Saturday, March 30

:: বাজেটে পদ্মায় ৬ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা ::

:: বাজেটে পদ্মায় ৬ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা ::

শনিবার অর্থ মন্ত্রণালযের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, এই অর্থের মধ্যে ৬০৮ মিলিয়ন ডলার থাকবে বিদেশি মুদ্রায়। এই মতবিনিময় সভায় আগামী বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। মন্ত্রী বলেন, �নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এর রূপরেখা ঘোষণা করা হবে। তিনি জানান, চলতি অর্থবছররের সংশোধিত বাজেটেও পদ্মা সেতুর জন্য এক হাজার ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।



পদ্মা প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১১ সালের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্ব ব্যাংকসহ কয়েকটি দাতা সংস্থার সঙ্গে ঋণচুক্তি করলেও অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘ টানাপড়েনের পর চলতি বছর জানুয়ারির শেষে তাদের 'না' বলে দেয় সরকার।



এরপরই সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানায়। এরই মধ্যে মালয়শিয়া ও চীনসহ কয়েকটি দেশের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে। ফেব্রয়ারি মাসে পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজেদের প্রস্তাব তুলে ধরে মালয়শিয়া ও চীন।



Friday, March 29

:: নতুন ইতিহাস গরল টাইগারা ::

:: নতুন ইতিহাস গরল টাইগারা ::

শ্রীলঙ্কার মাটিতে লঙ্কার দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে জয়। সেই সঙ্গে প্রথমবার ওয়ানডে সিরিজ ড্র। টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজেও নতুন ইতিহাস। যদিও টেস্টে সিরিজও ড্র করার সুযোগ এসেছিল কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। আর গতকাল বৃষ্টি বিঘি�ত ম্যাচে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে ৩ উইকেটে হারিয়ে নতুন ইতিহাসের রচনা করে বাংলাদেশ। এই নিয়ে ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের সংখ্যা ৩৩ ম্যাচে ৪টি। আর পঞ্চম দ্বি-পাক্ষিক সিরিজের প্রাপ্তি ড্র। ক্যান্ডির বৃষ্টি বাংলাদেশের জন্য বয়ে এনেছিল সৌভ্যগ্য। ৩০৩ রানের টর্গেট তাড়া করতে নেমে ভালই এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ। ৭৭ রানে এক উইকেট পতনের পর বাগড়া বাঁধে বৃষ্টি। ১৩.৪ ওভারের দলীয় ৭৮ রানের সময় পাহাড়ি মেঘ বৃষ্টি হয়ে ঝড়তে শুরু করে পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে। আর সেই বৃষ্টি মুশফিকদের জন্য আর্শীবাদের বার্তা নিয়ে আসবে তা কারও জান ছিলনা। প্রায় তিনঘন্ট খেলা বন্ধ থাকার পর বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের সামনে নতুন টার্গেট। ২৭ ওভারে করতে হবে ১৮৩ রান। আর সেই টার্গেট তাড়া করে শেষ পর্যন্ত ৭ বলে দরকার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩ রান। সোহাগ গাজীর সটে উড়ে গেল সব শংকা। এলো শ্রীলংকার মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে জয়।

৩০৩ রানের চ্যালেঞ্জ নেয়ার মানসিকতা বুকে নিয়ে বিজয়ের সঙ্গে আশরাফুল ওপেন করতে নেমেছিলেন। মালিঙ্গা-কুলাসেকেরাদের জবাবটা ভালোই দিচ্ছিলো দু ওপেনারের ব্যাট। আশরাফুলের আউটের পর তখন চ্যালেঞ্জটা কঠিন মনে হচ্ছিল। আর সেই সময়র বৃষ্টিতে শুরু হয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা খেলা বন্ধ হয়ে থাকে। ৭৮ রানে ১ উইকেট হারিয়ে সাজঘরে বাসে বাসে বৃষ্টি দেখে দুই দল। আর বৃষ্টি শেষ হলে আবার মাঠে যখন বল গড়ালো তখন জিততে ৩০৩ নয় বৃষ্টি আইনে লক্ষ্য তখন ২৭ ওভারে ১৮৩। যার মানে বাংলাদেশের দরকার ৮০ বলে ১০৫। হাতে উইকেট রয়েছে ৯টি। লঙ্কান বোলারদের চেয়েও চ্যালেঞ্জটা ছিলো নিজেদের সাথে। মানসিক চাপে ভেঙে পড়বে না তো বাংলাদেশ? দলীয় ৯৭ রানে বিজয় ৪০ এ ফিরে যাবার পর বলের সাথে রানের দূরত্ব বেশি না হলেও জহুরুল,মুশফিক,মাহামুদ্দুলাদের আউট ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলো। আর সে ভয় আরো বেড়ে যায় জিয়া যখন আবারও শূন্য রান করে আউট হয়। কিন্তু রংপুরের ছেলে নাসিরের ব্যাট তখনও ভররসা হয়ে রাইলো বাংলাদেশের ভাগ্য ললাটে। শেষ পর্যন্ত তিনি ২৭ বলে তার অপরাজিত ৩৩ রানে করে দলের জন্য ইতিহাসে মোড়ানো জয় উপহার দেন।(ফেয়ার নিউজ)







Thursday, March 28

:: কানাইঘাটে মাদকসেবীদের হাতে মাদক ব্যবসায়ী খুন ::

:: কানাইঘাটে মাদকসেবীদের হাতে মাদক ব্যবসায়ী খুন ::

নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত বুধবার রাতে সিলেটের কানাইঘাটের ৭নং দক্ষিণ বানীগ্রাম ইউপির সীমার বাজারে মাদকসেবী সহযোগীদের হাতে এক মাদক ব্যবসায়ীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। কানাইঘাট থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওমেক হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেছে। জানা যায়, বানীগ্রাম ইউপির লামা দলইকান্দি গ্রামের মৃত মড়া মিয়ার পুত্র মাদক ব্যবসায়ী নুর মিয়া (৩০) গত বুধবার রাত অনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে তার সহযোগী কয়েকজন মাদকসেবীদের নিয়ে সীমার বাজারের পাশে মদ পান করছিল। এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে তার সহযোগীরা উপর্যূপরী ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নুর মিয়াকে ঘটনাস্থলে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন থানা পুলিশকে খবর দিলে রাতেই থানার ওসি আব্দুল হাই একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এ মাদক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে। এলাকার লোকজন জানিয়েছেন এ হত্যাকান্ডের সাথে স্থানীয় আগতালুক ও গণিকান্দি গ্রামের ৪/৫জন মাদকসেবী জড়িত রয়েছে। নিহত নুর মিয়া গাছবাড়ী সীমার বাজার এলাকায় ভাসমান অবস্থায় মাদক বিক্রি করত। সে নিজেও মাদকসেবী। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ব্যাপারে থানার ওসি আব্দুল হাইর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কানাইঘাট নিউজকে জানান, মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে নুর মিয়ার মৃত্যু হতে পারে। এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে জানান।

!! কানাইঘাটে বিরোধী জোটের ডাকা দ্বিতীয় দিনের হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে পালিত !!

!! কানাইঘাটে বিরোধী জোটের ডাকা দ্বিতীয় দিনের হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে পালিত !!

নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশব্যাপী ১৮দলীয় জোটের ডাকা টানা ৩৬ ঘন্টার হরতালের দ্বিতীয় দিন কানাইঘাটে সর্বত্র শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। কোথাও হরতালকারীদের সাথে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি। হরতালের সমর্থনে ভোর থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন এবং জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা পৌর শহর সহ অন্তত ১৫টি স্থানে পিকেটিং ও মিছিল করে। বেলা ১২টায় পিকেটিং শেষে কানাইঘাট বাজারে হরতালের সমর্থনে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলার শরীফুল হক, বিএনপি নেতা হাজী জসিম উদ্দিন, কাউন্সিলার রহিম উদ্দিন ভরসা, যুবদলের আব্দুল মন্নান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ফারুক আহমদ, ছাত্রদলের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সহসভাপতি রাশিদুল হাসান টিটু, থানা শ্রমিকদলের আহবায়ক জাকারিয়া, যুগ্ম আহবায়ক এবাদুর রহমান, জাফর, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মিজানুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ আলী, জালাল আহমদ জনি, পৌর যুবদলের আহবায়ক জসিম উদ্দিন, কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কয়ছর আলমের নেতৃত্বে দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী মিছিল বের করে পূর্ব বাজারে প্রতিবাদ সভা করে। অপর দিকে সাড়ে ১২টায় থানা বিএনপির সভাপতি এমএ লতিফ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হাবিব আহমদ, বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম, যুবদল নেতা ইসলাম উদ্দিন, ছাত্রদল নেতা বাছিত, জাকির, আজমলের নেতৃত্বে পৌর শহরে হরতালের সমর্থনে আরেকটি মিছিল বের হয়। এছাড়া জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা পৌর শহরের মনসুরিয়া পয়েন্ট ও বাইপাস মোড়ে হরতালের সমর্থনে পিকেটিং ও মিছিল করে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে হালকা ছোট যানবাহন চলাচল কিছু করলেও দূরপাল্লার সবধরণের যান চলাচল বন্ধ ছিল। ব্যাংক, বীমা খোলা থাকলেও লেনদেন হয়েছে সীমিত। সরকারী অফিস আদালত খোলা থাকলেও উপস্থিতি ছিল নগন্য।

