Friday, October 31

অস্ট্রেলিয়ায় নিহত কানাইঘাটের শাহিদুরের পরিবারে চলছে শোকের মাতম

অস্ট্রেলিয়ায় নিহত কানাইঘাটের শাহিদুরের পরিবারে চলছে শোকের মাতম

 কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
গত ২৭ অক্টোবর সোমবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরে সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হওয়া কানাইঘাটের শাহিদুর রহমান শাহীনের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। শাহিদের মৃত্যুকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে মেনে নিতে পারছে না তাঁর পরিবার,কমিউনিটি ও এলাকার লোকজন। শাহিদুর রহমান শাহীন ল্যাকেম্বায় সদ্য চালুকৃত একটি মানি-এক্সচেঞ্জের পরিচালক হিসেবে কমিউনিটিতে অল্প সময়ের মধ্যে বেশ সুনাম অর্জন করেছিলেন।  গ্রামের নিবাস সিলেটে বিধায় সিলেটী শাহীন নামেও তিনি কমিউনিটিতে পরিচিত ছিলেন। এছাড়াও সদা হাস্যজ্জল অমায়িক এই যুবকের অন্য এক পরিচিতি ছিল স্থানীয় যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। পিতামাতা ও ভাইবোন সহ কিং জর্জেস রোডের এক বাসাতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলেন শাহিদুর রহমান শাহীন। উল্লেখ্য যে,গত
গত ২৭ অক্টোবর সোমবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরে সন্ত্রাসীদের হাতে খুন কানাইঘাটের শাহিদুর রহমান শাহিন।
 ক্যাম্পসী লোকাল পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট এখনও প্রকাশিত না হলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা মৃতদেহটি পার্কের গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় বলে জানান।  ঘটনার দিন রাতে এশার আগ পর্যন্ত শাহিদ নিজ বাসাতেই অবস্থান করছিলেন। এক সূত্র থেকে জানাযায়, রাত নয়টার দিকে এক ফোন কলের পর পরই বড় এক অঙ্কের টাকার লেনদেনের কথা জানিয়ে ঘর থেকে বের হন তিনি। অবশ্য, বিস্তারিত তথ্য উদ্ঘাটনের উদ্দেশ্যে শাহিদের অফিস ও বাসার বিভিন্ন বস্তু বর্তমানে পুলিশের তদন্তনাধীন রয়েছে বলে একটি সূত্রে জানা যায়। পরদিন সকালে প্যারি পার্ক থেকে পুলিশ উদ্ধার করে শাহিদের মরদেহ। বেশ কিছুদিন আগে  শাহিদ ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে বেশ কয়েক হাজার নগদ টাকা হারান। টাকা ছিনতাইয়ের পর ছিনতাইকারীরা শাহিদকে গুরুতরভাবে আহত করে।  বাংলাদেশী কমিউনিটির এমনই একজন সফল, কর্মঠ, মিশুক, সদাহাস্য উদীয়মান যুবক ব্যবসায়ীকে হারিয়ে ভীষণভাবে শোকাহত। আজ ৩১ অক্টোবর শুক্রবার জুময়ার নামাজের পর ল্যাকেম্বার অয়াঞ্জী রোড মসজিদে শাহিদের নামাজে যানাযা অনুষ্ঠিত হয়ার কথা ছিল তবে যাম্পসী লোকাল পুলিশ অনিবার্য কারণবশতঃ তা স্থগিত করে দেয়। শাহিদের জানাযায় শরীক হতে আসা শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেছেন তাঁর পরিবার ও নিকটজনেরা। স্থানীয় ক্যাম্পসী পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে পরবর্তীতে শাহিদের জানাযার সময়সূচী সবাইকে অবহিত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
ফালুই প্রথম ফোন করেন ফায়ার সার্ভিসে

ফালুই প্রথম ফোন করেন ফায়ার সার্ভিসে


কানিউজ ডেস্ক : রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন (বিএসইসি) ভবনের ১১ তলায় অগ্নিকাণ্ডের পর ফায়ার সার্ভিসে প্রথম ফোন করেন এনটিভির চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী ফালু। এনটিভি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল ৯টায় শুরু হয়েছিল বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির নিজস্ব উদ্যোগে সংবাদকর্মীদের দুই ধাপে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রথম কর্মশালা। কর্মশালায় এনটিভির ১৬জন প্রতিবেদকসহ প্রডাকশন বিভাগের কয়েকজন সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় ক্লাশ নিচ্ছিলেন দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী। এ সময় ভবনের ৮তলায় নিজস্ব চেম্বারে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী ফালু। এনটিভির নিজস্ব উদ্যোগে আরেকটি কর্মশালা আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সূত্র আরো জানায়, নভেম্বর ২০১৩ সাল থেকে একই ভবনে অবস্থিত আরটিভির মালিকানা কাগজে-কলমে বুঝে পেয়েছেন ফালু। কিন্তু তিনি এখনো ওই বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকানা বাস্তবে বুঝে পাননি। এদিকে ২০০৭ সালে বিএসইসি ভবনে আগুন লাগার পরে এনটিভি অফিস স্থানান্তরের পরিকল্পনা করছিলেন কর্তৃপক্ষ। এফডিসির পাশে অবস্থিত নিজস্ব ভবন গ্রীন ইনে তা স্থানান্তরের কথা হচ্ছিল বলে সূত্র জানায়। ফায়ার সর্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, শুক্রবার বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে ওই ভবনে আগুন লাগার খবর পেয়ে অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর ১৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। বেলা ১টা ৫৬ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার কথা জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক আলী আহমেদ খান। এনটিভি, আরটিভি, আমার দেশ এবং বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় রয়েছে ওই ভবনে। ২০০৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি এই ভবনে আগুন লেগে এনটিভি, আরটিভি ও আমার দেশসহ ১০টি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় পুড়ে যায়, মৃত্যু হয় তিন জনের। অগ্নি নির্বাপক কর্মী এবং ওই ভবনের বিভিন্ন কার্যালয়ের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১১ তলায় আমার দেশের একটি গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে আজ ছুটির দিন হওয়ায় ওই ভবনের বেশিরভাগ কার্যালয় বন্ধ ছিল। কিন্তু গণমাধ্যম কার্যালয়গুলোতে সাধারণত সবসময়ই কর্মীরা থাকেন। আগুন লাগার পরপরই ওইসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা নেমে আসেন বলে উপস্থিত কর্মীরা জানান। দৈনিক আমার দেশ সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে আমার দেশ অফিসের কার্যালয় নিকেতনে শিফট করার কথা ছিল। এ কারণে নিউজ রুমের কেউ সকালে অফিসে ছিলেন না। এ ব্যাপারে আরো জানা যায়, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন (বিএসইসি) ভবন শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। এ ভবনে ভাড়া বাবদ আমার দেশ পত্রিকার কাছে কয়েক কোটি পাওনা রয়েছে বিএসইসির। এদিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্র্মীরা। এ সময় এনটিভির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসাদ্দেক আলী ফালু সাংবাদিকদের বলেন, ‘বারবারই এ ভবনে আগুন লাগে, আর আমি বারবারই ক্ষতিগ্রস্ত হই। তদন্ত হয়, কিন্তু রিপোর্ট পাই না। তদন্ত কি হয় তা জানা যায় না। বার বার এ ভবনে আগুন লাগে কেন তা জানা দরকার। আমি সকলের দোয়া চাই।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আমার দেশ পত্রিকার এক কর্মচারী জানান, অফিস পরিবর্তনের জন্য কয়েকটা এসি ও চেয়ার লিফটে করে নামানো হয়। আরো মালামাল নামানোর প্রস্তুতি চলছিল। এ সময় উত্তর-পূর্ব দিকের স্টোর রূমে আগুনের ফুলকি দেখা যায়। স্টোর রূম তালাবন্ধ ছিল। চাবি দিয়ে খুলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন তারা। তারপর ভবন থেকে নেমে পড়েন। অন্যদিকে আগুন নেভানোর কাজ চলার সময়ই বিএসইসি ভবনের নিচে এসে পৌঁছান শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। এ সময় ২০০৭ সালে এ ভবনে অগ্নিকাণ্ডের পর যে তদন্ত কমিটি হয়েছিল, তার প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিষয়টি দেখব। এখন আমার জানা নেই।’
মেয়ের সামনেই মাকে গণধর্ষণের অভিযোগ

মেয়ের সামনেই মাকে গণধর্ষণের অভিযোগ


ঢাকা : বিজেপি-সমর্থিত পরিবারের এক গৃহবধূকে তার মেয়ের সামনেই গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন নির্যাতিত মহিলা। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহারের বরোট গ্রামে অক্টোবরের ১৮ তারিখে এ ঘটনা ঘটে। তবে প্রাণনাশের হুমকিতে ভয় পেয়ে ওই মহিলা এত দিন পুলিশকে অভিযোগ জানাননি। আজ শুক্রবার নির্যাতিতা মহিলা ইটাহার থানায় তৃণমূল কংগ্রেসের ওই নেতাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার রাতে ওই মহিলার বাড়িতে এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হিসেবে পরিচিত ১০-১২ জন দুষ্কৃতকারী হামলা চালান। পরিবারের লোকজনকে মারধরের পাশাপাশি তাদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগে জানানো হয়। পুলিশকে ওই মহিলা জানিয়েছেন, ওই দুষ্কৃতকারীরা ঘরে ঢুকে তার ১০ বছর বয়সী মেয়ের সামনেই তাকে গণধর্ষণ করে। মেয়েটিরও শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ ওই নির্যাতিতার। খবর পেয়ে ইটাহারের প্রাক্তন বিধায়ক শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায় তাদের বাড়িতে যান। তিনিই ওই মহিলাকে পুলিশে অভিযোগ জানাতে বলেন। শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায়ের কথামতো নির্যাতিতা মহিলা স্থানীয় থানায় অভিযুক্তদের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ইটাহারের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক ও জেলা সভাপতি অমল আচার্য জানিয়েছেন, অভিযোগটি গুরুতর। আইন নিজস্ব পথেই চলবে। কোনো রাজনৈতিক রং না দেখে পুলিশকে তদন্ত করতে অনুরোধ করা হবে বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি শুভ্র রায়চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, সারা রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। ইটাহারের ঘটনা তাতে আর একটি সংযোজন। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করার দাবি জানান তিনি।
চিরকুমার সমিতি: নতুন উপদেষ্টা জমসের, বাদ রেলমন্ত্রী

চিরকুমার সমিতি: নতুন উপদেষ্টা জমসের, বাদ রেলমন্ত্রী


কুমিল্লা: বিয়ে করে নতুন ইনিংস ‍শুরু করছেন কুমিল্লার চিরকুমার সমিতির প্রধান উপদেষ্টা রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। এ কারণে চিরকুমার সমিতির পদ হারাচ্ছেন তিনি। তার স্থলে সমিতির প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে জমসের আলী সর্দারকে মনোনীত করা হয়েছে। সমিতির নেতারা জানান, চিরকুমার জমসের আলী সর্দারকে (১০২ বছর) নতুন প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে বরণের প্রস্তুতি চলছে। ৬৮ বছর বয়সে প্রধান উপদেষ্টা চলে যাওয়ায় বর্তমানে চিরকুমার সমিতি অপেক্ষাকৃত ‘‘কমবয়সী’’ কোনও চিরকুমারকে আর বিশ্বাস করতে পারছে না। চির কুমার সমিতির মহাসচিব ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা রেলমন্ত্রীর বিয়েতে আমরা মর্মাহত। তবে তার জন্য শুভ কামনা রইলো। আমরা শিগগিরই নতুন উপদেষ্টাকে বরণ করে নেবো।’ নতুন উপদেষ্টা জমসের আলী সর্দার কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি থাকেন দুর্লভপুরের উত্তর পাড়ায় একটি পৃথক টিনের ঘরে। তার এক ভাই ও চার বোন সবাই মারা গেছেন। দূর সম্পর্কের আত্মীয়-স্বজনরা তার দেখাশোনা করেন। বয়স ১০২ হলেও তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। নিজের বিষয়-সম্পত্তির একটি অংশ দান করেছেন সমাজের কল্যাণে। তিনি দুর্লভপুর হাই স্কুলের জন্য দুই একর জায়গা (মূল্য চার কোটি টাকা) দান করেছেন।
কারওয়ানবাজারে বিএসইসি ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

কারওয়ানবাজারে বিএসইসি ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে


স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর কারওয়ানবাজারে বিএসইসি ভবনে আমার দেশ কার্যালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বেলা সোয়া দুইটার দিকে এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেলর আলী হামদ খান। দুপুর ১২টার দিকে আগুন লাগে বিএসইসি ভবনে। ভবনে বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভি ও আরটিভির অফিসও রয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট। এছাড়া সেখানে ব্যবহার করা হয় তিনটি ল্যাডার। এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমান নিয়ে দুই শিশুর মামলা

মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমান নিয়ে দুই শিশুর মামলা


কানিউজ ডেস্ক : মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানে থাকা এক যাত্রীর দুই শিশু সন্তান মালয়েশীয় এয়ারলাইনস ও দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ফ্লাইট এমএইচ৩৭০-এ থাকা তাদের বাবাকে উদ্ধারে বিমান সংস্থা ও সরকারের অবহেলার অভিযোগে এই মামলা করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানে থাকা যাত্রীদের স্বজনদের পক্ষে এটিই প্রথম মামলা। শুক্রবার বিবিসি ও আলজাজিরা অনলাইনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত মার্স মাসের ৮ তারিখে নিখোঁজ হওয়া বিমানে ছিলেন জি জিং হান নামে এক মালয়েশীয়। ইন্টারনেটভিত্তিক তার একটি ব্যবসা ছিল। প্রতি মাসে আয় ছিল ৫ হাজার ১৭৮ মার্কিন ডলার। তাকে হারিয়ে তার পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় বাবাকে হারানোর জন্য মালয়েশীয় এয়ারলাইনসের কর্তৃপক্ষ ও সরকারকে দায়ী করেছে জি জিং হানের দুই সন্তান। তাদের নাম জি কিনসন ও জি কিনল্যান্ড। কিনসন ও কিনল্যান্ড অভিযোগে বলেছে, এমএইচ ৩৭০ ফ্লাইটটি রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর মালয়েশীয় এয়ারলাইনস বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে অবহেলা করেছে। তা ছাড়া অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুগে এই ধরনের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
জেনে রাখুন চটজলদি হেঁচকি বন্ধ করার ১০টি দারুণ উপায়

