Tuesday, September 30

এমপিকে ধর্ষণের হুমকি, অতঃপর শ্রীঘরে

এমপিকে ধর্ষণের হুমকি, অতঃপর শ্রীঘরে


কানিউজ ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য স্টেলা ক্রিজিকে আপত্তিকর এক টুইট করার শাস্তি পেলেন পিটার নান নামের ট্যাক্সিচালক। তাকে ১৮ সপ্তাহের কারাদণ্ড দিয়েছেন লন্ডনের একটি আদালত। চলতি মাসের প্রথম দিকে ওয়ালথামস্টোর এমপি ক্রিজিকে এক টুইটে ধর্ষণ করার হুমকি দেন ব্রিস্টলের নাগরিক নান। টুইটে সংসদের বিরোধী দল লেবার পার্টির এই নেত্রীকে ডাকিনী বলেও মন্তব্য করেন ৩৩ বছর বয়সী নান। নানের টুইটকে অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ ও ভীতিকর বলে অভিহিত করেন বিচারক এলিজাবেথ রসকো। প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ ১০ পাউন্ডের কাগজের নোটে ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক জেন অস্টিনের ছবি ছাপা হয়। জেন অস্টিন ক্যাম্পেইন চালু করেছেন নারীবাদী সাংবাদিক ক্যারোলিন ক্রিয়াডো পেরেজ। এই ক্যাম্পেইনকে সমর্থন করায় ক্রিজিকে টুইট করে ওই হুমকি দেন নান। টুইটারে নানের একাধিক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। দেড় বছরের জেলাদেশের পাশাপাশি নানের এ সব অ্যাকাউন্টের ওপরও বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন আদালত। রায়ে বলা হয়, আগামীতে নান তার কোনও অ্যাকাউন্ট থেকেই ক্রিজি কিংবা পেরেজকে টুইট করতে পারবেন না। ২৯ সেপ্টেম্বর এই রায় ঘোষণার পর এমপি ক্রিজি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি জানান, অনলাইন হয়রানিও যে হতাশা ও ভয়ের কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে, নানের এই দন্ডাদেশ সেটাই প্রমাণ করল।
মন্ত্রিসভা থেকে লতিফ সিদ্দিকীকে ‘অপসারণ’

মন্ত্রিসভা থেকে লতিফ সিদ্দিকীকে ‘অপসারণ’


স্টাফ রিপোর্টার : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। হজ এবং হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করে বিতর্কের জন্ম দেয়ার পর তাকে অপসারণের এ সিদ্ধান্ত এলো। বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেলে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে অপসারণের সিদ্ধান্তের সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে। তবে মন্ত্রি পরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি। রোববার নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে হজ নিয়ে কটূক্তির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়েও তাচ্ছিল্য করে বক্তব্য রাখেন তিনি। তিনি বলেন, আমি হজ এবং তাবলীগের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীর যত বিরোধী তার থেকেও হজ ও তাবলীগের বিরোধী। এ হজে যে কত ম্যানপাওয়ার নষ্ট হয়। হজের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরবে গেছে। এদের কোনও কাম নেই। এরা কোন প্রডাকশন দিচ্ছে না। শুধু রিডাকশন দিচ্ছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা দিয়ে আসছে। ওই অনুষ্ঠানে টক শো আলোচকদেরও গালিগালাজ করেন তিনি। অনলাইনে এ বক্তব্য প্রচারিত হওয়ার পর তোলপাড় তৈরি হয়। হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন সংগঠন মন্ত্রিসভা থেকে তার অপসারণ এবং তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভানেত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী তাকে অভিহিত করেছেন মুখফোঁড় নেতা হিসেবে।
লোভাছড়া ট্যুরিস্ট ক্লাবের সভা অনুষ্টিত

লোভাছড়া ট্যুরিস্ট ক্লাবের সভা অনুষ্টিত


নিজস্ব প্রতিবেদক: লোভাছড়া ট্যুরিস্ট ক্লাবের এক সাধারণ সভা আজ সন্ধ্যা ৭টায় ক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। নতুন সদস্যদের কাছে ক্লাবের পরিচিতি তুলে ধরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন লোভাছড়া ট্যুরিস্ট ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মাহবুবুর রশিদ । তিনি বলেন, কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাশে অবস্থিত লোভাছড়া পর্যটন এলাকাকে দেশ বিদেশে তুলে ধরাসহ কানাইঘাটের যে কোন তথ্য আদান প্রদান ও পর্যটন সম্ভাবনাময় উপজেলা অন্যান্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত এলাকাকে তুলে ধরার পাশাপাশি সকল প্রকার সামাজিক ও সেবামূলক কর্মকান্ডে নবগঠিত এ সংগঠনটি কাজ করে যাবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের  সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান,সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ। সদস্য শাহেদ আহমদ,সুহেল আহমদ,সমির উদ্দিন,সাকিব আহমদ,শাহিদ আহমদ,আলাউদ্দিন,শেবুল আহমদ,রাসেল আহমদ,শাহিদ আহমদ-২,আবুল হুসেন,আবুু শালেহ মো: মামুন প্রমূখ। লোভাছড়া ট্যুরিস্ট ক্লাবের  বিস্তারিত তথ্যের জন্য www.facebook.com/lubasoratouristclub  নামে একটি অফিসিয়াল ফেসবুক ফ্যান পেজও খোলা হয় ।
কেরানীগঞ্জ ৪ খুনের প্রধান আসামি গ্রেফতার

কেরানীগঞ্জ ৪ খুনের প্রধান আসামি গ্রেফতার


ঢাকা: কেরানীগঞ্জের চার খুনের মামলার আসামি নাসিরকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থেকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরের দিকে তাকে উপজেলার মোহনগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে আমিও শুনেছি যে মোহনগঞ্জ থেকে নাসির নামে একজনকে গ্রেফতার করে ঢাকায় নিয়ে গেছে ডিবি পুলিশ। উল্লেখ্য, গত ২৪ সেপ্টেম্বর বুধবার বেলা ১১টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন কলাকান্দি এলাকার একটি ছয়তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী এবং দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।এর একদিন পর তাদের পরিচয় পাওয়া যায়। নিহতরা হলেন-সানজিদা (২), ইমরান (৭), সাজু আহমেদ (৩৫) এবং রঞ্জি বেগম। সম্পর্কে সাজু আহমেদ ও রঞ্জি বেগম স্বামী-স্ত্রী। আর সানজিদা ও ইমরান তাদের দুই সন্তান। সাজুর বাড়ি পঞ্চগড়েরর দেবীগঞ্জ উপজেলার সারিকান্দি গ্রামে। এরপর এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিভিন্ন স্থান থেকে ৭ জনকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, নিহত সাজু ডাকাত দলের সদস্য আর গ্রেফতারকৃতরা তার সহযোগী। সুমনের মোটরসাইকেল চুরি, নবাবগঞ্জের চুরাইন বাজারে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির মালামালের ভাগবাটোয়ারা এবং সুমনের স্ত্রী লাকীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জের ধরেই সাজু ও তার স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জাকারিয়া ওরফে জনি (২৬), সুমন ওরফে সিএনজি সুমন (৩০), আব্দুল মজিদ (২৪), রফিক (৩৮), সাহিদা বেগম (৩৬), মুক্তা বেগম (৩০) ও রানী বেগম। জনি ও সাহিদাকে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থেকে, মজিদকে দক্ষিণ কেরারীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর এবং রফিককে হাসনাবাদ এলাকায় থেকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিদের মধ্য সিএনজি সুমন ও রাণী বেগমকে গাজীপুরের ভাওয়াল মির্জাপুর এলাকায় থেকে গ্রেফতার করা হয।
লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার দাবি এরশাদের

লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার দাবি এরশাদের


স্টাফ রিপোর্টার : হজ ও তাবলীগ জামাত সম্পর্কে মন্তব্য করায় আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এরশাদ এই দাবি জানান। এরশাদ বলেন, যেখানে দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এবং সংবিধান অনুসারে কোন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা যাবে না। সেখানে লতিফ সিদ্দিকী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে সরাসরি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। তাই সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে তাকে অভিযুক্ত করতে হবে। এর জন্য শুধু ক্ষমা চাইলেই হবে না। দেশের প্রচলিত আইনে তার বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বিবৃতিতে এরশাদ বলেন, ‘ইসলামের চার স্তম্ভের অন্যতম হজ। তা নিয়ে লতিফ সিদ্দিকী যে জঘন্য ও কুৎসিত মন্তব্য করেছেন তার নিন্দা প্রকাশেরও ভাষা আমার জানা নেই। হজের ব্যাপারে আজ পর্যন্ত অন্য কোন ধর্মাবলম্বীরাও এ ধরনের কুৎসিত মন্তব্য করেনি। সেখানে বাংলাদেশের মতো একটি মুসলিম-অধ্যুষিত দেশে যেখানে ৯০ ভাগই মুসলিম জনগোষ্ঠী, তাঁদের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হানার মতো লতিফ সিদ্দিকী যে জঘন্য কাজ করেছেন, তা এ দেশের জনগণ কখনও এবং কোনভাবেই মেনে নেবে না।
সব ধরনের গ্যাসের দাম বাড়ছে

সব ধরনের গ্যাসের দাম বাড়ছে


কা্নিউজ ডেস্ক: সব ধরনের গ্যাসের দাম আবারও বাড়ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাড়ছে আবাসিক খাতের গ্যাসের দাম। আবাসিক খাতে দুই চুলার ক্ষেত্রে দাম বাড়বে সর্বোচ্চ ১২২ দশমিক ২২ শতাংশ পর্যন্ত। এর ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বাড়বে। দাম বাড়ানোর এই প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও পেট্রোবাংলার দায়িত্বশীল সূত্র এই তথ্য জানিয়ে বলেছে, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত প্রস্তাব ইতিমধ্যে জ্বালানি মন্ত্রণালয় পেট্রোবাংলায় পাঠিয়েছে। এখন তারা ওই প্রস্তাব এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে জমা দেবে। এরপর কমিশন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেবে। সূত্র জানায়, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম রেগুলেটরি কমিশন বাড়ানোর ঘোষণা দেবে না। এটা সরকার নির্বাহী আদেশে বাড়াবে। এ জন্য কেবল কমিশনের মতামত নেবে। তবে তা আগে জানানো হবে না। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত প্রস্তাব অনুযায়ী, আবাসিক খাতে দুই চুলার গ্যাসের জন্য বর্তমান দাম ৪৫০ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করা হচ্ছে। বৃদ্ধির হার ১২২ দশমিক ২২ শতাংশ। আর এক চুলার গ্রাহকদের ক্ষেত্রে বর্তমান দাম ৪০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮৫০ টাকা করা হবে। এ ক্ষেত্রে দাম বাড়ার হার ১১২ দশমিক ৫০ শূন্য শতাংশ। আবাসিক গ্রাহকদের মধ্যে যাঁরা মিটার ব্যবহার করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে প্রতি এক হাজার ঘনফুট গ্যাসের দাম বর্তমানে ১৪৬ টাকা ২৫ পয়সা। নতুন প্রস্তাবে এটা ২৩৫ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। বৃদ্ধির হার ৬০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। জানতে চাইলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গ্যাসের দাম এককালীন বড় আকারে বাড়ার ফলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তদের মধ্যে যাঁরা গ্যাস ব্যবহার করেন, তাঁদের ওপর চাপ বাড়বে। নির্ধারিত আয়ের মানুষের ব্যয়ও বাড়বে। তবে দাম বাড়ার ফলে সরকারের যে বাড়তি আয় হবে, সেটা যদি গ্যাস উত্তোলন, বিতরণ এবং যাঁরা গ্যাস পাচ্ছেন না, তাঁদের দেওয়ার জন্য ব্যয় করা হয়, তাহলে দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা মেনে নেওয়া যায়। এ ছাড়া চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য আনতে হলে একটা মূল্য সমন্বয়ের প্রয়োজন আছে, সেটা অস্বীকার করা যায় না। আবাসিক খাতের পরেই গ্যাসের সবচেয়ে বেশি দাম বাড়বে ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ (বেসরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য মালিকদের নিজস্ব উৎপাদিত) উৎপাদনে। বর্তমানে এক হাজার ঘনফুট গ্যাসের দাম ১১৮ টাকা ২৬ পয়সা। নতুন প্রস্তাবে তা ২৪০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। বৃদ্ধির হার ১০২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। সিএনজির দাম বাড়বে ৩৩ শতাংশ। বর্তমানে সিএনজির প্রতি এক হাজার ঘনফুটের দাম ৮৪৯ টাকা ৫০ পয়সা। নতুন প্রস্তাবে তা করা হচ্ছে এক হাজার ১৩২ টাকা ৬৭ পয়সা। শিল্পে বর্তমানে প্রতি এক হাজার ঘনফুটের দাম ১৬৫ টাকা ৯১ পয়সা। এটা বেড়ে হচ্ছে ২২০ টাকা। বৃদ্ধির হার ৩২ দশমিক ৬০ শতাংশ। বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে বর্তমান দাম ২৬৮ টাকা ৯ পয়সা, এটা হচ্ছে ৩৫০ টাকা। বৃদ্ধির হার ৩০ দশমিক ৫৫ শতাংশ। সিএনজি খাতে গ্যাসের দাম এখন ৬৫১ টাকা ২৯ পয়সা। এটা বেড়ে হচ্ছে ৯০৫ টাকা ৯২ পয়সা। বৃদ্ধির হার ৩৯ দশমিক ১০ শতাংশ। চা-বাগানে ব্যবহৃত গ্যাসের বর্তমান দাম ১৬৫ টাকা ৯১ পয়সা। এটা করা হচ্ছে ২০০ টাকা। বৃদ্ধির হার ২০ দশমিক ৫৫ শতাংশ। বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে গ্যাস দেওয়া হয় বর্তমানে সে রকম প্রতি এক হাজার ঘনফুট গ্যাসের দাম ৭৯ দশমিক ৮২ টাকা। এটা হচ্ছে ৮৪ টাকা, বৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ। সার উৎপাদনে বর্তমানে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের দাম ৭২ দশমিক ৯২ টাকা। এটা বৃদ্ধি পেয়ে হবে ৮০ টাকা। বৃদ্ধির হার ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ। জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও পেট্রোবাংলার সূত্র জানায়, এবারই প্রথম দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে সম্পদ হিসেবে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের দাম ২৫ টাকা ধার্য করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এই প্রস্তাবেও অনুমোদন দিয়েছেন। এর ফলে বাপেক্সসহ বিভিন্ন গ্যাস উত্তোলনকারী কোম্পানি যে গ্যাস উত্তোলন করে, তার ওপর এই দাম ধার্য হবে। এখন পর্যন্ত উত্তোলনকারী কোম্পানিকে উত্তোলিত গ্যাসের জন্য কোনো দাম দিতে হয় না। এই অর্থ রাষ্ট্র পাবে। এর আগে ২০১৩ সালের ৪ জানুয়ারি নির্বাহী আদেশে সরকার সর্বশেষ জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছিল। আর গ্যাসের দাম সর্বশেষ বাড়ানো হয় ২০০৯ সালের ১ আগস্ট।
লতিফ সিদ্দিকীকে মুখফোড় বললেন সাজেদা