::বীরদল এন.এম একাডেমীতে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত::

::বীরদল এন.এম একাডেমীতে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত::

নিজস্ব প্রতিবেদক:
৪২তম মহান স্বাধীনতা দিবসের দিনে কানাইঘাট উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বীরদল এন.এম একাডেমীর বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষ্যে  দিনব্যাপী আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জার উল্লার সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র মঈনুল হক ও শাহাব উদ্দিনের যৌথ পরিচালনায়  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিলেট এম.সি কলেজের সাবেক ভিপি খসরুজ্জামান(খসরু),প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজসেবী,শিল্পপতি আল ফারুক ট্রেভ্রেলস এর চেয়ারম্যান কিউ.এম ফররুখ আহমদ ফারুক।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য তওহিদ আহমদ,ফিরোজ মিয়া।স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ মহিউদ্দিন , অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মাও কাজী নজরুল ইসলাম, মোঃদিলদার আহমদ,মোঃমিছবাউল আলম,সুহেব আহমদ,শাহীন আহমদ চৌধূরী,আসমাতুন নাহার প্রমূখ।




Wednesday, March 27

:: কানাইঘাটে বিরোধী জোটের হরতাল শান্তিপূর্ণ ভাবে পালিত ::

:: কানাইঘাটে বিরোধী জোটের হরতাল শান্তিপূর্ণ ভাবে পালিত ::

নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশব্যাপী বিএনপি ও জামায়াত জোটের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কানাইঘাটে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। কোথাও হরতালকারীদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায় নি। হরতালের সমর্থনে বেলা ১২টা পর্যন্ত বিএনপি ও জামায়াতের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পৃথকভাবে পৌর শহরসহ গাছবাড়ী বাজার, সড়কের বাজার, রাজাগঞ্জ বাজার, গাজী বুরহান উদ্দিন সড়ক, কানাইঘাট-দরবস্ত সড়কের বিভিন্নস্থানে রাস্তা অবরোধ করে পিকেটিং ও মিছিল করে। বেলা ১১টায় কানাইঘাট বাজারে হরতালের সমর্থনে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করে। মিছিল পরবর্তী পূর্ববাজারে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সভায় বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলার শরিফুল হক, বিএনপি নেতা আজিজুল হক মেম্বার থানা যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল মন্নান, থানা ছাত্রদলের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সহসভাপতি রাশিদুল হাসান টিটু, খছরুজ্জামানা পারভেজ, থানা শ্রমিকদলের আহ্বায়ক জাকারিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক জাফর আহমদ, থানা কৃষকদলের সভাপতি কাউন্সিলার রহিম উদ্দিন ভরসা, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জসীম উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক রোমান সিদ্দিকী, ডালিম, আজির, পৌর স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক জালাল আহমদ জনী, ছাত্রদল নেতা আমিনুল ইসলাম, কয়ছর আলম, রিয়াজ, বদরুল, বিজয় দাস প্রমুখ। অপরদিকে বিএনপির সভাপতি আব্দুল লতিফ ও সাধারণ সম্পাদক হাবিব আহমদের নেতৃত্বে কানাইঘাট বাজারে হরতালের সমর্থনে আরেকটি মিছিল বের করে।



!!কানাইঘাটে মহান স্বাধীনতা দিবস পালনের আরো খবর!!

!!কানাইঘাটে মহান স্বাধীনতা দিবস পালনের আরো খবর!!

নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের অন্যান্যস্থানের ন্যায় কানাইঘাটেও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে ৪৩ তম মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে। কানাইঘাট থানা প্রাঙ্গনে ৩১বার তোপধ্বনীর মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। দিবসের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১মিনিটে উপজেলা প্রশাসন, কানাইঘাট থানা প্রশাসন, কানাইঘাট প্রেসক্লাব, উপজেলা আ’লীগ অঙ্গসংগঠন, বিএনপি অঙ্গসংগঠন, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়। পরে উপজেলা চত্ত্বর থেকে উপজেলা প্রশাসন র‌্যালী করে বিষ্ণুপুর শহীদ মাজারে পৌছে সেখানে ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পমাল্য অর্পন করেন। সুর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারী, বেসরকারী ভবন ও প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৯টায় কানাইঘাট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ও নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম.সোহরাব হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় পুলিশ আনসার ভিডিপি ও বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এক মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ, শারিরীক কসরত ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম.সোহরাব হোসেন কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন। বেলা ১২টায় প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বিকেল ৪টায় কানাইঘাট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা পরিষদ একাদশ বনাম সুধী একাদশের মধ্যে এক প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

রামিজা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় :মহান স্বাধীনতা দিবসের দিনে ঐতিহ্যবাহী কানাইঘাট রামিজা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষ্যে সকাল ১১টায় স্কুল প্রাঙ্গনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মামুন আহমদের সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক শামীম আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কানাইঘাট পৌরসভার মেয়র লুৎফুর রহমান। বিষেশ অতিথি ছিলেন, কানাইঘাট থানার সাব-ইন্সপেক্টর রশিদ সরকার, এএসআই শফিকুর রহমান, কানাইঘাট নিউজ ২৪ডট কমের নির্বাহী সম্পাদক সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সাংবাদিক আব্দুন নুর। বক্তব্য রাখেন, স্কুলের সহকারী শিক্ষক হারুন রশিদ, জামিল আহমদ, রফিক আহমদ, স্বাগতা চক্রবর্তী প্রমুখ। দিনভর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্কুলের ছাত্রীরা দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন, যৌতুক ও ইভটিজিং বিরোধী নাটিকা মঞ্চায়ন করে অনুষ্ঠানস্থল উৎসবমুখর করে রাখে। অনুষ্ঠান শেষে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
গাছবাড়ী আ’লীগ:মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে অবিলম্বে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবীতে কানাইঘাট গাছবাড়ী আঞ্চলিক শাখার আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ২৬শে মার্চ বিকেল ৩টায় স্থানীয় গাছবাড়ী উত্তর বাজারে অনুষ্ঠিত হয়। আ’লীগ নেতা মাষ্টার মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিনের পরিচালনায় উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট আব্দুস সাত্তার। বক্তব্য রাখেন, আ’লীগ নেতা ওলিউর রহমান, মাষ্টার মর্তুজ আলী, ফারুক আহমদ, আব্দুল লতিফ, সাহাব উদ্দিন, যুবলীগ নেতা মাসুক আহমদ, বকুল আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হামজা হেলাল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার বখত সাজু। সভায় বক্তারা যুদ্ধাপরাধের দায়ে দেলোওয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুদন্ডের রায়কে কেন্দ্রকে গাছবাড়ী বাজারের আ’লীগ সমর্থিত নেতাকর্মীদের দোকানপাট ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের নিন্দা করে বলেন, বাংলার মাটিতে একাত্ত্বরের ঘাতকদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে। কেউ রুখতে পারবে না।
কানাইঘাট বিএনপি :মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে কানাইঘাট উপজেলা ও পৌর বিএনপির সহযোগী সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে গত মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় কানাইঘাট ইউনিক কমিউনিটি সেন্টারে এক আলোচনা সভা ও কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা বিএনপির সভাপতি চাকসুর সাবেক আপ্যায়ন সম্পাদক মামুন রশিদ মামুনের সভাপতিত্বে ও থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলার শরিফুল হকের পরিচালনায় কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন, থানা বিএনপির সহসভাপতি ডাঃ আবু শহিদ সিকদার, পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী ইফজালুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, বিএনপি নেতা, হাজী জসিম উদ্দিন, শাহজাহান সেলিম বুলবুল, মোহাম্মদ আলী মেম্বার, আজিজুল হক মেম্বার, ডাঃ ইয়াকুব, আব্দুন নুর, ইসলাম উদ্দিন মেম্বার, আজির উদ্দিন ভেড়া, থানা যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান, যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন রশিদ, সায়িক আহমদ, থানা কৃষকদলের সভাপতি কাউন্সিলার রহিম উদ্দিন ভরসা, থানা ছাত্রদলের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সহসভাপতি রাশিদুল হাসান টিটু, খছরুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন শামীম, থানা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক আহমদ, থানা শ্রমিকদলের আহ্বায়ক জাকারিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক এবাদুর রহমান, জাফর, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ডালিম, আজির উদ্দিন, পৌর স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী, নজরুল ইসলাম রুকন, জালাল আহমদ জনী, শ্রমিকদলের আহ্বায়ক আবিদুর রহমান যুগ আহ্বায়ক শরিফ উদ্দিন, থানা উলামা দলের সভাপতি মাওঃ কুদরত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মাওঃ নিজাম উদ্দিন, থানা জাসাসের আহ্বায়ক আব্দুল মতিন, যুগ্ম আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন, কিবরীয়া, পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আম্বিয়া, কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কয়ছর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক করিম চৌধুরী, ছাত্রদল নেতা বদরুল, রিয়াজ, বিজয় দাস প্রমুখ।

