Thursday, August 29

‘রাজপথে নামতে প্রস্তুত বিএনপি’

‘রাজপথে নামতে প্রস্তুত বিএনপি’

:: গাজীপুর প্রতিনিধি ::
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ বলেছেন,“তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ের জন্য বিএনপি’র নেতাকর্মীরা রাজপথে নামতে প্রস্তুত রয়েছে। জনগণের আন্দোলনের চাপে সরকার তত্ত্বাবধায়কের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হবে।”
তিনি বলেন,“খালেদা জিয়ার আদেশ পাওয়া মাত্র নেতাকর্মীরা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে। দেশনেত্রী ডাক দিলে গাজীপুরের নেতা কর্মীরা সকল রাস্তা ঘাট, অফিস আদালত, মিল ফ্যাক্টরী বন্ধ করে দিবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সরকারকে মেনে নিতেই হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোন নির্বাচন দেশের জনগণ মেনে নেবেনা।”
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গাজীপুর শহরের বঙ্গতাজ মিলনায়তনে গাজীপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত যৌথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গাজীপুর জেলা বিএনপি’র সভাপতি ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক এমএ মান্নান।।
প্রধান বক্তা ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন।---পরিবর্তন
অসাধু বনকর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ধ্বংসের পথে সুন্দরবন

অসাধু বনকর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ধ্বংসের পথে সুন্দরবন

দাকোপ(খুলনা): দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা মহামূল্যবান সুন্দরবন আজ নানা কারণে ধ্বংসের পথে। এক শ্রেণীর অসাধু বন কর্মকর্তাদের সহায়তায় প্রতিনিয়ত পাচার হচ্ছে বনের মূল্যবান সম্পদ। ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে বনভূমি, সেই সাথে নির্দয়ভাবে চলছে প্রাণীকুল ও মৎস্য সম্পদ নিধন। সচেতন মহলের অভিমত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী  সুন্দরবনকে টিকিয়ে রাখতে জরুরী ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে মনে করছেন সচেতন মহল ।
সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকায় বেতন নিয়ে দেশের সম্পদ রক্ষার পবিত্র শপথ নিয়ে চাকুরীতে যোগদান, কিন্তু অবৈধ অর্থের লোভে বনরক্ষীরা সেই দায়িত্ববোধ নিমিষেই যেন ভূলে যায়। বরং বনের হিংস্র প্রানী রয়েল বেঙ্গল টাইগার নিজেদের অভয় অরন্য বাঁচিয়ে রাখতে সারাক্ষন অতন্দ্র প্রহরীর ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে। উপকূলীয় এলাকাবাসী এবং পেশাজীবিদের অনেকেই মনে করেন সুন্দরবনে বাঘের অবাধ বিচারন না থাকলে অনেক আগেই এ বনের অস্তিত্ব সংকটে পড়তো। দেশের উপকুলীয় অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষ পূর্ব পুরুষের আমল থেকে এ বনের উপর নির্ভরশীল হয়ে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছে, অপরদিকে বিশ্ব প্রাকৃতিক সপ্তাচার্য নির্বাচনে সুন্দরবন পৃথিবীর বুকে স্থান করে নেয়ায় এ বনের গুরুত্বও অনেকাংশে বেড়ে গেছে। আর এ ঘটনার মধ্যদিয়ে বিশ্বের কাছে দেশের ভাবমূর্তি যেমন উজ্জল হয়ে উঠেছে, তেমনি পর্যটন শিল্পে একটি অপার সম্ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং দেশ ও জাতীর বৃহত্তর স্বার্থে সুন্দরবনকে টিকিয়ে রাখা এখন সকলের নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এক শ্রেণীর অসাধু বনকর্মকর্তাদের সহায়তায় চোরাকারবারীরা নির্বিচারে অবাধে ধ্বংস করে চলেছে বনের মূল্যবান সম্পদ। সূত্র মতে, সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগের অধীন অধিকাংশ ষ্টেশন ও টহলফাড়ীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা কর্মচারিরা বর্তমানে এই পাচার প্রক্রিয়ার সাথে সরাসরি জড়িত। একদিকে যেমন কর্তন নিষিদ্ধ সুন্দরী, পশুর, কাকড়া, গরান, বাইন, কেওড়াসহ সকল প্রকার কাঠ পাচার চলছে, তেমনি বন অভ্যন্তরে নদ-নদীতে বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে হাজার প্রজাতীর মৎস্য সম্পদ নির্বিচারে মারা হচ্ছে। আর এর সাথে পাল্লা দিয়ে চোরা শিকারী চক্র নির্দয়ভাবে নিধন করছে বনের মায়াবী হরিনসহ মুল্যবান প্রানীকুল। সদ্য শেষ হওয়া গোলপাতা মৌসুমে বনরক্ষিদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় অবাধে কাঠ পাচার হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধীক সূত্রে জানা যায়। সূত্র মতে, পারমিটধারী প্রতিটি নৌকায় গোলের মধ্যে মূল্যবান সুন্দরী ও পশুর কাঠ পাচার হয়েছে। একই সাথে গোলপাতা কাটার ক্ষেত্রে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সেন্টার মারার (চারাগাছ কাটার) ঘটনা নির্বিঘ্নে ঘটেছে। লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষের বিনিময়ে দায়িত্বশীল বনরক্ষিরা এই কাজে সহায়তা করেছে বলে জানা যায়। সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের অধীন নলিয়ান রেঞ্জ অফিস, কালাবগী ষ্টেশন, সুতারখালী ষ্টেশন, হড্ডা, শিপসা, শরবতখালী, কৈলাশগঞ্জ টহলফাড়ীর কর্মকর্তারা এই অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত বলে জানা যায়। জানা যায়, দাকোপ উপজেলা সদরে অবস্থানকারী একটি বিশেষ পেশার জনৈক ব্যক্তি সকল বিষয় সামাল দেওয়ার দায়িত্ব নিয়ে মাসিক চুক্তিতে মাসোয়ারা গ্রহন করে বনরক্ষিদের সকল অনৈতিক কাজে সহায়তা করে আসছে। সর্বশেষ গত ২১ জুন শিপসা টহল ফাড়ীর অদুরে নলিয়ান রেঞ্জ অফিস এক অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩০ পিচ সুন্দরী গাছ উর্দ্ধার দেখায় এবং গত ১২ আগস্ট দিবাগত গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নলিয়ান রেঞ্জাধীন কালাবগী ষ্টেশন কর্মকর্তা হালিম হাওলাদার এবং নলিয়ান ষ্টেশন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে বনরক্ষিরা যৌথভাবে কালাবগী শিপসা নদীর মোহনায় এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হরিণের মাংসসহ ৩টি বিদেশী বন্দুক, ৫৩ রাউন্ড গুলি, ১ টি ট্রলারসহ ৭ জনকে আটক করে। এছাড়া গত জুন মাসে পূর্ব বনভিভাগের কর্মকর্তারা জোংড়া টহলফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে কয়েকজন জেলেকে জাল, নৌকা ও বিষসহ আটক করে আদালতে প্রেরণ করেছে বলে জানা গেছে । এ ব্যাপারে নলিয়ান রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক তৌফিকুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গত পরশুদিন অভিযানে জ্বালানীসহ ৪২ সেএফটি কাঠ ও একটি নৌকা আটক করে নিয়মিত মামলা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ ব্যক্তির সাথে সখ্যতার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন এমন কারো সাথে আমার সম্পর্ক নেই। এদিকে, উপকুলীয় দাকোপ এলাকার সকল প্রতিষ্ঠিত মোকামে এখন প্রকাশ্যে অবৈধ বনজ সম্পদ বিক্রি হতে দেখা যায়। চোরাকারবারীদের হাত বদলের মাধ্যমে শহর অঞ্চলে প্রবেশ করলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অবৈধ অর্থের বিনিময়ে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করার সুযোগ দিয়ে থাকে বলে সুত্রে জানা যায়। মাঝে মধ্যে বনবিভাগের উর্ধ্বধতন কর্মকর্তা এবং কোষ্টগার্ডের সদস্যরা পৃথকভাবে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু কাঠ উর্দ্ধার করলেও পরিচালিত ব্যবসা বন্ধ করার জন্য সেটা যথেষ্ঠ নয় বলে মনে করা হয়। অপরদিকে, বর্তমানে বনের অভ্যন্তরে নিজেদের অভয়ারন্য কমে যাওয়া এবং নানা কারণে খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ায় ভয়ংকর রয়েল বেঙ্গল টাইগার ক্রমেই হিংস্র হয়ে উঠছে। ফলে সম্প্রতিকালে সুন্দরবনে অতিমাত্রায় বাঘের আক্রমন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সূত্র মতে, বাঘের কবলে পড়ে নিহত হওয়া অধিকাংশরা চোরাকারবারী। কিন্তু সরকারের সহানুভুতি আদায়ের লক্ষ্যে মারা যাওয়ার পর তাদেরকে সংশ্লিষ্ট বনরক্ষীদের সহায়তায় বৈধ পারমিট ধারীর আওতায় আনা হয়। অন্যদিকে, সুন্দরবনের উপর পেশাজীবিদের চাপ কমাতে একাধীক বেসরকারী সংস্থার মাধ্যমে বিকল্প জীবিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কিন্তু অদ্যবধী সেটি তেমন ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখতে পারেনি। এ বিষয়ে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বাগেরহাট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ আমির হোসাইনের নিকট জানতে চাইলে বিষ প্রয়োগের কথা স্বাীকার করে তিনি এ প্রতিবেদকে বলেন, এ ব্যাপারে আমরা প্রতিরোধ করার চেষ্ঠা করছি এবং আইনগত ব্যবস্থাও নিচ্ছি। গত ২দিনে আমরা বিষসহ ৭জন জেলেকে আটক করেছি। এর মধ্যে ৪ জনকে বাগেরহাট ও খুলনা কোর্টে চালান দিয়েছি। উপকুলিয় অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষের আয়ের উৎস্য দেশের অপার সম্ভাবনাময় সুন্দরবনকে টিকিয়ে রাখতে জরুরী ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা দরকার বলে মনে করছেন সচেতন মহল।--ডিনিউজ
সমতায় পাকিস্তান