লতিফ সিদ্দিকীকে মুখফোড় বললেন সাজেদা


স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে মুখফোড় মন্তব্য করে দলটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাজেদা চৌধুরী তার কথায় কান না দেয়ার জন্য দলের নেতাকর্মীদের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মুখফোড়রা অনেক কথাই বলেন। এটা তাদের স্বাধীনতা। এটা কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না। আশা করি আপনারাও এটা গ্রহণ করবেন না। মঙ্গলবার সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির দলীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাজেদা চৌধুরী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, কে কী বলল তাতে কান দেবেন না। বঙ্গবন্ধু আমাদের যা দিয়ে গেছেন তা নিয়ে আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছি। আর জয় কে তা সবাই জানে। রোববার নিউ ইয়র্কে এক সংবর্ধনায় সরকারের মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমি জামায়াতের চেয়ে হজ এবং তাবলীগের ঘোর বিরোধী। প্রধানমন্ত্রী পূত্র জয় সম্পর্কে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, জয় কে? ওই অনুষ্ঠানে টকশো’র আলোচকদের নিয়েও কদর্য বক্তব্য রাখেন লতিফ সিদ্দিকী। তার এ বক্তব্য প্রত্যাহার করে তওবা করার আহবান জানিয়েছে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন। তাকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের আল্টিমেটাম দিয়ে হেফাজতে ইসলাম বলেছে, প্রয়োজন আবারও আন্দোলনে নামবে সংগঠনটি।
বাঁচানো গেলো না তাজকিয়াকে

বাঁচানো গেলো না তাজকিয়াকে


কানিউজ ডেস্ক: মৃত্যুর সাথে লড়াই করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী তাজকিয়া। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টায় বোম্বে থেকে তার লাশ ঢাকা এসে পৌছে। পরে দুপুর ২টায় এ্যাম্বুলেন্স যোগে সিলেটের পথে রওয়ানা দিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। আজ রাত সাড়ে ১০টা খাদিমপাড়া মদিনা মসজিদে জানাযা শেষে মেধাবী ছাত্রী তাজকিয়াকে দাপন করা হবে। লন্ডন প্রবাসী তার ভাই ফয়েজুর রহমান চৌধুরী এ তথ্য জানান। তাজকিয়ার জন্য সকলের কাছে তিনি দোয়া প্রার্থী। তাজকিয়া। পুরো নাম তাজকিয়া জান্নাত চৌধুরী। অসম্ভব মেধাবী একটি মেয়ে। আর তা না হলে কি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক পড়ার সুযোগ পায়। ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী তাজকিয়া সারাক্ষণ ক্লাস, ল্যাব আর পড়ার টেবিল নিয়েই ব্যস্ত থাকত। স্বপ্ন বড় পদার্থ বিজ্ঞানী হবে। মনে মনে ভাবে তারই বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র অমিতের মত নাসায় কাজ করবে। সবকিছু চলছিলও ঠিকঠাক মতো। সামনে অনার্স ফাইনাল পরীক্ষাও দেয়া কথা। কিন্তু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে তাজকিয়া। যেমনটা আমরাও হই মাঝে মাঝে; আবার সুস্থ হয়েও যাই। কিন্তু দিন যায় রাত আসে, গড়িয়ে যায় সপ্তাহ। সুস্থ হয়না তাজকিয়া। বদলানো হয় ডাক্তার। ধরা পড়েনা কিছুই। এক পর্যায়ে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর চিকিৎসকরা জানান, তাজকিয়া ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। আসমান ভেঙ্গে পড়ে তাজকিয়া ও তার পরিবারের ওপর। ধবংস স্তুপে পরিণত হয় তাদের সবকিছু। এ আঘাত যেন সুনামির চেয়েও ভয়কর। শুধু তাজকিয়া ও তার পরিবার নয়; শিক্ষক ও সহপাঠি কেউই ভাবেনি স্বপ্নের পথে এভাবে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে স্বয়ং মৃত্যু। সবাই দিশেহারা হয়ে খুঁজছে আশার অভয়। ক্যান্সার ধরা পড়ার পর থেকে রাজধানীর ‘ধানমন্ডি জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কিডনী সেন্টার’-এ ভর্তি আছে তাজকিয়া। চিকিৎসকরা জানান, তার ‘একুইট মাইলোব্লাস্টিক লিউক্রেমিয়া’ ৪র্থ স্টেইজে আছে। এই স্টেইজের চিকিৎসা দেশের কোন হাসপাতালে নেই। যে কারণে তাকে বাঁচাতে হলে দ্রুত দেশের বাইরে নিয়ে যেতে হবে। প্রতিস্থাপন করতে হবে অস্থিমজ্জা ও কয়েকটি কেমো থ্যারাপীও দিতে হবে। ডাক্তারের এমন সংকেতে দিশেহারা হয়ে পড়েন তাজকিয়ার পরিবার। ছুটেছেন হন্য হয়ে। মেয়েকে নিয়ে এখন কি করবেন তাও ভেবে পাচ্ছেনা। আর পাবেনইবা কি করে? শেষ সম্বল মাথা গোজার ঠাই খাদিম পাড়ার ছোট বাসাটি বিক্রি করেও এতো টাকা জোগাড় করা তার পক্ষে যে সম্ভব ছিল না। তারপরও থেমে থাকেননি বাবা আব্দুর রাজ্জাক। নিজে না পারলে কি হবে; তার দৃঢ় বিশ্বাস মেয়ের চিকিৎসার খরচ বহন করবে সিলেটবাসীর পাশাপাশি দেশের ১৬ কোটি মানুষ। এগিয়ে আসবে প্রবাসী বাঙ্গালীরাও। সে বিশ্বাস থেকেই মেয়েকে ভারতের মুম্বাইয়ে ‘টাটা মেরোরিয়াল হাসপাাতাল’-এ ভর্তি করান তিনি। অবশেষে সকল প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তাজকিয়া।
১৫০০ টাকার ওষুধেই যেভাবে গরু ফুলেফেপে ওঠছে

১৫০০ টাকার ওষুধেই যেভাবে গরু ফুলেফেপে ওঠছে


কানিউজ ডেস্ক: আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশ জুড়ে চলছে গরু মোটাতাজাকরণের কাজ। এর মধ্যে অসাধু ব্যবসায়ীরা সামান্য পুঁজিতে অধিক মুনাফার আশায় অল্পদিনেই কৃত্রিম উপায়ে গরু মোটাতাজা করে থাকেন। বিভিন্ন হরমোন ব্যবহার করা এসব গরু যেমনি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তেমনি এ থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধী অন্যান্য পশুর মধ্যেও ছড়িয়ে যেতে পারে। গরু মোটাতাজাকরণে কৃত্রিম উপায়:প্রথমে একটি প্রাপ্তবয়স্ক গরুকে মোটাতাজাকরণ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর কৃমিনাশক রেনাডেক্স, এলটিবেট, অ্যান্টিওয়ার্ম জাতীয় ওষুধ থেকে যে কোনো একটি পরিমিত মাত্রায় খাওয়ানো হয়। এরপর ৭ দিন বিশ্রাম। বিরতির পর এসোল্ট, বিটাফস, ফক্সবেট, মেটাফক্স, ক্যাটাসল্ট ও বিউটাফস জাতীয় ওষুধের যে কোনো একটি ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়। এতে গরুটি মোটাতাজার জন্য প্রাথমিকভাবে তৈরি হয়ে উঠে। এর ৭ দিন পর পর মাংসপেশীতে এসব ইনজেকশনের (এসোল্ট/ক্যাটাসল্ট) যে কোনো একটি ২৮ দিন প্রয়োগ করা হয়। এর সঙ্গে ভিটামিন এডিই ইনজেকশনও প্রয়োগ করা হয়। ফলে পশুটি ধীরে ধীরে মোটাতাজা হয়ে উঠে। ২৮ দিন পর এমোভিট-জি, ক্যালফসটনিক এ জাতীয় পাউডার এবং ভিটামিন ট্যাবলেট এনোরা, এনোরেক্সন ও হজমবেটের যে কোনো একটি দৈনিক ২টি করে খাওয়ানো হয়। তিন মাসে সব মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার টাকার মতো প্রতিটি গরুর পেছনে খরচ হয়ে থাকে। এতে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ মাংস বৃদ্ধি পায়। এভাবে সময় নিয়ে গরু মোটাতাজা করা হলে কোনো সমস্যা হয় না। তবে অন্য উপায়ে যেসব গরু মোটাতাজা করা হয় তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আবার কিছু কিছু অদক্ষ পল্লী চিকিৎসক মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ ব্যবহার করেন। এতে অনেক সময় ঘটে বিপত্তি। মাত্রাতিরিক্ত ওষুধে গরু মারাও যেতে পারে। ২৮ দিনেই মোটাতাজা: কোরবানিকে সামনে রেখে পশু মোটাতাজা করতে অসাধু ব্যবসায়ীরা তিন মাস নয় মাত্র ২৮ দিন আগ থেকেই প্রস্তুতি নেয়। যা পশু ও সেটির মাংস যারা খাবে তাদের জন্য চরম ক্ষতিকর। অতিরিক্ত মুনাফার আশায় স্বল্প সময়ে গরু মোটাতাজা করতে স্টেরয়েড, কোর্টিসল, ডেক্রামিথাসন, হাইড্রোকর্টিসন, বিটামিথাসন ও প্রেডনিসলনের মতো মারাত্মক হরমোন ব্যবহার করা হয় গুরু মোটাতাজা করতে। এসব ওষুধ এতোই বেশি মাত্রায় ব্যবহার করা হয় এতে মাত্র চার সপ্তাহ বা ২৮ দিনেই গরু মোটাতাজা হয়ে উঠে। কিন্তু এসব গরু মোটা হয়ে উঠার কয়েক দিনের মধ্যে জবাই না করলে এমনিতেই মারা যায়।
বৈধ হচ্ছে ভাইবোনের বিয়ে!

বৈধ হচ্ছে ভাইবোনের বিয়ে!


কানিউজ ডেস্ক :: বহু সামাজিক বিবর্তনের মধ্য দিয়ে মানুষের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক এবং মূল্যবোধের একটা বৈধ রূপ প্রতিষ্ঠিত হয়। সময়ের সঙ্গে ভিন্ন পরিস্থিতি সাপেক্ষে তা বদলে যাওয়ার ইতিহাস আছে। সম্প্রতি জার্মানির ‘এথিক্স কাউন্সিল’ এক অভিনব বিষয়কে সামনে নিয়ে এসেছে, যা কিনা বর্তমানে প্রচলিত মূল্যবোধের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। বিষয়টি হলো সহোদর ভাইবোনের মধ্যে যৌন সম্পর্ক। জার্মানিতে এই অজাচার বা সমাজ অস্বীকৃত যৌন সম্পর্কের বিষয়টি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অন্তর্ভুক্ত। ইউরোপের বেশ কিছু দেশ- ফ্রান্স, স্পেইন, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ড লুক্সেমবার্গ কিন্তু এটিকে বৈধতা দিয়েছে। যে কারণে জার্মানিতে ব্যাপারটি নিয়ে চলছে নাড়াচাড়া। এথিক্স কাউন্সিলের ভাষ্য, দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করবে কী না তা তাদের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় হওয়া উচিৎ। সমাজ এটিকে নিষেধাজ্ঞার জায়গায় নিয়ে যেতে পারে না। এর জন্যে রীতিমতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের আওতায় শাস্তিবিধান করতে পারে না। জার্মান প্রশাসন যদি এথিক্স কাউন্সিলের যুক্তিতে গুরুত্ব দেয়, তাহলে ফ্রান্স, স্পেন, পর্তুগালের মতো জার্মানিও অচিরেই ভাইবোনের যৌন সম্পর্ক বৈধ করতে পারে। স্মরণ করা যায় প্রাচীন মিশরের রাজপরিবাগুলোর কথা, যেখানে কথিত রক্তের বিশুদ্ধতা রক্ষার জন্যে সহোদর ভাইবোনের মধ্যে জাঁকজমকের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হতো। এথিক্স কাউন্সিল ‘রক্তের বিশুদ্ধতা রক্ষার’ বিষয়টিকে উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু সমর্থন করেছে মানুষের সিদ্ধান্ত নেয়ার স্বাধীনতাকে। নতুন এ বিষয়টি সামনে চলে আসে এক অজাচারী জুটিকে ঘিরে। প্যাট্রিক ও সুসান, গণমাধ্যমের কল্যাণে জার্মানীতে সুপরিচিত। তারা দুজন সহোদর ভাইবোন এবং শারীরিক আকর্ষণের বশবর্তী হয়ে মিলিত হন। বিষয়টি যতদিনে জানাজানি হয়, ততদিনে তারা চার সন্তানের বাবা মা। জার্মান সরকার দুজনকে পৃথক করে দেয় এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের আওতায় প্যাট্রিকের চার বছরের জেল হয়। ঔরসজাত চার সন্তানের মধ্যে দুজনই প্রতিবন্ধী। তাদেরকে নিরাময়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সুস্থ দুজন সুসানের সঙ্গে আছে। দুজন প্রতিবন্ধী সন্তানই দেখিয়ে দিচ্ছে, কেন অজাচার অবৈধ। এমনটা মনে করছে এথিক্স কাউন্সিল। তাদের মতে, ঠিক এ কারণেই বিষয়টি ধীরে ধীরে সামাজিকভাবে অপরাধ হিসেবে দাঁড়িয়েছে গেছে, যা একটি ভুল সিদ্ধান্ত। দুজন জিনেটিক ত্রুটিযুক্ত নরনারীর বিয়েকে যখন অবৈধ করা হচ্ছে না, তাদের মিলনে জন্ম নেয়া প্রতিবন্ধী সন্তানকে যখন অবাঞ্ছিত করা হচ্ছে না, তখন ভাইবোনের যৌন সম্পর্ক অবৈধ, বেআইনী, তাদের সন্তান অবাঞ্চিত হওয়াটা অমানবিক। এথিক্স কাউন্সিল সামাজিক বিবর্তনের বিষয়টি মাথায় রেখে মতামত প্রদান করে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে থাকে। কাউন্সিল যখন ভাইবোনের সম্পর্ককে অবৈধ করাটা অমানবিক মনে করছে তখন অদূর ভবিষ্যতে জার্মানিতে বিষয়টি বৈধ হওয়াটা হয়ত শুধু সময়ের ব্যাপার।