:: কানাইঘাটে বিএনপির হরতাল মিছিল ও সমাবেশ ::

:: কানাইঘাটে বিএনপির হরতাল মিছিল ও সমাবেশ ::

নিজস্ব প্রতিবেদক:
 হরতালের সমর্থনে কানাইঘাট উপজেলা ও পৌর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে উপজেলা পল্লী বিদ্যুত মোড়ে পিকেটিং শেষে একটি মিছিল বের করে। মিছিল শেষে ডাকবাংলা প্রাঙ্গনে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ১৮ দলীয় জোটের আহবায়ক ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম, এ লতিফের সভাপতিত্বে ছাত্রদল নেতা জাকির উদ্দিনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক হাবিব আহমদ, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোঃ নুরুল ইসলাম, নিজাম উদ্দিন, বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন, হোসন আহমদ, ফরিদ উদ্দিন বটু, ইসলাম উদ্দিন, আবুল, সোলেমান রশীদ, তাইরুল হক, যুবদল নেতা আব্দুল মন্নান, তইর উদ্দিন, কবির, আমির, নজরুল, কবির, মঞ্জুর, কিবরিয়া, বিলাল উদ্দিন, ছাত্রদল নেতা আব্দুল বাছিত, আবুল হাসনাত, জাকির হোসেন, তাজুল ইসলাম,আজমল হুসেন, আব্দুর রহমান, আব্দুল মুমিন,আবুল ফয়েজ, শাহিদ, রুহুল আমিন, কাওছার আহমদ, জুবায়ের হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক রুবেল আহমদ, রাজু আহমদ, কয়ছর প্রমুখ।

!! দুঃসময়ে সরকারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি এরশাদের !!

!! দুঃসময়ে সরকারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি এরশাদের !!

দুঃসময়ে সরকারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জিল্লুর রহমান (মিরপুর-বিমানবন্দর) উড়াল সড়কের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন । শেখ হাসিনার উদ্দেশে এইচ এম এরশাদ বলেন, সামনে যে সময় আসছে, আপনার পক্ষে সব সমস্যার সমাধান করা কঠিন। জনগণ আপনার সঙ্গে আছে, আমিও আপনার সঙ্গে আছি। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ও যোগাযোগমন্ত্রীর সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এরশাদ। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারও। রেওয়াজ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী ও যোগাযোগমন্ত্রীর আগে এরশাদের বক্তৃতা দেয়ার কথা ছিল। অনুষ্ঠানে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আগে বক্তব্য দেয়ার জন্য এরশাদের নাম ঘোষণাও হয়েছিল। কিন্তু এরশাদ বক্তৃতার জন্য উঠতে গেলে ওবায়দুল কাদের তাকে থামিয়ে নিজেই বক্তব্য দিতে এগিয়ে যান। সরকারকে সেনাবাহিনীর 'পাশে' থাকার পরামর্শ দিয়ে সাবেক এই সেনাপ্রধান বলেন, আপনি সেনাবাহিনীকে সাহস জোগাবেন। আপনি ওদের পাশে থাকবেন। ওনারা আপনার পাশে থাকবে।



স্থানীয় সংসদ সদস্য এরশাদ নির্বাচনী আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে নিজের অসন্তোষও প্রকাশ করেন। �ডিলিমিটেশন হয়েছে, আমার ঢাকা-১৭ আসনের কিছু চলে গেছে ঢাকা-১৬ তে। কিছু ১১ ও ১০এ। আগামীবার আমি আর এই এলাকায় নির্বাচন করতে পারব না।� এনিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বলেও জানান জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান। প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে এরশাদ বলেন, �প্রাদেশিক সরকার হলে সব জায়গায় হরতালও হত না।� হরতালের বিকল্প কর্মসূচি খুঁজে বের করার ওপর জোর দেন তিনি। ওবায়দুল কাদেরও হরতালের সমালোচনা করে বলেন, কীভাবে কাজ করব বলুন? গত পাঁচ মাসে পাঁচ হাজার যানবাহন ভাংচুর করা হয়েছে। পাঁচশ' যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছে গণপরিবহন। এই হিংসার রাজনীতি শেষ হতে হবে।



রাজনৈতিক সঙ্কটের অবসানে সংঘাতের বদলে সংলাপের ওপর জোর দেন তিনি। যোগাযোগমন্ত্রী পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে বলেন, এ নিয়ে হতাশার কোনো কারণ নেই। কাজ চলছে। কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে জিল্লুর রহমান উড়াল সড়ক, হাতিরঝিল প্রকল্প, পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণে সেনাবাহিনীর কাজের প্রশংসা করেন এরশাদ। তিনি বলেন, ৩৬ বছর সেনাবাহিনীতে ছিলাম। আট বছর সেনাপ্রধান ছিলাম। পুরোপুরি রাজনীতিবিদ হতে পারিনি, সৈনিকই থেকে গেছি।(ফেয়ার নিউজ)



:: মিরপুর-বিমানবন্দর উড়ালসড়ক উন্মুক্ত ::

:: মিরপুর-বিমানবন্দর উড়ালসড়ক উন্মুক্ত ::

আজ বুধবার সকালে মিরপুর-বিমানবন্দর উড়ালসড়কের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । পরে প্রধানমন্ত্রী উড়ালসড়কটি পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ইকবাল করিম ভূঁইয়া। এরপর উড়ালসড়কটি সর্বসাধারণের যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশনের অধীনে ১৬ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।



উড়ালসড়কটি মিরপুরের মাটিকাটা থেকে শুরু হয়ে বিমানবন্দর সড়কে (জিয়া কলোনিসংলগ্ন) শেষ হয়েছে। এর দৈর্ঘ্য এক হাজার ৭৯৩ মিটার। সেনাবাহিনীর অধীনে এই প্রকল্পের আওতায় মিরপুর-বিমানবন্দর সড়ক উড়ালসড়ক, সংযোগ-সেতু এবং বনানী রেলক্রসিংয়ের ওপর আরেকটি উড়ালসড়ক নির্মিত হয়েছে। সব কটি প্রকল্পের ব্যয় ৩৬০ কোটি ১৬ লাখ টাকা। রেলক্রসিংয়ের ওপর নির্মিত উড়ালসড়কটি গত ডিসেম্বর মাসে চালু হয়। আজ মিরপুর-বিমানবন্দর সড়ক উড়ালসড়ক ও সংযোগ সড়কটি চালু হলো।(ফেয়ার নিউজ)

:: সংলাপের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না : দুই নেত্রীকে রুল ::

:: সংলাপের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না : দুই নেত্রীকে রুল ::

হাই কোর্ট দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতার মধ্যে সংলাপের বিষয়ে একটি রুল জারি করেছে। আদালতের রুলে অবাঁধ ও সুষ্ঠুু নির্বাচনের লক্ষ্যে সংসদের ভেতরে ও বাইরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন এবং তাদের নেতৃত্বাধীন জোটের মধ্যে সংলাপের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দের গত ১৪ মার্চ করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি নিজামূল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের অবকাশকালীন বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। 'রাজনৈতিক সংকট' কাটাতে এবং আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাঁধ স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য নির্দেশনা দিতে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মুখোমুখি অবস্থান ত্যাগ করে দুই নেত্রীকে নিয়ে রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করতে কেন র্নিদশনা দেওয়া হবে না- তা জানতে রুল চাওয়া হয় ইউনুস আলীর রিটে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং স্বরাষ্ট্র সচিবসহ বিবাদিদের চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার নাজমূল হুদা ও রিটকারী ইউনুস আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান।



