলি, শীতলপাটি, স্বর্ণলতা, বনতুলসী ইত্যাদি সহ দুশ প্রজাতিরও বেশী গাছগাছালী। এই হাওড়কে প্রকৃতি তার অপরূপ রূপে সাজিয়েছে। সুনামগঞ্জের সাহেববাজার ঘাট থেকে ইঞ্জিন নৌকা চারপাশের চৌহদ্দি ছাড়ানো সবুজ দেখে আপনি ভুল করে ভেবে বসতে পারেন যে নিউজিল্যান্ডের কোথাও আছেন। মনে হবে যেন সুরমা নদীর ওপারেই মেঘালয়ের পাহাড় মেঘ কোলে নিয়ে অতিথির জন্য বসে আছে।চোখের সামনে ঠিক যেন নিউজিল্যান্ডের ডেইরি ফার্মের গরুগুলো ঘাস খাচ্ছে। তাদের পেছনে বাঁক খেয়ে উঠে গেছে পাহাড়ের দেয়াল। যত দূর চোখ যায়, সবুজের মখমল। নিচে নীলচে পানি, পানির নিচে শেওলার অস্তিত্ব পরিষ্কার বোঝা যায়। নলখাগড়ার ডগা ভেসে ভেসে ঢেউয়ের দোলায় নাচে হাওড়জুড়ে। যাওয়ার পথে আনোয়ার পুর গ্রামে দেখা পাবেন পাথরের স্তূপের। এখানে পাথর ভাঙা হয়, হলদে বালির বিছানায় শুয়ে শুয়ে পাথরগুলো রোদ পোহাচ্ছে। যতই সময় যাবে, ধীরে ধীরে রং বদলে যাবে পানির। নীল থেকে কালো, কালো থেকে সবুজ, আবার গাঢ় নীল। এভাবে প্রায় ছয় ঘণ্টা পর টাঙ্গুয়া হাওড়ে পৌঁছা যায়। বর্ষা মৌসুমে গোটা টাঙ্গুয়ার পরিণত হয় ২০ থেকে ২৫ ফুট জলের এক স্বচ্ছ অ্যাকুরিয়ামে। হঠাৎ করে কেউ দেখলে নির্দ্বিধায় বঙ্গোপসাগর ভেবে ভুল করবে। এই সেই টাঙ্গুয়ার হাওড়, যেখানে জল আকাশের রং চুরি করে নীলের ভুবন সাজিয়েছে। মেঘমালা অনেক নিচ দিয়ে উড়ে যাওয়র সময়, দূর থেকে দেখে মনে হবে পানিতে বুঝি তুলোর ভেলা ভাসছে। সীমাহীন এই হাওড়ে বর্ষাকালে চলে বিশাল ঢেউয়ের রাজত্ব। পানি এতই পরিষ্কার যে ২০ ফুট নিচের ঘাস, গাছ, লতাগুলো মনে হয় অ্যাকুরিয়ামে সাজানো। অচেনা এক পৃথিবী মনে হয় যখন দেখি কোনো রকম ভেলা বা জাহাজ ছাড়াই থইথই পানিতে পইপই ভাসছে ছোট ছোট গ্রাম।পুরো হাওড় গাছের সীমানা দিয়ে ঘেরা। সেই গাছও মাথাটুকু বাদে ডুবে আছে নীলের সমুদ্রে। এখানে বাতাস কখনো ক্লান্ত হয় না, এখানে আকাশের নিচে সাদা মেঘের বুক চিরে দাঁড়িয়ে আছে কচি পাহাড়, আর সেই পাহাড়ের কোলে নাচে উদ্দাম, উত্তাল, দুরন্ত সবুজ জ্যাকেট পরা নীল পানি, হাওড়ের পানি। আরও দেখতে পারেন মেঘালয় ও জাদুকাটা নদী: হাওড় ছাড়াও মেঘালয়ের প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো অত্যন্ত মনোরোম ও সুন্দর দৃশ্যগুলির মধ্যে অন্যতম। মেঘালয় অর্থাৎ মেঘের বাড়ি নামটি আসলেই যথার্থ। সারাক্ষণ মেঘ এখানে খেলা করে। মুহুর্তে মুহুর্তে পরিবর্তন হয় তার রপ। কখনো কালো মেঘে পাহাড় ঢাকা তুমুল বৃষ্টি একটু পর আবার সব পরিষ্কার। সাদা মেঘ পাহাড় চূড়াগুলিতে সারাক্ষণই নেচে বেড়ায়। জাদুকাটা নদীর বালুর সৈকত যেন প্রকৃতির আরেক মোহনীয় রূপ। চিক চিক হলুদ বালুর সাথে পরিষ্কার নীলচে পানির মিলন প্রকৃতিকে সাজিয়েছে অপরূপ সাজে। জাদুকাটা নদীর পানি খুবই আরামদায়ক ঠাণ্ডা ও শীতল। পানিতে নামলেই সুখের পরশে গা জুড়িয়ে যায়। কীভাবে যাবেন ও কোথায় থাকবেন: ঢাকা থেকে যেকোনো পরিবহনের বাসে চড়ে সুনামগঞ্জ শহরে যাবেন। তারপর সুনামগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে সাহেববাজার ঘাট পর্যন্ত রিকশায় চড়ে। সেখান থেকে টাঙ্গুয়া হাওরের উদ্দেশ্যে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভাড়া করবেন, প্রতিদিনের জন্য ইঞ্জিন বোটে খরচ হয় আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা খরচ রাখে। চাইলে স্পীড বোডেও যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে ভাড়া একটু বেশি গুনতে হবে। হাওড়ে যেতে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টার মতো সময় লাগবে। দুই থেকে তিন দিনের জন্য নৌকা ভাড়া করলে প্রয়োজনীয় বাজার সদাই করে নেবেন। সঙ্গে তেমন কিছুই নিতে হবে না, তবে লাইফ জ্যাকেট থাকলে নিয়ে নিতে পারেন। হাওড় ঘুরে রাতটা তাহিরপুর থানার ডাকবাংলোতে থাকতে পারেন। এছাড়াও সরকারি ব্যবস্থাপনায় তাহিরপুর থেকে তিনি কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্পের রেস্ট হাউজে অবস্থান করতে পারেন। এছাড়া সুনামগঞ্জ থেকে সড়কপথে তাহেরপুর গিয়ে সেখান থেকে নৌকা ভাড়া করেও টাঙ্গুয়ার হাওর যাওয়া যায়। তবে শীতকালে ও শুষ্ক মৌসুমে সাহেব বাড়ি খেয়া ঘাট পার হয়ে অপর পার থেকে প্রথমে মোটর সাইকেল যোগে ঘণ্টা দুয়েকের পথ পারি দিয়ে শ্রীপুর বাজার অথবা ডাম্পের বাজার যেতে হয়। সেখান থেকে ভাড়াটে নৌকা যোগে টাঙ্গুয়ার হাওড় যাওয়া যায়।
বাংলাদেশ-দ.আফ্রিকা সিরিজের সময়সূচিতে পরিবর্তন