জেনে রাখুন চটজলদি হেঁচকি বন্ধ করার ১০টি দারুণ উপায়


ফারজানা রিংকী হেঁচকি নিয়ে এই জীবনে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন নি, এমন মানুষ পৃথিবী খুঁজেও মিলবে না। মারাত্মক ব্যাপার এই হেঁচকি। আর সেটা যদি ভরা পেটে হয়, তাহলে তো আরও মারাত্মক আকার ধারণ করে। অফিসে, ক্লাসের ফাঁকে, খাওয়ার সময় বা ঘুমের মাঝে হেঁচকি একটা চরম বিব্রতকর অবস্থা। এমন সময়ে কী করবেন চট করে হেঁচকি দূর করতে? জেনে নিন ১০ টি উপায়, একটি না একটি তো কাজে আসবেই। হেঁচকি বন্ধ করার কিছু তাৎক্ষণিত প্রাকৃতিক উপায় : ১. আপনার যদি এমন হঠাৎ করে হেঁচি ওঠে তাহলে লম্বা শ্বাস নিয়ে ভেতরে অনেকক্ষণ রাখুন। এক্ষেত্রে অবশ্যই নাক বন্ধ রাখুন। ২. কাগজের ব্যাগের ভেতরে মাথা ঢুকিয়ে নিশ্বাস নিন। ৩. এক চামচ মাখন বা চিনি খেতে পারেন। এটি হেঁচকি কমাতে সহায়ক। ৪. মুখের উপরের অংশটিতে ভালোভাবে ম্যাসেজ করুন। প্রয়োজনে গলার পেছনের অংশে হালকা ম্যাসেজ করুন। এতেও হেঁচকি কমবে। ৫. বেশি করে পানি খান। বিশেষ করে বরফ পানি খেলে তাড়াতাড়ি উপকার পাওয়া যায়। ৬. আপনি যখন নাক দিয়ে নিশ্বাস নিবেন তখন নাকে হালকা করে চাপ দিন। এটি হেঁচকি কমাতে সহায়ক। ৭. লম্বা নিঃশ্বাস নিন। হাঁটুকে বুকের কাছাকাছি এনে জড়িয়ে ধরুন এবং কয়েক মিনিট এভাবেই থাকুন। ৮. হেঁচকি বন্ধ করার জন্য জিহ্বাতে লেবুর একটি অংশ রাখুন এবং মিষ্টি মনে করে তা চুষুন। এটি হেঁচকি বন্ধে বেশ কার্যকর। ৯. হেঁচকি বন্ধে লেবুর রসের সাথে আদা কুচিও খেতে পারেন। ১০. হেঁচকি বন্ধে সহায়ক আরেকটি উপায় হল দুই কানে দুই আঙ্গুল ঢুকিয়ে কিছুক্ষণ থাকুন। দেখবেন হেঁচকি নিমেষেই বন্ধ হয়ে গেছে।
আমার দেশের কার্যালয় পুড়ে ছাই

আমার দেশের কার্যালয় পুড়ে ছাই


স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর কাওরান বাজারে বিএসইসি ভবনে অগ্নিকাণ্ডে দৈনিক আমার দেশের কার্যালয় পুরোপুরি পুড়ে গেছে। আজ ওই কার্যালয়ের মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছিল। এরমধ্যেই অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। আগুনে পত্রিকাটির অফিস আসবাব, কম্পিউটার, সার্ভার স্টেশন ও রক্ষিত পত্রিকা পুড়ে যায় বলে জানিয়েছেন নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ। এর আগে ২০০৭ সালের অগ্নিকা-ে এনটিভি ও আরটিভি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আমার দেশের কার্যালয়ে কম ক্ষতি হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত আমার দেশ কার্যালয় ঘুরে দেখা গেছে কার্যালয়ে থাকা সব কিছু পুড়ে গেছে। অক্ষত বলতে কিছু নেই। আগুনে পুড়ে উপরের সিলিং নিচে পড়ে গেছে। কাগজপত্র, ফাইল, কম্পিউটার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আমার দেশের স্টোর রুম থেকেই আগুনের সূত্রপাত। তবে কি কারণে আগুন লেগেছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আগুনে ভবনের ১১তম তলায় অবস্থিত ব্যারিস্টার তানজিব উল আলমের ল চেম্বারও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই তলায় আরও একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় ছিল। আমার দেশের অফিস সহকারী আব্বাস আলী জানান, অফিস পরিবর্তনের জন্য সকাল থেকে আমরা কাজ করছিলাম। কয়েকটি এসি নামিয়েছিলাম। এরমধ্যেই স্টোর রুমে আগুন দেখতে পাই। ওই কক্ষের তত্ত্বাবধায়ক বাইরে থাকায় তাকে ডেকে এনে তালা খোলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও তা ছড়িয়ে পড়ে।
ললিপপ পাচ্ছে যেসব ডিভাইস

ললিপপ পাচ্ছে যেসব ডিভাইস


তুসিন আহমেদ অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের নতুন ভার্সন ললিপপ। পুরনো ডিভাইস ব্যবহারকারীরা মন খারাপ করে আছেন, তাদের ফোনে কি আপডেট হবে ললিপপ! জুনে গুগল আইও সম্মেলনে নতুন এ ভার্সনটির ঘোষণা দেয় গুগল। সম্প্রতি অবমুক্ত হওয়া ভার্সনটিতে যুক্ত হয়েছে ম্যাটেরিয়াল ডিজাইন, যা আগের তুলনায় বেশ গতিময়। ওএসটির সূত্রপাত হতে যাচ্ছে গুগলের নেক্সাস ডিভাইস দিয়ে। অর্থাৎ, মোটোরোলার তৈরি নেক্সাস৬ স্মার্টফোনের হাত ধরে। এছাড়া এইচটিসির ৮.৯ ইঞ্চির নেক্সাস৯ ট্যাবেও থাকবে ললিপপ। সবার জন্য না হলেও স্যামসাং এবং এলজির কয়েকটি মডেলের জন্য ললিপপ আপডেট পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গুগল। এজন্য অপেক্ষা করতে হবে বছরের শেষ পর্যন্ত। জানা গেছে, গ্যালাক্সি এস৫, এলজির জি৩ এবং জি প্রো২ মডেলে এটি আপডেট করা যাবে। পরে পর্যায়ক্রমে এলজি জি৩ এস, জি২ মডেলে এ আপডেট দেয়া হবে। এমনকি মিড রেঞ্জ স্মার্টফোন এলজি এল৯০ ও এল৭০ ডিভাইসও লপিপপ আপডেট পাবে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নেক্সাস৫, নেক্সাস৭ এবং নেক্সাস১০ ডিভাইসেও ওএসটি যুক্ত হবে। আর শুধু নেক্সাসই নয়, মোটোরোলার মোটো এক্স, মোটো জি, মোটো ই, ড্রয়েড ম্যাক্স, ড্রয়েড মিনি এবং ড্রয়েড আলট্র ডিভাইসেও এক মাসের মধ্যে ললিপপ আপডেট করে নেয়া যাবে। তবে প্লে-এডিশনে নির্দিষ্ট কোন কোন ডিভাইসে ললিপপ কাজ করবে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বর্তমানে গুগলের প্লে-এডিশনের মধ্যে রয়েছে মোটো জি ও এইচটিসি ওয়ান এম৮। এর আগে প্লে-স্টোরে বিক্রি হয়েছে স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এস৪, এইচটিসি ওয়ান (এম৭), সনি জেড আলট্রা এবং এলজি জি প্যাড ৮.৩। এগুলো ছাড়াও তাইওয়ানের এইচটিসি তিন মাসের মধ্যে এইচটিসি ওয়ান এম৮ ও এম৭, এম ওয়ান এম৭, ওয়ান এম৮, ওয়ান মিনি, ওয়ান মিনি২ ডিভাইসগুলোয় আপেডট দেবে। এছাড়া সনির এক্সপেরিয়া জেড সিরিজেও শিগগিরই পাওয়া যাবে ললিপপ।
ভার্চুয়াল স্টেডিয়ামে লিগ অব লিজেন্ডস

ভার্চুয়াল স্টেডিয়ামে লিগ অব লিজেন্ডস


হাসান শাহরিয়ার হৃদয় যেন প্রিমিয়ার লিগের ফুটবল ম্যাচ। ৪০ হাজার দর্শক গ্যালারিতে বসে গলা ফাটিয়ে সমর্থন জোগাচ্ছেন প্রিয় দলকে। খেলছেন সব সুপারস্টার খেলোয়াড়। শুধু তা-ই নয়, করপোরেট স্পন্সর থেকে শুরু করে মিলিয়ন ডলারের পুরস্কারও রয়েছে ম্যাচে। ওপরের বাস্তবতা বাস্তবের নয়, একটি কম্পিউটার গেমের। আর এ খেলার একমাত্র উপকরণ মাউস। লিগ অব লিজেন্ডস ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ-২০১৪ এর ফাইনাল ছিল এটি। অনলাইন মাল্টিপ্লেয়ার গেম বা ই-স্পোর্টস হওয়া সত্ত্বেও মূলধারার যে কোনো খেলার মতো এতেও উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। সিউলের ওয়ার্ল্ড কাপ স্টেডিয়ামের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল স্টার হর্ন রয়্যাল ক্লাব এবং স্যামসাং হোয়াইট। আর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে টেলিভিশনের সামনে বসে এটি উপভোগ করেছেন কয়েক লাখ গেমপ্রেমী। ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়নশিপে জিতেছে হো-স্যানের দল স্যামসাং হোয়াইট। পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে ১০ লাখ ডলার। লিগ অব লিজেন্ডস মূলত একটি টিম গেম। প্রতি টিমে সদস্য পাঁচজন, যাদের পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র হয়ে খেলতে হয়। প্রতিটি চরিত্রকে বলা হয় চ্যাম্পিয়ন। একেক চ্যাম্পিয়নের ক্ষমতা একেক রকম। কারও শক্তি অনেক, কিন্তু সহজে দম ফুরিয়ে যায়; কেউ খুন করতে পারদর্শী, কিন্তু সহজে মারা পড়ে; আবার কেউ দীর্ঘসময় বেঁচে থাকতে পারে, কিন্তু বিশেষ কোনো ক্ষমতা নেই। খেলাটির মূল লক্ষ্য প্রতিপক্ষের চ্যাম্পিয়নদের কাবু করে কোনো বিশেষ জিনিস ছিনিয়ে নেয়া। প্রত্যেক চ্যাম্পিয়নের মধ্যে বোঝাপড়া ও সমন্বয়ের মাধ্যমেই তা সম্ভব। লিগ অব লিজেন্ডস গেমটির নির্মাতা ক্যালিফোর্নিয়ার রায়ট গেমস। বর্তমানে প্রায় ৩ কোটি গেমার প্রতিদিন এটি খেলে। একসঙ্গে ৭ কোটি মানুষ খেলার রেকর্ডও আছে। একে এখনকার সবচেয়ে বড় ই-স্পোর্টস বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সময় নিয়ন্ত্রণ ও স্ট্র্যাটেজির কারণে গেমটি তুমুল জনপ্রিয় বলে নির্মাতারা মনে করেন এবং বিনামূল্যে যে কেউ এটি খেলতে পারেন। তবে বাড়তি ফিচারগুলো ব্যবহারের জন্য অর্থ ব্যয় করতে হয়। আর এ বাড়তি ফিচার বিক্রি থেকে গেমটির বার্ষিক আয় ৬০ কোটি ডলারেরও বেশি। গেমটির প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জানায়, তাদের বেশিরভাগ খেলোয়াড় পুরুষ। অবশ্য মেয়েদের কয়েকটি টিম রয়েছে। গ্র্যান্ড ফাইনালের দর্শকদের মধ্যেও পুরুষের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। সব খেলায় যেমন তারকা থাকে, এতেও আছে। সেরা খেলোয়াড়রা এরই মধ্যে খ্যাতি ও প্রতিপত্তির দিক থেকে অনেক এগিয়ে গেছেন। তাদের পোস্টার পেতে রীতিমতো ভক্তদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পরে যায়। বড় বড় স্পন্সররাও তাই দ্রুত আকৃষ্ট হয়ে পড়েন এ ই-স্পোর্টসের প্রতি। লিগ অব লিজেন্ডসের অন্যতম তারকা সান হো-স্যান নিজের ব্যাপারে বলেন, 'সবাই যখন দুপুরের খাবার খায়, তখন আমি ঘুম থেকে উঠি। চ্যাম্পিয়ন হতে চাইলে প্রতিদিন অন্তত ১০ ঘণ্টা প্র্যাকটিস করতে হবে। ২২ বছর বয়সী এ যুবক জানান, এটাই তার ক্যারিয়ার। গেমিংয়ের মাধ্যমেই জীবনধারণ ও যাপন করায় খানিকটা অদ্ভুত হয়ে গেছেন তিনি।
মুক্তিযোদ্ধার বয়স পুনর্নির্ধারণ হচ্ছে