শুনানিতে ইউনুস আলী বলেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশের মানুষের স্বার্থে এবং আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাঁধ, শান্তিপূর্ণ স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করতে রাজনৈতিক দলগুলোর মুখোমুখি অবস্থান ত্যাগ করে দুই নেত্রীকে নিয়ে রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করতে নির্দেশনা প্রয়োজন। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করার পর থেকেই বিএনপি সমমনা দলগুলোকে নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচন নিয়ে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মতপার্থক্য অবসানে কূটনীতিক ও ব্যবসায়ীরাও দুই নেত্রীকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সম্প্রতি বলেন, সংলাপে তার দলের আপত্তি নেই, তবে বিএনপিকে আলোচনায় আসতে হবে শর্ত ছাড়া। অন্যদিকে বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে সরকার পতনের আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন।(ফেয়ার নিউজ)

Tuesday, March 26

::কানাইঘাটের যুদ্ধ::

::কানাইঘাটের যুদ্ধ::

মুক্তিযুদ্ধের সময় অন্যতম স্মরণীয় যুদ্ধ হলো কানাইঘাটের যুদ্ধ। কানাইঘাট সিলেট জেলার একটি থানা। 




কানাইঘাট থানা সদরটি জৈন্তাপুর-জকিগঞ্জ সংযোগ সড়কে সুরমা নদীর তীরে অবস্থিত। জকিগঞ্জ ও আটগ্রাম দখলের পর মুক্তিবাহিনীর কাছে কানাইঘাট দখল করাটা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়ে। উভয় পক্ষের কাছে
ওয়াকার হাসান

কানাইঘাট সামরিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাই পাকিস্তানিরা সিলেট জেলায় এক ব্রিগেড সেনা মোতায়েন করে শক্তিশালী দুর্গে পরিণত করে। আর পাকিস্তান সরকার এ সময় যুদ্ধকে ‘পাক-ভারত’ যুদ্ধে রূপ দিতে চাইল কারণ মুক্তিবাহিনী মিত্রবাহিনীকে সরাসরি সাহায্য সহযোগিতা করে। ১৯৭১ সালের নভেম্বরের মধ্যবর্তী সময়। এ সময় পাকিস্তানি বাহিনীর সবচেয়ে সম্মুখ অবস্থানের ডিফেন্স লাইন ছিল কানাইঘাটে। কেননা ইতিমধ্যে জকিগঞ্জ, আটগ্রাম স্বাধীন হয়ে গিয়েছিল। এখানে ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর ৩১ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের আলফা কোম্পানি, পশ্চিম পাকিস্তানি স্কাউটস দলের এক প্লাটুন মিলিশিয়া এবং বেশ কিছুসংখ্যক দেশীয় সহযোগী। কানাইঘাট-দরবস্তের সঙ্গে সংযোগকারী একটি সড়ক ছিল, তাই মুক্তিবাহিনী কিংবা যৌথ বাহিনীর জন্য এই দুটি স্থান দখল করে নেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়ে। কেননা সিলেট পর্যন্ত অগ্রসর হতে হলে এই পথ ধরেই তাদের এগিয়ে আসতে হবে।



যৌথ বাহিনীর পরিকল্পনা ছিল ৫৬ মাউন্টেন ব্রিগেড, ৮১ মাউন্টেন ব্রিগেড এবং মুক্তিবাহিনীর সম্মিলিত শক্তি সিলেট দখল করবে। পরে অক্টোবরের মাঝামাঝিতে মুক্তিবাহিনীর অন্যতম ব্রিগেড জেড ফোর্সও তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। ১৫ নভেম্বর ১ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সাফল্যের সঙ্গে জকিগঞ্জ দখল করে। এখানে রেজিমেন্টটি পুনরায় সংগঠিত হয়ে কানাইঘাট দখলপূর্বক সিলেট পর্যন্ত অগ্রসর হওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। ২২ নভেম্বর তারা কানাইঘাট থেকে মাত্র দুই মাইল দূরে অবস্থিত গৌরীপুরে পৌঁছে যায়। ব্যাটালিয়নটি তার আলফা ও ব্র্যাভো কোম্পানিকে সুরমা নদীর উত্তর তীরে ডিপ্লয় করে। চার্লি ও ডেল্টা কোম্পানিকে সুরমা নদীর দক্ষিণ তীরে ডিপ্লয় করা হয়। জেড ফোর্সের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউর রহমান ৪ নম্বর সেক্টরের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল চিত্তরঞ্জন দত্তকে তাঁর বাহিনী নিয়ে কানাইঘাট শত্রুমুক্ত করার জন্য অনুরোধ করেন যাতে ১ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট নির্বিঘ্নে তার লক্ষ্যস্থলে পৌঁছাতে পারে। সিলেট শহরের ওপর চূড়ান্ত আঘাত হানার ক্ষেত্রে যাতে ১ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের শক্তি-সামর্থ্য পূর্ণমাত্রায় বজায় থাকে। ৪ নম্বর সেক্টরের অধিনায়ক পূর্ণ আন্তরিকতার সঙ্গে এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন এবং মিশন সফল করার জন্য পূর্ণ মনোযোগ দেন। চিত্তরঞ্জন দত্ত সেক্টরের সবচেয়ে সিনিয়র কোম্পানি কমান্ডার মেজর আবদুর রবকে ৪ কোম্পানি সেনা নিয়ে কানাইঘাট দখল করার আদেশ দেন। এই অপারেশনের জন্য অন্যান্য কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট জহির, সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট গিয়াস এবং সুবেদার আবদুল মতিন চৌধুরী।



কানাইঘাট যুদ্ধের নকশা

যেহেতু কানাইঘাটে পাকিস্তানিদের একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ছিল তাই পরিকল্পনা করা হয় যে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট গিয়াসের নেতৃত্বে একটি কোম্পানিকে দরবস্ত-কানাইঘাট রোডে এবং সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট জহিরের নেতৃত্বে আরেকটি কোম্পানিকে চরখাই-কানাইঘাট রোডে মোতায়েন রাখা হবে। যাতে পাকিস্তানিরা রি-ইনফোর্সমেন্ট করতে না পারে। বাকি দুটো কোম্পানি মেজর আবদুর রবের নেতৃত্বে সুরমা নদী পেরিয়ে কানাইঘাট আক্রমণ করবে।
পাকিস্তানি ৩১ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের অতর্কিত আক্রমণে ১ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অগ্রবর্তী কোম্পানি তথা আলফা কোম্পানি অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় পড়ে যায়। আলফা কোম্পানি অধিনায়ক ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান আক্রমণকারী শত্রুসেনাদের অবস্থান ম্যাপের গ্রিড রেফারেন্স জানিয়ে কামানের গোলা ফেলার অনুরোধ জানাতে থাকেন। তুমুল গোলাগুলি চলছিল। আলফা কোম্পানি কমান্ডার ক্যাপ্টেন মাহবুব দৃঢ়তার সঙ্গে এই আক্রমণ প্রতিহত করে চলছিলেন। কিন্তু একপর্যায়ে পাকিস্তানিদের গোলাতে ক্যাপ্টেন মাহবুব শাহাদাত বরণ করেন। এরপর ক্যাপ্টেন মাহবুবের জায়গায় কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট লিয়াকত আলী খান। গৌরীপুরে একপর্যায়ে তিনিও শত্রুর বুলেটে আহত হয়ে হাসপাতালে নীত হন।



২৬ নভেম্বর পাকিস্তানিরা ১ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ডেল্টা কোম্পানির ওপর আক্রমণ চালায়। তারা একই সঙ্গে সুরমা নদীর দক্ষিণে অবস্থানরত আলফা ও ব্র্যাভো কোম্পানির ওপরও আর্টিলারি ফায়ার ও শেলিংয়ের মাধ্যমে প্রচণ্ড আক্রমণ শুরু করেছিল। কয়েক মিনিট পরই ডেল্টা কোম্পানির অধিনায়ক বজলুল গনি পাটোয়ারী জানান যে তাঁর সর্বদক্ষিণের প্লাটুনটি পাকিস্তানিদের হাতে বিধ্বস্ত। পাকিস্তানিরা ডেল্টা কোম্পানির ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে এবং কোম্পানির কেন্দ্রীয় প্লাটুনটিকে বিধ্বস্ত করে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যায়।