বাংলাদেশ-দ.আফ্রিকা সিরিজের সময়সূচিতে পরিবর্তন


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: রোজার কারণে ভারত সিরিজের তুলনায় বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে খেলার শুরুর সময়ে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচগুলো বিকেল তিনটায় শুরু হলেও ১০ জুলাই থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রতিটি ম্যাচই শুরু হবে বেলা আড়াইটায়। প্রথম দু’টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে মিরপুরে। অন্য ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। ৫ জুলাই থেকে দুই ম্যাচ সিরিজের টি-টোয়েন্টি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। দু’টি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে। আর দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের খেলা শুরু হবে সকাল ১০টায়। প্রথমটি চট্টগ্রামে পরেরটি হবে মিরপুরে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আগে সবজি-প্রোটিন, পরে শর্করা

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আগে সবজি-প্রোটিন, পরে শর্করা


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: যারা টাইপ টু ডায়বেটিসের শিকার কিংবা অতিরিক্ত মোটা তারা যাদি খাওয়া শুরু করেন সবজি বা প্রোটিন দিয়ে এবং শেষ করেন শর্করা দিয়ে তাহলে তা তাদের সুস্থ থাকতে সহায়তা করবে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন তথ্যই জানা গেছে। রক্তের শর্করার মাত্রা কমানোর জন্য খাবারের শেষে সবজি ও মুরগির মাংস রাখার চেয়ে খাবার প্রথমে রাখা কার্যকর। এর পরে কার্বহাইড্রেট রাখা উচিত হবে। একই খাবার বিপরীতক্রমে খেলে তা বিপরীত কাজ করবে। গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারের প্রথমে সবজি ও প্রোটিন রাখলে তা পরবর্তী দুই ঘণ্টা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। এ গবেষণায় ১১ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় বলে ডায়াবেটিস কেয়ার রিপোর্ট উল্লেখ করেছে। নিউ ইয়র্কের ওয়েইল কর্নেল মেডিকেল কলেজের গবেষক এবং এ সংক্রান্ত গবেষণা দলের প্রধান ড. লুইস অ্যারোন বলেন, ‘আমরা এ গবেষণার রিপোর্ট দেখে ধারণা করছি এটি মানুষের উপকার করতে পারে।’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৯ মিলিয়ন মানুষ বা যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার ৯ শতাংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশই আবার এজন্য কোনো চিকিৎসা নেন না। গবেষকরা জানান, রক্তের শর্করার মাত্রা সাধারণত খাবারের পর বেড়ে যায়। কিন্তু যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের জন্য এটি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। আর এক্ষেত্রে প্রোটিন, সবজি ও কার্বহাইড্রেটের খাওয়ার ক্রম তাদের উপকারে আসতে পারে।
শ্রীলংকার নির্বাচনে অংশ নেবেন সাবেক প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে

শ্রীলংকার নির্বাচনে অংশ নেবেন সাবেক প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: রাজনীতিতে ফিরছেন শ্রীলংকার সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে লড়বেন বলে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শ্রীলংকার প্রধান দুই বিরোধী দলের একটি থেকে রাজাপাকসে নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে তার ঘণিষ্ঠ সহচর কুমার ওয়েলগামার বরাত দিয়ে রোববার জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। কুমার ওয়েলগামা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, রাজাপাকসে হয় শ্রীলংকান ফ্রিডম পার্টি (এসএলএফপি) অথবা দ্য ইউনাইটেড পিপল’স ফ্রিডম অ্যালায়েন্সের (ইউপিএফএ) হয়ে নির্বাচনে লড়বেন। তিনি জানান, নির্বাচন পরবর্তী সংসদে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী হবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে ৬৯ বছর বয়সী রাজাপাকসের সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেননি বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। এ বিষয়ে তার সঙ্গে সমঝোতায় যেতে ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুমার ওয়েলগামা। সাবেক প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের মন্ত্রিসভার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাইথ্রিপালা সিরিসেনা চলতি বছর ৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়ার আগে প্রধান বিরোধী পক্ষ ইউএনপিতে যোগ দেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকেই সময় খারাপ যাচ্ছে রাজাপাকসের। নির্বাচনের পরপরই তিনি এবং তার পরিবারের ওপর দুর্নীতি মামলার খড়গ নেমে আসে। চলতি বছর এপ্রিলে মাহিন্দা রাজাপাকসের ভাই বাসিল রাজাপাকসেকে দুর্নীতির অভিযোগে আটক করা হয়। বড়ভাই প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তিনি শ্রীলংকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন মন্ত্রী ছিলেন। গত সপ্তাহে বর্তমান প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা সংসদ ভেঙ্গে দেন। এরপর নির্ধারিত সময়ের আটমাস আগেই আগামী ১৭ আগস্ট সংসদ নির্বাচনের দিন ধার্য করা হয়।
‘মায়ার এমপি পদ থাকতে কোনো বাধা নেই’