মুক্তিযোদ্ধার বয়স পুনর্নির্ধারণ হচ্ছে


ঢাকা: ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার মুখে মুক্তিযোদ্ধার বয়স (মুক্তিযুদ্ধকালীন) পুনর্নির্ধারণ করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির জন্য নূ্যনতম বয়স ১৩ বছর নির্ধারণ করা হতে পারে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) আগামী সভায় পুনর্নির্ধারিত বয়স চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে। এদিকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য আবেদনের সময়সীমা দু-এক দিন বাড়ানো হতে পারে। পূর্বনির্ধারিত সময়সীমা অনুসারে আজ রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন গ্রহণের কথা ছিল। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির জন্য নূ্যনতম বয়সসীমা পুনর্নির্ধারণের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। জামুকার পরবর্তী সভায় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, বয়স যা-ই নির্ধারণ করা হোক না কেন, এ কারণে কোনো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত হবেন না। জামুকার পরবর্তী সভা আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে হতে পারে বলে জানা গেছে। গত ১৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জামুকার ২৫তম সভায় ১৯৭১ সালে যাঁদের বয়স নূ্যনতম ১৫ বছর ছিল, তাঁদেরই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ওই সভায় মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা এবং ক্রাইটেরিয়াও নির্ধারণ করা হয়। এর পরই নূ্যনতম বয়সের বিষয়টি ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। বীরপ্রতীক খেতাব পাওয়া ১৩ বছর বয়সী শহীদুল ইসলাম লালু, ১৪ বছর বয়সী তারামন বিবি ও আবু সালেকদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির কী হবে- এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অনেক মুক্তিযোদ্ধা দাবি করেন, মুক্তিযুদ্ধকালে তাঁদের বয়স ১৫ বছরের বেশি হলেও এসএসসির সার্টিফিকেটে তাঁদের বয়স কম দেখানো হয়েছে। এসব কারণে ওই সভার সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন আকারে জারি হয়নি। এদিকে জামুকার সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত ২৪তম সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে একাত্তরের ট্রেনিং ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের ভারতীয় তালিকা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের লাল মুক্তিবার্তায় প্রকাশিত তালিকা ও প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরিত সনদ ব্যতীত অন্য সব মুক্তিযোদ্ধার সনদ যাচাই-বাছাইয়ের কাজ নভেম্বর মাসের দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হওয়ার কথা। এখনো যাঁরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হননি তাঁদের আবেদনও একই সঙ্গে যাচাই-বাছাই হওয়ার কথা। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির আবেদনের সময়সীমা আজ (৩১ অক্টোবর) শেষ হচ্ছে। জমুকার মহাপরিচালক শ্যামাপদ দেব জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অনলাইনে এক লাখ সাত হাজার আবেদন জমা পড়েছে। হাতে হাতে জমা পড়েছে আরো প্রায় ১০ হাজারের মতো আবেদন। এই আবেদনগুলো উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির আবেদনের সময়সীমা আর বাড়ানো হবে কি না জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী জানান, যেহেতু নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এক দিন হরতাল পড়েছে, এ ছাড়া ডাকে আসা আবেদনও পৌঁছাতে কিছুটা সময় লাগতে পারে, তাই আবেদন গ্রহণের সময়সীমা আরো দু-এক দিন বাড়ানো হতে পারে।
বুধ-বৃহস্পতিবারও টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল!

বুধ-বৃহস্পতিবারও টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল!


ঢাকা:এ সপ্তাহে আরো ৪৮ঘণ্টার হরতাল আসছে।জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায়ের পর ঘোষিত ৭২ ঘণ্টার হরতালের মধ্যে প্রথম দফায় গত বৃহস্পতিবার টানা ২৪ ঘণ্টার হরতাল পালিত হয়। বাকি ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শুরু হবে আগামী রবিবার ভোর ছয়টায়, চলবে মঙ্গলবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত। নিজামীর ফাঁসির রায়ের পর হরতালের ধকল না কাটতেই জামায়াতের অর্থের যোগানদাতা হিসাবে পরিচিত আরেক মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী রবিবার। রায় যদি বিপক্ষে যায় তাহলে আবারও হরতালের ডাক দেয়ার সিদ্ধান্ত পাকা করে ফেলেছে জামায়াত। জামায়াতের আমিরের জন্য ৭২ ঘণ্টা হরতালের ডাক দিলেও মীর কাসেম আলীর জন্য প্রাথমিকভাবে টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জামাত নেতা ঢাকাটাইমসকে বলেছেন, দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম এক বৈঠকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাশেম আলীর রায় দলের বিপক্ষে গেলে আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার (৫ ও ৬ নভেম্বর) হরতাল দেবে জামায়াত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরেই দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, রবিবার ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার পর পরই ৪৮ ঘণ্টার হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।তবে কিন্ত মঙ্গলবার পবিত্র আশুরা পড়ে যাওয়ায় ওই দিন ফাঁকা রেখে বুধবার(৫ নভেম্বর ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার(৭ নভেম্বর) ভোর ৬ টা পর্যন্ত টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতাল ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের এক নেতা বলেন, মীর কাশেম আলী ন্যায় বিচার না পেলে বুধ ও বৃহস্পতিবারও হরতাল আসতে পারে।
সুন্দরবনে বাঘ গণনা শুরু নভেম্বরে

সুন্দরবনে বাঘ গণনা শুরু নভেম্বরে


বাগেরহাট : ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সুন্দরবনে আগামী নভেম্বর মাস থেকে দ্বিতীয় দফায় শুরু হচ্ছে বাঘ গণনা। এবার বাঘ গণনায় ব্যবহৃত হবে ক্যামেরা পদ্বতি। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ প্রকল্প বিষয়ক আঞ্চলিক সহযোগিতায় ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আগামী জুন পর্যন্ত চলবে গণনা। এবার গণনায় সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে ৩০ জন মাঠকর্মী নিযুক্তি থাকবে। তারা বাঘ গণনায় ব্যবহার করবেন ৮৯টি ক্যামেরা। এবারই প্রথম বাঘ গণনার জন্য পদচিহ্নের পরিবর্তে ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। ওয়াইল্ড লাইফ ম্যানেজমেন্ট ও ন্যাচার কনজারভেশনের দায়িত্বে নিয়োজিত বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) জাহিদুল কবির জানান, দু’বছর মেয়াদী এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে প্রায় ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এরআগে সুন্দরবনে ক্যামেরা পদ্ধতিতে বাঘ গণনার প্রথম ধাপ শেষ হয় গত এপ্রিলে। এ সময় বাঘের চলাচল ও ছবি ধারণের জন্য সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে ৮৯টি স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। প্রতিটি ক্যামেরা টানা ২০ দিন ধরে প্রায় তিনশত বর্গকিলোমিটার এলাকার ছবি ধারণ করতে সক্ষম। প্রথম পর্যায়ের গণনার ফলাফল ঘোষণা করা হবে না। ছবি বিশ্লেষণের পর বাঘের প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণ করা হবে। images বাংলাদেশ টাইগার এ্যাকশন প্লান-২০০৯-১৭, ন্যাশনাল টাইগার রিকভারি প্রোগ্রাম ও বন আইন-২০১২ সংশোধনসহ বাঘ সংরক্ষণের জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। চলতি বাঘ গণনা শেষে হরিণ ও অন্যান্য বন্য প্রাণীও গণনা করা হবে বলে জানান জাহিদুল কবির। এরআগে ২০০৪ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে ৪৪০টি বাঘ রয়েছে। ভারত অংশে রয়েছে ২১৭টি বাঘ। ইউএনডিপি পদচিহ্ন ব্যবহার করে এই গণনা করে। বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮২ সালে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে ৪৫৩টি বাঘ ছিল। ১৯৮৫ সালে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৫০টি। তবে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা পরিচালিত এক জরিপে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা ৩৬৯টি।
আলু-রসুনও আপনার ত্বকের খেয়াল রাখে!

আলু-রসুনও আপনার ত্বকের খেয়াল রাখে!


শিরোনামটা পড়ে খুব অবাক লাগছে? ভাবছেন আলু আর রসুন দিয়ে কীসের রূপচর্চা, এগুলো তো খাবার আর রান্নায় কাজে লাগে! হ্যাঁ, এই সবজি আর মসলাই হতে পারে সুন্দর ত্বক পাবার এক দারুণ হাতিয়ার! ঘরে এই সাধারণ জিনিসগুলোর ব্যবহারে দূর হতে পারে আপনার নানান রকমের ত্বকের সমস্যা, যেমন- ঘাড়ে ও গলায় কাল দাগ, ব্রণ, অকালে বলিরেখা পড়া ইত্যাদি। কিন্তু কিভাবে ব্যবহার করবেন এগুলো? আসুন, জেনে নিই বিস্তারিত ভাবে। রসুন সৌন্দর্য রক্ষাতেও পারদর্শী রসুনে আছে ভরপুর ভিটামিন এ, সি ও ই যা ব্রণর সমস্যা দূর করা সহ ত্বকের আরও অনেকগুলো সমস্যা দূর করতে দারুণ কার্যকর। ব্রণর সমস্যা দূর করতে একটি রসুনের কয়েকটি কোয়ার খোসা ছাড়িয়ে অল্প থেঁতো করে তার রসটা মুখের ব্রণর ওপর আলতো করে ঘষুন, দশ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ব্রণর জীবাণু নাশক উপাদান অচিরেই ব্রণটিকে বিলুপ্ত করে দেবে আস্তে আস্তে। অকাল বলিরেখা প্রতিরোধ করে টানটান ত্বক পাবার জন্য হাফ চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার, হাফ চামস চন্দন গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য লেবুর রস, তাজা রসুন বাটা ও কাঁচা দুধ মিশিয়ে ফেসমাস্ক তৈরি করুন৷ তারপর সেটা সপ্তাহে একদিন করে ব্যবহার করুন। নিমেষে ফল দেখতে পাবেন৷ আলুতে পান উজ্জ্বল ত্বক আলু কেবল সবজি নয়, আলু দিয়ে দারুণ ফেসমাস্ক ও স্ক্রাবারও তেরী করা সম্ভব। বিশেষ করে শুষ্ক ত্বকের জন্য আলু খুব ভালো একটি উপাদান। মুখ পরিষ্কার করার জন্য একটি আলুর একটা ফালি কেটে নিয়ে তা থেঁতো করে নিন, তারপর ভালো করে চটকিয়ে মুখে মাখুন। চার বা পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করবেন। ব্যাস, তারপর দেখুন কি পরিষ্কার একটা ঝকঝকে চেহারা ফুটে ওঠে আপনার। কালো দাগ দূর করার জন্য আলু বাটা কিংবা আলুর রস নিন, তার সঙ্গে একটু কাঁচা দুধ মেশান। এই মিশ্রণ ঘাড়, গলা, ইত্যাদি স্থানে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন ব্যবহারেই দাগ-ছোপ উড়ে যাবে একেবারে।
অপচয় রোধ করুন