নাজুক অবস্থা উপলব্ধি করে ডেল্টা কোম্পানির কেন্দ্রীয় প্লাটুনটির কমান্ডার সুবেদার মুসা তাঁর ওয়্যারলেস সেটের মাধ্যমে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কিংবা সাবস্টেশনগুলোর সঙ্গে যোগযোগের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যান। মুসার বাঁ পাশে ছিল আমার প্লাটুনটির অবস্থান। মুসা আমার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হন। সুবেদার মুসা যুদ্ধের সার্বিক অবস্থা আমার কাছে তুলে ধরেন। তিনি আরও জানান, তাঁর পক্ষে আর অবস্থান ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাঁর এই বক্তব্য শুনে আমি তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করি। আমি সুবেদার মুসাকে পরামর্শ দিই যেভাবেই হোক অবস্থা নিজেদের আয়ত্তে আনার জন্য। আমি মুসাকে আরও নির্দেশ দিই পুকুরের পারের নিচে শেল্টার নিয়ে সেখানেই অবস্থান নিতে। তারপর আমি ঝোড়োগতিতে পাকিস্তানিদের ওপর পাল্টা আঘাত হানার সিদ্ধান্ত নিই। দুটি মেশিনগান গ্রুপ, ছয়টি এলএমজি গ্রুপ নিয়ে মেশিনগানের ফায়ারিং সাপোর্ট নিয়ে আমি শত্রু অবস্থানের দিকে সুকৌশলে অগ্রসর হতে থাকি। আমি প্রায় ৩০ জন সেনা নিয়ে ক্রল করে দ্রুত অগ্রসর হয়ে পাকিস্তানিদের একেবারে নাকের ডগায় ৫০ গজের মধ্যে চলে যাই।



এখানে দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ ধরনের একটি যুদ্ধ সংঘটিত হলো। একপর্যায়ে ক্লোজ কোয়ার্টার কম্বাট বা হাতাহাতি যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধ চলে প্রায় এক ঘণ্টার মতো। পাকিস্তানিরা অবস্থা বেগতিক দেখে ফায়ারিং সাপোর্ট অব্যাহত রেখে ক্রমে ক্রমে পিছু হটতে থাকে। অন্যদিকে আমি আক্রমণের গতি আরও বাড়িয়ে দিই। আমার উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করা। পালানোর সময় পাকিস্তানিদের কোম্পানি কমান্ডার মেজর সারওয়ার নিহত হয়। এই যুদ্ধে নৈপুণ্য আর বীরত্ব প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার পরবর্তী সময়ে আমাকে বীর প্রতীক উপাধিতে ভূষিত করে। যদিও মুক্তিবাহিনীর এই ছোট সাহসী দলটির পাল্টা আক্রমণ সাফল্য অর্জন করেছিল তথাপি বেশ কিছুসংখ্যক পাকিস্তানি সেনা পালিয়ে আত্মরক্ষা করতে সক্ষম হয়। এরা কানাইঘাটে গিয়ে তাদের ডিফেন্সিভ পজিশনে পুনরায় যোগ দেয়।



আমার এই পাল্টা আক্রমণে ৮৮ জন পাকিস্তানিসেনা ও মেজর সরওয়ার নিহত হয় এবং ২৬ জনকে যুদ্ধবন্দী হিসেবে আটক করা হয়। আমরা ও সুবেদার মুসার হতাহতের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৭। এই পাল্টা আক্রমণের পরে পাকিস্তানি সেনা বিধ্বস্ত হয়ে আর কোথাও শক্তভাবে অবস্থান নিতে পারেনি। ফলে ৪ নম্বর সেক্টরের ফোর্স প্রায় বিনা বাধায় খুব সহজেই কানাইঘাট দখল করে। এই বিজয় সম্বন্ধে মেজর জিয়া উদ্দিন আহমেদ বীর উত্তম বলেন, এই যুদ্ধটি ছিল একটি কৌশলগত বিজয়।



 মেজর ওয়াকার হাসান বীর প্রতীক: জেড ফোর্সের অন্যতম কোম্পানি কমান্ডার(দৈনিক প্রথম আলো তারিখ: ২৬-০৩-২০১৩)








:: বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে গুগলের সম্মান ::

:: বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে গুগলের সম্মান ::

স্বাধীন বাংলাদেশ পা রাখলো স্বাধীনতার ৪৩ বছরে। ভয়াল ‘কালরাত্রি’র পর রক্তে রাঙা নতুন সূর্য উঠেছিল ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ। এসেছিলো স্বাধীনতা। বাংলাদেশের জন্মদিন আজ।



‘জননীর নাভিমূল ছিঁড়ে উলঙ্গ শিশুর মত

বেরিয়ে এসেছো পথে, স্বাধীনতা, তুমি দীর্ঘজীবী হও।

তোমার পরমায়ু বৃদ্ধি পাক আমার অস্তিত্বে, স্বপ্নে,

প্রাত্যহিক বাহুর পেশীতে, জীবনের রাজপথে,

মিছিলে মিছিলে; তুমি বেঁচে থাকো, তুমি দীর্ঘজীবী হও।’



আজকের এই দিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গুগল তাদের ডুডলকে সাজিয়েছে, ফুলে ছাওয়া সবুজের ওপর দিয়ে মা বাবার সঙ্গে দৌড়াচ্ছে একটি শিশু। বাবা ও শিশুটির হাতে শোভা পাচ্ছে রক্তে অর্জিত জাতীয় পতাকা।



২৬ মার্চ রাত ঠিক ১২:০০ টায় বিশ্বসেরা এ সার্চ ইঞ্জিনের মূল ওয়েব ঠিকানায় (www.google.com) সেঁটে দেয়া হয়েছে লাল-সবুজের এই ছবিটি।



এটাই প্রথম বাংলাদেশের কোনো বিষয় নিয়ে গুগল তাদের ডুডলকে সাজালো। সম্মান জানাল বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাকে।



অভূতপূর্ব এ ঘটনাকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা গুগলের সময়োপযোগি ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ বলে অভিহিত করেছেন।



বিষয়টি নিয়ে ব্লগাররা সামাজিক ওয়েবসাইট ও ব্লগে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। কারণ এর আগে বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় দিবস এমনকি আন্তার্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে গুগলের কাছে বিশেষ ডুডল চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন বাংলার তরুণ প্রজন্ম। এবার গুগলের সুমতি হয়েছে। এজন্য সবাই গুগল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে।



সাধারণত ডুডলে প্রাধান্য দেয়া হয় বিশেষ কোনো ঘটনা বা দিবসকে। গুগলের লোগো ও বিশেষ দিবসের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল রেখেই ডুডলের ছবির ডিজাইন করা হয়।(e-sangbad.com)



.
:: কানাইঘাটে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত ::

:: কানাইঘাটে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত ::

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাটে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্বীর পরিবেশে ৪৩তম মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দিবসের প্রথম প্রহরে ১২টা ১মিনিটে উপজেলা প্রশাসন, এরপর থানা পুলিশ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুষ্পমাল্য অর্পন করেন। এছাড়া দিনব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।



কানাইঘাটে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

কানাইঘাটে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

সোমবার রাতে শহীদ মিনারে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে  কানাইঘাট উপজেলায় ছাত্রলীগের বিবাদমান দুগ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতে কানাইঘাট উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে।


স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে কানাইঘাট উপজেলা সদর সংলগ্ন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান শুরু হয়।



এসময় ফুল দেয়া নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন ও যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুর ইসলাম হারুন সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ও উভয় পক্ষের মাঝে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এছাড়া কানাইঘাট দক্ষিণ বাজারে এসএম বস্ত্র বিতান নামের একটি কাপড়ের দোকানে ভাঙচুর করা হয়।



 তবে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।



কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হাই জানান, ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।



বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং সংঘর্ষের আশঙ্কায় উপজেলা সদর ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ অ্যাডভোকেট ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।



এসময় তিন বাহিনীর সুসজ্জিত একটি দল প্রদান করে গার্ড অব অনার। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। এর আগে ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনি করা হয়।



অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। প্রায় একই সময় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা বেদীতে ফুল দিয়ে লাখো শহীদের শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানোর আনুষ্ঠানিকতা। পরে আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে দলের পক্ষে ফুল দেন সভানেত্রী শেখ হাসিনা।



পরে রাষ্ট্রপতি স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করে ৬টা ৭ মিনিটে তারা স্মৃতিসৌধ এলাকা ত্যাগ করেন।



এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, প্রধান বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধান, কুটনৈতিকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে তারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।(banglamail24.com)

:: মঙ্গলবার মহান স্বাধীনতা দিবস ::

:: মঙ্গলবার মহান স্বাধীনতা দিবস ::

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের স্বাধীন অস্তিত্ব ঘোষিত হয়েছিল। এ ঘোষণার মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল জাতি। দীর্ঘ নয় মাস রক্তপাত আর অজস্র প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয় মহান স্বাধীনতা ।



