Monday, November 17

সারাবিশ্বে শিশুমৃত্যুর প্রধান কারণ আগাম জন্মগ্রহণ


কানিউজ ডেস্ক: আগাম জন্মের কারণে সারাবিশ্বে প্রতিদিন তিন হাজারেরও বেশি শিশু মারা যায়।প্রথমবারের মত একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আগাম জন্ম বা মাতৃগর্ভে ৩৭ সপ্তাহ পূর্ণ করার আগে জন্মগ্রহণ করার ফলে শিশুদের শরীরে যেসব জটিলতা তৈরি হয়, তাতে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শিশু মারা যায়। ২০১৩ সালে সারা পৃথিবীতে পাঁচ বছরের কমবয়সী প্রায় ৬৩ লক্ষ শিশু মারা গেছে, যাদের মধ্যে ১১ লাখ আগাম জন্ম সংক্রান্ত জটিলতায় মারা গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, লন্ডন স্কুল অব হাইজিন এন্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন এবং জন্সহপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের একটি গবেষক দল যৌথভাবে গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন। নতুন এই গবেষণায় বলা হয়, ২০১৩ সালে সারা পৃথিবীতে আগাম জন্মের ফলে সৃষ্ট জটিলতায় মারা যাওয়া শিশুদের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিশুমৃত্যু ঘটে জন্মের প্রথম ২৮ দিনের মধ্যেই। গবেষকরা শিশু মৃত্যুর অন্যান্য কারণগুলোর মধ্যে নিউমোনিয়া, জন্মের সময়ে এবং তার পরবর্তী সময়ে সৃষ্ট বিভিন্ন জটিলতাকে চিহ্নিত করেছেন। আগাম জন্ম জটিলতায় প্রতিবছর পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশুমৃত্যু সবচেয়ে বেশি হয় ভারতে। দেশটিতে বছরে গড়ে সাড়ে তিনলাখেরও বেশি এমন শিশু মারা যায়। এর পরের অবস্থানেই রয়েছে নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, এবং ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো। বাংলাদেশেও আগাম জন্ম সংক্রান্ত জটিলতাই এখন শিশুমৃত্যুর প্রধান কারণ। বাংলাদেশে মোট শিশুমৃত্যুর শতকরা ৪৫ শতাংশই হয় এসংক্রান্ত জটিলতায়। কয়েকটি উন্নত দেশেও আগাম জন্ম সংক্রান্ত জটিলতাই শিশুমৃত্যুর প্রধান কারণ হিসেবে উঠে এসেছে। এ সংক্রান্ত জটিলতার ফলে শিশুমৃত্যুর শতকরা হারের দিক দিয়ে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে মেসেডোনিয়া, যেখানে শিশুমৃত্যুর অর্ধেকেরও বেশি ঘটে আগাম জন্ম নেয়া শিশুদের ক্ষেত্রে। এরপরের অবস্থানেই রয়েছে স্লোভেনিয়া, ডেনমার্ক, সার্বিয়া, যুক্তরাজ্য এবং হাঙ্গেরি। ১৭ নভেম্বরকে বিশ্ব অপরিণত শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়