অপচয় রোধ করুন


মাওলানা বায়েজীদ হোসাইন সালেহ আজ বিশ্ব মিতব্যয়িতা দিবস। মিতব্যয় মানে পরিমিত ব্যয়, আয় বুঝে ব্যয়। আর আয় অনুসারে যিনি ব্যয় করেন বা পরিমিতভাবে ব্যয় করেন, তাকে বলা হয় মিতব্যয়ী। মিতব্যয়ী হওয়া মোমিনের বৈশিষ্ট্য। মিতব্যয়িতা বা ব্যয়ের ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন করা এবং অপচয় পরিহার করা ইসলামের নির্দেশ। ইসলামের মধ্যে যেসব কাজ বা অভ্যাস নিন্দনীয় ও ঘৃণিত তার মধ্যে অপচয় অতিশয় একটি নিন্দনীয়, অপছন্দনীয় ও ঘৃণিত কাজ। অপচয়কারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না। তাই তো পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রিয় বান্দাদের অপচয় করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, 'আত্মীয়স্বজনকে তার হক দান করো এবং অভাবগ্রস্ত মুসাফিরকেও, এবং কিছুতেই অপচয় করো না। নিশ্চয় অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই। শয়তান স্বীয় প্রতিপালকের প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ।' (সূরা বনি ইসরাইল : ২৬-২৭)। অন্যত্র আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেছেন, 'তোমরা খাও ও পান করো এবং অপচয়-অপব্যয় করো না। নিশ্চয় আল্লাহ অপচয় ও অপব্যয়কারীদের পছন্দ করেন না।' (সূরা আরাফ : ৩১)। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, একদা প্রিয় নবী (সা.) হজরত সাদ (রা.) এর কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তিনি তখন অজু করছিলেন। প্রিয় নবী (সা.) বললেন, হে সাদ! এ অপচয় কেন? সাদ বললেন, অজুর মধ্যেও কি অপচয় আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তুমি প্রবহমান নদীর তীরেই থাক না কেন। (আহমদ)। ব্যয়ের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হওয়া অত্যন্ত উত্তম কাজ। অন্যদিকে অপচয় করা কবিরা গোনাহ। একটি জাতির উন্নতি ও অগ্রগতির পেছনে অপচয় বিরাট প্রতিবন্ধক। আমাদের পরিবার, সমাজ ও দেশে অপচয় করা একটি নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বাসাবাড়িতে, অফিস-আদালতে, কলকারখানায়, রাস্তাঘাটে, মসজিদ-মাদরাসাসহ সর্বত্র পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জাতীয় সম্পদের মারাত্মক অপচয় হচ্ছে। সরকারি সম্পদের আমরা অনেক অপচয় করে থাকি। যেমন_ বিবাহ একটি অতি উত্তম কাজ। কিন্তু দেখা যায়, অপচয় দিয়েই এ কাজটি শুরু করা হয়। অতিরিক্ত সাজসজ্জা করে, লাইটিং করে বিকাল থেকে শুরু করে সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ জ্বালিয়ে, সীমাহীন অপচয় করে জাতীয় সম্পদের ধ্বংস সাধন করছি। এক্ষেত্রে সরকারকে ফাঁকি দিতে সক্ষম হলেও এ অপচয়ের জন্য একদিন আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। এছাড়া অতিরিক্ত খাওয়া, খেতে না পেরে খানা ফেলে দেয়া, অযথা খানা নষ্ট করা_ খাদ্যের ক্ষেত্রে অপচয়। প্রিয় নবী (সা.) এরশাদ করেছেন, আদম সন্তান তার নিজের পেটের চেয়ে নিকৃষ্টতর কোনো পাত্র পূর্ণ করেনি। দেহকে সুস্থ-সবল, কর্মক্ষম রাখতে যতটুকু খাদ্য প্রয়োজন ততটুকুই একজন মানুষের জন্য যথেষ্ট। যদি কোনো মানুষের খাদ্যস্পৃহা প্রবল হয় অর্থাৎ বেশি খাওয়ার ইচ্ছা দমন করতে না পারে, তবে পেটের এক-তৃতীয়াংশ খাদ্যের জন্য, এক-তৃতীয়াংশ পানীয়র জন্য ও এক-তৃতীয়াংশ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য রাখবে। (সহিহ বোখারি)। বেশি কথা বলা, বাজে কথা বলা কথার ক্ষেত্রে অপচয়। অতিরিক্ত পোশাক ব্যবহার করা, আয় বুঝে ব্যয় না করা, স্বীয় পরিজন, বাবা-মার জন্য ব্যয় না করে পরের জন্য খরচ করা মারাত্মক অপচয়। বিশেষ করে আল্লাহ প্রদত্ত ধনসম্পদ দ্বীনি পথে ব্যয় না করে দুনিয়াবি সুনাম-সুখ্যাতির জন্য ব্যয় করাটাও বড় অপচয়। এ পৃথিবীতে আগত সব নবী-রাসূল, সাহাবায়ে কেরাম এবং যারাই যুগে যুগে আল্লাহর প্রিয়ভাজন হয়েছেন, তারা কেউই অপচয়কারী ছিলেন না। অপচয় করা একটি শয়তানি স্বভাব। আমাদের প্রিয় জন্মভূমি সোনার বাংলাদেশের আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু সম্পদ কম। অথচ সেই তুলনায় আমরা অপচয় করি অনেক বেশি। এখন প্রশ্ন হলো, এ অপচয় রোধে আমাদের করণীয় কি? কী করলে আমরা অপচয় রোধ করে সহজেই মিতব্যয়ী হতে পারব? এর জন্য সর্বাগ্রে নিজের বিবেককে জাগ্রত করতে হবে এবং নিজ পরিবার থেকেই তা শুরু করতে হবে। স্বামী-স্ত্রীকে সচেতন হতে হবে, অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সজাগ থাকতে হবে, মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে মুসলি্লকে সতর্কতার সঙ্গে পানি ও বিদ্যুৎ খরচ করতে হবে। সর্বোপরি অপচয় রোধে একে অন্যকে বোঝাতে হবে। বিশেষ করে পবিত্র জুমার দিন দেশের তিন লক্ষাধিক মসজিদের মিম্বার থেকে ইমাম-খতিবরা যদি মিতব্যয়িতার উপকার এবং অপচয়-অপব্যয়কারীর পরকালীন শাস্তির কথা তুলে ধরে এ ব্যাপারে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারেন, তাহলে কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান অপচয় রোধে এগিয়ে আসবেন নিঃসন্দেহে। আমরা খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে বেশি অপচয় করে থাকি। অথচ বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ মানুষ প্রতি বছর খাদ্যের অভাবে মারা যাচ্ছে। এসব অসহায়, বুভুক্ষ, অন্ন-বস্ত্রহীন মানুষের দিকে তাকিয়েও কি আমরা আমাদের বিবেককে জাগ্রত করতে পারি না? আমরা কি সজাগ ও সচেতন হব না? অপচয় রোধে কি আমরা এগিয়ে আসব না? অবশ্যই আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের দেশকে বিশ্ব দরবারে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে দল-মত-জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
মহররম আমলের মাস

মহররম আমলের মাস


প্রফেসর মাওলানা মোঃ সালাহউদ্দিন মহররম মাসের পবিত্রতা এবং আশুরার বিশেষত্ব সম্পর্কে আল কোরআন ও হাদিসের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্ব-তাৎপর্য তুলে ধরা হয়েছে। ইসলামের অতি সম্মানিত হারাম চারটি মাসের একটি হলো মহররম। বর্ষ গণনার রীতি ও মাস সম্পর্কে মহান আল্লাহ এরশাদ করেছেন, 'নিশ্চয়ই আসমান ও জমিন সৃষ্টি করার দিনে মাসগুলোর সংখ্যা আল্লাহর কাছে ১২ মাস, এর মধ্যে চারটি হারাম মাস। তোমরা নিজেদের পক্ষ থেকে এসবের মধ্যে কিছু যোগ করো না। আর তোমরা মোশরেকদের সঙ্গে সমবেতভাবে যুদ্ধ করো, যেমনিভাবে তারা তোমাদের সঙ্গে সমবেতভাবে যুদ্ধ করে, আর জেনে রাখো আল্লাহ মুত্তাকিদের সঙ্গেই রয়েছেন।' (সূরা তওবা : ৩৬)। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদিনা শরিফে তাশরিফ আনেন তখন সেখানের ইহুদিদের আশুরার দিনে রোজা রাখা অবস্থায় পেলেন। তাদেরকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলল, এ দিন আল্লাহ তায়ালা হজরত মুসা (আ.) কে ফেরাউনের ওপর বিজয়ী করেন। তাই সেদিনের সম্মানার্থে আমরা রোজা পালন করি। হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেন, মুসা (আ.) এর ব্যাপারে এ দিনে রোজা রাখার ক্ষেত্রে আমরা তোমাদের চেয়ে অধিক হকদার। (সুনানে আবু দাউদ : ২০৮৮)। হজরত আবু কাতাদাহ (রা.) সূত্রে একটি দীর্ঘ হাদিসের শেষাংশে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, আশুরার দিনের রোজার সওয়াবের ক্ষেত্রে আমি আশা করি পূর্ববর্তী এক বছরের পাপ আল্লাহ মোচন করে দেবেন। (সহিহ মুসলিম : ১৯৭৬)। পৃথিবীতে যতগুলো মর্মান্তিক ঘটনা তার মধ্যে শাহাদাতে কারবালা সর্বাধিক দুঃখ ও বেদনায় সিক্ত। কোনো উম্মত তাদের নবী বংশের ওপর এমন অত্যাচার চালায়নি_ যা চালিয়েছিল পাষ- ইয়াজিদ বাহিনী। হোসাইন (রা.) এর শাহাদাতের পর মুসলিম জাহানের শাসন ক্ষমতা স্বৈরাচারী ইয়াজিদের হাতে চলে যায়। ইমাম হোসাইন (রা.) ছিলেন দ্বীনের প্রকৃত শাহানশাহ ও বাদশাহ। সুলতানুল হিন্দ খাজা গরিবে নওয়াজ (রা.) বলেছেন, মূলত ইমাম হোসাইন (রা.) শহীদ হওয়ার মধ্য দিয়ে সত্যের বিজয় নিশান উড্ডীন হয়েছে। আত্মত্যাগের মহিমায় ভাস্বর আশুরার আত্মত্যাগের প্রেরণা ও উপলব্ধি সমগ্র মুসলিম বিশ্বকে অনুপ্রাণিত করে। আমাদের করণীয়-এ মাসে বিশেষত ইসলামের কল্যাণে নিবেদিত হওয়া উচিত। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এর প্রতি অধিক সংখ্যক দরুদ ও সালাম পেশ, নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, আশুরা এবং পরের দিনেও রোজা পালন, হাদিস শরিফ অধ্যয়ন, দান-সদকা, কালেমা শাহাদাত পাঠ ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে এ মাসে আল্লাহর বিশেষ নৈকট্য লাভ করা যায়। কারবালার নির্মম ঘটনা ইসলামের জন্য আত্মত্যাগের দীক্ষা দেয়। শুধু শোক নয়, আমলের মধ্য দিয়ে যেন আমরা আশুরা উদ্যাপন করি। লেখক : খতিব, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ
অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে রেলমন্ত্রী

অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে রেলমন্ত্রী


কুমিল্লা: রেলমন্ত্রীর বহুল আলোচিত বিয়ে আজ। দীর্ঘ ৬৭ বছরের একাকিত্ব জীবনের অবসান ঘটিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন রেলপথ মন্ত্রী ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক মো. মুজিবুল হক এমপি। দেশের ইতিহাসে এটিই প্রথম মন্ত্রী হিসেবে কারও কুমার জীবনের ইতি ঘটছে। তাই দেশের সকল শ্রেণীর মানুষের দৃষ্টি এখন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মিরাখলা গ্রামের দিকে। কারণ কনে হনুফা আক্তার রিক্তা এ গ্রামেরই মেয়ে। ইতিমধ্যে মন্ত্রী বরকে বরণ করতে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কনেপক্ষ। এলাকায় চলছে উত্সবের আমেজ, আনন্দ-উচ্ছ্বাস। বিয়ের তোরণ ও প্যান্ডেল নির্মাণ থেকে শুরু করে আলোকসজ্জার কাজ সবই সম্পন্ন হয়েছে। গ্রামটি এখন মনোমুগ্ধকর বর্ণিল আলোকচ্ছটায় উদ্ভাসিত। বিয়ে উপলক্ষে এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আমন্ত্রিত মন্ত্রী, এমপি, প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তাসহ ভিআইপি ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের আগমনে আজ মুখর হয়ে উঠবে মিরাখলা গ্রাম। জানা গেছে, দ্রুতগতিতে সংস্কারের মাধ্যমে কনের বাড়িতে যাওয়ার রাস্তাটি অতিথিদের যাতায়াতের উপযোগী করেছে এলজিইডি। শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক কর্মী, পুলিশ, আনসারসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর প্রায় দেড় শতাধিক সদস্য গ্রামের সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন। কনের বাড়ির পাশে তালতলা বাজারে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আলোকসজ্জাসহ সার্বক্ষণিক বিদ্যুত্ নিশ্চিত রাখতে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুত্ সমিতি-১ এর কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন। মিরাখলা গ্রামের কাজী মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান এ বিয়ে পড়াবেন। এখন শুধু শুভ পরিণয়ের অপেক্ষা। রিক্তার ভাই আলাউদ্দিন মুন্সী ও নাসির উদ্দিন মুন্সী জানান, তিনটি প্যান্ডেলে অতিথি আপ্যায়ন করা হবে। তবে আপ্যায়ন ও খাবারে কোন বৈষম্য হবে না। কুমিল্লা ক্লাবের বাবুর্চি মিল্টন রোজারিও বৃহস্পতিবার থেকে রান্নার কাজের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। কনের খালাতো ভাই কুমিল্লা উত্তর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি লুৎফর রেজা খোকন জানান, আল্লাহর রহমতে শুক্রবার (আজ) দুপুরে ধর্মীয় রীতিনীতিতে উভয়ের শুভ পরিণয় সুসম্পন্ন হবে। মন্ত্রী-এমপি ও সচিবসহ ২ শতাধিক উচ্চপদস্থ রাস্ট্রীয় অতিথিসহ সবমিলিয়ে ৬-৭শ’ বরযাত্রী চান্দিনায় আসবেন। বরযাত্রীসহ সব মিলিয়ে ১৫শ’ অতিথির আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, ‘আমি নেত্রীর (শেখ হাসিনা) কাছ থেকে বুধবার (গায়ে হলুদের দিন) দোয়া নিয়ে এসেছি। তিনি আমাকে দোয়া করেছেন যেন বিয়ের সব অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে হয়। দলীয় নেতারা সবাই খুশি। দেশবাসীও খুশি। আমি সবার কাছে দোয়া চাই।’ প্রসঙ্গত, বিয়ের পর নবদম্পতি বেইলি রোডের মন্ত্রীপাড়ার বাসায় উঠবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া আগামী ১৪ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরের ২ নম্বর এলডি হলে প্রীতিভোজ এবং ৬ ডিসেম্বর রেলমন্ত্রীর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বসুয়ারা গ্রামে বৌ-ভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে ৭ যুবদলকর্মী আটক

প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে ৭ যুবদলকর্মী আটক


স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সাত যুবদল কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর যুবদল আয়োজিত মানবন্ধন থেকে তাদের আটক করা হয়। শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চত করে জানান, প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে সাতজনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তবে তারা যুবদলের কর্মী কি না নিশ্চত হওয়া যায়নি। যাচাই বাছাই করে বিস্তারিত জানা যাবে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় এবং আটকের সুনির্দিষ্ট কারণ জানাতে পারেননি তিনি।
মিরপুরে স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা

মিরপুরে স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা


স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর মিরপুরে রেদোয়ান আহম্মেদ জান্নাত (১৫) নামে এক স্কুলছাত্র ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মিরপুর ১ নম্বরের গোলারটেক এলাকার ১২ নম্বর বাড়িতে আজ শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। রোদোয়ান মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্র। তার বাবার নাম হেলাল আহম্মেদ। দারুস সালাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খোকন জানান, মা-বাবার সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে লেখাপড়া নিয়ে রেদোয়ানের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে পুলিশ শুক্রবার সকালে ঘরের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।
লুকিয়ে আলিয়া ভাটের প্রেম!

লুকিয়ে আলিয়া ভাটের প্রেম!