এবার জাতি স্বাধীনতার ৪২ বছর পূর্তি পালন করছে। একাত্তরের অর্জন বলতে একটি ভাষা, সার্বভৌম ভূমি, মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস আর বাক স্বাধীনতা। অবশ্য মুক্তিযুদ্ধের চেতানা বলতে যে অর্থনৈতিক মুক্তি, বৈষম্যহীন, ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ, একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থার কথা বলা হয় গত ৪২ বছরে তার কতোটা অর্জিত হয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক এখনো রয়েই গেছে।



স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারছে না। আগামী জাতীয় সংসদ্য নিবার্চন নিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল নিয়েছে দুই মেরুতে শক্ত অবস্থান। আওয়ামী লীগ দলীয় সরকারের অধীনে নিবার্চন করতে চায়। অপরদিকে বিএনপি চায় নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার।



এদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে ২৮ ও ২৯ মার্চ ৩৬ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছে।



অপরদিকে বহুপ্রত্যাশীত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করলেও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যে একটি রায় বিতর্কিত হয়েছে। যার প্রতিক্রিয়ায় শাহবাগ চত্বরে গণজাগরণ মঞ্চের সূচনা।



২৬ মার্চ মঙ্গলবার, সরকারি ছুটির দিন। নানা আনুষ্ঠানিকতায় সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে স্বাধীনতা দিবস পালিত হবে। জাতি বিনম্রশ্রদ্ধায় স্মরণ করবে যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের, যারা জীবনকে তুচ্ছ করে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার লাল সূর্য।



স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ এডভোকেট, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।



সূর্যোদয়ের সময় তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হবে। সব সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে সূর্যোদয়ের সময় পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে মহান শহীদদের প্রতি জাতির শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব শুরু হবে । অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিরোদলীয় নেতা, রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংগঠনের প্রতিনিধি ও সর্বসাধারণের শ্রদ্ধাঞ্জলির ফুলে ভরে উঠবে জাতীয় স্মৃতিসৌধ।



১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ পশ্চিম পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন পূর্ব পাকিস্তানের নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর বর্বরের মতো ঘৃণ্য হামলা চালায়। সে রাতে পশ্চিম পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে পূর্ব পাকিস্তানের জনপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বন্দি হন। পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতারা চলে যান আত্মগোপনে। জনগণ তখন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে। এই সঙ্কটময় মুহূর্তে মেজর (তৎকালীন) জিয়াউর রহমান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে বিদ্রোহ করেন এবং ২৭ শে মার্চ তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেন।



১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধিকার আন্দোলন ও ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার দীর্ঘ সংগ্রামে বারবার দেশের মাটি রক্তে ভিজিয়ে পবিত্র করেছেন বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ঐতিহাসিক ভাষণে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ জাতিকে এ মুক্তির সংগ্রামে অংশ নিতে নির্দেশ দিয়ে তিনি যার যা কিছু আছে তা-ই নিয়ে শত্রুর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ কালরাত থেকে পাকিস্তানি হানাদারদের পাশাপাশি তাদের এ দেশীয় দোসর শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর নিষ্ঠুর হামলার শিকার হয় বাঙালি জাতি।



অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে হানাদার পাকিস্তান বাহিনী। পৃথিবীতে মানচিত্রে নতুন একটি দেশের অভ্যূদয় ঘটে যার নাম বাংলাদেশ।(banglamail24.com)
:: বুধ ও বৃহস্পতি ১৮ দলের হরতাল ::

:: বুধ ও বৃহস্পতি ১৮ দলের হরতাল ::

আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার হরতালের ডাক দিযেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দল।



সোমবার বিকেল সোয়া ৪টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।



ফখরুল বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার সকল নেতা-কর্মীর অবিলম্বে মুক্তি, সারাদেশে সরকারের নির্দেশে পরিচালিত গণহত্যার প্রতিবাদে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে ও ব্যর্থ, অযোগ্য স্বেচ্চাচারী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এ হরতালের ডাক দেয়া হচ্ছে। ২৭ মার্চ সকাল ৬টা থেকে ২৮ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ হরতাল পালন করা হবে।’



তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হবে। খাবার গাড়ি, খাবার দোকান, অ্যাম্বুলেন্স, ফার্মেসি, ডাক্তার, সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের বহনকারী গাড়ি এবং ফায়ার ব্রিগেডগ হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।’



লিখিত বক্তব্যে ফখরুল আরো বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার গত চার বছরে দেশ শাসনের নামে যে অপশাসন চালিয়ে যাচ্ছে তাতে দেশের স্বাধীনতা, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং জানমালের নিরাপত্তা আজ বিলীন হয়ে গেছে। রাষ্ট্র পরিচালনার সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে সরকার এখন জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর জুলুম-নির্যাতনের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ যে কোনো কর্মসূচিতে সরাসরি গুলিবর্ষণের মতো বর্বরতা শুরু করেছে।’



তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ১১ মার্চ বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের দ্বারা ককটেল বিস্ফোরণের নাটক সাজিয়ে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিনা অনুমতিতে পুলিশ ডাকাতের মতো হানা দেয়। দরজা ভেঙে দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ দলীয় কর্মীদের ন্যক্কারজনকভাবে গণহারে গ্রেপ্তার, মারপিট, ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে যা বিশ্ববাসী টেলিভিশনের মাধ্যমে সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছে।’



গত ২০ মার্চ গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীদেরকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত দু’টি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় ১৫১ জন নেতা-কর্মীকে মোট ৮ দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।



রাজবন্দীদের ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে কোর্টে হাজির করা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায় বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম।



তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিএনপি দলীয়ভাবে তিন দিন শোক পালন এবং সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করলেও

রাষ্ট্রীয় শোকের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে সরকারি বাহিনী ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে জনগণের ওপর জুলুম-নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে।’



সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ, জামায়াতের ড. রেদোয়ান উল্লাহ শহীদি, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তাফা ভূইয়া প্রমুখ।(banglamail24.com)

Monday, March 25

কানাইঘাট মনসুরিয়া মাদ্রাসার তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন

কানাইঘাট মনসুরিয়া মাদ্রাসার তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট মনসুরিয়া কামিল মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপালসহ দুই শিক্ষককে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতারের প্রতিবাদে এবং তাদের মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবীতে আজ সোমবার মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সকাল ১১টায় গাজী বুরহান উদ্দিন সড়কের মাদ্রাসা সংলগ্ন পয়েন্টে কয়েকশত ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকদের অংশগ্রহণে আধ-ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধনে মাদ্রাসার শিক্ষকরা তাদের বক্তব্যে বলেন, ঐতিহ্যবাহী মনসুরিয়া মাদ্রাসার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য একটি মহল প্রতিহিংসা ও গ্রাজমূলকভাবে রাজনৈতিক মামলায় মাদ্রাসার ভাইস-প্রিন্সিপাল মাওলানা খলিলুর রহমান, প্রভাষক মাওলানা সাইফুল আলম ও সহকারী শিক্ষক বিলাল আহমদকে আসামী করা হয়। এদের মধ্যে সাইফুল আলম ও বিলাল আহমদ বিনা দোষে জেল কাটছেন বলে শিক্ষকরা অভিযোগ করেন। তারা বর্তমান সরকারকে শিক্ষাবান্ধব আখ্যায়িত করে বলেন, এ সরকারের আমলে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাট সাফল্য অর্জিত হয়েছে। দাখিল, আলিম, ফাজিল, কামিল পরীক্ষার একমাত্র কেন্দ্র মাদ্রাসার দুই শিক্ষক জেল হাজতে ভাইস প্রিন্সিপাল পলাতক থাকায় মাদ্রাসার সার্বিক শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে এবং ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। অবিলম্বে শিক্ষকদের উপর থেকে মামলা প্রত্যাহার এবং তাদের মুক্তির দাবী জানানো হয় সরকারের কাছে।

!!কানাইঘাটে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে দু’জন গ্রেফতার!!

!!কানাইঘাটে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে দু’জন গ্রেফতার!!