সমতায় পাকিস্তান

ঢাকা: আগের ম্যাচে ১৫ বছর পর জিম্বাবুয়ে হারিয়েছিলো পাকিস্তানকে। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে এসে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজের আশা বাঁচিয়ে রাখল পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার মোহাম্মদ হাফিজের দারুণ ব্যাটিংয়ের পর জুনাইদ খানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৯০ রানে জিতেছে তারা। এই জয়ে ১-১ ব্যবধানে সমতা ফেরাল পাকিস্তান। লক্ষ্যে নেমে ব্রেন্ডন টেলর জয়ের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে গেছেন। ৭৯ রানের ব্যক্তিগত সেরা ইনিংস খেলে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক পাকিস্তানি স্পিনার সাঈদ আজমলের শিকার হলে আর কেউ ব্যাট হাতে দাঁড়াতে পারেননি। এছাড়া ম্যালকম ওয়ালার ৪০, শন উইলিয়ামস ৩৭ ও হ্যামিলটন মাসাকাদজা ২৪ রান করে কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। পাকিস্তানি পেসার জুনাইদ একাই চারটি উইকেট নেন। দুটি করে পেয়েছেন আব্দুর রেহমান ও আজমল। এর আগে হারারে স্পোর্টিং ক্লাবে জিম্বাবুয়ের কাছে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান প্রথম উইকেটটি হারায় ১২ রানে। আহমেদ শেহজাদ ৫ রানে ব্রায়ান ভিটরির শিকার হন। আরেক ওপেনার নাসির জামশেদ ৫০ রানের জুটি গড়েন হাফিজকে নিয়ে। ব্যক্তিগত ৩২ রানে প্রসপার উতসেয়ার কাছে এলবিডব্লু  হন তিনি। সফরকারী অধিনায়ক মিসবাহ উল হক বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি হাফিজকে। ২৩ বল খেলে মাত্র ৩ রানে ভিটরির দ্বিতীয় শিকার তিনি। এরপর উমর আমিন ও হাফিজের জুটিটি দলকে ভালো সংগ্রহ এনে দেয়। ১২৯ রানের এই জুটি ভাঙে আমিন রান আউট হলে। এর আগে অষ্টম ওয়ানডেতে তিনি দেখা পান প্রথম ফিফটির। ৫৯ রানে সাজঘরে ফিরেন আমিন। নেমে ঝড়ো ইনিংস খেলেন শহীদ আফ্রিদি। হাফিজ ও আফ্রিদি জুটি ৪৫ বলে ৮৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন।
২৩ বলে এক বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কায় ৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন আফ্রিদি। অপর প্রান্তে ১৩০ বলে নয় চার ও পাঁচ ছয়ে ১৩৬ রানে টিকে ছিলেন হাফিজ। ম্যাচসেরা এই ইনিংস খেলার পথে ষষ্ঠ ওয়ানডে শতক গড়েন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২৯৯/৪ (৫০ ওভার)
জিম্বাবুয়ে: ২০৯/১০ (৪২.৪ ওভার)
ফলাফল: পাকিস্তান ৯০ রানে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে  ১-১ এ ড্র।--ডিনিউজ
এবার ক্যারিবীয় স্পিনারদের পাশে সাকলাইন

