Thursday, September 25

টনসিল ইনফেকশনের জন্য ভাইরাস দায়ী


টনসিল এক ধরনের লিমফয়েড টিস্যু। গলার ভেতরে দুই পাশে একজোড়া টনসিল থাকে। কোনো ধরনের প্রদাহ বা ইনফেকশন হলে আমরা এটাকে টনসিলাইটিস বলি। টনসিলাইটিস একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। টনসিল ইনফেকশন সাধারণত তিন থেকে ১২ বছরের বাচ্চাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে বড়দের ক্ষেত্রে যে একেবারেই হয় না, তা নয়। ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, টনসিল ইনফেকশনের জন্য ভাইরাস দায়ী। ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের জন্যও টনসিলাইটিস হতে পারে। ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত বিটা হেমোলাইটিক স্ট্রেপ্টোকক্কাস দিয়ে হয়। অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া দিয়েও টনসিলাইটিস হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে বারবার ঠান্ডা সর্দি লাগা, অপুষ্টিহীনতা, পরিবেশ দূষণ, দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অপর্যাপ্তও এ ইনফেকশনের কারণ হতে পারে। টনসিল ইনফেকশন হলে কীভাবে বুঝবেন- জ্বর হতে পারে ১০৩ ডিগ্রি থেকে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট, গায়ে ব্যথা, মাথাব্যথা, কানে ব্যথা হতে পারে। গলাব্যথা ও খাবার গিলতে সমস্যা হতে পারে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে মুখ দিয়ে লালা পড়তে দেখা যায়। এরকম সমস্যা যদি হয়, আমরা এটাকে তীব্র ইনফেকশন বলি। চিকিৎসকের উপদেশ অনুযায়ী নিয়মিত এবং সঠিক সময়ে ওষুধ সেবন করলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক, মাউথওয়াশ, ব্যথার ওষুধ, প্রচুর পরিমাণ পানি গ্রহণের মাধ্যমে এ ইনফেকশনের চিকিৎসা করা হয়। কেউ যদি সঠিকভাবে চিকিৎসা গ্রহণ না করে সে ক্ষেত্রে ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদি ইনফেকশন হয়। দীর্ঘমেয়াদি টনসিল ইনফেকশন যদি বছরে চার থেকে পাঁচবার পরপর দুই বছর হয় তবে তা অপারেশন করিয়ে নেয়া ভালো। টনসিল ইনফেকশনের চিকিৎসা না করালে নিম্নোক্ত সমস্যা হতে পারে- * টনসিলে ফোঁড়া হতে পারে। * টনসিলের চার পাশে ইনফেকশন ছড়িয়ে যেতে পারে। * কানে ইনফেকশন হতে পারে। বাতজ্বর বা রিউমেটিক ফিবার হতে পারে। * শ্বাসনালি ফুলে যেতে পারে এমনকি শ্বাসকষ্টও হতে পারে। * জীবাণু রক্তে ছড়িয়ে পড়তে পারে। * রক্তের মাধ্যমে জীবাণু কিডনিতে ছড়িয়ে গেলে সেখানেও ইনফেকশন হতে পারে। তাই এ ধরনের সমস্যা হলে অবহেলা করা উচিত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো, ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত। অধ্যাপক ডা. এম আলমগীর চৌধুরী বিভাগীয় প্রধান, নাক-কান-গলা আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়