নিজস্ব প্রতিবেদক:
অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকার দায়ে কানাইঘাট মহিলা কলেজের নৈশ প্রহরীসহ এক পতিতাকে আটক করে স্থানীয় লোকজন কানাইঘাট থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। জানা যায়, মহিলা কলেজের নৈশ প্রহরী ফয়েজ উদ্দিন (৪৫) স্থানীয় নিজ চাউরা দক্ষিণ গ্রামের আব্দুল মজিদের স্ত্রী ভাসমান পতিতা রীনা বেগম (৩০) কে নিয়ে গত রবিবার রাতে কলেজের নৈশ প্রহরী কে রাত্রি যাপন করে। এক পর্যায়ে ভোর রাতে স্থানীয় লোকজন ফয়েজ উদ্দিন ও রীনা বেগমকে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় আটক করেন। পরে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে থানার এ.এস.আই সামছুল তাদের ধরে থানায় নিয়ে আসেন। আজ সোমবার থানায় মামলা দায়েরের পর এ জুটিকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন রীনা বেগম একজন ভাসমান পতিতা। সে প্রশাসন পাড়া ও আশপাশ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে দেহ ব্যবসা করে আসছে। এ ব্যাপারে মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ঘটনায় নৈশ্যপ্রহরী ফয়েজ উদ্দিনকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

নান্দাইলে বাস নসিমন মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত- ৫, আহত- ১৪

নান্দাইলে বাস নসিমন মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত- ৫, আহত- ১৪

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার নান্দাইল কেন্দুয়া সড়কের বাশহাটি নামক স্থানে সোমবার দুপুরে বাস ও নসিমন মুখোমুখি সংঘর্ষে ১ জন পুরুষ সহ ৪ জন মহিলা ঘটনাস্থলেই নিহত হয় এবং ১৪ জন নসিমনের যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে। জানা গেছে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার খোদালিয়া গ্রামের ৩০-৩৫ জন পুরুষ ও মহিলা নেত্রকোণার মদনপুরস্থ শাহ্ সুলতানের মাজার জিয়ারতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে নান্দাইল উপজেলার বাশহাটি নামক স্থানে টার্গেট ফ্যাশন এর শ্রমিকবাহী বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষে নিহতরা হচ্ছে কোদালিয়া গ্রামের আজিজুল ওরফে তাজু(৩০), সাহারা খাতুন (৫৫), রবির স্ত্রী রেনু বেগম (৫০), ও পারুল (৩৭) ও আফরোজা (৪০)। উক্ত দুর্ঘটনায় ১৪ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৮ জনকে মারাত্বক আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অন্যান্যরা নান্দাইল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘাতক বাসটিকে পুলিশ আটক করেছে। চালক পলাতক রয়েছে।






Sunday, March 24

::কানাইঘাটে বিশ্ব যক্ষা দিবস পালিত ::

::কানাইঘাটে বিশ্ব যক্ষা দিবস পালিত ::

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিশ্ব যক্ষা দিবস উপলক্ষ্যে কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হীড বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে কানাইঘাটে বর্ণাঢ্য র‌্যালী পরবর্তী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আজ রবিবার সকাল ১১টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সরকারী কর্মকর্তা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল ডাক্তার কর্মচারী ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে উপজেলা সদরে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়। র‌্যালী পরবর্তী ১২টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হলরুমে বিশ্ব যক্ষা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবুল হারিছের সভাপতিত্বে হীড বাংলাদেশের পরিসংখ্যানবিদ সুবোধ চন্দ্র দাসের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সামছুল ইসলাম চৌধুরী, ডাঃ তাজনাহার বেগম, ডাঃ পলাশ, হীড কানাইঘাটের প্রদীপ চন্দ্র, নুরুজ্জামান প্রমুখ। সভায় বক্তারা যক্ষা রোগের কুফল থেকে জনসাধারণকে রক্ষা করার জন্য গণ্যমাধ্যমে অগ্রনী ভূমিকা পালনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মসজিদ মাদ্রাসার ইমামদের ভূমিকা অপরিসীম বলে উল্লেখ করেন। যক্ষা রোগ সম্পূর্ণ রূপে ভাল হয় এবং বিনা মূল্যে এ রোগের চিকিৎসা উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে দেওয়া হয় উল্লেখ করে সবাইকে এ রোগ থেকে সাবধান হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়।

এম.ইলিয়াস আলীর সন্ধানের দাবীতে কানাইঘাটে উলামাদলের মিলাদ ও দোয়া মাহফিল

এম.ইলিয়াস আলীর সন্ধানের দাবীতে কানাইঘাটে উলামাদলের মিলাদ ও দোয়া মাহফিল

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা শাখার সভাপতি নিখোঁজ এম.ইলিয়াস আলীর সন্ধানের দাবীতে কানাইঘাটে উলামাদলের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বাদ আসর কানাইঘাট বাজারস্থ বিএনপির কার্যালয়ে উপজেলা ও পৌর উলামা দলের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা উলামাদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ আব্দুর রহমান বিন হাফিজ। উপজেলা উলামাদলের সভাপতি শাহ মোঃ কুদরত উল্লাহর সভাপতিত্বে ও কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আমিনুল ইসলামের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলার শরিফুল হক, থানা যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান, জেলা উলামাদল নেতা মাওঃ খায়রুল ইসলাম, উপজেলা উলামাদলের সহসভাপতি মাওঃ নিজাম উদ্দিন, মাওঃ খায়রুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাওঃ জিলাল আহমদ, পৌর উলামাদলের সভাপতি মাওঃ রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক হাফিজ শাহীন আহমদ, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী, পৌর কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ প্রমুখ। প্রতিবাদ সভা শেষে এম.ইলিয়াস আলীকে সুস্থ অবস্থায় ফিরে পাওয়ার দাবীতে উলামা দলের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

 কানাইঘাটে পাথর ব্যবসায়ীকে গুম করে হত্যার চেষ্টা !! প্রতিবাদে সমাবেশ অনুষ্ঠিত

কানাইঘাটে পাথর ব্যবসায়ীকে গুম করে হত্যার চেষ্টা !! প্রতিবাদে সমাবেশ অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কানাইঘাট লোভাছড়া কোয়ারীর পাথর ব্যবসায়ী নিরীহ আব্দুল মালিককে সম্প্রতি গুম করে হত্যার চেষ্টার প্রতিবাদে বৃহত্তর মুলাগুল এলাকাবীর উদ্যোগে স্থানীয় নয়া বাজারে গত শুক্রবার বাদ মাগরিব এক বিরাট প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ১নং লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির সাবেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান লোভাছড়া চা বাগানের প্রতিষ্ঠাতা মালিক ব্রিটিশ বংশোদ্ভব মি. জেমস লিও ফার্গুসন নানকার সভাপতিত্বে ও যুবনেতা জাকারিয়া সিদ্দিকী লিটনের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় বৃহত্তর মুলাগুল এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, জনপ্রতিনিধি ও লোভাছড়া পাথর কোয়ারীর সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, কানাইঘাটের সমালোচিত পাথর ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল মালিক (মালিক ট্রেডার্স)’র অত্যাচার নির্যাতন মিথ্যা মামলা-হামলার শিকার হয়ে মুলাগুল এলাকার লোকজন আজ দিশেহারা। অবৈধভাবে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে পাথর কোয়ারী এলাকায় নিরীহ লোকজনের জমি দখলের মাধ্যমে মালিক ট্রেডার্স পাথর কোয়ারী এলাকায় রাম রাজত্ব কায়েম করে যাচ্ছে। তার এসব কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে নামে-বেনামে লোকজনদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে থাকে। বিগত জোট সরকারের সময় এ মালিক ট্রেডার্স বিএনপির প্রভাবশালী নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে নিজেকে বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে পাথর কোয়ারীতে একচেটিয়া প্রভাব খাটিয়ে কোটিপতি বনে যান। বক্তারা আরো বলেন, জোট সরকারের সময় মালিক ট্রেডার্স এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে অসংখ্য নিরীহ লোকজনের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে হত্যা, বিষ্ফোরক, নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে অসংখ্য লোকজনকে জেল কাটিয়েছে। আজও তার হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে নিরীহ লোকজন মামলা মোকদ্দমা কাধে নিয়ে আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। বর্তমান সরকার মতায় আসার পর প্রায় ৬মাস পূর্বে গোপনে মামলা থেকে রক্ষা পেতে আ’লীগে যোগদান করেও আ’লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের গুণরোষের শিকার হয়ে মালিক ট্রেডার্স পর্দার আড়ালে থেকে মুলাগুল এলাকার লোকজনকে হয়রানী করে যাচ্ছে। সম্প্রতি লোভাছড়া কোয়ারীর নিরীহ পাথর ব্যবসায়ী আব্দুল মালিকের জায়গা জমি জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে দখল করতে না পেরে মালিক ট্রেডার্স ভাড়াটিয়া গুন্ডাদের মাধ্যমে আব্দুল মালিককে দুদিন গুম করে সিলেটে আটকিয়ে রেখে হত্যার চেষ্টা করে মারধর করে কার্টিজ পেপারে জোরপূর্বকভাবে স্বার আদায় এবং ৪টি ব্ল্যাংক চেক নিয়ে যায়। বক্তারা অভিলম্বে মামলাবাজ মালিক ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে তদন্তমূলক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে মুলাগুল এলাকার লোকজনকে রক্ষা করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ও বক্তব্য রাখেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শমসের আলম, আজিজুল হক, আব্দুল খালেক, হাজী কামাল উদ্দিন, ফখরু চৌধুরী, আ’লীগ নেতা তমিজ উদ্দিন মেম্বার, ছইফ উদ্দিন মেম্বার, নুর উদ্দিন মেম্বার, মড়া মেম্বার, সাবেক ইউপি সদস্য ফখর উদ্দিন, হাফিজ উল্লাহ, শফিকুর রহমান মেনন প্রমুখ। এব্যাপারে হাজী আব্দুল মালিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মালিক নামে কোন পাথর ব্যবসায়ীকে তিনি গুম করেন নি। বিষয়টি সাজানো নাটক।