‘মায়ার এমপি পদ থাকতে কোনো বাধা নেই’


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: দুদক কমিশনার শাহাবুদ্দিন চুপ্পু জানিয়েছেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সংসদ সদস্য (এমপি) পদ থাকতে কোনো বাধা নেই। রবিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। দুদকের দায়ের করা দুর্নীতির মামলায় মায়াকে হাইকোর্টের খালাসের রায় বাতিল করে দেওয়া আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় বুধবার প্রকাশ করা হয়। এ রায় প্রসঙ্গে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘আমার মতে সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মায়ার সংসদ সদস্য পদ থাকা উচিত নয়।’ তিনি বলেন, ‘এটি একটি বিতর্কের বিষয়। সুতরাং এ বিষয়ে সংসদে আলোচনা হতে পারে।’ প্রসঙ্গত: সাত বছর আগে ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ১/১১ সরকারের সময় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত এ মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা এবং তার প্রায় ছয় কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন আদালত। ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় বাতিল করে আদেশ দেন। এর আগে ২০০৭ সালের ১৩ জুন দুদকের সহকারী পরিচালক নূরুল আলম সূত্রাপুর থানায় মায়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মায়ার বিরুদ্ধে ২৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
'কত নীচ হলে মোনাজাতের পর বক্তব্য দিতে পারেন তিনি’

'কত নীচ হলে মোনাজাতের পর বক্তব্য দিতে পারেন তিনি’


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নীচ হীন বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। রোববার সকালে জাতীয় সংসদে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের এই উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য এ মন্তব্য করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও প্রাক্তন বিরোধী দলীয় নেত্রী কত নীচ হীন হলে এভাবে ইফতার মাহফিলে মোনাজাতের পর বক্তব্য দিতে পারেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত শনিবার সন্ধ্যায় বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিদেশি কূটনীতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সম্মানে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে অংশ নেন খালেদা জিয়া। সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি আর লুটপাটের অভিযোগ এনে ‘দেশ ও জনগণকে রক্ষায়’ ছোট-বড় সব রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে বসার আহ্বান জানান তিনি। এরপর গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত জোটের টানা চলমান-অবরোধে পেট্রোল বোমায় বাস ও ট্রাকে হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি মায়ের কোলে নিষ্পাপ শিশুদের হত্যা করে শুধু আন্দোলনের নাম করে রাজনীতিতেও পরাজিত হয়ে গেছেন। তিনি রাজনীতিতে পরাজিত হয়ে কোর্টে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে কিভাবে ঘরে ফিরে গেলেন? যা গোটা বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে দেখলো বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কিন্তু খালেদা জিয়া যে মায়েদের হত্যা করেছেন, বোনদের হত্যা করেছেন, শিশুদের হত্যা করেছেন, হেলপার-চালকদের হত্যা করেছেন এই হত্যার জন্য তাকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করতেই হবে। তৈরি পোশাকের রপ্তানি মূল্যের ওপর আরোপিত উৎসে কর এক শতাংশ থেকে কমিয়ে সহনীয় হারে নির্ধারণের অনুরোধ জানান মন্ত্রী। পাশাপাশি মুরগীর খামার স্থাপনে কর অবকাশ সুবিধা দেওয়ারও অনুরোধ জানান তিনি।
‘দেশে মজুদ গ্যাসে চলবে আরও ১৬ বছর’

‘দেশে মজুদ গ্যাসে চলবে আরও ১৬ বছর’