এবার ক্যারিবীয় স্পিনারদের পাশে সাকলাইন

ঢাকা: ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনারদের সঙ্গে ট্রেনিং ক্যাম্পে কাজ করতে রাজি হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অফস্পিনার সাকলাইন মুশতাক। তিন সপ্তাহ ব্যাপী এই ক্যাম্পে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে যোগ দেবেন তিনি।
সিনিয়র, উদীয়মান ও মহিলা দলের বেশ কয়েকজন স্পিনারের উপস্থিতিতে শুরু হচ্ছে নতুন মাত্রার এই অনুশীলন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রধান কোচ ওটিস গিবসনের পরামর্শেই এই ক্যাম্পে আনা হয়েছে সাকলাইনকে। ৪৯ টেস্টে ২০৮ উইকেট নেওয়া এই সাবেক স্পিনার বললেন,‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে কোচ ওটিস গিবসন জানতে চেয়েছিল আমি তাদের স্পিনারদের সঙ্গে কাজ করতে চাই কি না। হ্যা বলতে আমি কোনো দ্বিধাবোধ করিনি।
এই ক্যাম্পে অংশ নিচ্ছেন- দেবেন্দ্র বিশু, শেন শিলিংফোর্ড, বীরাস্বামী পারমল, অ্যাশলে নার্স, আনিসা মোহাম্মেদ, শাকুয়ানা কুইন্টাইন ও স্টেফানি টেলর। বেশি সময় দিতে পারবেন না বলে এই ক্যাম্পে থাকছেন না সুনিল নারাইন, নিকিতা মিলার ও স্যামুয়েল বদ্রি।
বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে চুক্তি থাকলেও নতুন এই কাজে সমস্যা হবে না জানালেন সাকলাইন,বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে এখনও দায়িত্বে আছি আমি। ক্যারিবীয় দ্বীপে দায়িত্ব শেষে আমি বাংলাদেশে যাব। বিসিবির সঙ্গে বছরে ১০০ দিনের চুক্তি আমার আছে। তাই অসুবিধা হবে না। স্পিনারদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ আদান প্রদান সাকলাইনের জন্য খুব নতুন নয়। বাংলাদেশ তো বটেই। ইতোমধ্যে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড লায়ন্সের স্পিন পরামর্শকের দায়িত্বেও ছিলেন দুসরার এই আবিষ্কারক।
বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে চুক্তি থাকলেও নতুন এই কাজে সমস্যা হবে না জানালেন সাকলাইন,‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে এখনও দায়িত্বে আছি আমি। ক্যারিবীয় দ্বীপে দায়িত্ব শেষে আমি বাংলাদেশে যাব। বিসিবির সঙ্গে বছরে ১০০ দিনের চুক্তি আমার আছে। তাই অসুবিধা হবে না। স্পিনারদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ আদান প্রদান সাকলাইনের জন্য খুব নতুন নয়। বাংলাদেশ তো বটেই। ইতোমধ্যে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড লায়ন্সের স্পিন পরামর্শকের দায়িত্বেও ছিলেন দুসরার এই আবিষ্কারক।

ডিনিউজবিডি/
কানাইঘাটে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

কানাইঘাটে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:
 কানাইঘাট উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সমন্বয় সভা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম.সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে কমিটি সভায় উপস্থিত ছিলেন, আইনশৃঙ্খলা কমিটির উপদেষ্টা উপজেলা চেয়ারম্যান আশিক উদ্দিন চৌধুরী। সভায় লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী বলেন, সীমান্ত এলাকায় কিছু চিহ্নিত চোরকারবারী চক্র বিভিন্ন সময়ে এলাকার নিরীহ লোকজনদের হয়রানী করার জন্য মাদকদ্রব্য রেখে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে থাকে। তিনি সম্প্রতি তার এলাকায় নিরীহ লোকজনদের মাদকের মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। দিঘীরপাড় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী জানান সড়কের বাজারের আইনশৃঙ্খলা অবনতি করার জন্য একটি কুচক্রী মহল বিভিন্ন সময়ে এলাকায় মারামারি সৃষ্টি করে। এদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া দাবী জানান। রাজাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, তার এলাকায় বহিরাগত ডাকাত ও অপরাধী চক্র হানা দিয়ে চুরি ডাকাতি করে থাকে। তিনি রাজাগঞ্জ এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করার আহ্বান জানান। সভায় উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা বলেন, ইদানিং কানাইঘাট জুড়ে বাল্য বিবাহ ব্যাপক আকারে বেড়ে গেছে। বাল্য বিবাহের সাথে নিকাহ রেজিষ্ট্রাররা জড়িত রয়েছেন উল্লেখ করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বলেন। কানাইঘাট থানার ওসি (তদন্ত) বজলার রহমান চলতি মাসের উপজেলা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, বিভিন্ন অপরাধে এ মাসে ২২টি নিয়মিত মামলা দায়র করা হয়েছে। তিনি সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল রয়েছে উল্লেখ করে এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা চান। সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাতী রানী দাস, সদর ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, সাঁতবাক ইউপি চেয়ারম্যান ফয়জুল ইসলাম, বাণীগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল হক, কানাইঘাট প্রেসকাবের দপ্তর সম্পাদক নিজাম উদ্দিনসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভার পূর্বে উপজেলা চোরাচালানী প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সার্বিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সচ্ছতার সহিত বাস্তবায়নের জন্য কমিটির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, সচিব  নির্বাহী কর্মকর্তা এস,এম, সোহরাব হোসেন সভায় গুরুত্বারূপ করেন।