বিনোদন ডেস্ক সবকিছু নিয়েই আলোচনায় থাকাটা বুঝি বরাবরই খুব উপভোগ করেন ভাট-কন্যা আলিয়া। ২০১২ সালে 'স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার' ছবির মাধ্যমে সেলুলয়েডে নাম লেখান তিনি। প্রথম প্রথম বেশ গুজবের জন্ম দেন একই ছবির সহশিল্পী বরুণ ধাওয়ানের সঙ্গে। কিন্তু সম্প্রতি যা দেখা কিংবা শোনা যাচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে, বরুণের বিষয়টা নিছক বাজে গুজবই ছিল। হালে যা রটেছে তা হলো, ওই একই ছবির আরেক নবাগত ইয়ংস্টার সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সঙ্গে নাকি বেশ প্রেমের ফুল ফোটাচ্ছেন তিনি। মুম্বাইয়ে হরহামেশাই নাকি সিদ্ধার্থ আর আলিয়াকে দেখা গেছে এখানে-ওখানে। বেশ ঘনিষ্ঠভাবে দেখা গেছে বলেই হয়তো বিষয়টা নতুন করে গুঞ্জনের সৃষ্টি করেছে বলিউডজুড়ে। সর্বশেষ অয়ন মুখার্জির ছবিতে একসঙ্গে কাজ করার সময় একে অন্যের সান্নিধ্যে বেশ চুটিয়ে কাজ গুছিয়েছেন আলিয়া আর সিদ্ধার্থ। এখন সিনেমার কাজেই ভারতের দু'প্রান্তে দুজন। বলিউড মান্ত্রা জানিয়েছে, 'সানদার' ছবির কাজে নাকি মাঝে-মধ্যেই নিজেকে নিজের মধ্যে হারিয়ে ফেলেন তিনি। এ প্রেমানুভূতি কি সত্যিই ভালোবাসা? নাকি ক্ষণিকের মোহ? সময়ই বলে দিতে পারে এর মোক্ষম উত্তর।
এগারসিন্দুর সম্ভাবনাময় পিকনিক স্পট

এগারসিন্দুর সম্ভাবনাময় পিকনিক স্পট


সাখাওয়াত হোসেন হৃদয় পাকুন্দিয়া থেকে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর অতি সুপরিচিত একটি নাম। এর রয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্য। আছে প্রাচীন স্থাপত্যশৈলীর অনন্য নিদর্শন। বারভূঁইয়ার প্রধান বীর ঈশা খাঁর দুর্গ ছিল এখানে। ঈশা খাঁ ও মোগল সেনাপতি মানসিংহের মধ্যে ইতিহাসখ্যাত যুদ্ধও হয়েছিল এখানে। বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় লালমাটির এ অঞ্চলটি সবচেয়ে প্রাচীন। এর নিদর্শন এ স্থানের একাধিক প্রাচীন সমাধি। তেমনি দুটি প্রাচীন সমাধির অনন্য নিদর্শন শাহ মাহমুদ মসজিদ ও সাদী মসজিদ। এছাড়াও রয়েছে কিংবদন্তির বেবুদ রাজার দিঘি। সরকারি কোনো পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় অযতেœ-অবহেলায় পড়ে রয়েছে প্রাচীন এ ঐতিহ্যগুলো। সরকারি কিংবা বেসরকারি পর্যায়ে এখানে একটি পিকনিক স্পট গড়ে তুললে ইতিহাসখ্যাত এ অঞ্চলের পরিচিতি একদিকে যেমন তুলে ধরা যাবে অপরদিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও এখানে পিকনিক স্পট গড়ে তোলা হলে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি গবেষণা সংস্থার লোকজন প্রতœতত্ত্বের বিভিন্ন গবেষণার জন্য প্রায়ই এগারসিন্দুর ভ্রমণ করে থাকেন। এক্ষেত্রে বাণিজ্যিকভাবে পিকনিক স্পট হলে গবেষণার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকজন বেড়াতে আসবেন এখানে। এগারসিন্দুরের ঐতিহ্যগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য এর দুর্গ। এই দুর্গ নির্মাতা নিয়ে রয়েছে মতভেদ। কেউ বলেন রাজা আজাহাবা আবার কারো মতে বেবুদ রাজা এবং কেউ বলেন রাজা গৌর গৌবিন্দ। সুলতানি আমলের পরই এগারসিন্দুর এলাকাটি কোচ হাজংদের অধীনে চলে যায়। বাংলার বারভূঁইয়ার প্রধান ঈশা খাঁ কোচ হাজং রাজাদের পরাজিত করে এগারসিন্দুর দুর্গটি দখল করেন। এ দুর্গ থেকেই ঈশা খাঁ পরবর্তী সময়ে মোগল সেনাপতি রাজা দুর্জন সিংহ ও পরে রাজা মানসিংহকে পরাজিত করতে সমর্থ হন। তখন থেকেই এগারসিন্দুর দুর্গটি ঈশা খাঁর দুর্গ নামে খ্যাত। উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে মঠখোলা-মির্জাপুর-পাকুন্দিয়া সড়কের পাশে এটি অবস্থিত। এগারসিন্দুরের একটি প্রাচীন স্থাপত্য হচ্ছে শাহ মাহমুদ মসজিদ ও বালাখানা। গবেষকদের মতে, এটি ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়। বর্গাকৃতির এ মসজিদটির প্রতিটি বাহু ৩২ ফুট। চার কোণায় ৪টি বুরুজ রয়েছে। আছে একটি বিশাল গম্বুজ। দুই পাশে দুটি সরু মিনার রয়েছে। ভিতরে পশ্চিমের দেওয়ালে ৩টি মেহরাব আছে। শাহ মাহমুদ এই মসজিদ ও বালাখানা নির্মাণ করেছিলেন বলে এর নামকরণ হয় শাহ মাহমুদ মসজিদ। এছাড়াও এখানে সম্রাট শাজাহানের রাজত্বকালে ১৬৪২ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয় সাদী মসজিদ। পোড়ামাটির অলংকরণে সমৃদ্ধ এ মসজিদটি সম্পূর্ণ ইটের তৈরি। এটি এক গম্বুজবিশিষ্ট বর্গাকৃতি মসজিদ। প্রতি বাহুর দৈর্ঘ্য ২৭ ফুট। চারপাশে চারটি বুরুজ রয়েছে। পূর্ব দেওয়ালে ৩টি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দেওয়ালে ১টি করে প্রবেশদ্বার রয়েছে। প্রবেশপথগুলোর চারদিকে পোড়ামাটির চিত্র ফলকের কাজ রয়েছে। ভিতরে ৩টি অনিন্দ্য সুন্দর মেহরাব রয়েছে যা টেরাকোটার দ্বারা অলংকৃত। ১০৬২ হিজরির রবিউল আউয়াল মাসে শাজাহান বাদশা গাজীর রাজত্বকালে শেখ নিরুর পুত্র সাদীর উদ্যোগে এ মসজিদটি নির্মিত হয় বিধায় এর নামকরণ হয় সাদী মসজিদ। এগারসিন্দুরের প্রাচীন ঐতিহ্যের মধ্যে বেবুদ রাজার দিঘি অন্যতম। বেবুদ নামে হাজং রাজা বাস করতেন এখানে। একবার প্রচ- খরা দেখা দেওয়ায় রাজা প্রজাদের কল্যাণে ৫০ একর জমিবিস্তৃত একটি দিঘি কাটলেন। কিন্তু পানি নেই। এরই মধ্যে রাজা স্বপ্নে দেখেন তার রানী যদি দিঘিতে নামে তবে পানি উঠবে। স্বপ্নের কথা রাজা রানীকে জানালে প্রজাদের দুঃখ লাঘবে রানী দিঘিতে নামতে রাজি হলেন। এতে রাজা খুশি হলেন এবং পরদিন রানী এক বাটি কাঁচা দুধ, পান সুপারি ও সিঁদুর নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দিঘিতে নামলেন। সঙ্গে সঙ্গেই চারপাশ থেকে স্বচ্ছ জল এসে দিঘি ভরে গেল। কিন্তু রানী আর দিঘি থেকে উঠতে পারলেন না। চোখের পলকে রানীর কেশগুচ্ছ বৃত্তাকারে ঘুরতে ঘুরতে নিমজ্জিত হয়ে গেল। রাজা রানীর জন্য পাগলপ্রায় হয়ে গেলেন। দিঘিটি গভীর থাকায় পানি খুবই স্বচ্ছ দেখায়। বেবুদ রাজা দিঘিটি খনন করেন বিধায় তার নামানুসারে এ দিঘিটি বেবুদ রাজার দিঘি নামে পরিচিত। এ দিঘির পানিতে গাছের পাতা কিংবা অন্য কোনো কিছু পড়ে থাকলে তা পরদিন সকালে পাড়ে এসে জমা হয়। লোকমুখে শোনা যায়, কোনো অনুষ্ঠানের জন্য দিঘির পাড়ে দাঁড়িয়ে থালা, বাসন ও অন্যান্য তৈজসপত্র চাইলে পরদিন দিঘির পাড়ে তা পাওয়া যেত। তবে শর্ত ছিল যা যা নেওয়া হতো তা সঠিকভাবে ফেরৎ দিতে হবে। কিন্তু একদিন কেউ এ শর্ত ভঙ্গ করায় এরপর থেকে তৈজসপত্র আর পাওয়া যায়নি। -এই সময়ের সৌজন্যে
ফিরতি রথে রেখা

ফিরতি রথে রেখা


বিনোদন ডেস্ক হিন্দি সিনেমার ইতিহাসে সত্যিকার অর্থে কোনো নায়িকাকে যদি এভারগ্রিনের তকমা দিতে হয় তবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সেই জয়মাল্য যে যাবে রেখার গলায়- সেটা অনস্বীকার্য। ষাটের দশকের মাঝামাঝি তেলুগু ছবির মাধ্যমে সিনেমার জগতে প্রথম পা ফেলা রেখা হিন্দি সিনেমা নির্মাতাদের নজর কাড়েন প্রথম ছবি দিয়েই, যার ফলশ্রুতিতে ষাটের দশকের শেষদিকে হিন্দি ছবিতে আগমন ঘটে তার। ১৯৭০ সালে মুক্তি পাওয়া 'সাওয়ান ভাদো' ছবির মাধ্যমে নবাগত অভিনেতা নবীন নিশচোলের সঙ্গে অভিষেক ঘটে রেখার। সেই থেকে শুরু করে সত্তর আর আশির দশক পুরো হিন্দি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন রীতিমতো। পাশাপাশি ঝাঁকে ঝাঁকে নতুন মুখের আগমনে ইঁদুর দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়তে থাকেন রেখা। কিন্তু তাই বলে একেবারে সরে যাননি কখনোই। ১৯৯৬-এর 'খিলাড়িও কা খিলাড়ি' ছবিতে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে যে রসায়নের খেলা দেখিয়েছেন তাতে ছেলে-বুড়ো- সবাই হড়কে গেছেন, রেখা বলেই বুঝি সম্ভব ছিল এমন পারফরম্যান্স। ২০০০-এর পর সিনেমা থেকে একেবারে সরে না গেলেও অনেকটা গৌণ চরিত্রকেন্দ্রিক চরিত্রের মধ্যে নিজেকে আটকে ফেলেন রেখা। ২০০৬-এর সময় থেকে সেই বিদায়টা অনেকটাই স্থায়ী রূপ নিয়ে নেয়। কিন্তু দীর্ঘ চার বছর পর আবার সব বৈরাগ্যের অবসান ঘটিয়ে রুপালি পর্দাজুড়ে আসছেন বলিউডি এ এভারগ্রিন গ্ল্যামারকুইন। ইন্দ্র কুমারের ছবি 'সুপার নানি'র মাধ্যমেই এ দূরত্বের অবসান হতে যাচ্ছে আজ। গল্পের খিটখিটে বুড়ি ভারতী ভাটিয়াকে সবাই দাম্ভিক আর খবরদারি করা একজন মানুষ বলেই চেনে ও জানে। কিন্তু প্রবাসী দৌহিত্র মান সাফল্যের আশায় ভারতে ফিরে দেখতে পান তার নানির এক ভিন্ন রূপ। বাইরে থেকে শক্ত হলেও প্রতিনিয়ত পরিবারের প্রতিটা মানুষের কাছে ঠাট্টা আর নিগৃহীত হওয়া ভারতীর মাঝে মান খুঁজে পান জীবনানুসন্ধানী এক ভারতী ভাটিয়াকে। নাতি হিসেবে মান পণ করে, যে করেই হোক, সারা জীবন সংসারের বেড়াজালে নিজেকে হারিয়ে ফেলা নানির জীবনের এ জীবন-সায়াহ্নে তাকে সত্যিকারের জীবনের স্বাদ দেয়াতেই হবে তার সাফল্যের মূলমন্ত্র। আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসেন নানির জীবনে। ছবির পুরো গল্পের একটা অসাধারণ প্রতিভূর দেখা মিলবে ছবির পোস্টারেও। যেখানে বর্ষীয়ান রেখা আয়নার প্রতিবিম্বে খুঁজে পান তার সত্তর কিংবা আশির দশকের অবতারকে। ক'দিন আগে অনিল-কন্যা সোনমের মাধ্যমে সেলুলয়েডে ফেরত এলো রেখার সুপারহিট 'খুবসুরত'। ছবিটি নির্মাণের প্রথমদিকে তার এমন চিরসবুজ চরিত্রটি সোনমের মধ্যে আবার জেগে উঠুক তা মন থেকে মেনে নিতে পারেননি রেখা। শেষমেশ রেখা রাজি হলেও ছবিটি খুব একটা সন্তুষ্টি দিতে পেরেছে বলে মনে হয়নি বক্স অফিস সূচকে। এবার খোদ রেখা তার পুনর্জাগরণে কেমন ফল পাবেন দর্শক সারি থেকে? পারবেন কি শ্রীদেবীর মতো জয়সূচক রানের খাতা খুলতে? গত সপ্তাহ থেকে চলতে থাকা 'হ্যাপি নিউ ইয়ার'-এর দৌড়কে থামাতে? তার পূর্বাভাস আজ ছবিটির মুক্তির পরই অনেকটা অাঁচ করা যাবে দর্শক মতের ভিত্তিতে।
কারবালা থেকে শিক্ষা নিতে হবে