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বর্তমান হারে উত্তোলন অব্যাহত থাকলে দেশে মজুদ গ্যাসে আর ১৬ বছর চলবে। রবিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকার দলীয় সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। নসরুল হামিদ বলেন, দেশের প্রাথমিক উত্তোলনযোগ্য গ্যাস ছিলো ২৭ দশমিক ১২ টিসিএফ (ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট)। এর মধ্যে এ পর্যন্ত (মে ২০১৫) ১২ দশমিক ৯৬ টিসিএফ গ্যাস উত্তোলিত হয়েছে এবং ১৪ দশমিক ১৬ টিসিএফ গ্যাস মজুদ রয়েছে। চলতি অর্থবছরের (২০১৪-১৫) ১১ মাসে ৮১৫ দশমিক ৯৮ বিসিএফ (বিলিয়ন কিউবিক ফুট) উত্তোলন হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাস উত্তোলনের এই হার অপরিবর্তিত থাকলে আরও প্রায় ১৬ বছর অর্থ্যাৎ ২০৩১ সাল পর্যন্ত মজুদকৃত গ্যাস ব্যবহার করা যেতে পারে। এ সময় প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গ্যাসের চাপ হ্রাসের কারণে বিদ্যমান ফিল্ডগুলোতে উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকবে।
'ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে আর কোনো শঙ্কা নেই'

'ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে আর কোনো শঙ্কা নেই'


তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক: ফাইবার অপটিক কেবল সর্বোচ্চ কত তথ্য স্থানান্তর করতে পারবে সেই সক্ষমতার সীমা ভেঙে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন গবেষকেরা। ফলে ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে আর আশঙ্কা করতে হবে না। তথ্য স্থানান্তরের চাপ বাড়তে থাকায় ফাইবার অপটিক কেবলের ধারণক্ষমতা নিয়ে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেদের সাম্প্রতিক এক উদ্ভাবনে সে সংকট অনেকটাই দূর হচ্ছে। ওয়েবে বিশাল ভলিউমের তথ্য স্থানান্তরের হার দ্রুতগতিতে বাড়ছে। এ নিয়ে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছিলেন যে ফাইবার অপটিক কেবল হয়তো আর বেশি লোড নিতে পারবে না। এতে ওয়েবের জায়গা ফুরিয়ে যাবে। তবে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, স্যান ডিয়েগোর গবেষকেরা ভয় পেতে মানা করছেন। তারা দাবি করেছেন, তারা ফাইবার অপটিকের সর্বোচ্চ ক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম হয়েছেন যাতে সংকেত নিখুঁতভাবে পাঠানো ও তার কোড ভাঙা যাবে। সম্প্রতি ‘সায়েন্স’ সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তারা জানিয়েছেন, এখন অপটিক সংকেত আরও বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারবে এবং এতে মানের কোনো হেরফের হবে না। ইন্টারনেটের মেরুদণ্ড হিসেবে পরিচিত অপটিক কেবলের এই ‘উন্নতি’ তথ্য স্থানান্তরের গতিও বাড়াতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন গবেষকেরা। গবেষক নিকোলা অ্যালি এই উদ্ভাবনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘এখনকার ফাইবার অপটিক সিস্টেম হচ্ছে চোরাবালির মতো। চোরাবালিতে পড়ে গেলে যত নড়াচড়া করা হবে ততই দ্রুত তলিয়ে যেতে হবে। ফাইবার অপটিকসের ক্ষেত্রে, একটি নির্দিষ্ট পয়েন্টে গিয়ে সংকেতের সঙ্গে যত শক্তি যোগ করা হবে তত বেশি তথ্যপ্রবাহে বাধা পড়বে। এতে তথ্য বেশি দূর পর্যন্ত পৌঁছাবে না। এ ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য ছিল ফাইবার অপটিক কেবলের এই পাওয়ার লিমিট বা শক্তির সীমাবদ্ধতাকে দূর করা। এতে সংকেত যাতে বেশিদূর পৌঁছায় সে পথের বাধা দূর করা হয়।’ গবেষণার জন্য অপটিক সংকেতের শক্তি ২০ গুণ বাড়িয়ে দেন গবেষকেরা। এতে কোনো বাধা ছাড়াই অপটিক সংকেতকে সাত হাজার ৪৫৬ মাইল পর্যন্ত পাঠাতে সক্ষম হন তারা। এই দূরত্ব পর্যন্ত সংকেত পাঠাতে তারা ‘রিভার্স’ পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। গবেষকেরা বলেন, সাধারণত যখন অপটিক সংকেত স্থানান্তরের পেছনে শক্তি বেশি থাকে তখন ‘ক্রসটক’ বা প্রতিবন্ধকতা বেশি হয়। কিন্তু এই ধরনের প্রতিবন্ধকতার মাত্রা ও ধরন অনুমানযোগ্য। গবেষকেরা সংকেত নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর পর তা ‘রিভার্স’ বা বিপরীতমুখী করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট গিজমোডোর গবেষকেরা বলছেন, বাস্তব জগতের ইন্টারনেটের উন্নতির জন্য এই উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে আরও অনেক কাজ করতে হবে। কিন্তু ভবিষ্যৎ অপটিক্যাল নেটওয়ার্কের জন্য এটি প্রতিশ্রুতিশীল একটি পদক্ষেপ যাতে ভবিষ্যতে দ্রুতগতিতে ও কম খরচে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে। (ইউসিএসডি নিউজ সেন্টার, ইয়াহু নিউজ, গিজমোডো)
কানাইঘাটে টি.আর কাবিখা প্রকল্পে হরিলুট ॥ কাজ করার পূর্বে বিল উত্তোলনের হিড়িক