Monday, September 29

বিএনপির আগামীতে সরকার বিরোধী আন্দোলনের সুযোগ পাবে না: বাণিজ্যমন্ত্রী

বিএনপির আগামীতে সরকার বিরোধী আন্দোলনের সুযোগ পাবে না: বাণিজ্যমন্ত্রী


সচিবালয় প্রতিবেদক : বিএনপির আগামীতে সরকার বিরোধী আন্দোলন করার সুযোগ পাবে না, তারা নিজেদের সংগঠন রক্ষায় ব্যস্ত থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চেক রিপাবলীকানের রাষ্ট্রদূত মিলোস্রাব স্টেসেকের (stasek) সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এ পযন্ত ঈদের পরে, পরক্ষীরপর, পুজার পর, রোজার পর যে তারিখ তারা দিয়ে যাচ্ছে। এধরণের আল্টিমেটাম দেয়া এখন তাদের রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য। বিএনপিকে মানুষ বিশ্বাস করে না। তারা যে এমন করে কিছু করতে পারবে না। তা মানুষ বুঝে ফেলছে। ২০ দলীয় জোটের নেতা খালেদা জিয়া বলেছেন তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে, নির্বাচন দিতে হবে সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে তোফায়েল আহমেদ বলেন, মেয়াদ পুন করার আগে বাংলাদেশে আর একটি নির্বাচন করা কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ আমাদের মেয়াদ পুর্ন হবে ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারী। এর আগে ৯০ দিনের মধ্যে যে কোনো দিন নির্বাচন হবে। তার আগে জাতীয় নির্বাচন নয়। সুতারং সংলাপ করবো কি নিয়ে। বিরোধীদলীয় নেতা (খালেদা জিয়া) তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে ভুল করেছেন। বিরোধীদল হিসাবে নির্বাচন চাইতে পারেন। বিএনপির রাজনীতি ঠেকাতে তাদের মামলা দেয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মামলার রাজনীতি বিএনপি শুরু করেছে। আমি নিজে ৪৪টি মামলার আসামি ছিলাম। বিদেশ থেকে দেশে ফিরে বিমান বন্দর থেকে আমাকে গ্রেফতার করে বিমান বন্দর থানায় এক রাত দাড়করিয়ে রেখেছে। কাশিমপুর কারাগারে ফাঁসির্ আসামিদের মত কন্ডেম সেলে রাখা হয়েছে। এগুলি তারা শিখিয়েছে। তাহলে আপনারাকি সেই অনুকরন করছেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, না আমরা তা করছিনা। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে যারা আইনকে নিজের হাতে তুলে নেয় আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্চি। আন্তর্জাতিকভাবে বর্তমান সরকার প্রশংসিত দাবি করে তিনি বলেন, বিদেশিরা আমাদের অভ্যন্তরিন বিষয়ে কোন হস্তক্ষেপ করবে না। মন্ত্রী জানান, ইউরোপিয় উনিয়নের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনেকভালো। আজকে এদেরে সঙ্গে বসেছি। আমরা একটি সিদ্ধান্তে পৌছেছি এ বছরের মধ্যে দুদেশের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি করবো। আমরা চেক প্রজাতন্ত্রে ১০০ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি করছি। অন্যদিকে তারা ৫০ মিলিয়ন রপ্তানি করছে। এ চুক্তি হলে আরো অনেক বেড়ে যাবে।
শুধু বিমান হামলায় আইএস দমন সম্ভব নয়

শুধু বিমান হামলায় আইএস দমন সম্ভব নয়


কানিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা দাবি করেছেন, যৌথ বাহিনীর হামলায় সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের ব্যাপক ক্ষতি করা হয়েছে, তবে শুধুমাত্র বিমান হামলা চালিয়ে তাদের দমন করা সম্ভব নয়। এজন্য রাজনৈতিক সমাধানের উপরও গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। খবর বিবিসি। দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল মার্টিন ডিম্পসে বলেছেন, সিরিয়া আর ইরাক, উভয়ক্ষেত্রেই ভূমিতে সামরিক অভিযান চালানো জরুরী হয়ে পড়েছে। এদিকে রাশিয়া হুশিয়ারি জানিয়েছে যে, সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র আর আরব দেশগুলোর বোমা হামলার অর্থ হবে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। সিরিয়ায় যেকোনো হামলা চালানোর আগে, দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সম্মতি নেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ।
কানাইঘাটে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন বিভাগের উদ্যোগে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত

কানাইঘাটে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন বিভাগের উদ্যোগে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত


নিজস্ব প্রতিবেদক: কারিতাস সিলেট অঞ্চলের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন বিভাগের উদ্যোগে সকাল ১১টায় কানাইঘাট উপজেলা মিলনায়তনে দিনব্যাপী পাইলট স্বল্প মূল্যের গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এক আঞ্চলিক রিভিউ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশিক উদ্দিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম বেগম, কারিতাস সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক জনমন্টু পালমা, আঞ্চলিক দূর্যো ও ত্রাণ ব্যবস্থাপক ড্যানিয়েল ধৃতু স্মাল, ১নং ল²ীপ্রসাদ ইউপি চেয়ারম্যান ডাঃ ফয়েজ আহমদ, কারিতাস মাঠ পর্যায়ের দূর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আবু তাহের ও ইঞ্চিনিয়ার কামরুল হোসেন। বক্তব্য রাখেন কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এখলাছুর রহমান, সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন, আব্দুন নূর, নাজির উদ্দিন চৌধুরী, ল²ীপ্রসাদ পূর্ব ইউপি সচিব নজরুল ইসলাম প্রমুখ। উক্ত রিভিউ কর্মশালায় কারিতাস সিলেট অঞ্চলের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন বিভাগের উদ্যোগে কানাইঘাট উপজেলার ১নং ল²ীপ্রসাদ ইউনিয়নের হতদরিদ্র জনগোষ্ঠির মধ্যে স্বল্পমূল্যে ৬টি মজবুত ও টেকসই ঘর নির্মাণ এবং ৮টি ঘর মেরামত করে দেওয়া হয়েছে। আঞ্চলিক পরিচালক জনমন্টু পালমা বলেন, দূর্যোগ পূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে কানাইঘাটে কারিতাসের এ কার্যক্রম ক্রমশ প্রসারিত করা হবে। তিনি কারিতাসের তৈরি স্বল্পমূল্যের মজবুত ও টেকসই গৃহনির্মাণকে অনুসরণ করে অন্যান্যদেরকেও এ সুবিধা গ্রহণের আহবান জানান। কর্মশালায় কারিতাসের কয়েকজন সুবিধাভোগী তাদের বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, দূর্যোগপূর্ণ এলাকায় হতদরিদ্র মানুষের সেবায় কারিতাসের এ মহতি উদ্যোগ যেন অব্যাহত থাকে।

Sunday, September 28

ফাঁস হয়ে গেল বিকিনি পরিহিতা বিমান সেবিকাদের ছবি (ভিডিওসহ)

ফাঁস হয়ে গেল বিকিনি পরিহিতা বিমান সেবিকাদের ছবি (ভিডিওসহ)


কানিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলো তাদের নিজেদের ব্র্যান্ডের প্রচারণায় নানা ধরনের অভিনব পন্থা অবলম্বন করে থাকে। সম্প্রতি ভিয়েতনামের বিমানসংস্থা ‘ভিয়েতজেট’ নিজেদের প্রচারে বিমান সেবিকাদের লাল ও হলুদ রঙের বিকিনি পড়িয়ে নানা ভঙ্গিমায় সেই মুহূর্তগুলি ফ্রেমবন্দি করেছে।এমনকি একটি ভিডিওতে দেখা গেছে বিমানের যাত্রীদের জন্য এসব বিমান সেবিকারা বিকিনি পরিহিত অবস্থায় নেচে নেচে মনোরঞ্জনের চেষ্টা করছেন।তবে বিমানসংস্থা ভিয়েতজেটের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এই বিকিনি পরিহিতা বিমান সেবিকাদের ছবি অফিসিয়াল কোনও প্রচারে ব্যবহার করা হবে না, কিন্তু লিঙ্গারি মডেল নোজক ত্রিনহ সেই ফটোশ্যুটের ছবিগুলো ফাঁস করে দেয়। এতে বিমান সংস্থাটি ছবিগুলো ব্যবহার করুক আর নাই করুক, ফাঁস হয়ে যাওয়া ছবিগুলোর ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ইন্টারনেট ব্রাউজাররা।বিকিনি পরিহিতা বিমান সেবিকাদের নাচ দেখতে এখানে ক্লিক করুন:http://www.youtube.com/watch?v=d1Ia1fLc8hw#sthash.q6SGOW3t.dpuf

Saturday, September 27

কন্যা সন্তানের মা হলেন চেলসি ক্লিনটন

কন্যা সন্তানের মা হলেন চেলসি ক্লিনটন


কানিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের মেয়ে চেলসি ক্লিনটন কন্যা সন্তানের মা হয়েছেন। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক টুইটার বার্তায় এ খবর জানিয়েছেন চেলসি নিজেই। মেয়ের নাম শার্লট ক্লিনটন মেজভিনস্কি রাখা হয়েছে বলে ওই টুইটারে জানিয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী চেলসি। তবে কবে তিনি মা হয়েছেন তা জানা যায়নি। ২০১০ সালে মার্ক মেজভিনস্কিকে বিয়ে করেন চেলসি। ২০১৪ সালের এপ্রিলে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। সাবেক ফার্স্ট ডটার চেলসি স্ট্যানফোর্ড, কলম্বিয়া ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে তিনি তার বাবা-মার সঙ্গে ক্লিনটন ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন। তার স্বামী মার্ক মেজভিনস্কি একজন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন লড়তে যাচ্ছেন— এমন কানাঘুষার মধ্যেই তার নানি হওয়ার খবর পাওয়া গেল। সূত্র : বিবিসি

Friday, September 26

কেমন আছে সাগরতলের বাসিন্দারা?

কেমন আছে সাগরতলের বাসিন্দারা?