কানাইঘাটে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালিত

কানাইঘাটে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:
 বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহার এবং সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি এম.ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে সিলেটে জেলায় ডাকা সকাল সন্ধ্যা হরতাল কানাইঘাটে সর্বত্র শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। আজকের হরতালকে সফল করার লক্ষ্যে ভোর থেকে পৌর বিএনপি ও সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র নেতাদের নেতৃত্বে উপজেলা ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ, স্বেচ্ছাসেবকদল, ইলিয়াস মুক্তি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, যুবদল, কৃষকদল, শ্রমিকদল, ছাত্রদল ও জাসাসের নেতাকর্মীরা পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসহ পৃথকভাবে কানাইঘাট বাজার, সড়কের বাজার, চতুল বাজার, গাছবাড়ী বাজার, সুরাইঘাট বাজার, রাজাগঞ্জ বাজার, বোরহান উদ্দিন বাজার, বাঘা পরগণা বাজার, বড়দেশ বাজারসহ কানাইঘাট-দরবস্ত এবং গাজী বুরহান উদ্দিন সড়কের বিবিন্ন স্থানে পিকেটিং ও মিছিল করে। দুপুর ১২টায় হরতালের সমর্থনে কানাইঘাট বাজারে একটি মিছিল বের হয়। মিছিল পরবর্তী পূর্ব বাজারে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পৌর ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম পরিষদের সচিব ও পৌর বিএনপির সভাপতি ইফজালুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং পৌর স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম পরিষদের সচিব পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তি পরিষদ নেতা কাউন্সিলার শরিফুল হক, আজিজুল হক, হাজী জসীম উদ্দিন, মখলিছুর রহমান, থানা স্বেচ্ছাসেবকদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক আহমদ, যুগ্ম আহ্বায়ক জিএম কামাল, মিজানুর রহমান সবুজ, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী, রাশিদুল হাসান টিটু, নজরুল ইসলাম, থানা যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান, যুগ্ম আহ্বায়ক শায়িক আহমদ, থানা ছাত্রদলের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সহসভাপতি খছরুজ্জামান, থানা শ্রমিকদলের আহ্বায়ক জাকারিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক এবাদুর রহমান, জাফর, শরীফ, পৌর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক আবিদ রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফ উদ্দিন, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইসলাম উদ্দিন, ডালিম, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা ওয়াসিম, সেলিম, আফতাব উদ্দিন, মিনহাজ, ইলিয়াস মুক্তি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উপজেলা শাখার আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা সুহেল, নেওয়াজ, বাছিত, জাবেদ, বদরুল, রিয়াজ, আইশাম, মঞ্জুর, কয়সর, শিমুল, জাহেদ প্রমুখ। হরতাল চলাকালে দুর পাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। সরকারী অফিস, ব্যাংক-বীমা খোলা থাকলেও উপস্থিতি ছিল একেবারে কম। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হরতালে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পৌরশহর সহ বিভিন্ন স্থানে টহল দিতে দেখা গেছে। তবে হরতালকারীদের সাথে কোন ধরনের সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায় নি। 

রাজা নীলাম্বরের রাজধানী এখন শুধুই স্মৃতি

রাজা নীলাম্বরের রাজধানী এখন শুধুই স্মৃতি

রংপুর: উত্তরের জনপদ পীরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় প্রাচীনকালে অনেক পীর আউলিয়া ও রাজা বাদশা ছিলেন। কথিত আছে এসব পীর আউলিয়ার কারণে এ উপজেলার নামকরণ করা হয়েছিল পীরগঞ্জ। তাদের কীর্তি-কাহিনী আজও এ অঞ্চলের মানুষের মুখে মুখে। সেইসব প্রতাপশালী রাজাদের অন্যতম ছিলেন রাজা নীলাম্বর সেন। নীলাম্বর রাজার কয়েকটি রাজধানীর মধ্যে পীরগঞ্জের চতরার রাজধানীটি ছিল অন্যতম। রাজধানীটির চারিদিক বিশাল জলাধার দ্বারা বেষ্টিত ছিল। বর্তমানে এটি নীল দরিয়া নামে পরিচিত।
 রংপুরের  পীরগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে উত্তর জনপদের সেই রাজার রাজধানী এ নীল দরিয়া দেখতে শতশত লোকের আগমন ঘটে। ১২’শ শতাব্দীতে বাংলায় যখন হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতাপ ছিল তখন পাক-ভারতের রাজধানী ছিল গৌড়ে। লক্ষণ সেন ছিলেন গৌড়ের অধিপতি। সে যুগে হিন্দু রাজা বাদশারা নিরীহ প্রজাদের উপর নানা ধরনের নির্যাতন চালাতো। তাদের অত্যাচারের মাত্রা এতই প্রখর ছিল যে, রাজার হুকুম ছাড়া প্রজারা কন্যা পর্যন্ত পাত্রস্থ করতে পারতো না। দিনের পর দিন রাজাদের অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে গেলে গৌড়াধিপতির বশ্যতা স্বীকারে অস্বীকৃতি প্রকাশের কারনে পীরগঞ্জের কিংবদন্তীর রাজা নীলাম্বর সেন কে শায়েস্তা করতে বাহিনী প্রেরণ করেন লক্ষণ সেন। যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন শাহ ঈসমাইল গাজী (রহঃ)। 
এদিকে ১৭ জন আউলিয়ার আবির্ভাব হয় পাক-ভারতে। এই আউলিয়াগণ বিভিন্ন স্থানে আস্তানা গড়ে তোলেন এবং ইসলাম র্ধর্মর কথা প্রচার করতে থাকেন। লোকজন শান্তির ধর্ম ইসলামের প্রতি সহজেই আকৃষ্ট হতে থাকে। দিনের পর দিন সাধারণ মানুষ দলে দলে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হতে থাকেন। এ আউলিয়াদের নেতৃত্বে ছিলেন শাহ্ ঈসমাইল গাজী (রহঃ)। তিনি বড় দরগাঁয় আস্তানা গড়েন। এখান থেকে কর আদায়ের জন্য লোক পাঠান চতরায় হিন্দু রাজা নীলাম্বর সেনের কাছে। রাজা নীলাম্বর সেন মুসলমানদের কর দিতে অস্বীকার করলে শাহ্ ঈসমাইল গাজী (রহঃ) যুদ্ধ ঘোষণা করেন। শত্রুপক্ষের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য রাজা নীলাম্বর ৫৬ একরের রাজপ্রাসাদের চারপাশে ৪০ গজ প্রস্থ গভীর, ৫৬ একর জমিতে একটি পরিখা খনন করেন। এরপর পরিখার মাটি দিয়ে রাজধানীর চারপাশে উঁচু করে ইট সুরকির সুরক্ষিত প্রাচীর নির্মাণ করেন। প্রাচীরের দক্ষিণ দিকে একটি মাত্র সদর দরজা রাখা হয়। এই দরজা বন্ধ করলে রাজধানীর ভিতরে প্রবেশ করার কোন উপায় ছিল না। রাজধানী রক্ষার কাজ সমাপ্ত করে রাজা নীলাম্বরের সৈন্যরা রাজধানী থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত অসংখ্য বেড় (গড়) তৈরি করেন। সেই গড়ে হাতী পর্যন্ত লুকিয়ে থাকতে পারতো। এখনও কালের সাক্ষী হিসাবে গড়গুলো বিদ্যমান। রাজধানীর সর্বশেষ গড়টি ছিল উপজেলা সদর থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দক্ষিণে গাড়াবেড় পর্যন্ত । তখন থেকেই নামকরণ হয় আজকের গাড়াবেড় মৌজার। রাজা নীলাম্বরের সৈন্যরও এগিয়ে ছিল এই গাড়াবেড় পর্যন্ত। রাজধানী আক্রমণ করতে যাতে শত্রুপক্ষের সময় লাগে এবং এখানে লুকিয়ে থেকে শত্রুপক্ষের উপর আঘাত হানা যায় এ জন্য গড়গুলো তৈরি করা হয়েছিল। শাহ্ ঈসমাইল গাজী (রহঃ) এর মুসলমান সৈন্যদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধ দীর্ঘ সময় ধরে চলে। এতে মুসলমান সৈন্যদের সাহস ও যুদ্ধের কৌশলের কারণে নীলাম্বরের সৈন্যরা পিছু হটে রাজধানীতে গিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। রাজধানীতে পিছুহটে মুসলমান সৈন্যদের রাজধানী অভিমুখে যাত্রা অগ্রসর হবার খবর দিলে রাজা সমস্ত সৈন্য ও প্রচুর খাদ্য সামগ্রী নিয়ে রাজধানীর ভিতরে প্রাচীর দরজা বন্ধ করে অবস্থান করেন। এদিকে মুসলমান সৈনিকরা রাজধানী ঘিরে ফেলেন এবং টানা অবরোধ সৃষ্টি করেন। যাতে নীলাম্বরের কোন সৈন্য বাহিরে গিয়ে খাবার সংগ্রহ করতে না পারে। এভাবে কিছুদিন থাকার পর নীলাম্বরের খাদ্য সামগ্রী নিঃশেষ হয়ে যায়। শুধু পানি পান করে সৈন্যরা দিন কাটাচ্ছিল। ফলে শারীরিক ও মানষিক দিক থেকে সৈন্যরা দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সুযোগে মুসলমান সৈন্যরা রাজধানীর সদর দরজা ভেঙ্গে একযোগে আক্রমণ করে এবং একে একে 
সমস্ত শত্র“ সৈন্য  হত্যা করে রাজা নীলাম্বর সেন কে বন্দি করে গৌড়ে  পাঠিয়ে দেন। এরপর নীলাম্বরের কি পরিণতি হয়েছে  শেষ পর্যন্ত তা আর জানা যায়নি। নীলাম্বর রাজার রাজধানী এক সময়কালেরআবর্তে মাটির নিচে দেবে গিয়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। ১২শ শতাব্দীতে সৃষ্ট ভূমিকম্পে পরিখার  উত্তর-পূর্ব এলাকা ভরাট হয়ে যায়। অবশিষ্ট তিনপাশে আজও গভীর জলাশয় রয়েছে। রাজধানীরচারপাশঘিরেনির্মিতসুরক্ষিত প্রাচীরের ধ্বংসাবশেষ আজও আছে। সেই প্রাচীরের অংশ বিশেষ আজও নীলাম্বর সেনকেই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। এটি খনন করা  হলে মাটির নীচে রাজপ্রাসাদের অস্তিত্ব এবং আবিষ্কৃত হবে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এছাড়াও উদ্ধার হতে পারে রাজা নীলাম্বর সেনের গচ্ছিত মূল্যবান সম্পদ। মূল্যবান সম্পদের আশায় এলাকার মানুষ দিনের পর দিন খুড়ে-খুড়ে নষ্ট করে দিচ্ছে প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন। এলাকাবাসীর আশাসরকার এটিকে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে নীল দরিয়ার হারানো গৌরব ফিরে আনবে এবং দেশের মানুষের কাছে এটিকে পরিচিত করে তুলবে।----আর,আর, শিল্পী(ডিনিউজ)
রোববার আমেরিকান দূতাবাস বন্ধ