কানাইঘাটে টি.আর কাবিখা প্রকল্পে হরিলুট ॥ কাজ করার পূর্বে বিল উত্তোলনের হিড়িক



মো: মাহতাব আহমদ(সেলিম)
: কানাইঘাটে প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠা অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি ও সিন্ডিকেটের কারণে টি.আর কাবিখার চাল সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অর্ধেক মূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য করা হচ্ছে। সরকারী নির্ধারিত মূল্য উপেক্ষা করে এ সিন্ডিকেট চক্র টি.আর কাবিখা প্রতিটন ২৫ হাজার টাকার চাল ও গম ১৩ হাজার টাকায় ক্রয় করছে। ফলে সরকারের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের জন্য নেওয়া টি.আর কাবিখা প্রকল্পের উদ্দেশ্যে কানাইঘাটে সফল হচ্ছে না। এসব কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হচ্ছে। ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত টি.আর, কাবিখা প্রজেক্টের কাজে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়। নাম মাত্র কাজ করে অধিকাংশ প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। বিশেষ করে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ টি.আর বিশেষ ২য় পর্যায়ে ৯৭টি প্রজেক্টের অনুকূলে ২৯ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উক্ত নগদ অর্থ প্রকল্পে নতুন সংযোজন, ৪৪টি প্রজেক্টের অনুকূলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন ও বাসা বাড়ীতে সৌর বিদ্যুতের সোলার প্যানেল স্থাপনে দলীয় অগ্রাধিকার সহ নানা অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। সৌর বিদ্যুৎ সোলার প্যানেল স্থাপনে অর্থ বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সোলার প্যানেল স্থাপনের পূর্বে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কাজের ডি.ও লেটার তোলার হিড়িক পড়েছে। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাসা বাড়ীতে সোলার প্যানেল স্থাপনে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শীর্ষেন্দু পুরকায়স্থ পাতাকুঁড়ি নামক একটি সোলার প্যানেল কোম্পানীর সাথে আতাত করে রমরমা ব্যবসা করছেন। উক্ত সোলার প্যানেল কোম্পানী থেকে প্রকল্প সভাপতিদের সোলার প্যানেল কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো, রক্ষণাবেক্ষণ টি,আর বিশেষ ২য় পর্যায়ের কাজের জন্য সোলার প্যানেল স্থাপনের অনুকূলে ৪৪টি এবং গ্রামীণ রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে ৫৩টি প্রজেক্টের মোট ২৯ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সরেজমিনে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ঘুরে দেখা গেছে কাজ না করে ডিও লেটার তোলার হিড়িক পড়েছে। জাতীয় পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সোলার প্যানেল স্থাপন সহ অর্থবরাদ্দের ডিও লেটার নিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে সোলার প্যানেল স্থাপনের কাগজপত্র, মাষ্টার রুল তৈরি করতে টন প্রতি পিআইও অফিসে গুনতে হচ্ছে প্রকল্প সভাপতিদের ১-২ হাজার টাকা। কানাইঘাট উপজেলায় এমন পরিস্থিতিতে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জাতীয় পার্টির কয়েকজন নেতা এবং সিলেট-৫ কানাইঘাট-জকিগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য বিরোধী দলীয় হুইপ আলহাজ্ব সেলিম উদ্দিনের ব্যক্তিগত পিএস’কে নগদ অর্থ দিয়ে খুশি করতে গিয়ে পদে পদে বিপাকে পড়েছেন। কাজ সম্পন্ন করার পূর্বেই কাজের বরাদ্দকৃত টাকা নয় ছয় হয়ে যাচ্ছে। এমন অভিযোগ করেছেন, প্রকল্প সভাপতি ও সংশ্লিষ্ট কমিটির অনেকে। অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য টেস্ট রিলিফ (টি.