কারবালা থেকে শিক্ষা নিতে হবে


আখম আবু বকর সিদ্দিক অধ্যক্ষ, দারুন নাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসা মহররম তথা কারবালার ইতিহাস মুসলিম ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটাকে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। কারবালার ইতিহাস নিয়ে শুরু থেকেই ইহুদিরা চক্রান্ত করে আসছে। কারবালার মূল চক্রান্ত শুরু হয়েছিল হজরত ওসমান (রা.) এর শাসনামল থেকে। ওই সময় আবদুল্লাহ ইবনে সাবাহই প্রথম মুসলমানদের দুর্বল দিকগুলো ইহুদিদের কাছে প্রকাশ করে এবং মুসলমানদের মধ্যে ষড়যন্ত্রের বীজ বপন করে। ক্রমেই তা সমগ্র মুসলিম উম্মাহর জন্য করুণ পরিণতি ডেকে আনে, যা হজরত ওসমান (রা.) মৃত্যুর কারণ এবং কারবালার হৃদয়বিদারি ঘটনায় রূপ নেয়। এরপর থেকে ইহুদিরা মুসলমানদের ইতিহাস বিকৃতরূপে প্রচার ও প্রকাশে রত থাকেন। ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রাক-ইসলামী যুগ থেকেই ইহুদিরা চক্রান্ত করে আসছে, যা আজও বিদ্যমান। একটু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, আজ সারা বিশ্বে মুসলিম দেশগুলোতে যে দাঙ্গা-হাঙ্গামার প্রকাশ্য রূপ দেখা যাচ্ছে, তা ইহুদিদের ষড়যন্তের এক নতুন ভার্সন। সুতরাং ইহুদি-খ্রিস্টানদের চক্রান্ত থেকে সব মুসলমানকে সজাগ থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, ইয়াজিদের প্রেতাত্মারা আজও সক্রিয়। কিন্তু হোসাইনের অনুসারীরা ঘুমন্ত। তাই কারবালার সত্যিকার ইতিহাস ধারণ করে হজরত হোসাইন (রা.) এর অন্যায়ের বিরুদ্ধে জিহাদি তামান্না থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে এবং মুসলিম উম্মাহকে সব মতপার্থক্য ভুলে গিয়ে এক পতাকা তলে সমবেত হতে হবে। * সাক্ষাৎকার : রেদওয়ানুল্লাহ
পরবর্তী ছবির কাজ শুরু করলেন শাহরুখ

পরবর্তী ছবির কাজ শুরু করলেন শাহরুখ


বিনোদন ডেস্ক : বলিউড কিং শাহরুখ খানের হ্যাপি নিউ ইয়ার এখন রীতিমত বক্স অফিস শাসন করছে। কিন্তু এরই মধ্যে শাহরুখ শুরু করেছেন তার পরবর্তী সিনেমা ফ্যান-এর প্রস্তুতি। ২০১৫ সালের ১৪ আগস্ট ছবিটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে এর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের। তবে এখনো সিনেমার নায়িকা কে হচ্ছেন তা নির্ধারণ করা হয়নি। তারকাদের পারফর্মেন্স অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে এ বলিউড তারকা এখন অবস্থান করছেন লস অ্যাঞ্জেলসে। সেখানেই ব্যস্ত শিডিউলের মধ্যে তার পরবর্তী সিনেমার জন্য ডিজিটাল থ্রিডি ফেস স্ক্যানিং সেশনে অংশগ্রহণ করেন শাহরুখ। তার পরবর্তী সিনেমাতে কিছু কম্পিউটার জেনারেটেড ইমাজেরি দৃশ্য ব্যবহারের জন্য তিনি এ স্ক্যান করিয়েছেন। শাহরুখের নিকটতম এক ব্যক্তি বলেছেন, ‘সে তার পরবর্তী সিনেমার শুটিংয়ের জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। একটি বিশেষ ইফেক্টের দৃশ্যের জন্য তাকে এ স্ক্যানিং এর সম্মুখীন হতে হয়েছে।’ বিষয়টির নিশ্চিত করে লস অ্যাঞ্জেলস ভিত্তিক এক প্রোডাকশন হাউজের প্রযোজক বলেন, ‘শাহরুখ লস অ্যাঞ্জেলসে মূলত স্ক্যানিং সেশনটি করানোর জন্যই এসেছেন। আমাদের টিমের সদস্যরা তার সঙ্গে কাজ করে খুব পুলকিত।’ এর আগে বলিউডের এক থা টাইগার (২০১২), ধুম থ্রি (২০১৩) এবং কোচাদাইয়ান (২০১৩) সিনেমাগুলোতে ফেস স্ক্যানিং প্রযুক্তি ব্যবহার হয়েছিল।

Thursday, October 30

জামায়াতের ডাকা হরতাল কানাইঘাটে ঢিলেঢালা ভাবে পালিত

জামায়াতের ডাকা হরতাল কানাইঘাটে ঢিলেঢালা ভাবে পালিত


নিজস্ব প্রতিবেদক: মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের আমীর মাওঃ মতিউর রহমান নিজামীর রায় প্রত্যাখান করে দেশব্যাপী ডাকা জামায়াতের ২৪ ঘন্টার হরতাল কানাইঘাটে ঢিলেঢালা ভাবে পালিত হয়েছে। জনজীবনে হরতালের প্রভাব পড়েনি তেমন। হরতাল চলাকালে পৌর শহরে দোকানপাট, ব্যাংক, বীমা ও সরকারী অফিস খোলা ছিল। হালকা যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও দূরপাল্লার সবধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। নাশকতা এড়াতে পৌর শহরসহ বিভিন্ন স্থানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পৌর শহরে পুলিশী টহল জোরদার থাকায় হরতালের সমর্থনে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা পিকেটিং বা মিছিল করতে পারেনি। তবে উপজেলার গাছবাড়ী বাজার, রাজাগঞ্জ বাজার ও বুরহান উদ্দিন বাজারে হরতালের সমর্থনে মিছিল করে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা। কোথাও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে হরতালকারীদের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল চৌধুরী কানাইঘাট নিউজকে জানিয়েছেন, উপজেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
স্বাগত হিজরি নববর্ষ

স্বাগত হিজরি নববর্ষ


অধ্যাপক হাসান আবদুল কাইয়ূম পৃথিবীর আকাশে মহররমের চাঁদ উদিত হলো। ১৪৩৫ হিজরি সনকে আলবিদা জানিয়ে হিজরি নববর্ষ ১৪৩৬-এর আগমন ঘটল। হিজরি নববর্ষকে জানাই খোশ আমদেদ। চান্দ্র বর্ষপঞ্জিকার অন্তর্ভুক্ত অনন্য পবিত্রতার সৌরভে সুরভিত হিজরি নববর্ষ চন্দ্র পরিক্রমের নিয়ম-নীতি অনুযায়ী আপন ঘূর্ণি গতিপথে ঘুরে ঘুরে আমাদের মাঝে আবির্ভূত হয় নবচাঁদ বা নও হেলালের উদয়ের মধ্য দিয়ে। হিজরি সনের প্রথম মাস মহররম। মহররমের দশ তারিখকে বলা হয় আশুরা। আশুরার দিনটি সৃষ্টির আদিকাল থেকে অনেক ঘটনার সাক্ষী হলেও, সেসব ছাপিয়ে এদিন বিশেষভাবে মহিমান্বিত হয়েছে কারবালা প্রান্তরে ইমাম হোসাইন (রা.) এর শাহাদাতের কারণে। কারবালার সেই ট্র্যাজেডির কারণে হিজরি নববর্ষের প্রথম দিন আনন্দের হয় না, যেমনটা হয় পহেলা বৈশাখে কিংবা জানুয়ারি শুরুর মুহূর্তে রাত দুপুরে। হিজরি সনের গোড়াপত্তন হয় প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর মক্কা মোকাররমা থেকে মদিনা মনোয়ারায় হিজরতের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য। মক্কায় ইসলামের দাওয়াত শুরুর পর গুটিকয়েক অতি সৌভাগ্যবান ব্যক্তি ছাড়া কাফের-মোশরেকরা তাঁর আহ্বানে সাড়া তো দিলই না বরং তারা তাঁর প্রচারকার্যে নানাভাবে বাধার সৃষ্টি করতে লাগলো, সংঘবদ্ধভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন চালাতে লাগলো, এমনকি সামাজিক বয়কট পর্যন্ত করল। কিন্তু তিনি তাঁর ওপর অর্পিত আল্লাহর দেয়া দায়িত্ব পালন করা থেকে একটুও পিছু হটলেন না। কাফের-মোশরেক নেতারা তাঁকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে কাবু করতে চাইল। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বললেন, আমার এক হাতে চাঁদ আর এক হাতে সূর্য এনে দিলেও আল্লাহ আমাকে যে দায়িত্ব পালন করতে দিয়েছেন, তা থেকে কোনো অবস্থাতেই বিরত হবো না। এরই মধ্যে ধীরগতিতে হলেও অনেক সৌভাগ্যবান ইসলামে দাখিল হতে লাগলেন। তবুও কাফের-মোশরেকদের অত্যাচারের নিত্য-নতুন মাত্রা সংযোজিত হতে লাগল। এক পর্যায়ে কাফের-মুশরিকরা তাঁকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রও করল। রাতের অাঁধারে তাঁর গৃহ ঘেরাও করল। আল্লাহর নির্দেশে তিনি তাঁর বিছানায় হজরত আলী (রা.) কে শুইয়ে রেখে অতি সন্তর্পণে গৃহ থেকে বের হয়ে গেলেন এবং তাঁর নিত্যসহচর হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) কে সঙ্গে নিয়ে তাঁর মাতুলালয় তদানিন্তন ইয়াসরিবের উদ্দেশে রওনা হলেন। এর আগে তাঁর নির্দেশে মক্কা মোকাররমা থেকে অনেক সাহাবিই ইয়াসরিবে গেছেন। যখন ইয়াসরিবে রটে গেল, তিনি আসছেন_ তখন সেখানকার প্রায় পাঁচ হাজার অধিবাসীর মধ্যে এক অনন্য আনন্দ আমেজ জেগে উঠল। কবিরা তাঁকে সংবর্ধনা জানানোর জন্য কাসিদা রচনা করলেন। প্রায় ১৫ দিন ধরে উত্তর দিকে ২৯৬ মাইল মরু-কঙ্কর পথ উটে চড়ে অতিক্রম করে তিনি ইয়াসরিবের উপকণ্ঠ কুবা নামক স্থানে উপস্থিত হলেন। সেখানে কয়েকদিন অবস্থান করেন এবং একটি মসজিদ নির্মাণ করে হাজার হাজার নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধসহ এক বিরাট আনন্দ মিছিল নিয়ে তিনি কুবা থেকে তিন মাইল দূরে ইয়াসরিব নগরীর দিকে অগ্রসর হলেন। পথিমধ্যে বনি সালিম মহল্লায় সর্বপ্রথম জুমার সালাত আদায় করলেন। ৬২২ খ্রিস্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল প্রিয় নবী (সা.) মদিনায় হিজরত করেন। তখন থেকেই হিজরতের প্রথম বছর, দ্বিতীয় বছর এমনিভাবে বছরের হিসাব করা হচ্ছিল। এখানে উল্লেখ্য যে, তদানিন্তন আরব দেশে ১২ মাসে বছর হওয়ার রীতি প্রচলিত থাকলেও নির্ধারিত কোনো সন বা বর্ষপঞ্জির হিসাব ছিল না। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.) এর খেলাফতকালে খেলাফতের বিস্তৃতি ঘটে তদানিন্তন পৃথিবীর অর্ধেকেরও বেশি এলাকাজুড়ে। বিভিন্ন প্রদেশের আমির বা গভর্নরদের কাছে চিঠিপত্র লেখার ক্ষেত্রে কিংবা নথি, ফরমান, দলিল-দস্তাবেজ ইত্যাদি পাঠানোর ক্ষেত্রে তারিখ হিসেবে শুধু মাসের নাম লেখা হতো। নির্দিষ্ট কোনো সন না থাকায় মাসের নামটি যে কোন বছরের তা বোঝা যেত না, ফলে দারুণ জটিলতার সৃষ্টি হতো। একটি প্রদেশের গভর্নর হজরত আবু মুসা আল আশয়ারি (রা.) শুধু শাবান মাস লেখা একটি চিঠির উল্লেখ করে লিখলেন, শুধু মাসের নাম লেখা থাকার কারণে দারুণ জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হজরত ওমর (রা.) বিশিষ্ট সাহাবায়ে কেরাম সমন্বয়ে সন উদ্ভাবনের জন্য একটি বলিষ্ঠ কমিটি গঠন করেন। কমিটির সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা হলো_ কেউ বললেন, প্রিয় নবী (সা.) এর পৃথিবীতে আবির্ভাবের বছর থেকে গণনা করে নতুন সাল প্রবর্তন করা হোক, কেউ বললেন প্রথম ওহি লাভের বছরের কথা, কেউ বা ওফাতের বছরের কথা বললেন। কিন্তু হজরত আলী (রা.) বললেন, হিজরতের বছরের কথা। তিনি যুক্তিও দেখালেন। সবাই তা গ্রহণ করলেন। হিজরতের ১৭ বছর পর ৬৩৯ খ্রিস্টাব্দে হিজরি সনের প্রবর্তন হলো। ৬২২ খ্রিস্টাব্দের রবিউল আউয়াল মাসে হিজরতের ঘটনা ঘটলেও আরবের প্রচলিত মাসগুলোর ক্রম ঠিক রাখার জন্য প্রথম মাস মহররমের এক তারিখ থেকেই এ নতুন সাল গণনা নির্ধারিত হলো। বিশ্বে প্রচলিত সবচেয়ে পবিত্র সাল হচ্ছে হিজরি সন এবং পৃথিবীর প্রায় ২২৫ কোটি মুসলিমের কাছে এ সন অতি প্রিয়। এখানে উল্লেখ্য, আমাদের বাংলা সনটিও ৯৬৩ হিজরিকে প্রথম বছর ধরে সৌরগণনায় এনে মোগল সম্রাট জালালুদ্দীন মুহম্মদ আকবরের আমলে প্রবর্তিত হয়। হিজরি সনের প্রতিটি মাস গণনা শুরু হয় চন্দ্র উদয়ের সময় থেকে। চাঁদ দেখার মধ্যেও একটা আনন্দ সৌকর্য রয়েছে, বিশেষ করে ঈদের চাঁদ দেখায়। চাঁদ দেখার মধ্যেই এ সনের গুরুত্ব রয়েছে। এর মাস ২৯ কিংবা ৩০ দিনে হয়। লেখক : সাবেক পরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন
চুক্তিবদ্ধ হলো মিডিয়াভেস্ট বাংলাদেশ ও জি অ্যান্ড আর