রোববার আমেরিকান দূতাবাস বন্ধ

ঢাকা : যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিক দিবস উপলক্ষে আগামী ১ সেপ্টেম্বর রবিবার আমেরিকান দূতাবাস বন্ধ থাকবে। 

বৃহস্পতিবার মার্কিন দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিন কনস্যুলার সেকশন এবং আমেরিকান সেন্টারের আর্চার কে. ব্লাড লাইব্রেরি ও স্টুডেন্ট অ্যাডভাইজিং সেন্টারও বন্ধ থাকবে।

তবে আমেরিকান নাগরিকদের জন্য জরুরী সেবা দেওয়া হবে। এজন্য তারা ৮৮৫-৫৫০০ নম্বরে ফোন করে কর্তব্যরত কর্মকর্তাকে চাইতে পারেন।---ডিনিউজ
মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে মোবাইল সংযোগ দিবে টেলিটক

মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে মোবাইল সংযোগ দিবে টেলিটক

ঢাকা: মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সমাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে এবার রাষ্ট্রয়াত্ব একমাত্র মোবাইল টেলিকম প্রতিষ্ঠান ‘টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড’ বিনামূল্যে মোবাইল সংযোগ এবং সেবা প্রদান করবে। সিএসআর কার্যক্রমের অংশ হিসাবে তিনশ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাকে বিনামূল্যে টেলিটক সিম এবং প্রতিমাসে প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাকে পাঁচশ টাকার ফ্রি টকটাইম প্রদান করা হবে। আগামীকাল শুক্রবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে এ ফ্রি সিম তুলে দিবেন বলে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমান বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান। মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান অপরিসীম। তাই যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সমাজ সেবা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে টেলিটক কোম্পানীর পক্ষ থেকে বিনামূল্যে টেলিটক সিম প্রদান এবং প্রতি মাসে পাঁচশত টাকার ফ্রি টকটাইম সেবা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষে আগামীকাল ৩০ আগস্ট শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সাহারা খাতুন যুদ্ধাহত, খেতাবপ্রাপ্ত এবং অসহায়-অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে এ ফ্রি সিম তুলে দিবেন। টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরো বলেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার। মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানকে চীর স্মরনীয় কওে রাখার জন্য এটি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে আমি মনে করি। টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে মুক্তিযুদ্ধাদের জন্য আরো সেবামূলক কার্যক্রম হাতে নেয়া বলে বলেও তিনি জানান। মুজিবুর রহমান জানান, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ.বি. তাজুল ইসলাম এম.পি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাব মোঃ আব্দুস ছাত্তার এম.পি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ আবু বকর সিদ্দিক ও মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল (অবঃ) মোহাম্মদ আলী শিকদার।---ডিনিউজ
জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি

জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি

ঢাকা : রাজনৈতিক দলের চাপে নয় বরং সংবিধানের বাধবাধ্যকতার জন্যই জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। আর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বৃহস্পতিবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের সচিব মোহাম্মদ সাদিক একথা জানিয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ জানিয়েছিলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) ৯১ (ই) ধারা বহাল থাকছে। প্রার্থীতা বাতিলের ক্ষমতা হাতে রেখেই কমিশন নির্বাচনের আয়োজন করবে। মো. শাহ নেওয়াজ বলেন, আরপিও ৯১ (ই) ধারাতে কিছু অসামঞ্জস্য থাকায় কমিশন এই ধারাটি বাতিলের পক্ষে মত দিয়েছে। আরপিও সংশোধনীর জন্য খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।তবে এর প্রতিক্রিয়ায় রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন সংস্থা বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেন। নির্বাচন কমিশনার বলেন, জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং বিভিন্ন মহলের মতামতকে গ্রহণ করে কমিশন সর্বসম্মতিক্রমে এই ধারাটি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, আরপিও এর ৯১ (এ)তে কমিশনের ক্ষমতা বহাল থাকায় আমরা ধারাটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে এর পক্ষে গণমাধ্যমকে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছি। আমরা আমাদের অবস্থানে অটল রয়েছি, তবে জনমতকে শ্রদ্ধা দেখিয়ে এখন আমাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি। আরপিও কবে নাগাদ চূড়ান্ত হবে জানতে চাইলে শাহ নেওয়াজ বলেন, আমাদের কাজ আরপিও'র খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এখন তাদের দায়িত্ব¡ এটি চূড়ান্ত করে আইন হিসেবে পাশ করা। আমরা আশা করছি অতি শিগগির পাশ হবে।
চলমান নবম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হবে ২০১৪ সালের ২৪ জানয়ারি। সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। সে হিসেবে জানয়ারির তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যেই ভোট গ্রহণের প্রস্তুতির কথা জানিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ সাদিক বলেন, সংবিধানের ১১৯ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (১)-এ বলা হয়েছে, 'রাষ্ট্রপতি পদের ও সংসদের নির্বাচনের জন্য ভোটার-তালিকা প্রস্তুতকরণের তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অনুরূপ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যস্ত থাকিবে। সে লক্ষে ইতোমধ্যে সীমানা পুনঃনির্ধারণ, ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, সে মোতাবেক চলতি অর্থবছরে ৯শ ৮৯ কোটি টাকা নির্বাচনী বাজেট বরাদ্দ রয়েছে। কমিশন সূত্র জানিয়েছে, এর মধ্যে পাঁচশো কোটি টাকা রাখা হয়েছেছ জাতীয় নির্বাচনের জন্য। এছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপরই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের বলে তিনি জানান।
জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (৩)-এ বলা আছে, সংসদ-সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে'। উপ-ধারা (ক) এ বলা হয়েছে, মেয়াদ-অবসানের কারণে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাংগিয়া যাইবার পূর্ববর্তী নববই দিনের মধ্যে; এবং (খ) মেয়াদ-অবসান ব্যতীত অন্য কোন কারণে সংসদ ভাংগিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাঙ্গিয়া যাইবার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে:তবে শর্ত থাকে যে, এই দফার (ক) উপ-দফা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত ব্যক্তিগণ, উক্ত উপ-দফায় উল্লিখিত মেয়াদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত সংসদ সদস্যরূপে কার্যভার গ্রহণ করিবেন না। 
সংবিধানের ১১৮ থেকে ১২৬ অনুচ্ছেদ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে স্পষ্ট করা হয়েছে। সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (৪) এ নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বলা আছে, 'নির্বাচন কমিশন স্বাধীন থাকিবেন এবং কেবল এই সংবিধান ও আইনের অধীন হইবেন।১১৮ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (৫)-এ বলা আছে, সংসদ কর্তৃক প্রণীত যে কোন আইনের বিধানাবলী-সাপেক্ষে নির্বাচন কমিশনারদের কর্মের শর্তাবলী রাষ্ট্রপতি আদেশের দ্বারা যেরূপ নির্ধারণ করিবেন, সেইরূপ হইবে। 
সংবিধানের ১১৯ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (১)-এ বলা হয়েছে, 'রাষ্ট্রপতি পদের ও সংসদের নির্বাচনের জন্য ভোটার-তালিকা প্রস্তুতকরণের তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অনুরূপ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যস্ত থাকিবে। উপ-ধারা (২)-এ উল্লেখ আছে, 'নর্ধারিত দায়িত্বসমূহের অতিরিক্ত যেরূপ দায়িত্ব এই সংবিধান বা অন্য কোন আইনের দ্বারা নির্ধারিত হইবে, নির্বাচন কমিশন সেইরূপ দায়িত্ব পালন করিবেন। ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরূপ মনোভাব থাকলেও সংবিধান মেনেই আগামী দশম সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। সে মতে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর আলোকে দলীয় সরকারের অধীনে আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে ২০১৪ সালের ২৪ জানুয়ারির মধ্যে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করতে বদ্ধ পরিকর নির্বাচন কমিশন।----ডিনিউজ
সিরিয়ায় হামলা হলে ছারখার হয়ে যাবে ইসরাইল: ফিরোজাবাদি

সিরিয়ায় হামলা হলে ছারখার হয়ে যাবে ইসরাইল: ফিরোজাবাদি

ঢাকা : ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল হাসান ফিরোজাবাদি বলেছেন, সিরিয়ায় অবৈধ সামরিক আগ্রাসনের পরিণতিতে ইহুদিবাদী ইসরাইলের ওপর ভয়াবহ প্রভাব পড়বে।

তিনি বলেন, সিরিয়ায় যে কোন সামরিক আগ্রাসনে ইহুদিবাদী অঞ্চলটি জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে। সিরিয়ার ওপর মার্কিন ষড়ডন্ত্রমূলক ততপরতার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার এক ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।

আমেরিকার এ আগ্রাসী ততপরতার পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ এ সামরিক কমান্ডার হুঁশিয়ার করে বলেন, এতে মানবতার ভীষণ ক্ষতি হবে এবং তা শুধুমাত্র মুসলিম জনগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না।

তিনি সুস্পষ্ট ভাষায় বলেন, সিরিয়ায় যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়ার জন্য আমেরিকা, ব্রিটেনসহ অন্যান্য পক্ষকেও এ জন্য চরম মাসুল দিতে হবে।

সিরিয়ায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে দীর্ঘ সময় দেশটির জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনী উচ্চ মাত্রার প্রতিরোধকামী মানসিকতা দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেন ফিরোজাবাদি।

এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর ভয়াবহ বিপর্যয় চাপিয়ে দেয়ার জন্য আমেরিকার নিন্দা জানিয়ে এ সমস্যা সমাধানে মার্কিন চিন্তাবিদ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোর আহ্বান জানান।---ডিনিউজ
সিরিয়ায় সামরিক হামলার পরিকল্পনা জাতিসংঘের গঠনতন্ত্রের বিরোধী

সিরিয়ায় সামরিক হামলার পরিকল্পনা জাতিসংঘের গঠনতন্ত্রের বিরোধী

ঢাকা : রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী গেনাদি গাতিলোভ বলেছেন, সিরিয়ার ওপর সামরিক হামলার পরিকল্পনা তা জাতিসংঘের গঠনতন্ত্র ও আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধের পরিপন্থি। এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক-কূটনৈতিক সহযোগিতার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা উচিত।