জলের প্রাণের সঙ্গে ডাঙার প্রাণের সম্পর্ক অতি নিবিড়। আমাদের জীবনের ওপরও সমুদ্রের রয়েছে গভীর প্রভাব। আমাদের কৃষি, বন ও পরিবেশের ভাগ্য অনেকখানি নির্ভর করছে সমুদ্রের স্বাস্থ্যের ওপর। কিন্তু সাগরের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কি ঠিক রাখতে পারছি আমরা? সেন্টমার্টিনসসহ নানা সাগরদ্বীপের হালফিলটাইবা কী? বিস্তারিত জানাচ্ছেন প্রতিবেশ বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ আরজু 
সারা দিনে ডুবসাঁতার করে ঠিক কী পাওয়া গেল, তা টের পাওয়া যায় সন্ধ্যে বেলায়, যখন ক্যামেরার মেমোরি কার্ড থেকে স্টিল ও ভিডিও পিকচার ল্যাপটপে নামাই। সেন্টমার্টিনস দ্বীপে আমরা এ কাজটা করি 'রশিদের হোটেলে'র প্রাঙ্গণে চৌকি পেতে। এ নামেই হোটেলটিকে চেনে স্থানীয়রা। দ্বীপে আমাদের নিজেদের আস্তানায় বিদ্যুৎ নেই, ফলে রশিদের হোটেলে ক্যামেরা-কম্পিউটার-সেলফোন ইত্যাদির ব্যাটারি চার্জ দিতে দিতেই সারা দিন তোলা ইমেজের যাচাই-বাছাই চলে। তিন-চারটে ক্যামেরার কতকগুলো মেমোরি, রাত গভীর হয়ে যায়। স্থানীয়রা ভিড় করে দেখতে চায় ফুলের ছবি। সাগরতলে প্রবাল ও শৈবালকে সেন্টমার্টিনস দ্বীপ, টেকনাফ ও কঙ্বাজারের জলজীবীরা 'ফুল' নামে চেনে। রশিদের হোটেল প্রাঙ্গণে সন্ধ্যারাতে কাজ করতে করতে তাদের ফুলের গল্প শুনি। কত কত ফুল তারা কেটে আনত সেই ছোটবেলা থেকে, সেসব গল্প। রশিদ ভাই আমাদের ভালো পান। তার বক্তব্য, দ্বীপের চারপাশ থেকে এসব ফুল তারা এত সংখ্যায় তুলেছেন যে, বলে শেষ করা যাবে না। ওনার ভাষায়, এখন আমরা যখন এসবের ছবিটবি তুলে টিভি-পত্রিকায় দেখিয়ে এসবের সংরক্ষণের কথা বলি, ওনার ভালো লাগে। উনি বলেন, কেউ তো আগে বলেনি যে, এসব তোলা যাবে না। অথবা না তুলেও তো চলত না তখন। বড় নৌকা বা ইঞ্জিনচালিত নৌকায় যাদের অন্তত অগভীর সাগরেও মাছ ধরতে যাওয়ার সামর্থ্য ছিল না, তারা এসব প্রবাল তুলে টেকনাফ-কঙ্বাজারে বিক্রি করে রোজগার করত। অবশ্য এখন আর প্রবাল তুলে রোজগার করার অবস্থা নেই। একদিকে তাদের এ 'ফুলের বন' একদম উজাড় হয়ে গেছে দ্বীপের চারপাশ থেকে। সাগরে কাছে-দূরে কোথাও এমন গভীরতায় প্রবাল আর থাকছে না, যেখানে দম বন্ধ করে ডুব মেরে কেটে আনা চলে। অন্যদিকে যেটুকু আছে সৈকতঘেঁষে, সেখান থেকে তুলে বিক্রি করা কিছুটা কষ্টকর। কারণ দেড় দশক আগে দ্বীপটিকে পরিবেশগতভাবে সঙ্কটাপন্ন এলাকা বলে সরকার স্বীকার করে নেয়ার পর থেকে এখানে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড কিছুটা কড়াকড়ি করে। প্রবাল কেটে তার নরম অংশ ছাড়িয়ে কঙ্কালটা এসিডে ডুবিয়ে সাদা করে পরে বিক্রি করতে হতো। এখন এ প্রক্রিয়া শেষ করা অসম্ভব প্রতিবেশী, কাজেই নৌবাহিনী বা কোস্টগার্ডের নজর এড়িয়ে। প্রবাল, শামুক, ঝিনুক ইত্যাদি এখন প্রকাশ্যে বিক্রি করা না গেলেও বিকল্প জীবিকাও হয়নি। পর্যটনের নামে যা হয়েছে, তাতেও উল্লেখ করার মতো ভরসা মেলেনি জীবিকায়, উল্টো স্থানীয় প্রাণসম্পদের যারপর আর নাই ধরনের ক্ষতি করেছে_ যার প্রভাব পড়ছে সার্বিক জাতীয় অর্থনীতিতে। ৭১০ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূল রেখার ভেতরে উত্তরে ও কোথাও পূর্বে ভেতরে ৪০ মাইল পর্যন্ত সরাসরি উপকূলীয় এলাকা বলা চলে। এর বাইরে বৃহত্তর বরিশাল, ফরিদপুর, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও নোয়াখালীও মেঘনা-মোহনা এলাকার সক্রিয় বদ্বীপসুলভ বৈশিষ্ট্যে প্রভাবিত। এ বিরাট উপকূলীয় অঞ্চলের সমৃদ্ধি সরাসরি সামুদ্রিক সম্পদের প্রাচুর্য বা ধ্বংসের সঙ্গে সম্পৃক্ত। প্রাণসম্পদে ভরপুর এমনসব দ্বীপ, সনি্নহিত সাগর এবং উপকূল রেখাজুড়ে স্থানীয় অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির বাড়বাড়ন্ত হওয়ার কথা। কারণ সমুদ্র যে প্রাকৃতিক ও পরিবেশগত সম্পদ দিতে পারে, তার তুলনা মিলবে না কোনো ভূবেষ্টিত দেশে। বিশ্বে প্রাণ ধারণের উপযোগী যে পরিমাণ জায়গা আছে, তার ৯৭ শতাংশই এ মহাসাগরে। শুধু বিপুল প্রাণের বসতিই নয়, বৈচিত্র্যেও অনন্য এ জলরাশি। পৃথিবীর এ মহাসাগর বিপুল প্রাণবৈচিত্র্যের আধার। গ্রীষ্মম-লীয় বনাঞ্চল, যেমন মহাবন আমাজনের প্রাণবৈচিত্র্যের সমাহারে দীর্ঘকাল ধরে অভিভূত হয় মানুষ। কিন্তু এমন প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর বনের চেয়ে অনেক বেশি বৈচিত্র্য প্রাণের বসতি এখনও সাগরতলেই। নানা ধরনের প্রাণ, প্রাণী ও উদ্ভিদের এত অপরূপ জগৎ, অথচ প্রায় পুরোটাই অচেনা। ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার ফর মেরিন স্পেসিসের মতে, সাগরের প্রাণবৈচিত্র্যের তিন-চতুর্থাংশ সম্পর্কেও মানুষের তেমন জানাশোনা নেই। অন্যদিকে স্থলভাগে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জীববৈচিত্র্য কেমন হবে, তা-ও নির্ভর করে এ বিপুল জলরাশির ওপর। পৃথিবীর এ মহাসমুদ্র প্রকৃত অর্থে অখ- এক জলরাশিই। তবু এর রয়েছে নানা স্থানীয় ডাকনাম। বাংলাদেশের যেমন বঙ্গোপসাগর। বিশ্বের বৃহত্তম উপসাগর এ বঙ্গোপসাগর। ২১ লাখ ৭২ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তন এর। বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান কেমন হবে, অন্যান্য প্রাণী ও উদ্ভিদ কেমন থাকবে, তা অনেকাংশেই বঙ্গোপসাগরের ওপর নির্ভর করে। কারণ দেশে বৃষ্টির পরিমাণ ও ধরন, আবহাওয়া, অর্থনৈতিক কর্মকা-ের সাফল্য অনেকাংশেই সাগরনির্ভর। বৃষ্টিপাতের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কৃষি, বন ও পরিবেশের সমৃদ্ধি ও সুস্বাস্থ্য। এ সাগরের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রাখতে পারলে, আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহ ও প্রশিক্ষিত করে জলজীবীদের তাদের পেশায় উৎকর্ষ সাধন করতে পারলে এখানে আর্থসামাজিক উন্নতি দ্রুত ঘটতে পারত। কিন্তু এসব প্রচেষ্টার অনুপস্থিতিতে ঘটেছে তার উল্টোটা_ উপকূলীয় অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে, উপকূলীয় এলাকা থেকে অবৈধভাবে অভিবাসী হওয়ার ধারা কার্যত ঠেকানো যাচ্ছে না, বাইরে যে পরিসংখ্যানই দেখানো হোক না কেন। উপকূলীয় বনাঞ্চলের থেকে সম্পদ আহরণে টেকসই ব্যবস্থাপনা চালু না থাকা, স্থানীয়দের নেতৃত্বে রেখে ব্যবস্থাপনা চালু করার বদলে নির্বিচার আহরণের ফলে একদিকে স্থানীয় অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে, অন্যদিকে সাগরে মাছের মতো অন্যান্য সম্পদের বসবাসস্থল হুমকিতে পড়েছে। বঙ্গোপসাগরে বড় ট্রলারে মাছ ধরার শুরুর পর থেকে মৎস্য সম্পদের তুলনায় ট্রলার বেড়েছে, আবার কমেছেও_ যেমনটি আমরা দেখেছি ছোটবেলায়, আমার জন্ম দ্বীপজেলা ভোলায়। ভোলা জেলার 'সংস্কৃতিমনা' লোকজন নিজেদের দ্বীপকে নানা উপলক্ষে 'সাগরকন্যা' নামে ডাকে। আমাদের প্রাইমারি স্কুল, কলেজ কিংবা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে নানা অনুষ্ঠানে তা-ই শুনেছি। বলা হতো এভাবে, 'তেঁতুলিয়া-মেঘনার মোহনাবিধৌত দ্বীপজেলা সাগরকন্যা ভোলা' ইত্যাদি। তবে জননী সমুদ্রের সঙ্গে দ্বীপবাসীর খুব মমতার সম্পর্ক দেখেছি বলে মনে পড়ে না, কিছুটা সংস্কার, কিছুটা ভয় ও শঙ্কার সম্পর্কই দেখা গেছে। হাইস্কুলে উঠলে সমুদ্র মানে মেঘনা-মোহনা দর্শনের সুযোগ মিলত। শীত মৌসুমে স্কুল থেকে 'বনভোজনে' যাওয়া হতো জেলার যথাসম্ভব দক্ষিণে সমুদ্রের কাছাকাছি। অনেক মা-বাবাই শিশুদের এমন ভ্রমণের অনুমতি দিতেন না। তেঁতুলিয়া নদীর কাছেই আমাদের বাড়ি ছিল। উঠানের ৪০ গজ পেরোলেই টইটুম্বর খাল। খালপাড়ের রাস্তা ধরে মিনিট দশেক হাঁটলে তেঁতুলিয়া। সারা বছর খালে বাঁধা থাকত মাছ ধরার ইয়া বড় সমুদ্রগামী ট্রলার। কেউ দুই খ্যাপের মাঝখানে বিরতিতে আছে, কেউবা সমুদ্রযাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জেলে, সুকানি, ইঞ্জিন মিস্ত্রি, রাঁধুনি, মজুর_ সব মিলে ১৫ থেকে ১৬ জনের মাসখানেকের বা তারও বেশি সময়ের রসদপাতি নিয়ে যাত্রা। জেলেদের মুখে শুনতাম, আরও দক্ষিণে নানা ঘাটে নিয়মিত বিরতিতে ফিরত তারা সমুদ্র থেকে। সেখানেই মাছের বিক্রিবাট্টা। জেলেরা বিশ্রাম নেয়ার মতো যথেষ্ট ক্লান্ত হলে আবার ফিরতেন।তাদের পরিবার-পরিজন বরাবরই উৎকণ্ঠায় থাকত। তাদের স্মৃতিতে তো ছিল, কত নিকটজন সাগরে ঝড়ঝঞ্ঝায় হারিয়েছে। আবহাওয়ার খবর পেতে সামান্য ট্রানজিস্টরও অনেকের ছিল না। এর পর দিন যত গড়াল, চোখের সামনে থেকে সেই গঙ্গাপুর খাল ট্রলারশূন্য হয়ে যেতে থাকল। মহাজনরা বলেন, ব্যবসা ভালো না। জেলেরা বলেন, আগের মতো মাছ আর পাওয়া যায় না। জেলার ওই উত্তর প্রান্ত থেকে ট্রলার চালিয়ে সাগরে গিয়ে মাছ ধরে সময়-শ্রম-বিনিয়োগের তুলনায় লাভের হিসাব আর ঠিক থাকছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে বাড়ি ছাড়ার আগে দেখে এসেছি সমুদ্রগামী মাছ ধরা ট্রলার ওই লোকালয়ে আর একটিও নেই। সাগরকন্যা ভোলায় জন্ম নিয়েও সাগরের সঙ্গে সম্পর্কের একটিমাত্র উপায় ছিল আমাদের সেই ট্রলার আর জেলে-মাঝিদের। সামুদ্রিক মাছও ছিল। তবে নদী বা বড় জোর নদী-মোহনার চেয়ে আরও দক্ষিণে ধরা ইলিশ ভোলার লোকজন খায় না। এমনকি মেঘনার ইলিশের চেয়ে তেঁতুলিয়ার ইলিশের সমাদর বেশি। কারণ তেঁতুলিয়ার জলে লবণ কম। আর সামুদ্রিক অন্যান্য মাছের প্রতিও অবহেলা ছিল, তখন দেখেছি। গরিবরা সামুদ্রিক লোনা স্বাদের মাছ খায়, অবস্থাপন্ন পরিবারে যা বর্জনীয় ছিল। তো উপকূলীয় আর্থসামাজিক অবস্থার মধ্যে সাগরের প্রত্যক্ষ সম্পর্কের এ নূ্যনতম অবস্থার অভিজ্ঞতা নিয়েই উপকূল ছেড়েছিলাম। পরে সুন্দরবন থেকে শুরু করে টেকনাফ পর্যন্ত এলাকাগুলোয় যত গেছি, উপকূলীয় অর্থনীতির মন্দাবস্থা ও নেতিবাচক রূপান্তরই চোখে পড়েছে। সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের তুলনামূলক পরিমাণও আমাদের কমেছে। ২০১১-১২ সালে মোট সামুদ্রিক মৎস্য উৎপাদন ছিল মাত্র ৫ লাখ ৭৮ হাজার টন। একই সময়ে অভ্যন্তরীণ চাষ করা মাছের উৎপাদন ছিল ১৭ লাখ ২৬ হাজার টন। সমুদ্র উপকূলের দেশে, নদীমাতৃক দেশে এ পরিসংখ্যান লজ্জার। গভীর সাগরে না হোক, অগভীর সাগরের দ্বীপগুলো ঘিরে প্রাণসম্পদের ব্যবস্থাপনায় মনোযোগী হলেও চিত্র ভিন্ন হতে পারত। ছোট-বড় ৭৫টি দ্বীপ রয়েছে আমাদের। এর মধ্যে সেন্টমার্টিনস দ্বীপ তার আপন বৈশিষ্ট্যে অনন্য। এ দ্বীপটি ঘিরে সমুদ্রে প্রবাল বসতি রয়েছে, প্রবালভিত্তিক এ জলজ বসতিটির আয়তনও অনেক বড়। সামুদ্রিক পরিবেশ সংরক্ষণবাদী উদ্যোগ 'সেভ আওয়ার সি'র তরফে সাগরে স্কুবা ডাইভিং ও জলের তলদেশের ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি-প্রধান অনুসন্ধানে এযাবৎ দ্বীপের ৩ দিকে ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রচুর প্রবাল দেখেছি আমরা। ওখানে কমপক্ষে ৬৫টি প্রজাতির প্রবাল ও ৪৬টি প্রজাতির শৈবাল শনাক্ত করা গেছে। সামুদ্রিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এবং মৎস্য সম্পদের বৃদ্ধির পেছনে প্রবালভিত্তিক বসতিগুলোর ভূমিকা তুলনাহীন। কিন্তু গত দুই মৌসুমে দ্বীপটি ঘিরে দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তরে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত সাগরতলে অভিযান চালিয়ে দেখা গেছে জলের তলদেশে প্রাণ ও প্রকৃতির বিপন্ন অবস্থা। এভাবে জলজ বাস্তুসংস্থানগুলো হুমকিতে থাকার সঙ্গে উপকূলীয় অর্থনীতির মন্দাবস্থার সম্পর্ক রয়েছে। এর পেছনে কারণ হিসেবে আমরা ধারণা করি, উপকূলীয় প্রাণসম্পদ ও প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর স্থানীয়দের নিয়ন্ত্রণ না থাকা। এ বিরাট-বিস্তৃত এলাকার জনসংখ্যাকেই যদি ওখানে পরিবেশ সুরক্ষার কথা বলে দূরে রাখা হয়, তবে অস্থানীয় ও অনভিজ্ঞদের পক্ষে কি সম্ভব! এদের অর্থনৈতিক অবস্থা যদি শোচনীয় হয়, তবে তা শেষ পর্যন্ত জাতীয় অর্থনীতিকেই ফোকলা করে। যেখানে এদের সমৃদ্ধ স্থানীয় অর্থনীতি থাকার কথা, সেখানে দেখা যায় রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি, সহায়তা ও উন্নয়ন সাহায্য নির্ভর হতে হয় তাদের। এই যেমন সেন্টমার্টিনসকে পরিবেশগতভাবে সঙ্কটাপন্ন এলাকা বলে ঘোষণা করার পরে কী হলো? স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠী, যারা নিজেরা দুই বেলা খাওয়ার জন্য প্রবাল তুলে আনত, তাদের জীবিকা বন্ধ হলো। কিন্তু এখনও ঠিকই কঙ্বাজারে পর্যটকদের জন্য সাজানো দোকানে প্রবাল-কঙ্কালের পসরা পাওয়া যায়। পরিবেশবিধ্বংসী ব্যবসাটা ঠিকই চলছে প্রভাবশালীদের মাধ্যমে, জনচক্ষুর আড়ালে। যদি স্থানীয়দেরই ওই প্রবালবসতি রক্ষার দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব দিয়ে ব্যবস্থা সাজানো হতো, তবে তারা প্রবাল সুরক্ষা করার পাশাপাশি ওখানে সামুদ্রিক শৈবাল আহরণ, দরকার হলে আরও চাষ করে আর্থসামাজিক উন্নতি করতে পারত। এরপর 'ইকো-ট্যুরিজমের নাম করে সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের আর ১০টা পর্যটন স্থানের মতোই হোটেল-মোটেল-রেস্তোরাঁ করে ভরে ফেলা হলো; দ্বীপমুখী পর্যটন জাহাজ চালু করা হলো_ যার কোনোটাতেই স্থানীয়দের কোনো অংশগ্রহণ ছিল না। দালালদের মাধ্যমে কোনো রকমে জমি বিক্রি করে শহরে অভিবাসী হতে লাগল স্থানীয়রা। বাধ্য হয়েও বেচতে হয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। যেখানে আগে বিরল সামুদ্রিক কচ্ছপের ডিম পাড়ার জায়গা ছিল, সেখানেই পাথর তুলে ঘেরা দিয়ে পর্যটকের চেয়ার বসাল হোটেল মালিকরা। যেখানে দুটো মাছ ধরে জীবিকা চালাত স্থানীয়রা, সেখানে বড় জাহাজগুলোর প্রপেলারে উঠে আসা পলিতে প্রবাল-বসতি নির্বংশ, মাছও উধাও। স্থানীয়রা পরিণত হলো হোটেল-মোটেলের মুটে-মজুরে। এরই মধ্যে যে বিরল দু-একজন স্থানীয় মানুষ এ পর্যটন ব্যবসায় জায়গা তৈরি করে নিতে পেরেছিলেন, তাদের একজন রশিদ ভাইয়ের বিবরণ দিয়েই লেখা শুরু করেছিলাম। রশিদ একজন ব্যতিক্রমমাত্র, উদাহরণ নন। এ ব্যতিক্রম উদ্যোক্তা হয়তো এককালের প্রবাল-কাঠুরে থেকে এখন হোটেল ব্যবসায়ী হিসেবে জীবিকা গড়ে নিতে পেরেছেন। এককালে প্রবাল কেটেছেন বলে এখন আফসোস করলেও এখনও প্রবালবসতি রক্ষায় তেমন কিছু করার নেই তার। তাকেও আর ১০জন পরিবেশবিধ্বংসী পর্যটন ব্যবসায়ীর মতোই ব্যবসা চালাতে হচ্ছে। কারণ যেভাবে এমন একটা দ্বীপের স্থানীয় প্রাণসম্পদ, জনগোষ্ঠী ও সাংষ্কৃতিক উপাদান ব্যবহার করে এগুলো টিকিয়ে রেখে পর্যটকদের সেবা ও পণ্য সরবরাহ করা যায়, সেভাবে এখানে কোনো পরিকাঠামো তৈরি করা হয়নি। বাংলাদেশে চাষের মাছের তুলনায় সামুদ্রিক বা অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ের মাছের কম আহরণ যে লজ্জার, সে কথা বলছিলাম শুরুতে একবার। আন্তর্জাতিক জলসীমায় মাছ ধরার সুযোগ বাদ দিলও নিজস্ব অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমাই দেশের আয়তনের দেড় গুণ ছিল সর্বশেষ পরিসংখ্যানে (ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সালিশির রায়ের আগে), ১ লাখ ৬৬ হাজার বর্গকিলোমিটার। অথচ দেশে সামুদ্রিক মাছ উৎপাদনের চেয়ে ভেতরে চাষের মাছের পরিমাণ তিন গুণেরও বেশি। বিশ্বে চাষ করা মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ পঞ্চম। অন্যদিকে দেখুন, গত বছর দেশে কৃষিতে ৪০ লাখ ৪৯ হাজার টন রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়েছে। পলল ভূমির মধ্যে শিরা-উপশিরার মতো বয়ে যাওয়া নদনদীর মাঝপথে জীবনবিনাশী বাঁধ চালু থাকতে দিয়েছি আমরা। নদী স্বাভাবিক থাকলে এখানে কৃষিতে ভূগর্ভস্থ পানি দরকার হওয়ার কথা নয়। পলল ভূমিতে পুষ্টি স্বাভাবিক থাকলে রাসায়নিক বিষও লাগার কথা নয়। সঠিকভাবে অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলভাগ ও সামুদ্রিক উৎস থেকে মৎস্য আহরণ করলে 'আধুনিক' মৎস্য খামার করে পানীয় জলের উৎস, কৃষিজমি ও বনাঞ্চল নষ্ট এবং স্থানীয় জাতের মাছ নির্বংশ করার দরকার হয় না। কিন্তু নদীর স্বাস্থ্যরক্ষা না করে বিপরীতে নির্বিচার গভীর নলকূপ বসিয়ে আর্সেনিকের বিষ উঠিয়ে এনেছি উপরে; জ্বালানি তেল ব্যবহার করে সেচকাজ পর্যন্ত চালাতে হচ্ছে বাংলাদেশের কৃষিতে। কথিত 'আধুনিক' কৃষি ও মৎস্য চাষের নাম করে রাসায়নিক সার ও বিষে সয়লাব করে দিয়েছি জলজ পরিবেশ। অভ্যন্তরীণ গ্রোতের পানি পানের অযোগ্য করে তুলেছি_ যে বিষ নদীপথ হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে সাগরেও। এ প্রক্রিয়ার প্রভাব সর্ববিনাশী। পানীয়জলের সঙ্কট, জলজ পরিবেশের দূষণের ফলে স্বাস্থ্যহানি, খাদ্যশস্য ও মাছে বিষ, ম্যানগ্রোভসহ বনাঞ্চল উজাড়, নৌপরিবহনে অচলাবস্থা_ এসব ক্ষতির অর্থনৈতিক মূল্যায়ন করা হলে তার আকার কত বিশাল হবে, অনুমান করা যায়! এ সঙ্কটের সাক্ষী হয়ে থাকছে বঙ্গোপসাগর। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে, অভ্যন্তরীণ জলদূষণ থেকে এবং রাসায়নিক সারের বিষ থেকে চুইয়ে নামা অবশিষ্টাংশ সাগরকে বাসের অযোগ্য করে তুলছে, যার সাক্ষী প্রচুর শৈবাল। শৈবালের আধিক্যের কারণে উপকূলীয় মহাদেশীয় ঢাল এলাকায় সাগরতলে অঙ্েিজন ঘাটতি হচ্ছে। বড় বড় এলাকা নানা প্রজাতির বাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে। অভ্যন্তরে জল, কৃষি ও মৎস্য দূষণ বন্ধ করে যদি পরিবেশবান্ধব ও টেকসই পরিকল্পনা নেয়া হয়, তবে এ চক্রের সর্ববিনাশী ক্ষতিকর প্রভাব বন্ধই শুধু নয়, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে নিজের ধারাবাহিক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বঙ্গোপসাগর। মোহাম্মদ আরজু, arju@saveoursea.social
স্বাস্থ্যসেবায় ডিজিটাল ইকুইপমেন্ট