দীর্ঘদিন পর মানুষ আবারো আগ্রহী হচ্ছে সঞ্চয়পত্রে

দীর্ঘদিন পর মানুষ আবারো আগ্রহী হচ্ছে সঞ্চয়পত্রে

দীর্ঘদিন পর আবারো সাধারণ মানষ সঞ্চয়পত্রে আগ্রহী হচ্ছে। তবে এখনো তা আশানুরূপ পর্যায়ে পৌঁছেনি বলেই সংশ্লিষ্টদের অভিমত। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি হয়েছে ৩৬৩ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে সঞ্চয়পত্রের বিক্রির পরিমাণ ছিল ১১৪ কোটি টাকা। এ হিসাবে একই সময়ের তুলনায় সঞ্চয়পত্রের বিক্রি বেড়েছে ২৪৯ কোটি টাকা। তবে সঞ্চয়পত্রকে মানুষের কাছে আরো আকর্ষণীয় করতে ইতিমধ্যে সুদ হার বাড়ানোসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ফলে আগামী দিনগুলোতে সঞ্চয়পত্রের বিক্রির পরিমাণ আরো বাড়বে বলেই সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে উৎসে কর প্রত্যাহারের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে সরকারের বিবেচনাধীন। কারণ চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ হয়েছে মাত্র ৩৬৩ কেটি টাকা। অথচ এবছর সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৪শ' কোটি টাকা। সে হিসাবে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে মাত্র ৪ দশমিক ৯১ শতাংশ। এ প্রেক্ষিতে আগামী অর্থবছর থেকে সঞ্চয়পত্রে সব ধরনের উৎসে কর প্রত্যাহার এবং সুদ হার বাড়ানোর পাশাপাশি বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমাও প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার। মূলত দেশের মধ্যবিত্তের জীবনযাপনে কিছুটা স্বস্তি আনতেই সরকার এ উদ্যোগ নিচ্ছে। কারণ মধ্যবিত্ত জীবনে সঞ্চয়পত্রই হচ্ছে একমাত্র বিনিয়োগ ভরসাস্থল। কিন্তু সঞ্চয়পত্রে উৎসে কর আরোপ করায় অনেকেই এ খাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, সঞ্চয়পত্রের কোনো কেনো স্কিমের মুনাফার হার ব্যাংকের চেয়েও কম।



সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে মোট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ১৩ হাজার ৮৮২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এসময়ে আসল এ খাতে আসল পরিশোধ করতে হয়েছে ১৩ হাজার ৫১৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এতে করে এসময়ে নিট বিক্রি দাঁড়িয়েছে ৩৬৩ কোটি টাকা। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে সঞ্চয়পত্রের মোট বিক্রি ছিল ৯ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা। ওই সময়ে আসল পরিশোধ করা হয়েছিল ৯ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকা। তাতে ওই সময়ে নিট বিক্রি দাঁড়িয়েছিল ১১৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এ পরিস্থিতিতে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি আরো বাড়াতে সুদহার ও বিনিয়োগ সীমা বাড়ানোসহ নতুন করে কিছু সুবিধা প্রদানের সুপারিশ করেছে সরকারের অর্থ বিভাগের ক্যাশ ও ডেট ম্যানেজমেন্ট কমিটি। গত ফেব্র�য়ারি মাসেই ওই কমিটি এক বিশেষ সভায় সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদ হার ১ থেকে দেড় শতাংশ বাড়ানো এবং সঞ্চয়পত্র জামানত রেখে ব্যাংক ঋণ নেয়ার বিধান চালু করার সুপারিশ করা হয়। তাতে পারিবারিক সঞ্চয়পত্র ভাঙানোর সময়সীমা ১ বছর থেকে কমিয়ে ৬ মাস করারও সুপারিশ করা হয়েছে। তাছাড়া সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগসীমা ৪৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫০ লাখ টাকায় উন্নীত, পেনশনার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের কোনো ঊর্ধ্বসীমা না রাখা, ৫ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে একক নামে ৬০ লাখ ও যৌথ নামে ১ কোটি টাকা করা। একই সাথে ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে কোনো ঊর্ধ্বসীমা না রাখারও সুপারিশ করা হয়েছে। তবে অর্থমন্ত্রীর অনুমোদনের পর খুব শিগগিরই সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে এসব সুপারিশ কার্যকর হলে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি আরো বাড়বে বলেই সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী।



সূত্র আরো জানায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে ব্যাংকের মাধ্যমে সঞ্চয়পত্র বিক্রির চেয়ে বেশি আসল পরিশোধ করতে হয়েছে। ব্যাংকের মাধ্যমে মোট ৪ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা বিক্রির বিপরীতে আসল পরিশোধ করতে হয়েছে ৫ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা। এতে ব্যাংক খাতে নিট ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫৭৫ কোটি টাকা। এসময়ে সঞ্চয় ব্যুরোর মাধ্যমে বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ২০৪ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র। এতে আসল পরিশোধ করতে হয়েছে ২ হাজার ১১৪ কোটি টাকা। আর এতে নিট বিক্রি বেড়েছে ৯১ কোটি টাকা। তাছাড়া ডাকঘরের মাধ্যমে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৭ হাজার ৬৪ কোটি টাকা এবং আসল পরিশোধ করতে হয়েছে ৬ হাজার ২১৭ কোটি টাকা। এতে তাদের নিট বিক্রি বেশি হয়েছে ৮৪৭ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি বেড়েছে ৩৬৩ কোটি টাকা।(ফেয়ার নিউজ)



Saturday, March 23

:: কানাইঘাটে প্রবাসীর বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনায় দুই ডাকাত গ্রেফতার ::

:: কানাইঘাটে প্রবাসীর বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনায় দুই ডাকাত গ্রেফতার ::

নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কানাইঘাট সদর ইউপির উমাগড় গ্রামের মাওঃ ফজলুল কাদিরের বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ২ডাকাত কে কানাইঘাট থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলো গোয়াইনঘাট উপজেলার খলাটিং খাস মৌজার মৃত মছদ্দর আলীর পুত্র পেশাদার ডাকাত বাবুল মিয়া (৪০) ও কানাইঘাট উপজেলার ভাটিদিহি গ্রামের মৃত আব্দুর রউফের ডাকাত এবাদুর রহমান (৪৫)। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই. টিপু গত শুক্রবার ডাকাত বাবুল মিয়াকে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের সহায়তায় তার নিজ গ্রাম থেকে এবং এবাদুর রহমানকে আজ শনিবার তার নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানায় ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে দু’টি এবং ডাকাত এবাদুর রহমানের বিরুদ্ধে কানাইঘাট থানায় দু’টি ডাকাতি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

!!কানাইঘাট ইউনিভার্সেল স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্টিত!!

!!কানাইঘাট ইউনিভার্সেল স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্টিত!!

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট ইউনিভার্সেল স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান এবং কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা শনিবার সকাল ১১টায় স্কুল প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। স্কুল পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হাজী ইফজালুর রহমানের সভাপতিত্বে ও স্কুলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ফরিদ আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কানাইঘাট পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাউন্সিলার হাজী আব্দুল মালিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কানাইঘাট থানার সিনিয়র সাব ইন্সপেক্টর মাসুদ পারভেজ, স্কুলের ডাইরেক্টর ডাঃ মুফাজ্জিল হোসেইন, সিরাজুল হক, প্রভাষক দেলোওয়ার হোসেন, কাউন্সিলার ফখর উদ্দিন শামীম, সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন, স্কুলের অভিভাবক রাসেদা বেগম, গিয়াস উদ্দিন, স্কুলের শিক্ষক সুকান্ত দাস প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থী এবং স্কুল থেকে সদ্য সমাপ্ত ৫ম শ্রেণীর সমাপনি পরীক্ষায় এপ্লাস প্রাপ্ত ৯জন শিক্ষার্থীদের হাতে অতিথিবৃন্দ পুরস্কার তুলে দেন।