নেদারল্যান্ডসের হেগে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

গাতিলোভ আরো বলেন, সিরিয়ায় অবস্থানরত জাতিসংঘ পরিদর্শক দলকে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের তদন্ত সুষ্ঠভাবে করার সুযোগ দিতে হবে এবং ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।---ডিনিউজ
সিরিয়ায় হামলার পরিকল্পনা বাতিল করতে বাধ্য হলো ব্রিটেন

সিরিয়ায় হামলার পরিকল্পনা বাতিল করতে বাধ্য হলো ব্রিটেন

ঢাকা : সিরিয়ায় সামরিক হামলায় অংশ নেয়ার পরিকল্পনা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। সম্ভাব্য যুদ্ধের বিরুদ্ধে দেশের ভেতর ও বাইরের চাপে তিনি এ পরিকলল্পনা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন বলে ইরানের ইংরেজি ভাষার নিউজ চ্যানেল প্রেস টিভি জানিয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরে ব্রিটিশ সরকার সিরিয়ায় সামরিক হামলার চালানোর বিষয়ে দেশের ভেতরের রাজনৈতিক সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করে আসছিল কিন্তু লেবার পার্টিসহ দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সংসদ সদস্যরা বিরোধিতা করেছেন।

এছাড়া, ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করেছিলেন তারা এবারো ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করছেন। এর সঙ্গে যোগ দিয়েছে যুদ্ধ-বিরোধী প্রচারণা সংগঠনগুলো।

স্টপ দ্যা ওয়ার কোয়ালিশনের নেতা জন রিস জানিয়েছেন, “মাত্র শতকরা ৯ ভাগ ব্রিটিশ নাগরিক মনে করে সিরিয়ার ওপর হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত একটি চিন্তা ভালো।”

আজ বৃহস্পতিবার জরুরি অধিবেশনে বসছে ব্রিটিশ সংসদ। সিরিয়ায় হামলা চালানোর অনুমোদন নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন এ অধিবেশন ডেকেছেন। ব্রিটিশ সরকার এও বলেছে- সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলার বিষয়ে জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক দলের প্রতিবেদন প্রকাশের পর দ্বিতীয়বার ভোট গ্রহণ করা হবে।---ডিনিউজ
তালেবান হামলায় এক মার্কিন সেনা নিহত

তালেবান হামলায় এক মার্কিন সেনা নিহত

ঢাকা: আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় গজনি প্রদেশে তালেবান হামলায় এক মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গজনিতে আমেরিকা ও পোল্যান্ডের সেনাদের এক যৌথ ঘাঁটিতে বুধবার ওই হামলা হয়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত আর কিছু জানাননি তিনি।

তবে, গজনি প্রদেশের সহকারি গভর্নর মোহাম্মাদ আলী আহমাদি জানিয়েছেন, তালেবানরা ন্যাটো জোটের ওই ঘাঁটির প্রবেশ পথে দু’টি গাড়িবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এর ভেতর ঢুকে পড়ে। অন্তত ১০ জন তালেবান বিদেশি সেনাদের সঙ্গে প্রায় এক ঘন্টা ধরে বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত থাকে। এ ঘটনায় চার আফগান পুলিশ এবং তিন বেসামরিক ব্যক্তিও নিহত হয়।


পোল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের ১০ সৈন্যকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এটি আরো বলেছে, আহত সেনাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।


আহমাদি জানিয়েছেন, ন্যাটো জোটের ঘাঁটি আক্রান্ত হওয়ার পর সেখানে তালেবানদের প্রতিহত করতে পুলিশ তলব করা হয়। বুধবার রাত ১০টার দিকে সংঘটিত ওই বন্দুকযুদ্ধে চার পুলিশ ও তিন বেসামরিক ব্যক্তিও নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পুলিশসহ অপর ৫২ ব্যক্তি।----ডিনিউজ
সিরিয়ায় হামলা ঠেকাতে ইরান ও রাশিয়ার উদ্যোগ

সিরিয়ায় হামলা ঠেকাতে ইরান ও রাশিয়ার উদ্যোগ

ঢাকা: সিরিয়ায় এই সামরিক আগ্রাসন প্রতিহত করতে যৌথ উদ্যোগ নিতে সম্মত হয়েছে ইরান ও রাশিয়া। বুধবার রাতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি তার রুশ সমকক্ষ ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক টেলিফোনালাপে এ ব্যাপারে একমত হন।

দুই প্রেসিডেন্ট একজোট হয়ে বললেন , জাতিসংঘের অনুমোদন ছাড়া কোনো দেশের ওপর সামরিক আগ্রাসন হবে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লংঘন। সিরিয়ার চলমান সংকট কূটনৈতিক উপায়ে সমাধানের ওপরও তারা গুরুত্ব আরোপ করেন।


ব্রিটেনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা নিউ ইয়র্কে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করার পর পুতিন ও রুহানি এ ফোনালাপ করলেন। নিরাপত্তা পরিষদের প্রকাশ্য সভায় সিরিয়ায় হামলার বিষয়টিকে ভোটাভুটিতে দেয়ার আগে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে রাশিয়াকে রাজী করানো ছিল রুদ্ধদ্বার বৈঠক ডাকার পেছনে ব্রিটেনের মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু সূত্র জানিয়েছে, বৈঠক শুরুর পরপরই তীব্র মতানৈক্যের কারণে রাশিয়া ও চীনের প্রতিনিধিরা ওয়াকআউট করেন।---ডিনিউজ
জাতিসংঘের অনুমোদন ছাড়াই হামলা করবে আমেরিকা

জাতিসংঘের অনুমোদন ছাড়াই হামলা করবে আমেরিকা

ঢাকা: মার্কিন প্রশাসন বলেছে, দেশটি প্রয়োজনে জাতিসংঘ এবং মিত্র দেশগুলোর সমর্থন ছাড়াই সিরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেবে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যারি হার্ফ বলেছেন, ওয়াশিংটন সিরিয়ায় হামলা চালানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে  জাতিসংঘের বাধা তা থেকে মার্কিন সরকারকে সরাতে পারবে না।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব তোলা হলে রাশিয়া যে তাতে ভেটো দেবে তা একরকম নিশ্চিত হয়ে রয়েছে। এ অবস্থায় সিরিয়ায় হামলা করতে হলে জাতিসংঘকে পাশ কাটিয়েই তা করতে হবে মার্কিন প্রশাসনকে।


এ সম্পর্কে ম্যারি হার্ফ বলেন, “রাশিয়া যেভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে তার ফলে আমরা বসে থাকতে পারি না। বিষয়টি এতটা গুরুত্বপূর্ণ যে, রাশিয়ার তাতে সাড়া দেয়া উচিত ছিল।”----ডিনিউজ
সিরিয়াকে হামলার মাধ্যমে শিক্ষা দিবেন: ওবামা