চুক্তিবদ্ধ হলো মিডিয়াভেস্ট বাংলাদেশ ও জি অ্যান্ড আর


ঢাকা: অ্যাড ম্যানেজার টুল ব্যবহার বিষয়ক এক চুক্তি সাক্ষর করেছে মিডিয়াভেস্ট বাংলাদেশ ও জি অ্যান্ড আর । বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল বিজ্ঞাপন বাজার জি অ্যান্ড আর টেকনোলজিস লিমিটেড এর সঙ্গে ভিভাকি নেটওয়ার্কের অংশীদার মিডিয়াভেস্ট বাংলাদেশ-এর মধ্যে এই চুক্তি সাক্ষরিত হয়। অ্যাড ম্যানেজার টুল মিডিয়াভেস্ট বাংলাদেশকে তার ক্লায়েন্ট তার ডিজিটাল সেবা থেকে আরও স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং কৌশলগত অন্তর্দৃষ্টি যোগ করতে সহায়তা করবে। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত জি অ্যান্ড আর ৩.০ বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির নতুন ডিজাইন, সম্পূর্ণ বাংলা ইন্টারফেস ড্যাশবোর্ড, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে বিভিন্ন শহরভিত্তিক শ্রেণী, টেলকো/আইএসপি (নেটওয়ার্ক) এবং বিভিন্ন ডিভাইস টার্গেটিং সহ বাংলাদেশের অনলাইন বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য দরকারি সরঞ্জাম সরবরাহ করার মাধ্যমে এক নতুন দিক উন্মোচন করেছে। জি অ্যান্ড আর অ্যাড নেটওয়ার্ক (৫০০ মিলিয়নেরও বেশি ইনভেন্টরি) ডিসেম্বর, ২০১৪ এর মধ্যে বাংলাদেশে গুগল ডিসপ্লে অতিক্রম করবে বলে আশা করা হচ্ছে যা কন্টেন্ট ডেভেলপার এবং বিজ্ঞাপনদাতা উভয়কে বৃহত্তর সুযোগ দেবে। উভয়পক্ষ অথরাইজ এজেন্সি পার্টনার বা এ এ পি চুক্তিও সাক্ষর করে। এটি নির্বাচিত এজেন্সির সাথে একটি প্রিমিয়াম রিসেলার পার্টনারশিপ, যেখানে এ এ পি অনলাইন বিজ্ঞাপন এবং জি্ অ্যান্ড আর অ্যাড নেটওয়ার্ক এর তরফে অন্যান্য অনলাইন প্রডাক্ট ও সার্ভিস বিক্রয় করতে পারবে। অনুষ্ঠানে জি অ্যান্ড আর-এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন হেড অব সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং মির্জা সালমান হোসেন বেগ এবং হেড অব এজেন্সি রিলেশনস লুতফি হায়দার চৌধুরী। মিডিয়াভেস্ট এর পক্ষ থেকে ছিলেন জেনারেল ম্যানেজার রাকিবুল হাসান, সিনিয়র ম্যানেজার সেলিম সাদমান পাঠান এবং ম্যানেজার ডেরিক লিস।
ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩,৭০৩

ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩,৭০৩


আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইবোলা সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩,৭০৩ জনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এরআগে বিশ্ব সংস্থাটি জানিয়েছিল এ প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে এই রোগটি মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্তদের সিংহভাগই পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর অধিবাসী। লাইবেরিয়া, সিয়েরা লিওন এবং গিনিতেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও ওই দেশগুলোতেই রোগটির সংক্রমণ প্রতিরোধে তাদের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ডব্লিউএইচও হিসেবে করে জানিয়েছে, ইবোলায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হয়েছে লাইবেরিয়ায়। সেখানে ৬,৫৩৫ জন মানুষ ইবোলায় সংক্রমিত হওয়ার বিষয়টি তালিকাভুক্ত হয়েছে। এ ছাড়াও সিয়েরা লিওনে ৫,২৩৫ জন এবং গিনিতে ১,৯০৬ জন ইবোলায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তবে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে কতজন মৃত্যুবরণ করেছেন তার প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করতে কিছুটা সময় প্রয়োজন বলে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে। তবে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক ব্রুস আইলওযার্দ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সম্ভবত মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর আগে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৪৯২২ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছিল ডব্লিউএইচও। ওই তিনটি দেশের বাইরেও অন্যান্য দেশে ২৭ জন ইবোলায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে নাইজেরিয়ায় আটজন, মালিতে একজন ও যুক্তরাষ্ট্রে একজন মারা গেছেন। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, ইবোলা আক্রান্ত অনেককেই আত্মীয়-স্বজনরা চিকিৎসা কেন্দ্রে না পাঠিয়ে বাড়িতে রেখে দিচ্ছে। অনেক চিকিৎসাকেন্দ্রে নতুন রোগীদের জায়গাও হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত আটটি দেশে ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সেনেগাল ও নাইজেরিয়াকে ইবোলা মুক্ত দেশ ঘোষণা করেছে ডব্লিউএইচও। নিউ ইয়র্ক এবং নিউ জার্সির গভর্নররা পশ্চিম আফ্রিকা থেকে আসা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী যারা ইবোলা রোগীদের সংস্পর্শে গিয়েছেলেন তাদেরকে ২১ দিন নির্জনে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। আর যারা নিশ্চিতভাবে ইবোলা আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসেনি কিন্তু পশ্চিম আফ্রিকা থেকে এসেছে তাদের উপরেও স্বাস্থ্যকর্মীরা নজর রাখছেন।
শরীরের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পান করুন “ব্যথানাশক” চা

শরীরের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পান করুন “ব্যথানাশক” চা


কানিউজ ডেস্ক : মাথাব্যথা, হাতে পায়ের জয়েন্টে ব্যথা, মাংসপেশি আড়ষ্টতায় ব্যথা, ঘাড় ও কাধের ব্যথায় অনেকেই কাবু হয়ে পড়েন। এই ধরণের ব্যথাগুলো দীর্ঘ মেয়াদী হয়ে থাকে। একবার শুরু হলে সহজে পিছু ছাড়তে চায় না। আবার এইধরনের ব্যথার পেছনে এই ব্যস্ত যুগে ব্যয় করার মতো সময়ও হয়ে উঠে না। অনেকেই ব্যথানাশক ঔষধ খেয়ে এই ব্যথা কমিয়ে থাকেন। কিন্তু ব্যথানাশক ঔষধের রয়েছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যা দেহের জন্য অনেক খারাপ। তাই এই সকল শারীরিক ব্যথা দূর করতে প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করাই ভালো। ভাবছেন এই ব্যথা দূর করতে কী করা যায়? আজকে চলুন তবে দেখে নেয়া যাক এক ধরণের ব্যথানাশক চা তৈরির পদ্ধতি যা দূর করে দেবে শারীরিক দীর্ঘমেয়াদী ব্যথা। যা যা লাগবেঃ - ২ কাপ পানি - ২ চা চামচ চা পাতা - ১ চা চামচ তাজা আদা কুচি - ২ টি এলাচি (ছেঁচে নেয়া) - ১/৪ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো - ১/২ কাপ বাদাম দুধ (বাদাম দুধ না পেলে সাধারণ গরুর দুধ নিতে পারেন) - ১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো বা সামান্য কাঁচা হলুদ বাটা - ২ চা চামচ মধু চা তৈরির পদ্ধতিঃ - চুলায় একটি পাত্রে দুই কাপ পানি গরম হতে দিন। পানি গরম হলে এতে আদা কুচি, হলুদ গুঁড়ো/বাটা, দারুচিনি ও এলাচি দিয়ে হালকা আঁচে ১০ মিনিট ফুটতে দিন। - ১০ মিনিট ফুটে পানির রঙ হলদেটে হয়ে এলে এতে চা পাতা ছেড়ে দিয়ে ২ মিনিট ফুটিয়ে নিন। - ওপর একটি পাত্রে দুধ ফুটিয়ে নিন। - এবার চুলা থেকে নামিয়ে গরম গরম দুধ ঢেলে ঘন ঘন নেড়ে চায়ে মিশিয়ে নিন। - কাপে চা ছেঁকে নিয়ে এতে মধু মেশান। - গরম গরম পান করুন এই ব্যথানাশক চা প্রতিদিন ১ কাপ। এতে দীর্ঘমেয়াদী ব্যথা দূর হবে।
খোকা অভিযুক্ত

খোকা অভিযুক্ত


ঢাকা : বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার অনুপস্থিতিতেই সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় অভিযোগ গঠন করে তার বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ মো. জহুরুল হক অভিযোগ গঠন করে এ মামলায় সাক্ষ্য শুরুর জন্য ১৬ নভেম্বর দিন ধার্য করে দেন। চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা এদিন অভিযোগ গঠনের শুনানিতে অনুপস্থিত ছিলেন। তার আইনজীবী মহসিন মিয়া এক আবেদনের মাধ্যমে আদালতকে বিষয়টি অভিহিত করলে বিচারক খোকার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি না করে তার অনুপস্থিতিতেই মামলার কার্যক্রম চালানোর আদেশ দেন।
সময় মতোই নির্বাচন : প্রধানমন্ত্রী

সময় মতোই নির্বাচন : প্রধানমন্ত্রী


কানিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, সংসদ নির্বাচন সময় মতোই হবে। একটা নির্বাচন যেহেতু করেছি, আরেকটি নির্বাচন পরে আসবে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গণভবনে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ৫ বছর পুরো মেয়াদে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার দৃষ্টান্ত একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারই দেখিয়েছে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পুরো মেয়াদ ক্ষমতায় ছিল। আগামী নির্বাচন সম্পর্কে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, একটা নির্বাচন হয়েছে। সময় হলে আরেকটি নির্বাচন হবে। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার।
আবাহনী ও শেখ জামাল ভুটান যাচ্ছে

আবাহনী ও শেখ জামাল ভুটান যাচ্ছে


স্পোর্টস রিপোর্টার,ঢাকা:কিংস কাপ খেলতে শেখ জামাল ও আবাহনী লিমিটেড ভুটান যাচ্ছে । বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ হিসেবে ভুটানের এই আসরে খেলার সুযোগ পেয়েছে দল দুটি। দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে মোট ৯টি দল এবারের কিংস কাপে খেলবে। এ গ্রুপে আছে চারটি দল। বি গ্রুপে রাখা হয়েছে বাকি পাঁচ দলকে। বাংলাদেশের ঘরোয়া লিগের চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল পড়েছে এ গ্রুপে। গ্রুপের বাকি তিন দল ভুটানের ড্রুক ইউনাইটেড, ভারতের মোহনবাগান ও থাইল্যান্ডের নাখোন র্যাটচেসিং। বি গ্রুপে আবাহনীর চার প্রতিপক্ষ ভারতের আসাম ইলেক্ট্রিসিটি, নেপালের মানাং মারশিয়াংডি, থাইল্যান্ডের ওসোটস্পা ও স্বাগতিক ভুটানের উগিয়েন একাডেমি। ১৫ নভেম্বর প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী দিনেই ড্রুক ইউনাইটেডের বিপক্ষে খেলতে নামবে শেখ জামাল। পরের দিন আবাহনীর প্রতিপক্ষ ভারতের আসাম ইলেক্ট্রিসিটি। গ্রুপ পর্বের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল সরাসরি সেমি-ফাইনাল খেলবে। ২৯ ও ৩০ নভেম্বর দুটি সেমি-ফাইনাল হবে। ২ ডিসেম্বর হবে ফাইনাল।
রাজধানীতে হিযবুত তাহরীর সদস্য আটক

রাজধানীতে হিযবুত তাহরীর সদস্য আটক


নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর দক্ষিণখান থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহরীর সক্রিয় এক সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা। তার নাম জাহাঙ্গীর। বাবার নাম মৃত শরিফ ভূঁইয়া। বৃহস্পতিবার বিকেলে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা জানতে পারে দক্ষিণ আজমপুরুস্থ জামতলা এলাকায় সন্ধ্যার দিকে নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহরীর সদস্যরা গোপনে পোস্টাবিংসহ লিফলেট বিতরণ করবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র‌্যাব। তিনি আরো জানান, আটক জাহাঙ্গীর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে সে নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহরীরের সক্রিয় সদস্য এবং রাষ্ট্র ও সংবিধানবিরোধী কাজে সম্পৃক্ত। আটকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
সোনার বল পাওয়ার যোগ্য ছিল না মেসি: সেপ ব্লাটার