আর) এবং গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কারের জন্য কজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পের প্রতি টন চালের সকার নির্ধারিত দাম ৩৫ হাজার ৪৮১ টাকা। আর এক টন চালের বর্তমান বাজার মূল্য ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু কানাইঘাটে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা টন প্রতি ১৪ হাজার টাকার বেশি দামে চাল ও গম কিনতে নারাজ। ব্যবসায়ীদের এ সিন্ডিকেটে যুক্ত আছেন স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সেলিম উদ্দিন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে কাবিখা সাধারণ প্রথমে ১৭০ মে. ট্রন পরে ১৭০ মে. ট্রন, কাবিখা বিশেষ প্রথমে ১৫০ মে.ট্রন পরে ৭৪ মে.ট্রন মোট ৫৬৪ মে.ট্রন ও কাবিখা বিশেষ অর্থ ১৪ লক্স ৬০ হাজার টাকা, টি.আর সাধাঃ প্রথমে ১৪৬ মে. ট্রন চাল ও পরে নগদ অর্থ ২৯ লক্ষ ৩৩হাজার ৭৯টাকা এবং টি.আর বিশেষ প্রথমে ১৬২ মে. ট্রন চাল ও পরে নগদ অর্থ ২৯ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ পান। আর এসব বরাদ্দকৃত চাল, গম ও নগদ অর্থের তালিকায় উপজেলা জুড়ে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দের তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে জাতীয় পার্টির কয়েকজন নেতা এক তৃতীয়াংশ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার পূর্বেই। এমন অভিযোগ করেছেন, উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলা উদ্দিন মামুনসহ দলের অনেকে। এতে উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ পরিলক্ষিত হচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান সিলেট-৫ আসনের সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব হাফিজ আহমদ মজুমদার কানাইঘাটে একটি অনুষ্ঠানে এলে উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে এম.পি সেলিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তিনি টি.আর, কাবিখা প্রকল্পে সর্বত্র দলীয়করন করছেন। আর এসব প্রকল্পে হরিলুট হচ্ছে। কোন কাজ করা হচ্ছে না। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শীর্ষেন্দু পুরকায়স্থের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ৩১ জুনের মধ্যে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণা বেক্ষণ, টি.আর বিশেষ ২য় পর্যায় বরাদ্দকৃত নগদ টাকা আমাদের বিতরণ করতে হবে। সোলার প্যানেল স্থাপনে প্রজেক্টের কোন অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার পর স্থানীয় সাংবাদিকদের সরেজমিনে নিয়ে যাওয়া হবে। উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক বাবুল আহমদ বলেন, টি.আর, কাবিখা বিতরণে দলীয় নেতাকর্মীদের অগ্রাধিকার দেওযার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, তার জানামতে কেউ প্রজেক্ট অন্তর্ভুক্ত করতে গিয়ে টাকা নিচ্ছে না। উদ্দেশ্যে প্রণোদীত ভাবে অপপ্রচার করা হচ্ছে।