স্বাস্থ্যসেবায় ডিজিটাল ইকুইপমেন্ট


উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ওবেসিটির মতো অসুখের প্রকোপ বিশ্বব্যাপী দিন দিন বেড়েই চলেছে। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের স্থায়ী কোনো প্রতিকার নেই; কিন্তু চাইলে এ রোগগুলো আপনি নিয়ন্ত্রণে রেখে থাকতে পারেন সুস্থ ও স্বাভাবিক। সেজন্য প্রয়োজন এ অসুখগুলোর নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা। আর এ নিয়মিত পর্যবেক্ষণের জন্য দরকার সহজ পদ্ধতির মেডিকেল ইকুইপমেন্ট, যার মাধ্যমে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে চাইলে ঘরে বসে নিজেই নিজের অসুখগুলো পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। আর এ সহজ পদ্ধতিরই মেডিকেল ইকুইপমেন্ট বাংলাদেশের বাজারে এনেছে ওমরন হেলথকেয়ার বাংলাদেশ লিমিটেড। বাংলাদেশে ওমরনের যাত্রা শুরু ২০১৩ সালে। ওমরন জাপানি বহুজাতিক মেডিকেল ইকুইপমেন্ট কোম্পানি। বিশ্বের প্রায় ১১০টি দেশে ওমরনের পণ্য চলছে। ওমরনের পণ্যের তালিকায় রয়েছে ডিজিটাল ব্লাডপ্রেশার মেশিন, বস্নাড গ্লুকোজ মনিটর মেশিন, নেবুলাইজার, ডিজিটাল থার্মোমিটার, ওজন মাপার ডিজিটাল মেশিন, বডি ফ্যাট মনিটর, ইলেকট্রনিক্স নার্ভ স্তিমুলেটর, পেডোমিটারসহ বিভিন্ন রোগ পর্যবেক্ষণের ডিজিটাল মেশিন। ওমরনের এসব পণ্যের মধ্যে ডিজিটাল ব্লাডপ্রেশার মেশিন বিক্রির দিক থেকে বিশ্বের এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে। রোগ পর্যবেক্ষণের জন্য ওমরনের এসব ডিজিটাল মেশিন ব্যবহার যেমন সহজ, তেমনি দামেও সাশ্রয়ী। এছাড়া ওমরনের এসব পণ্য দুই ধরনের রয়েছে। একটি আছে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে ব্যবহারের জন্য, আরেকটি আছে ঘরে ব্যবহারের জন্য। ফলে যে কেউ সহজে ঘরে বসে নিজেই নিজের রোগ পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। গুণগতমানের জন্য ওমরনের পণ্য ব্রিটিশ হাইপারটেনশন সোসাইটি, এএএমআই, এফডিএসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পেয়েছে। ওমরনের এসব পণ্য কেনা যাবে ট্রান্সকম ডিজিটালশপের ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, কুমিল্লার শাখা থেকে, দেশের স্বনামধন্য মেডিকেল ইকুইপমেন্টের দোকান ও বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে। এছাড়া ঢাকার মিরপুর রোডে রয়েছে ওমরনের নিজস্ব বিক্রয়, প্রদর্শনী ও সার্ভিস সেন্টার। ওমরনের পণ্য কিনলে এক বছরের ওয়ারেন্টি পাওয়া যাবে। এছাড়া কোনো সমস্যা হলে সর্বোচ্চ্ এক সপ্তাহের মধ্যে সার্ভিসিং করে দেয়া হবে। ওমরন হেলথ কেয়ার বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনটান কে সোন ও জেনারেল ম্যানেজার সুসকে সুজিউরা জানান, ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওমরনের ডিজিটাল পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ওমরনের এসব মেডিকেল ইকুইপমেন্ট প্রস্তুত করতে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত প্রযুক্তি। আর এসব মেশিন দৈনন্দিন ব্যবহার করে একজন মানুষ থাকতে পারেন সচেতন এবং নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো রোগ, যেমন-হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, হাইপোগ্লাইসিমিয়া, ওবেসিটি ইত্যাদি। এছাড়া যদি কেউ উচ্চ রক্তচাপের রোগী হয়ে থাকেন, তাহলে তিনি ঘরে বসে ওমরনের ডিজিটাল বস্নাডপ্রেশার মেশিনের মাধ্যমে নিজেই মেপে নিতে পারেবেন নিজের বস্নাডপ্রেশার এবং বুঝতে পারবেন কখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে অথবা তার ওষুধ কাজ করছে কিনা। এছাড়াও ডিজিটাল বস্নাড গ্লুকোজ মনিটরের মাধ্যমে যে কেউ জানতে পারবেন তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা। এজমা অথবা শ্বাসকষ্ট প্রতিকারের ওষধ প্রয়োগে ওমরনের রয়েছে ভার্চুয়াল ভালভ টেকনোলোজির উন্নত নেবুলাইজার, যা ব্যবহারের দিক থেকে অনেক সহজ এবং ওষুধের অপচয় রোধের মাধ্যমে সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে থাকে। ওমরনের রয়েছে মারকারি ফ্রি ডিজিটাল থার্মোমিটার, যার মাধ্যমে মডেল ভেধে এক সেকেন্ড থেকে ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে জেনে নেয়া যায় শরীরের তাপমাত্রা। ওমরনের বডি ফ্যাট মনিটরের মাধ্যমে জানা যাবে শরীরের ওজন এবং বিভিন্ন অংশের চর্বির পরিমাণ, বডি মাস ইনডেঙ্ (ইগও) ইত্যাদি। ওমরনের পেডোমিটারের মাধমে জানা যাবে আপনি কত কদম হেঁটেছেন এবং এর মাধ্যমে আপনার শরীরের কত ক্যালরি বার্ন হয়েছে। ব্যবসার পাশাপাশি ওমরন সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেও কাজ করছে। সম্প্রতি ওমরন বাংলাদেশ সরকারের কমিউনিটি হাসপাতালে ২ হাজার বস্নাডপ্রেশার মেশিন ও ১ হাজার বস্নাড গ্লুকোজ মনিটর উপহার দিয়েছে। ওমরনের পণ্য কিনতে বা বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ ঠিকানা : ওমরন হেলথ কেয়ার বাংলাদেশ লিমিটেড, সপ্তক মাহবুবা গ্র্যান্ডিউর (ধানমন্ডি থানার পাশে), বাড়ি-১৭/এ, ইউনিট-সি ১ (নিচতলা), রোড-৬, মিরপুর রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা। ফোন : ৯৬১২৫৫৮, হেল্পলাইন : ০১৭৩০৩৫৪৩৪৮।
কোরবানির পশু জবাই

কোরবানির পশু জবাই


কোরবানির দিনে প্রত্যেক সজ্ঞান, সামর্থ্যবান, সাবালক, মুকিম মুসলিমের জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব। আল্লাহর সন্তুটিই যার একমাত্র উদ্দেশ্য। রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যারা কোরবানি করে না, তারা যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে। (সুনানে ইবনে মাজাহ : ৩১২৩)। কোরবানির সময় মোট তিন দিন_ ১০, ১১ ও ১২ জিলহজ। ১০ জিলহজ ঈদের নামাজের পর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত কোরবানি করা যায়। তবে প্রথম দিন করাই উত্তম। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোনো কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোরবানি করতে না পারলে একটি মধ্যম মানের ছাগলের মূল্য সদকা করা ওয়াজিব। পরবর্তী বছর কাজা কোরবানি করা জরুরি নয়। (ফাতাওয়া শামী : ৯/৪৫২; বাদায়ে সানায়ে : ৪/২০২; খুলাসাতুল ফাতাওয়া : ৪/৩০৯)। কোরবানির জন্য দিনের বেলাটাই অধিক উপযোগী। অযথা রাতেরবেলা কোরবানি করা সমীচীন নয়, মাকরুহ। এতে অঙ্গহানিসহ পশুর অধিকাংশ রগ না কাটার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। তাই দিনেরবেলা করাই শ্রেয়। তবে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকলে রাতেও করার অবকাশ রয়েছে। (ফাতাওয়া শামী : ৬/৩২০; ফাতাওয়া কাজিখান : ৩/৩৪৫)। কোরবানি একটি মহৎ ইবাদত। নিছক লৌকিকতা বা অহঙ্কারের জন্য কোরবানি করলে তা কখনোই কবুল হয় না। সেজন্য কোরবানি হওয়া চাই একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, 'আল্লাহর কাছে (কোরবানির) রক্ত-মাংস কিছুই পেঁৗছে না। পেঁৗছে কেবল তোমাদের সদিচ্ছা-তাকওয়া।' (সূরা হজ : ৩৭)। এজন্য কবুলিয়তের লক্ষ্যে মনে মনে নিয়ত করা জরুরি। তবে পশু জবাই করার সময় মুখে নাম উচ্চারণ করা বা পড়ে শোনানো জরুরি নয়। (সূত্র : ফাতাওয়া শামী : ৬/৩১৫; বাদায়ে সানায়ে : ৫/৬৩-৬৪; কিফায়াতুল মুফতি : ৮/১৮৬-১৮৭)। হাদিস শরিফে সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কোরবানির কথা এসেছে। সে হিসেবে নিজ বাড়ির পালিত পশু দ্বারা কোরবানি করা চাই। তা না হলে সামর্থ্যানুযায়ী ভালো পশু কিনেও করা যাবে। আর মহব্বত ও ভালোবাসার কারণেই কোরবানির পশু নিজ হাতে জবাই করা উত্তম। তা না হলে অন্তত জবাইয়ের সময় উপস্থিত থাকা কর্তব্য। (বাদায়ে সানায়ে : ৫/৭৯; ফাতাওয়া কাজিখান : ৩/৩৫৫)। কোনো কারণে কোরবানির পশু নিজে জবাই করতে না পারলে সতর্কতা অত্যন্ত জরুরি। কেননা জবাইকারী মুসলমান হওয়া আবশ্যক। কোনো অমুসলিম বা বিধর্মী দ্বারা জবাই করালে কোরবানি সহিহ হবে না। আবার জবাইয়ের সময় জবাইকারী ও তার ছুরি চালনায় সহযোগীদের বিসমিল্লাহ বলাও জরুরি। ইচ্ছাকৃতভাবে বিসমিল্লাহ না বললে কোরবানি সহিহ হবে না। এমনকি তার গোশত খাওয়াও বৈধ হবে না। বরং সেটি মৃত প্রাণী বলেই বিবেচিত হবে। (সূত্র : ফাতাওয়া শামী : ৬/২৯৬; আল ইখতিয়ার : ১/৫১)। জবাইকালে ছুরিটি তীক্ষ্ন, ধারালো হওয়া বাঞ্ছনীয়। ভোঁতা বা কম ধারালো ছুরি দ্বারা জবাই করলে পশু কষ্ট পায়। সেজন্য এরূপ ছুরি দ্বারা জবাই করা মানবতা পরিপন্থী ও মাকরুহ। তেমনি পশুর কমপক্ষে তিনটি রগ (খাদ্যনালি, শ্বাসনালি ও শাহ রগ দুটির যে কোনো একটি) কাটা জরুরি। এর ব্যত্যয় ঘটলে কোরবানি সহিহ হবে না। (সূত্র : আল ইখতিয়ার : ১/৫১)। কোরবানির সময় উটকে নহর আর গরু-মহিষ, ছাগল-ভেড়া ইত্যাদিকে জবাই করা মুস্তাহাব। জবাইয়ের ক্ষেত্র হলো পশুর চোয়াল ও বুকের মাঝামাঝি স্থান অর্থাৎ গলা । এজন্য পশুর ঘাড় বাঁ পিঠের দিক থেকে জবাই করা মাকরুহ। এতে পশু কষ্ট পায়। আবার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রগ কাটার আগেই প্রাণীটির মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে। সে জন্য গলার দিক থেকেই জবাই করা বাঞ্ছনীয়। (আল ইখতিয়ার : ১/৫১)। জবাইয়ের সময় পশুর দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও কোরবানি সহিহ হবে এবং তার গোশতও খাওয়া যাবে। তবে বিনা প্রয়োজনে এমনটা করা মাকরুহ। এতে পশুকে অযথা কষ্ট দেয়া হয়। তবে এ কারণে কোরবানিতে কোনো প্রভাব পড়বে না। (আল ইখতিয়ার : ৫/১২; মুখতাসারুল কুদুরি : ২৭৬)। ঘটনাক্রমে কোরবানির দিনগুলোতে শক্তিশালী কোনো গরু-মহিষের কাছে যাওয়া সম্ভব না হলে বা কূপ কিংবা খাদে পড়ে যাওয়া কোনো পশু জীবিত ওঠানো সম্ভব না হলে ধারালো অস্ত্র দ্বারা দূর থেকে আঘাত করে রক্ত প্রবাহিত করলেও তা বৈধ হবে এবং তার গোশত খাওয়া হালাল হবে। (আল বাহরুর রায়েক : ৮/১৭১; ফাতাওয়া শামী : ৬/৩০৩; আল ইখতিয়ার : ১/৫১)। উন্নত বিশ্বের কোথাও কোথাও মেশিনে জবাইয়ের প্রচলন রয়েছে। কোরবানির পশু এভাবে জবাই করা সমীচীন নয়। হক্কানি ওলামায়ে কেরাম এটাকে ভালো মনে করেন না। সে জন্য এ থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। তবে কোথাও যদি এমনটা করতেই হয় তাহলে সুইচদাতাকে অবশ্যই মুসলমান হতে হবে এবং বিসমিল্লাহ বলে সুইচ অন করতে হবে। নতুবা কোরবানি সহিহ হবে না। তার গোশত খাওয়াও হালাল হবে না। (ফাতাওয়া শামী : ৯/৪২৭; আল ইখতিয়ার : ৫/৯; আপকে মাসাইল : ৪/১৩০)। জবাইয়ের পর পশুটি নিস্তেজ হওয়ার আগেই তার রগ কাটা বা চামড়া ছিলতে শুরু করা মানবতা-বিবর্জিত ও মাকরুহ। এতে পশুর অসম্ভব কষ্ট হয়। সুতরাং নিস্তেজ হওয়া পর্যন্ত বিলম্ব করা জরুরি। (সূত্র : সুনানে নাসায়ি : ৪৪১৭; কিতাবুল ফাতাওয়া : ৪/১৮৮)। মানবতার খাতিরে ঈদের দিন সবাই পরস্পরকে সহযোগিতা করে। ইমাম পশুটি জবাই করে দিয়ে যান। মহল্লা ও সমাজের কেউ কেউ পশুর চামড়া ছেলা ও গোশত বানানোর কাজে সহযোগিতা করেন। সে জন্য তাদের প্রত্যেককেই কিছু সম্মানী দেয়া কর্তব্য। সেটা ঈদ বোনাসের নামেও হতে পারে। কেননা ঈদের দিন কাউকে দিয়ে ফ্রি শ্রম নেয়া সমীচীন নয়। তাই অন্যের মাধ্যমে জবাই করালে, সহযোগিতা নিলে তাদের যথোপযুক্ত সম্মানী দেয়া একান্ত কর্তব্য। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ৪/৪৫৪; কিফায়াতুল মুফতি : ৮/২৪৩)। অথচ কাজ শেষে দেখা যায়, তাদের কাউকে মাথা, রান, ভুঁড়ি বা সামান্য পরিমাণ গোশত দেয়া হয়। আবার কখনও হুজুরকে চামড়া দিয়েই বিদায় করা হয়। আসলে এমনটা কাম্য নয়। এক্ষেত্রে মাসয়ালা হলো_ কোরবানির কোনো অংশ পারিশ্রমিক বা বিনিময় হিসেবে দিলে সেটা বৈধ হয় না। কারণ কোরবানির পশুর কোনো অংশ বিক্রয় বা বিনিময়যোগ্য নয়। তবে হাদিয়া হিসেবে দেয়া যেতে পারে। (ফাতাওয়া শামী : ৯/৪৭৫; বাদায়ে সানায়ে : ৫/৮১; ফাতহুল কাদির : ৮/৪৩৭)।
জিলহজের প্রথম দশক : নেক আমলের উর্বর সময়