সোনার বল পাওয়ার যোগ্য ছিল না মেসি: সেপ ব্লাটার


স্পোর্টস রিপোর্টার,ঢাকা: ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে তার হাতে সোনার বল তুলে দেওয়া নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। নিজের দেশের সেরা স্টার মারাদোনা থেকে শুরু করে অনেক প্রাক্তন ফুটবলারই প্রশ্ন তুলেছিলেন, কোন যুক্তিতে লিওনেল মেসিকে বিশ্বকাপের সেরা প্লেয়ার নির্বাচন করা হয়েছিল? সেই বিতর্ক হঠাৎ করে অন্য মাত্রা পেয়ে গেল ফিফা প্রেসিডেন্টের এক বিস্ফোরক মন্তব্যে। রাশিয়ায় ২০১৮ বিশ্বকাপের লোগো উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে এসে সেপ ব্লাটার বলে দেন, মেসিকে সোনার বল দেওয়ার সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল। পছন্দের দিক থেকে বরাবর ব্লাটারের ভোট পেয়ে এসেছেন আর্জেন্টিনীয় অধিনায়ক। বার্সেলোনার মহাতারকার তুলনায় রোনাল্ডোকে নিয়ে প্রকাশ্যে অপমানজনক মন্তব্য করতেও এত দিন পিছপা হননি তিনি। একবার বলেছিলেন চুলের স্টাইল ঠিক করতেই তো সময় চলে যায় পতুর্গিজ মহাতারকার। মেসি সোনার বল পাওয়ার যোগ্য ছিল না, বলার পাশাপাশি ব্লাটারের মনে হয়েছে, পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল জার্মানির গোলকিপার ম্যানুয়েল ন্যয়ারের। যিনি ব্রাজিল বিশ্বকাপের সেরা গোলকিপার। মাস দুয়েক আগেও এক বার মেসির সোনার বল পাওয়া নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন ব্লাটার। বলেছিলেন ফিফা কমিটির মেসিকে প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট নির্বাচন সিদ্ধান্তে তিনি অবাক হয়েছেন। সেই মন্তব্য নিয়ে অবশ্য এতটা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়নি। যা এ বার হচ্ছে। মঙ্গলবার কোনো রাখঢাক ছিল না ফিফা প্রেসিডেন্টের। আরও চাঁচাছোলা ভাবে ব্লাটার বলে দেন, কমিটি যখন আমায় ওদের সিদ্ধান্ত জানায়, অবাকই হয়েছিলাম। কমিটির সদস্যরা বলল, শুধু ফাইনালে খেলা দশ ফুটবলারের মধ্যে থেকেই সেরা বেছে নেয়া হয়েছে। বিশ্বকাপের প্রায় মাস তিনেক পর এভাবে ফিফার সিদ্ধান্তের সমালোচনা খোদ প্রেসিডেন্টই কী ভাবে করতে পারেন সেটা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। মেসি অবশ্য এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ৩০ জন বাচ্চার সঙ্গে বার্সেলোনায় সময় কাটান মেসি। যারা সকলেই কঠিন রোগে আক্রান্ত। স্বপ্ন ছিল মেসিকে দেখার। বার্সার রাজপুত্র তাদের স্বপ্ন সার্থক করেন। খুদেদের সঙ্গে সময় কাটানোর পাশাপাশি একসঙ্গে ছবি তোলার, সইয়ের আবদারও মেটান। কিন্তু ভক্তদের শান্ত করতে পারেননি। শুধু মেসির ভক্তদেরই নয় ব্লাটারের মন্তব্যে হইচই পড়ে যায় রোনাল্ডো শিবিরেও। মস্কোয় ব্লাটার যা বলেন কোনো কোনো মিডিয়ায় তার ব্যাখ্যা দেয়া হয়, ব্লাটার এবার ন্যয়ারকে তুলে ধরছেন ২০১৪-র বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার ব্যালন ডিঅরের জন্য। রোনাল্ডো নয়, ন্যয়ারেরই পাওয়া উচিত এ বারের ব্যালন ডিঅর। সেটাই তার মোদ্দা কথা। সব দেখে বেজায় চটেছেন রিয়াল কোচ কার্লো আন্সেলোত্তি। কর্নেলার বিরুদ্ধে বুধবার কোপা দেল রে-র যুদ্ধে নামার আগে সাংবাদিক বৈঠকে ব্লাটারকে রীতিমতো তুলোধনা করেছেন আন্সেলোত্তি, ব্লাটার যা করেন তাতে বরাবরই আশ্চর্য হই। কিন্তু কী আর করা যাবে। ফিফা প্রেসিডেন্টের মুখ বন্ধ করা সম্ভব নয়। এই বিষয়ে ওনার কথা বলা চাই-ই। এই বছরটা ক্রিশ্চিয়ানোর। যে ভাবে ও গোল করছে, ট্রফি জিতছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই ব্যালন ডিঅর এবার কে জিতবে।
মীর কাসেমের রায় রোববার

মীর কাসেমের রায় রোববার


কানিউজ ডেস্ক : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশনের চেয়ারম্যান মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে রায় আগামী রোববার ঘোষণা করবেন ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ৪ মে উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলার রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষামান রাখেন ট্রাইব্যুনাল। মীর কাশেম আলীর পক্ষে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ আল আমিন যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। এরপর প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে পাল্টা যুক্তি উপস্থাপন করা হয়। এর আগে আসামিপক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম তার যুক্তি উপস্থাপন করেন। অন্যদিকে গত ২৭ ও ২৮ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষে জেয়াদ আল মালুম, সুলতান মাহমুদ সীমন ও ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ যুক্তি উপস্থাপন করেন। যুক্তি উপস্থাপন শেষে প্রসিকিউশন দাবি করেছেন তারা মীর কাসেম আলীর অপরাধ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এজন্য তার সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষ দাবি করেছেন, মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রসিকিউশন তাদের অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। তারা আশা করছেন তিনি খালাস পাবেন। গত বছরের ১৬ মে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুমসহ প্রসিকিউশন টিম ১৪টি অভিযোগে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার বরাবর দাখিল করেন। ২৬ মে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল-১। এরপর মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-২ এ স্থানান্তর করা হয়। মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে আনিত ১৪টি অভিযোগের মধ্যে ১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগ ছাড়া বাকি সব অভিযোগগুলোতে আটক করে নির্যাতনের বর্ণনা রয়েছে। ১১ নম্বর অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তর সালের ২৮ নভেম্বর শহীদ জসিমসহ ছয়জনকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। ১২ নম্বর অভিযোগে বলা হয়, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ তিনজনকে অপহরণ করে নির্যাতন করা হয়। এরপর সেখান থেকে দুইজনকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়। এ ছাড়া বাকি সবগুলো অভিযোগই আটক করে নির্যাতনের বর্ণনা রয়েছে। গত বছরের ১৮ নভেম্বর মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ওপেনিং স্টেটমেন্ট উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে বিচার কাজ শুরু হয়। এরপর ১১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর মীর কাসেম আলীকে ১৪টি ঘটনায় অভিযুক্ত করে অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল। গত বছরের ৬ মে মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে হত্যা, নারী নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, লুন্ঠনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৪টি অভিযোগে তদন্ত চূড়ান্ত করে তদন্ত সংস্থা প্রসিকিউশনে জমা দেয়। ২০১২ সালের ১৭ জুন মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মতিঝিলের দৈনিক নয়া দিগন্ত কার্যালয় (দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশন) থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
নতুন প্রজন্ম বিধ্বংসী হরতাল বন্ধে সোচ্চার হোন : শিক্ষামন্ত্রী

নতুন প্রজন্ম বিধ্বংসী হরতাল বন্ধে সোচ্চার হোন : শিক্ষামন্ত্রী


কানিউজ ডেস্ক : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ২১ লাখ জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষার্থীকে চরম ভোগান্তিতে ফেলে তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করার জন্যই জামায়াত-শিবির তিনদিন হরতাল দিয়েছে। এটি পরীক্ষার্থীদের জন্য বড় আঘাত। তিনি এ নতুন প্রজন্ম বিধ্বংসী অযৌক্তিক হরতাল বন্ধে সর্বস্তরের জনগণের প্রতি সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষা ২০১৪ বিষয়ক এক জরুরি পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ একথা বলা হয়। জানিয়েছে সরকারি বার্তা সংস্থা বাসস। সভায় মন্ত্রী ২১ লাখ পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলার লক্ষ্যে পরীক্ষার সময় হরতাল দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন । তিনি বলেন, জামায়াত-শিবির ১৯৭১ সালে হত্যা-গুম-খুন-লুটতরাজসহ মানবতাবিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। আজ তারা আমাদের নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যত ধ্বংস করতে চায়। মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে কোর্ট এসব ঘৃণ্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে ন্যায্য রায় দিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত ৫ বছর ধরে সবাই জানে ১ নভেম্বর (বন্ধ হলে পরবর্তী খোলার দিন) জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষা শুরু হয়। এ বছরও আমরা তিন মাস আগে ২ নভেম্বর রোববার পরীক্ষা শুরুর রুটিন ঘোষণা করেছি। আমাদের কোমলমতি পরীক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাই পরীক্ষা অনুষ্ঠানে সম্পূর্ণ প্রস্তুত । তিনি ২১ লাখ শিক্ষার্থীর ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে ঘোষিত তিন দিনের হরতাল বন্ধ করার আহ্বান জানান। আজ সভায় শিক্ষাসচিব মো: নজরুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত সচিব মো: সোহরাব হোসাইন, এ এস মাহমুদ, যুগ্মসচিবগণ ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তাসলিমা বেগম উপস্থিত ছিলেন। সভায় পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনে গতকাল গঠিত সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা পরিচালনাকারী সমন্বয় কমিটির সদস্যদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য পরামর্শ দেন। তিনি প্রতিটি শিক্ষা বোর্ড ও মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুমের কর্মকর্তাদেরকেও সর্বাত্মক সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন প্রশ্নপত্র ফাঁস করা, প্রশ্নপত্রের নামে ভুয়া সাজেশন বের করা বা ফেসবুকে প্রকাশ করাসহ যে কোনো অপতৎপরতা কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি পরীক্ষার্থীদেরকে ভুয়াা প্রশ্নপত্রের পেছনে না ছোটার জন্য আবারও পরামর্শ দেন। জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষাকালীন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট বোর্ডসমূহে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফোন নম্বর- ৯৫৫০৩৪১ ফ্যাক্স নম্বর- ৯৫১৪১১৪।
অনিশ্চয়তার জন্য দেশীয় বিনিয়োগ বাড়ছে না : অর্থমন্ত্রী

অনিশ্চয়তার জন্য দেশীয় বিনিয়োগ বাড়ছে না : অর্থমন্ত্রী


কানিউজ ডেস্ক : বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়লেও দেশীয় বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ছে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। না বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি দেশের অনিশ্চয়তাকে দায়ী করেছেন। তবে এটি রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কিনা তা ব্যাখ্যা করেননি। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ জুট গুডস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে মন্ত্রী একথা বলেন। এ সময় দেশীয় বিনিয়োগকারীরা কীসের জন্য অপেক্ষা করছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি না।’ বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটা বের করা খুব কঠিন। আইনের কিছু ফাঁকফোকর ছিল। এগুলো শুদ্ধ করার ব্যবস্থা করছি। সকালে ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) সঙ্গেও মন্ত্রীর আরেকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ, রেলওয়ে খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ার প্রতি আইএফসি জোর দিয়েছে। তাঁরা বলেছে, রেলে কোনো বেসরকারি বিনিয়োগ নেই। অথচ স্থাবর সম্পত্তি আছে যথেষ্ট। এসব সম্পত্তি রক্ষা করার দায়িত্ব বেসরকারি খাতে ছাড়া যায়।
চট্টগ্রামে স্টিল রি-রোলিং মিলে আগুন

চট্টগ্রামে স্টিল রি-রোলিং মিলে আগুন


চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম নগরীর কর্ণফুলী থানার মইজ্জ্যার টেক এলাকার একটি স্টিল রি-রোলিং মিলে অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এহসান স্টিল রি-রোলিং মিলে আগুন লাগে। চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানা যায়, বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুনে কারখানার ভিতরে দুই কোটি টাকা মূল্যের জেনারেটর, ফার্নেস অয়েলসহ বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী পুড়ে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মালিক পক্ষ জানিয়েছে। কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন অগ্নিকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আগুন লাগার ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
শনিবার নাটোর যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

শনিবার নাটোর যাচ্ছেন খালেদা জিয়া


কানিউজ ডেস্ক : নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে দেশব্যাপী ধারাবাহিক জনসম্পৃক্ত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার উত্তরাঞ্চলের জেলা নাটোর যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। স্থানীয় ২০ দলীয় জোটের উদ্যোগে জেলার নবাব সিরাজউদ্দৌলা সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করবেন জেলা বিএনপির সভাপতি রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। দলটির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ জানান, শনিবার সকাল ১০টায় বিএনপি চেয়ারপারসন গুলশানের নিজ বাসভবন থেকে নাটোরের উদ্দেশে রওনা হবেন। তিনি আশুলিয়া-টাঙ্গাইল-সিরাজগঞ্জ হয়ে নাটোর জেলা সার্কিট হাউজে পৌঁছাবেন। সেখান কিছুক্ষণ বিশ্রাম শেষে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। জনসভা শেষে রাতেই বিএনপি চেয়ারপারসন ঢাকা ফিরবেন বলে জানান তিনি। ওই জনসভাটি ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও পরে তারিখ পরিবর্তন করে ১ নভেম্বর করা হয়।