জিলহজের প্রথম দশক : নেক আমলের উর্বর সময়

মাওলানা মুহাম্মদ মুহাররম হুসাইন
পশ্চিম দিগন্তে উদিত হতে চলেছে জিলহজের চাঁদ। শুরু হচ্ছে মোমিনের ইবাদত কর্মের এক উর্বর সময়। মহান আল্লাহ কিছু কিছু সময় এতটাই বরকতপূর্ণ করে বান্দাদের সামনে উপস্থাপন করেন, যে সময়ের সামান্যতম ইবাদতও তাদের আল্লাহর নৈকট্যের উচ্চ শিখরে পৌঁছে দিতে পারে। জিলহজ মাসের প্রথম দশক এ ধরনেরই একটি বরকতপূর্ণ সময়। এ সময়ের রাতগুলোর গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য এখান থেকেই বোঝা যায়, আল্লাহ তায়ালা এ রাতগুলোর নামে কসম করে বলেন '১০টি রাতের কসম'। (সূরা ফজর : ২)। তাই এ রাতগুলোতে মোমিন বান্দার চোখের ঘুম দূর হয়ে যাওয়া উচিত। এ কারণেই আল্লাহর খাস বান্দারা রাতের শেষ প্রহরে তাহাজ্জুদের জন্য আরামের বিছানা ছেড়ে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে যায়। সাড়া দেয় তারা আল্লাহর সেই ডাকের 'কোথায় রিজিক সন্ধানী! আমার কাছে রিজিক চাও আমি রিজিক দেব, কোথায় অসুস্থ, যে রোগের সুস্থতা চাও, আমি সুস্থতা দান করব।' (মেশকাত)। বিশেষ করে এ রাতগুলোতে আল্লাহর মোমিন বান্দারা এশা ও ফজর নামাজ মহল্লার মসজিদে এসে জামাতের সঙ্গে আদায় করে। কারণ, তারা জানে যারা এশা এবং ফজর জামাতের সঙ্গে আদায় করে তারা সারারাত নফল নামাজের সওয়াব পায়। (মেশকাত)। জিলহজের প্রথম দশকের দিনগুলোতে ফজিলতের কথা ব্যক্ত হয়েছে মহানবী (সা.) এর হাদিস শরিফে। এরশাদ হয়েছে, 'বছরের অন্য কোনোদিনের ইবাদত আল্লাহর কাছে এতটুকু প্রিয় নয়, যতটুকু প্রিয় এ ১০ দিনের ইবাদত। এমন কী জিহাদের চেয়েও। তবে যারা জানমাল নিয়ে জিহাদ গিয়ে ফিরে আসেনি তাদের কথা ভিন্ন।' (বোখারি শরিফ)। এ দিনগুলো সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'তোমরা নির্ধারিত দিনগুলোতে আল্লাহর জিকির করো।' (সূরা হজ)। মহানবী (সা.) এ প্রসঙ্গে বলেন, 'তোমরা এ দিনগুলোতে বেশি বেশি তাহলিল, তাকবির ও তাহমিদ পাঠ কর।' (মেশকাত)। তাহলিল মানে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।' আর তাকবির ও তাহমিদ মানে 'আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।' হজরত ইবনে ওমর ও আবু হুরায়রা (রা.) এ দিনগুলোর কোনো একদিন বাজারে গিয়ে দেখতে পেলেন, মানুষের মুখে কোনো তাকবির শোনা যায় না। তখন তারা চিৎকার করে এ তাকবির বলা শুরু করলে বাজারের সবাই সমস্বরে এ তাকবির বলা আরম্ভ করে দেন। বিশেষ করে ৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত ২৩ ওয়াক্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ফরজ নামাজের পর একবার করে এ তাকবির পড়ার নির্দেশ এসেছে। ইমামের স্মরণ না থাকলে মুক্তাদি স্মরণ করিয়ে দেবেন। আর মহিলারা নির্জনে বসে নিম্নস্বরে পড়বেন। একে তাকবিরে তাশরিক বলা হয়। জিলহজের প্রথম দশকে মহানবী (সা.) রোজা রাখতেন, অন্যদেরও রোজা রাখতে উদ্বুদ্ধ করতেন। বিশেষ করে নবম তারিখের রোজা প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) বলেন, 'এ দিনে রোজা রাখলে আল্লাহ তায়ালা অতীতের এক বছর এবং আগামী এক বছরের গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন।' (মেশকাত)। এ সময় বেশি বেশি দান-সদকার কথাও বলা হয়েছে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, বছরের অন্য সময়ের চেয়ে জিলহজের প্রথম দশক পৃথক বৈশিষ্ট্যম-িত। কারণ ইসলামের পাঁচটি রোকন সমভাবে এ দশকে আদায়ের সুযোগ থাকে। রমজান মাসে রোজার সুযোগ থাকলেও তো হজের সুযোগ পাওয়া যায় না। জিলহজের চাঁদ উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি কাজের কথা মহানবী (সা.) আমাদের স্মরণ করে দিয়েছেন 'যে ব্যক্তি জিলহজের চাঁদ দেখে আর সে কোরবানি করার নিয়ত করে সে যেন তার নখ, চুল না কাটে।' (মেশকাত)। এতে তার ধ্যানমন হাজীদের চেতনায় আল্লাহর জন্য একাগ্র থাকে। হজরত ইবনে ওমর (রা.) রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখতে পেলেন একজন মহিলা তার ছেলের চুল কাটছে। তিনি বললেন, 'হে মহিলা আর ক'টা দিন অপেক্ষা করে কোরবানির পর কাটলে তুমিও সওয়াব পেতে তোমার সন্তানও সওয়াব পেত।' (মুস্তাদরাক হাকেম)। এ দিনগুলোতে আল্লাহর প্রিয় বান্দারা আরাফাত, মুজদালিফা, মিনা ও মক্কা-মদিনায় আল্লাহর দরবারে হাজির থাকেন। আমরাও কোরবানির প্রস্তুতি ও কোরবানির মাধ্যমে নিজেদের চেতনাকে তাদের সঙ্গে একাকার করতে পারি। আল্লাহ পাক যেন আমাদেরও তার ঘরের জিয়ারত নসিব করেন লেখক: খতিব, দার-উস-সালাম জামে মসজিদ, রাজশাহী
হজ বিশ্বশান্তির অন্যতম নিয়ামক

হজ বিশ্বশান্তির অন্যতম নিয়ামক


ড. মোঃ শওকত হোসেন ইসলাম নির্দেশিত ইবাদতগুলোর মধ্যে শান্তির উপায় বিদ্যমান রয়েছে। এক্ষেত্রে হজ অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, 'আজ মানুষের কাছে হজের জন্য ঘোষণা দিয়ে দাও। ওরা আসবে হেঁটে ও ধাবমান উঠের পিঠে চড়ে, আসবে দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রম করে, যাতে তারা তাদের কল্যাণ লাভ করে।' (সূরা হজ : ২৭-২৮)। হজের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে কাবাগৃহ। বর্তমান বিশ্বের প্রধান তিনটি ধর্মের মানুষ এ গৃহকে সম্মান করে থাকে। এ গৃহকে কেন্দ্র করে মানবজাতির ইতিহাসে অনেক স্মরণীয় অধ্যায় রয়েছে। তাই এ গৃহের সংস্পর্শে এলে জাতিগত বিভেদের পরিবর্তে নতুন এক ঐক্যচেতনা জাগ্রত হয়। এ চেতনা বিশ্বশান্তির সহায়ক। রাব্বুল আলামিন বলেন, 'নিশ্চয়ই মানবজাতির জন্য সর্বপ্রথম যে গৃহ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তা তো বাক্কায় (মক্কার অপর নাম), তা আশীর্বাদপুষ্ট ও বিশ্বজগতের দিশারি। সেখানে বহু সুস্পষ্ট নিদর্শন রয়েছে, যেমন_ ইবরাহিমের দাঁড়ানোর স্থান। আর যে কেউ সেখানে প্রবেশ করে সে নিরাপদ। মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে আল্লাহর উদ্দেশ্যে সেই গৃহের হজ করা তার একান্ত কর্তব্য।' (সূরা ইমরান : ৯৬-৯৭)। জাতিগত দ্বন্দ্ব, বর্ণ বৈষম্য, ভূখ-গত বিভেদ ইত্যাদি বিশ্বশান্তির ক্ষেত্রে সর্বাপেক্ষা বড়রকমের হুমকি হিসেবে দেখা যায়। হজের সময়ে বিশ্বের সব এলাকা থেকে মানুষ একত্রে, একই উদ্দেশ্যে মিলিত হয়। এতে বহুরকমের বৈষম্য-বিরোধ মীমাংসার সুযোগ সৃষ্টি হয়। তাছাড়া একই আল্লাহর সৃষ্ট হিসেবে এবং একই আল্লাহর দাস হিসেবে সবাই মিলে একত্রে একইরকম ইবাদতের মাধ্যমে যে একত্ববাদের চেতনা জাগ্রত হয়, তা বিশ্বশান্তির জন্য অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। বস্তুত সঠিক নিয়তে, যথার্থ উপলব্ধির সঙ্গে যথাযথভাবে হজ পালন করলে একত্ববোধ সৃষ্টি হওয়াটা স্বাভাবিক। উগ্র-ভোগবাদী চেতনা বিশ্বে অশান্তি সৃষ্টির অন্যতম কারণ। মানুষের ভোগলিপ্সার শেষ নেই। তাই দেখা যায়, সম্পদশালীদেরই সম্পদের লোভ যেন বেশি। ধনী চায় আরও ধনী হতে। হজের সময় যেসব মানুষ একত্রে মিলিত হয় তারা কম-বেশি ধনী মানুষ। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর ধনী লোকেরাই হজে মিলিত হন। তারা সেখানে কৃচ্ছ্রতা সাধন করেন। ইহরাম বাঁধেন। এর মাধ্যমে বিলাসী জীবনের গর্বিত অবস্থা ছেড়ে আল্লাহর গোলাম হিসেবে তার ডাকে সাড়া দিয়ে নিজেকে অন্য সবার মাঝে একাকার করে হাজিরা দেন। ফলে ভোগবাদী জীবন চেতনা পরিবর্তিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। আর এরই ধারাবাহিকতায় সবার ঐক্যানুভূতিতে বিশ্বশান্তি ত্বরান্বিত হতে পারে। লেখক : সহকারী অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
পড়ার বিষয় চলচ্চিত্র

পড়ার বিষয় চলচ্চিত্র


হিমেল হাসান সময়ের সঙ্গে উচ্চশিক্ষার পাঠ্যতেও যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন বিষয়। যুক্ত হওয়া নতুন বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হলো, চলচ্চিত্র অধ্যয়ন। বাংলাদেশেও এখন এ বিষয়ের ওপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার সুযোগ হয়েছে। যারা চলচ্চিত্র নিয়ে জানতে ও পড়তে আগ্রহী, এ অধ্যয়নে যুক্ত হওয়ার সুযোগ আছে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করার পরই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ ও গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে পড়ানো হচ্ছে এ বিষয়টি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ফিল্ম স্টাডিজ বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে। চার বছর মেয়াদি স্নাতক, দুই বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়শোনার পাশাপাশি এমফিল, পিএইচডি ও বিভিন্ন সার্টিফিকেট কোর্স সম্পন্ন করার সুযোগ আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক কোর্সে ভর্তি হতে চাইলে উচ্চমাধ্যমিকের পর 'খ' ইউনিটে ও 'ঘ' ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে নির্বাচিত হতে হবে। 'খ' ইউনিটে পরীক্ষা দিতে হলে মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি মিলিয়ে চতুর্থ বিষয় ছাড়া মোট জিপিএ-৭ থাকতে হয়। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের জন্য ও-লেভেলে ৫টি এবং এ-লেভেলে ২টি বিষয়ে অবশ্যই পাস থাকতে হবে। এ সাত বিষয়ের অন্তত চারটিতে বি গ্রেড ও তিনটিতে সি গ্রেড থাকতে হবে। স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তি হতে চাইলে স্নাতক সম্পন্ন করতে হবে। এরপর ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এছাড়া স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে এ বিষয়ের ওপর স্নাতক, স্নাতকোত্তর করার সুযোগ আছে। এজন্য শিক্ষার্থীকে এসএসসি ও এইচএসসিতে কমপক্ষে ২.৫ জিপিএ নিয়ে পাস করতে হবে। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের ও-লেভেলে ৫টি এবং এ-লেভেলে ২টি বিষয়ে অবশ্যই পাস থাকতে হবে। এ সাত বিষয়ের অন্তত চারটিতে বি গ্রেড ও তিনটিতে সি গ্রেড থাকতে হবে। এছাড়া দুই বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার সুযোগও আছে। একই যোগ্যতা প্রয়োজন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ ও গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করার জন্য। ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ থেকে স্নাতক কোর্সে পড়তে চাইলে খরচ পড়বে ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে পড়তে হলে খরচ গুনতে হবে যথাক্রমে ৩ লাখ ৬২ হাজার টাকা এবং ৪ লাখ টাকা। এ বিষয় থেকে স্নাতক করার পর কাজের সুযোগ রয়েছে দেশের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায়। এছাড়া বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থায়ও কাজের সুযোগ রয়েছে। আর নিজের প্রতিভা থাকলে, দক্ষতা অর্জন করতে পারলে নিজেই হয়ে উঠতে পারেন চলচ্চিত্র নির্মাতা।
আজ বিটিভিতে ইত্যাদি

আজ বিটিভিতে ইত্যাদি


জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি আবারও বিনোদনের নতুন সম্ভার নিয়ে দর্শকের সামনে হাজির হচ্ছে। ইত্যাদির এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে নাটোরের উত্তরা গণভবনে। আগে যেটি দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি হিসেবে পরিচিত ছিল। এ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানটিতে সব সময়ই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে জনকল্যাণে নিয়োজিত মানুষদের খুঁজে এনে তাদের বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরা হয়। যাতে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হন। এবারের পর্বেও রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের একজন হতদরিদ্র শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের জীবন সংগ্রামের ওপর একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। রয়েছে কোরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিক মাহবুব আলমের ওপর একটি বিশেষ প্রতিবেদন এবং মাগুরার জন্মান্ধ আবুল বাশারের ওপর মানবিক প্রতিবেদন। এবারের ইত্যাদিতে মূল গানটি গেয়েছেন নাটোরেরই খ্যাতিমান শিল্পী ফরিদা পারভীন। নিয়মিত পর্ব হিসেবে এবারও রয়েছে যথারীতি মামা-ভাগ্নে, নানা-নাতি ও চিঠিপত্র বিভাগ। একটি নাট্যাংশে অভিনয় করেছেন আবদুল আজিজ, সুভাশীষ ভৌমিক ও রনি। এছাড়াও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে নিয়মিত আয়োজনগুলোও থাকছে। ইত্যাদির নতুন পর্ব বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচার হবে আজ রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদির রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত।

Thursday, September 25

৬ই অক্টোবর ঈদুল আযহা

৬ই অক্টোবর ঈদুল আযহা


স্টাফ রিপোর্টার : আগামী ৬ই অক্টোবর সোমবার পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে। আজ সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। কমিটি সূত্র জানায়, আজ দেশের কোথাও জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই আগামী ৬ই অক্টোবর ঈদ উদযাপন হবে।
টনসিল ইনফেকশনের জন্য ভাইরাস দায়ী

টনসিল ইনফেকশনের জন্য ভাইরাস দায়ী


টনসিল এক ধরনের লিমফয়েড টিস্যু। গলার ভেতরে দুই পাশে একজোড়া টনসিল থাকে। কোনো ধরনের প্রদাহ বা ইনফেকশন হলে আমরা এটাকে টনসিলাইটিস বলি। টনসিলাইটিস একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। টনসিল ইনফেকশন সাধারণত তিন থেকে ১২ বছরের বাচ্চাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে বড়দের ক্ষেত্রে যে একেবারেই হয় না, তা নয়। ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, টনসিল ইনফেকশনের জন্য ভাইরাস দায়ী। ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের জন্যও টনসিলাইটিস হতে পারে। ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত বিটা হেমোলাইটিক স্ট্রেপ্টোকক্কাস দিয়ে হয়। অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া দিয়েও টনসিলাইটিস হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে বারবার ঠান্ডা সর্দি লাগা, অপুষ্টিহীনতা, পরিবেশ দূষণ, দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অপর্যাপ্তও এ ইনফেকশনের কারণ হতে পারে। টনসিল ইনফেকশন হলে কীভাবে বুঝবেন- জ্বর হতে পারে ১০৩ ডিগ্রি থেকে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট, গায়ে ব্যথা, মাথাব্যথা, কানে ব্যথা হতে পারে। গলাব্যথা ও খাবার গিলতে সমস্যা হতে পারে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে মুখ দিয়ে লালা পড়তে দেখা যায়। এরকম সমস্যা যদি হয়, আমরা এটাকে তীব্র ইনফেকশন বলি। চিকিৎসকের উপদেশ অনুযায়ী নিয়মিত এবং সঠিক সময়ে ওষুধ সেবন করলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক, মাউথওয়াশ, ব্যথার ওষুধ, প্রচুর পরিমাণ পানি গ্রহণের মাধ্যমে এ ইনফেকশনের চিকিৎসা করা হয়। কেউ যদি সঠিকভাবে চিকিৎসা গ্রহণ না করে সে ক্ষেত্রে ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদি ইনফেকশন হয়। দীর্ঘমেয়াদি টনসিল ইনফেকশন যদি বছরে চার থেকে পাঁচবার পরপর দুই বছর হয় তবে তা অপারেশন করিয়ে নেয়া ভালো। টনসিল ইনফেকশনের চিকিৎসা না করালে নিম্নোক্ত সমস্যা হতে পারে- * টনসিলে ফোঁড়া হতে পারে। * টনসিলের চার পাশে ইনফেকশন ছড়িয়ে যেতে পারে। * কানে ইনফেকশন হতে পারে। বাতজ্বর বা রিউমেটিক ফিবার হতে পারে। * শ্বাসনালি ফুলে যেতে পারে এমনকি শ্বাসকষ্টও হতে পারে। * জীবাণু রক্তে ছড়িয়ে পড়তে পারে। * রক্তের মাধ্যমে জীবাণু কিডনিতে ছড়িয়ে গেলে সেখানেও ইনফেকশন হতে পারে। তাই এ ধরনের সমস্যা হলে অবহেলা করা উচিত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো, ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত। অধ্যাপক ডা. এম আলমগীর চৌধুরী বিভাগীয় প্রধান, নাক-কান-গলা আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
ঠান্ডা জনিত গলাব্যথায় বিশেষ চা

ঠান্ডা জনিত গলাব্যথায় বিশেষ চা


প্রতিটি পরিবারেই ঠান্ডাজনিত গলাব্যথার সমস্যা দেখা যায়। তাই গলাব্যথা প্রতিরোধে নিচের রেসিপিতে চা পান করতে পারেন। এটি বেশ কার্যকরী যা লাগবে : দুটি লেবু গোল গোল টুকরা করে চার ভাগ করে নিন। দুটি আদার টুকরো পয়সার মতো গোল গোল করে কেটে নিন। আন্দাজ বা পছন্দ মতো পরিমাণে খাঁটি মধু। যেভাবে করবেন : একটি ছোট কাচের কৌটায় লেবু আর আদার টুকরা রাখুন। এরপর তাতে আস্তে আস্তে খাঁটি মধু ঢালুন। যতক্ষণ পর্যন্ত লেবু আর আদার টুকরা মধুতে পুরোপুরি ডুবে না যায় ততক্ষণ মধু ঢালুন। এবার কৌটার মুখ বন্ধ করে ফ্রিজে রেখে দিন। দেখবেন এটি জেলির মতো হয়ে গেছে। এভাবে দুই-তিন মাস রেখে দেয়া যায়। এক কাপ গরম পানিতে এক চা চামচ পরিমাণ মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে গলাব্যথা দূরে থাকবে। আর ঠান্ডাজনিত গলাব্যথায় আক্রান্ত হলেও তা সেরে যাবে। - স্বাস্থ্য ডেস্ক
পোশাকে ঈদের ছোঁয়া

পোশাকে ঈদের ছোঁয়া


আশরাফুল ইসলাম রানা ঈদের আসল বর্ণিলতা তারুণ্য ঘিরেই। সহজ ভাষায় বললে, প্রচলিত ব্যাকরণের বাইরে নিজের ভাষায় কথা বলা, অদ্ভুত সব রঙের মিশেলে নতুন রঙের ট্রেন্ড তৈরি করাই তারুণ্য। যে কোনো উৎসবেই গৎবাঁধা ফ্যাশনের বাইরে থাকে তারুণ্য। ফ্যাশন নিয়ে এঙ্পেরিমেন্ট সেটা তো সারা বছরই! তবে ঈদে সবার চোখে নিজেকে একটু ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে হলে এ এঙ্পেরিমেন্টই আছে তারুণ্যের পছন্দের একদম শীর্ষে। ক'দিন বাদেই শারদীয় পূজা আর ঈদ যুগপৎ আনন্দ বয়ে আনবে বর্ণিল উৎসবের আমেজ। উৎসব রাঙাতে ব্যস্ত সুচিশিল্পীরা। নকশাকারদের সুনিপুণ দক্ষতায় এরই মধ্যে নতুন পোশাক উঠেছে প্রতিটি ব্র্যান্ডশপ বা মার্কেটগুলোতে। এদিকে ঈদ পোশাকে দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নানা উপাদান ব্যবহার করে পোশাকে শতভাগ বাঙালিয়ানা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা সব ফ্যাশন হাউসে। তবে রঙের ক্ষেত্রে লক্ষ করা যাচ্ছে দারুণ বৈচিত্র্য। সব সময় শরতে হালকা রঙ ও নীল-সবুজের শেডগুলো প্রাধান্য পেলেও এবার লক্ষ্য করা যাচ্ছে, গাঢ় রঙের বাহার। এখনও বেশ গরম থাকায় ফেব্রিক ও রঙের ক্ষেত্রে বেশ যত্নশীল ফ্যাশন হান্টাররা। ঈদ ফ্যাশন ট্রেন্ডে বৃত্তাকার ধারাই অনুসরণীয় হয়ে আসছে। তবে ফ্যাশন ট্রেন্ডের ধারাবাহিকতায় যোগ হচ্ছে ভিন্নতা এবং ফিউশন। গর্জাস লুকে উপস্থাপনের জন্য সবাই খুঁজে ফিরছে কিঞ্চিৎ হলেও স্বাতন্ত্র্য। সুতির পাশাপাশি ঐতিহ্যগতভাবে প্রশংসিত সিল্ক, মসলিন, এন্ডি সিল্ক, জয়শ্রী, এন্ডি কটন, জর্জেট, শিপন ব্যবহার হচ্ছে ঈদ পোশাক তৈরিতে। পোশাকে ভ্যালু এডিশন করতে কারচুপি, এমব্রয়ডারি, স্ক্রিন প্রিন্ট, বস্নক, স্টিচিং ইত্যাদি কারুকাজের মাধ্যমে সমৃদ্ধ করা হয়েছে পোশাকের জমিন। প্যাটার্ন বৈচিত্র্য এসেছে পাশ্চাত্য এবং দেশীয় ট্রেন্ডের আদলে। জেন্টল পার্ক ওমেনের ডিজাইনার শাহাদৎ বাবু জানান, রোজার ঈদের মতো এবারও ঈদে পালাজ্জো বা ডিভাইডারের সঙ্গে লম্বা কামিজ পরবে তরুণীরা। আর ঘাড় থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত লম্বা কামিজ বা 'ফ্লোর টাচ' এবারের ঈদে তরুণীদের চাহিদায় থাকবে এগিয়ে। তবে সেমিলং ও ফ্রক আকৃতির কামিজের ট্রেন্ডও জনপ্রিয়তা পাবে। মূলত এ কলিদার কামিজগুলো তৈরি করা হয়েছে ছয় ছাঁটে। পাশাপাশি যারা লং কুর্তা পরতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তাদের জন্য অ্যাজটেক অথবা অ্যানিমেল প্রিন্ট থেকে ফ্লোরাল প্রিন্টের কাপড়ও থাকবে পছন্দের তালিকায়। প্লিটেড, ড্রেপিং, অসম কাট, বিভিন্ন ধরনের ফ্লেয়ার ও লেয়ার কাটের মাধ্যমে ফতুয়া বা কুর্তা, পনচো, টিউনিক ও ড্রেস এবারও ঈদ ফ্যাশনে পরবেন কেউ কেউ। এখনকার তরুণরা ঈদের দিনের বেশিরভাগ সময় পাঞ্জাবি পরে কাটান। তাই তারা পাঞ্জাবি কেনার সময় আরামকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন। অঞ্জন'স এর শীর্ষ নির্বাহী শাহীন আহম্মেদ জানান, এখন আর ছেলেমেয়ে ভেদে কোনো রঙ নেই। নীল, ম্যাজেন্ডা, গাঢ় বেগুনি এমনকি গোলাপি রঙের পাঞ্জাবিও কিনছেন অনেকে। ভিসকোস ও সুতির পাশাপাশি কাতানের পাঞ্জাবির চল রয়েছে। এক রঙের পাঞ্জাবি যেমন চলছে, আবার অনেকে চেকের পাঞ্জাবিও কিনছেন। পাঞ্জাবির ঝুল হাঁটু পর্যন্ত দেখা যাবে এবারও। তরুণীদের ক্ষেত্রে শাড়ি পরার প্রবণতা যাদের বেশি তারা সাধারণ শাড়িতেও গর্জাস বস্নাউজ ব্যবহার করতে পারেন। একটু সাইনি এবং কারুকাজ করা ডিপ নেকের বস্নাউজ আপনাকে দেবে বাড়তি এলিগ্যান্ট লুক। এছাড়া ভারি কাজের অাঁচল আর পাড়সমৃদ্ধ শাড়ি ঈদে আপনাকে করে তুলতে পারে অনন্যা! পরিবেশ, পার্টির ধরন, আপনার ব্যক্তিত্ব এবং রুচির ওপর নির্ভর করেই তাই কিনে বা বানিয়ে ফেলতে পারেন আপনার ঈদ পোশাক। কেননা, সমকালীন ফ্যাশন ভাবনায় নিজের অভিব্যক্তি ফুটে উঠবে নিজস্ব স্টাইল স্টেটমেন্টের মাধ্যমে।

Wednesday, September 24

লাদেনের জামাতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

লাদেনের জামাতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড


কানিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসী মামলায় ওসামা বিন লাদেনের জামাতা সুলাইমান আবু গাইথকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আমেরিকার একটি আদালত। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর গাইথ আল-কায়েদার মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি লাদেনের বড় মেয়ে ফাতিমার স্বামী। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কের একটি আদালত গাইথকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গত বছর জর্ডানে গ্রেফতার হন কুয়েতের নাগরিক সুলাইমান আবু গাইথ। পরে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে নেয়া হয়। আল-কায়েদাকে সহায়তা ও আমেরিকানদের হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গত মার্চে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। গাইথকে উদ্দেশ করে যুক্তরাষ্ট্রের জেলা জজ লিউইস ক্যাপলান বলেন, “আমেরিকানদের হত্যা করার আল-কায়েদার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আপনি যে কোনো কিছু করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে প্রমাণিত হয়েছে।” আদালতে দেখানো একটি ভিডিওতে আবু গাইথকে যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিয়ে বলতে শোনা যায়, ‘বিমানের ঝড়’ এখনো শেষ হয়নি। আদালতে নিজের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে আবু গাইথ বলেন, অত্যাচারীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে মুসলামানদের উৎসাহ যোগানোর জন্য একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। নাইন/ইলেভেন হামলার রাতেই ওসামা বিন লাদেন তাকে আল-কায়েদার মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করতে বলেন বলে স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছেন আবু গাইথ। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসীরা যুক্তরাষ্ট্রের চারটি বিমান ছিনতাই করে। দুটি বিমান নিউ ইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আঘাত হানে, যা টুইন টাওয়ার হিসেবে পরিচিত ছিল। তৃতীয়টি আঘাত হানে ভার্জিনিয়ার পেন্টাগনে। চতুর্থ বিমানটি পশ্চিম পেনসিলভানিয়ার একটি খোলা মাঠে ভূপাতিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রে একযোগে চালানো চারটি আত্মঘাতী বিমান হামলায় মারা যায় অন্তত তিন হাজার মানুষ। এই হামলার দায় স্বীকার করে আল-কায়েদা। ২০১১ সালের মে মাসে পাকিস্তানে অভিযান চালিয়ে আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সদস্যরা।সূত্র: বিবিসি

Monday, September 22

 গাছবাড়ীতে ২০ দলীয় জোটের হরতাল পালিত

গাছবাড়ীতে ২০ দলীয় জোটের হরতাল পালিত


জসিম উদ্দিন ঃ বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল গাছবাড়ীতে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। সকাল ১১টার দিকে হরতালের পক্ষে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল। এছাড়া কলেজ রোড,গাছবাড়ী চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ড,সহ বেশকয়েকটি পয়েন্টে বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পিকেটিং করতে দেখা গেছে। অধিকাংশ দোকান-পাট ও অভ্যন্তরীন এবং দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। তবে রিক্সা-ভ্যানসহ হাল্কা যানবাহন চলাচল করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি টহল জোরদার করা ছিল।
স্ত্রীকে খুনের পর থানায় স্বামীর আত্মসমর্পণ

স্ত্রীকে খুনের পর থানায় স্বামীর আত্মসমর্পণ


স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর যাত্রাবাড়ির পুবাইল এলাকায় স্ত্রীকে খুনের পর থানায় গিয়ে স্বামী আত্মসমর্পণ করেছেন। নিহতের নাম সুরভী আক্তার (২৫)। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের স্বামীর নাম সাজ্জাদুল ইসলাম রাসেল (৩৮)। গতকাল দুপুরে তিনি যাত্রাবাড়ী থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। তাদের চার বছর ও পনের দিন বয়সী দুটি সন্তান রয়েছে। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, যাত্রাবাড়ীর ৩২৯/১/এ পুবাইল এলাকায় স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে থাকতেন সুরভী। ছয় বছর আগে রাসেলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। শনিবার সারা রাত তারা স্বামী স্ত্রী ঝগড়া করেন। একপর্যায়ে ভোর ৪টার দিকে রাসেল হাতুড়ি দিয়ে সুরভীর মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে রাসেল তার বাসা থেকে বেরিয়ে যান। পরে বিষয়টি ওই ভবনে থাকা আত্মীয়-স্বজনরা জানতে পেরে থানাকে জানায়। গতকাল সকাল ৮টার দিকে পুলিশ গিয়ে ওই বাসা থেকে সুরভীর লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, পাঁচতলা ওই বাসার চতুর্থ তলায় থাকতেন রাসেল-সুরভী দম্পতি। অপর তলাগুলোতে রাসেলের আরও চার ভাই থাকতেন। পেশায় ব্যবসায়ী রাসেল স্ত্রীকে হত্যার পর দুপুরে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় রাসেল দাবি করেন, রাতে ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী সুরভী তাকে হাতুড়ি দিয়ে মারতে আসে। তার শরীরে দু’বার আঘাত করার পর রাগের বশবর্তী হয়ে স্ত্রীর কাছ থেকে হাতুড়ি কেড়ে নিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন। যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনী শংকর কর বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে সুরভীকে হাতুড়ি দিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছে তার স্বামী রাসেল। এ ঘটনায় যাত্রবাড়ী থানায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের বড় ভাই শামসুজ্জামান জানান, রাসেল মাদকাসক্ত। অকারণে সে সুরভীকে মারধর করতো। যে কারণে তাদের সম্পর্ক ভাল যাচ্ছিলো না। এজন্য সুরভী একবার রাগ করে আমাদের কাছে চলে আসে। পরবর্তীতে রাসেলের ভাইদের হস্তক্ষেপে সুরভী আবার ফিরে যায়। তিনি বলেন, এই ফিরে যাওয়াটাই কাল হলো। দুটি ছোট বাচ্চা রেখে আমার বোনকে সে খুন করেছে।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধন বিলে প্রেসিডেন্টের সম্মতি

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধন বিলে প্রেসিডেন্টের সম্মতি


সংসদ রিপোর্টার : বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা এমপিদের হাতে ফিরিয়ে দিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধন বিলে সম্মতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। আজ সংসদ সচিবালয় এ তথ্য জানিয়েছে। ৫ দিন আগে সংসদ অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে বিলটি পাস হয়। এর প্রতিবাদে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করছে। এরই মাঝে বিলটিতে সম্মতি দিলেন প্রেসিডেন্ট। এখন গেজেট প্রকাশিত হলেই ‘সংবিধান (ষোড়শ সংশোধন) বিল-২০১৪’ এর আইনে পরিণত হওয়ার সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে। এই আইনের ফলে ‘অসদাচরণ ও অসামর্থ্যরে’ অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিচারপতিদের অপসারণ করতে পারবে সংসদ, যে ক্ষমতা স্বাধীনতার পর চার বছর পর্যন্ত আইন প্রণেতাদের হাতেই ছিল। এর ফলে বিচারপতি অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের বিষয়টি আর থাকছে ন। বিলে প্রেসিডেন্ট সই করার কয়েক ঘণ্টা আগে তা পুনর্বিবেচনার জন্য সংসদে ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানায়বিএনপি। একজন আইনজীবীও একই আবেদন জানিয়ে প্রেসিডেন্টকে একটি চিঠি পাঠান। ষোড়শ সংশোধনী অনুযায়ী এর আলোকে বিচারপতি অপসারণের ক্ষেত্রে তাদের ‘অসামর্থ্য ও অসদাচরণের’ তদন্ত ও প্রমাণের বিষয়ে আলাদা একটি আইন করা হবে, যা আগামী তিন মাসে হবে বলে আইনমন্ত্রী ইতোমধ্যে জানিয়েছেন।
ঘুষের বদলে ব্যাগ ভর্তি সাপ!

ঘুষের বদলে ব্যাগ ভর্তি সাপ!


কানিউজ ডেস্ক : আয়কর দপ্তরের মেঝেয়ে কিলবিল করছে সাপ এমনই একটি ছবি ফেসবুক টাইমলাইনে ছড়াছড়ি হচ্ছে ভারতে। যেখানে ক্যাপশন ছিল- ‘লক্ষ্ণৌয়ের বস্তি এলাকায় এক ব্যক্তি সাপ তাড়ানোর জন্য টেবিলক্লথ ব্যবহার করছেন। বলা হয়, দুই চাষি ঘুষের দাবিতে বিরক্ত হয়ে, তিন ব্যাগ ভর্তি সাপ দপ্তরে নিয়ে যান এবং পুরো ব্যাগই সেখানে খালি করে দেন। গুনে গুনে ৪০টি সাপ ছিল ওই ব্যাগগুলোতে।’ ঘটনাটি তিন বছর আগের। ৩০ নভেম্বর ২০১১ সালে পিটিআইয়ের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছিল, রাজস্ব দপ্তরের মধ্যে একটি বেদে সাপ ভর্তি ব্যাগ খালি করে দেন। তাঁকে জমি দিতে দেরি করছিলেন এক কর্মকর্তা। জমি সংক্রান্ত সমস্ত কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ঘুষ চেয়েছিলেন ওই কর্মকর্তা। দেরি হওয়ায় বিরক্ত বেদে এই কাণ্ড ঘটান। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, হাক্কুল নামে এক বেদে রাষ্ট্রপতিকে জমির জন্য চিঠি লিখেছিলেন। যার উত্তরে স্থানীয় প্রশাসনকে জমি সংক্রান্ত সব কাগজ পত্র তৈরি করতে এবং ওই ব্যক্তিকে জমিদানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলেছিলেন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু বেদে অভিযোগ আনেন, রাজস্ব দপ্তর তাঁর কাছ থেকে ঘুষ চাইছে, তা না-দেওয়ায় তিনি এখনো জমি পাননি। তাই প্রতিশোধ নিতে এবং কর্মকর্তাদের ভয় পাইয়ে দিতে অফিসেই সাপ ছেড়ে আসেন তিনি। – সূত্র : এই সময়
জুতার ভেতর কোটি টাকার স্বর্ণ

জুতার ভেতর কোটি টাকার স্বর্ণ


স্টাফ রিপোর্টার : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বর্ণের ২৪টি বারসহ এক যাত্রীকে আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। মোহাম্মদ ওযায়ের (৩৩) নামে ওই যাত্রী তার জুতার ভেতরে করে দুই কোজি ৮০০গ্রাম ওজনের স্বর্ণের বারগুলো নিয়ে আসেন। বিমানবন্দর গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার সময় তাকে আটক করে তল্লাশি চালিয়ে স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, আটককৃত ব্যক্তি এ বছর চার বার বিদেশ ভ্রমন করেছেন। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে।
খালেদার আবেদন খারিজ, সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

খালেদার আবেদন খারিজ, সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু


স্টাফ রিপোর্টার : হরতালের কারণে উপস্থিত হতে না পারায় সাক্ষ্য গ্রহণ মুলতবি করতে করা খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। রাজধানীর বকশিবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে আজ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য ছিল। হরতালের কারণে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে না পারায় তার আইনজীবীরা সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি রাখার আবেদন করলে আদালত না খারিজ করে দেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। আদালতের কার্যক্রম দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুলতবি করা হয়। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা অনাস্থা জানিয়ে আদালত পরিবর্তনের আবেদন করলে সেটিও খারিজ করে দেয়া হয়। এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহনের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ই অক্টোবর। জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের এই দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা সম্প্রতি বিশেষ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। গত ১৭ই সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন সপ্তমবারের মতো পিছিয়ে সোমবার পুননির্ধারণ করেছিলেন আদালত। এদিন খালেদা জিয়াসহ সব আসামিকে হাজিরের নির্দেশ দিয়ে আদালত জানিয়েছিলেন, সবার উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।
‘অবৈধ সরকার রাষ্ট্রের অর্থ যথেচ্ছ অপব্যয় করছে’

‘অবৈধ সরকার রাষ্ট্রের অর্থ যথেচ্ছ অপব্যয় করছে’


স্টাফ রিপোর্টার : জনগণের মেন্ডেটবিহীন বর্তমান অবৈধ সরকার রাষ্ট্রীয় অর্থ যথেচ্ছভাবে অপব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে ১৮০ জনের বিশাল বহন নিয়ে গেছেন। অতীতে এত দীর্ঘ বহন নিয়ে কোন প্রধানমন্ত্রী যাননি। এছাড়া ওই বহরে রয়েছেন ৯ জন মন্ত্রীর স্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়স্বজন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদধারী সচিব। প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে রাষ্ট্রের কোষাগারের অর্থ যথেচ্ছভাবে ব্যয় করছে তারা। আজ বিকালে রাজধানী নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশব্যাপী হরতাল চিত্র জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সারা দেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালিত হয়েছে দাবি করে মির্জা আলমগীর বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের প্রতিবাদে ২০ দলের ডাকা আজকের হরতাল সারা দেশে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। এজন্য জোট নেতা খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে দলের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে অভিনন্দন জানান তিনি। হরতালের হামলা ও গ্রেপ্তারের অভিযোগ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ২০ দলের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করলেও সরকারের পেটুয়া বাহিনী বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। পুলিশ যুবদল নেতাকে পায়ে ঠেকিয়ে গুলি করে আহত করেছে। হরতালকে কেন্দ্র করে গত দুদিনে সারা দেশে ৩৫৩ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার ও ৩২ জন আহত হয়েছে। অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন তিনি। বিচারপতিদের অভিশংসন বিল পাসের প্রতিবাদে ২০ দলীয় জোট আর কোন কর্মসূচি দেবে কিনা জানতে চাইলে মির্জা আলমগীর বলেন, আগামীকাল বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জনসভা রয়েছে। এছাড়া আগামী ২৭শে সেপ্টেম্বর জামালপুরে আরেকটি জনসভা রয়েছে। ওই জনসভাগুলোর পর পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে।
খালেদাকে পদত্যাগ করতে বললেন মায়া

খালেদাকে পদত্যাগ করতে বললেন মায়া


কানিউজ ডেস্ক : ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া দাবি করেছেন, হরতাল দিয়ে খালেদা জিয়া তাঁর নেতা-কর্মীদের মাঠে নামাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ জন্য দলীয় প্রধানের পদ থেকে বিএনপির চেয়ারপারসনকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক গোষ্ঠীর হরতালবিরোধী অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে মায়া এ আহ্বান জানান। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, পুরো ঢাকা শহর আওয়ামী লীগের দখলে। হরতাল দিয়েছে বিএনপি, আর মাঠে আওয়ামী লীগ। খালেদা জিয়া তাঁর নেতা-কর্মীদের মাঠে নামাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ জন্য খালেদা জিয়াকে আজই পদত্যাগ করা উচিত। বিএনপির চেয়ারপারসনকে ত্রাণমন্ত্রী বলেন, আপনার পায়ের তলায় মাটি নাই। এখন কোনো সংলাপও হবে না। আর ২০১৯ সালের আগে জাতীয় নির্বাচনও হবে না। একই অনুষ্ঠানে দলের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ দাবি করেন, জোটের ভাঙন ঠেকাতে ও জঙ্গিবাদীদের আশ্রয় দিতে আজ হরতাল দিয়েছেন খালেদা জিয়া। হরতালে নৈরাজ্য করলে প্রয়োজনে বিএনপির চেয়ারপারসনকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি। সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক গোষ্ঠীর আহ্বায়ক আবদুল হকের সভাপতিত্বে হরতালবিরোধী এই অবস্থানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, মুকুল চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. সেলিম প্রমুখ।