সিরিয়াকে হামলার মাধ্যমে শিক্ষা দিবেন: ওবামা

ঢাকা: প্রশাসন এ সিদ্ধান্তে , সিরিয়ার সরকারই সেদেশে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে; কাজেই দেশটির ওপর ‘সীমিত আকারের’ হামলা চালিয়ে তিনি দামেস্ককে এ ‘শিক্ষা’ দিতে চান যে, ওয়াশিংটন রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ সহ্য করে না বললেন বারাক ওবামা।

পিবিএস টিভি চ্যানেলের নিউজআওয়ার অনুষ্ঠানে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ওবামা এ হুমকি দিয়েছেন। তবে বুধবার রাতে  ওবামা বলেছিলেন, মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে শলা-পরামর্শ না করে একতরফাভাবে সিরিয়ায় কোনো হামলা করবে না মার্কিন সরকার।


সিরিয়ায় কোন পক্ষ রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করেছে তা তদন্ত করার জন্য বর্তমানে মার্কিন সমর্থনেই জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক দল সিরিয়ায় অবস্থান করছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ওই পর্যবেক্ষক দলের প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার আগেই ওবামা ওয়াশিংটনে বসে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছে গেছেন যে, সিরিয়ার সরকারই রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করেছে।---ডিনিউজ
মিঠাপুকুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ জনের মৃত্যু

মিঠাপুকুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ জনের মৃত্যু


মিঠাপুকুর (রংপুর): মিঠাপুকুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুসহ ২ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদরের চিথলী দক্ষিণপাড়া গ্রামের কৃষক মামুন মিয়ার ছেলে ২য় শ্রেণির ছাত্র মারুফ মিয়া (৮)। গতকাল বিকেলে ঘরে বিদ্যুতের সকেট লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎ শক খায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার মৃত্যু হয়। 
অপরদিকে, উপজেলার ইমাদপুর ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে এরশাদ মিয়া (৩০) নামে এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে। ইমাদপুর ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম জানান, পুকুরের পানিতে বৈদ্যুতিক  তার ছিঁড়ে পড়েছিল। দিনমজুর এরশাদ ওই পুকুরে গোসল করতে নামলে সে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। নিহত এরশাদ রাজ্জাকের বাড়িতে দিনমজুরের কাজ করতেন। তিনি পাশের মহুরীপাড়ার বাসিন্দা।----ডিনিউজ
মহাদেবপুরে সেচ্চাসেবক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

মহাদেবপুরে সেচ্চাসেবক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

মহাদেবপুর (নওগাঁ):   নওগাঁর মহাদেবপুরে বৃহস্পতিবার থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে সকাল ৮ টায় সাবেক ডেপুটি স্পিকারের বাসভবনে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শহীদ জিয়ার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পনের মধ্য দিয়ে দিসবটির শুভ সূচনা করেন। দিনব্যাপী নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে বিকেলে সাবেক ডেপুটি স্পিকারের বাসভবনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায়  থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস.এম আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পীকার ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব আকতার হামিদ সিদ্দিকী নান্নু, অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন নওগাঁ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও সেচ্ছাসেবক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমিনুল হক বেলাল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আফতাব উদ্দিন মন্ডল, সহ-সভাপতি আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আঃ সাত্তার নান্নু, বিএনপি নেতা সদর ইউপি চেয়ারম্যন অব্দুল মান্নান চৌধুরী দুলাল, বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সাগর, থানা যুবদলের সভাপতি মোজাফ্ফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মন্টু, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ রাজু, থানা জাসাস সভাপতি সাংবাদিক এম. সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক আইনুল ইসলাম, থানা শ্রমিক দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, থানা মৎস্য দলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, থানা ছাত্রদলের আহবায়ক মাসুদুর রহমান মৃধা টিক্কা, যুগ্ন আহবায়ক হাফিজুর রহমান হাফিজ, সাইদুর রহমান, শামিম, ভুটান প্রমূখ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক বাচ্চু, প্রচার সম্পাদক মোঃ হাতেম আলী, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ওবায়েদ হোসেন হীরা, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মাইনুল হক। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন থানা যুবদলের প্রচার সম্পাদক মশিউর রহমান। আলোচনা সভা শেষে ক্লোজআপ ওয়ান তারকা আতিক চ্যানেল আই শিল্পী মুন ও উদীয়মান শিল্পী মেহেদী হাসান সহ অন্যান্য শিল্পীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।---ডিনিউজ
সিদ্ধিরগঞ্জে মাদক সম্রাজ্ঞী কালী ইয়াবা ও হেরোইনসহ গ্রেফতার

সিদ্ধিরগঞ্জে মাদক সম্রাজ্ঞী কালী ইয়াবা ও হেরোইনসহ গ্রেফতার


সিদ্ধিরগঞ্জ: সিদ্ধিরগঞ্জের কুখ্যাত মাদক সম্রাজ্ঞী জোহরা ওরফে কালিকে ইয়াবা ও হেরোইনসহ গ্রেফতার করেছে জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের একটি দল । এ সময় তার কাছ থেকে ৫ পিছ ইয়াবা ও ৩ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার আদমজী সুমিলপাড়া বিহরী ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে  মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানায়।  মাদক সম্রাজ্ঞী জোহরা ওরফে কালী আদমজী সুমিলপাড়া বিহরী ক্যাম্প এলাকার মৃত গোলাপ হোসেনের স্ত্রী।
এ ব্যাপারে জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মামলা নং ৩৪(৮)১৩।
উল্লেখ্য, কুখ্যাত মাদক সম্রাজ্ঞী জোহরা ওরফে কালী প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ এই অবৈধ মরন নেশা মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছে বলে এলাকাবাসী জানায়। তার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।----ডিনিউজ
কেশবপুরে হনুমান সংরক্ষেণে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান

কেশবপুরে হনুমান সংরক্ষেণে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান

কেশবপুর(যশোর): কেশবপুরের ঐতিহ্য বিরল প্রজাতির কালোমুখো হনুমান সংরক্ষণে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ ও বিভাগীয় বন বিভাগ, খুলনা বন্য প্রাণি ও প্রকৃতি সংরক্ষণ সার্কেলের আয়োজনে উপজেলার রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণি বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মোঃ ফিরোজ জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেন। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজুর রহমান, সাবেক সভাপতি আশরাফুজ্জামান খান, তপন কমিার ঘোষ মন্টু, অধ্যাপক অসিত মোদক, গাজী আবু বক্কর, দুলাল চন্দ্র সাহা, সাবেক চেয়ারম্যান আজগর আলী, মাওঃ গোলাম মোস্তফা প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি রামচন্দ্রপুর গ্রামের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।----ডিনিউজ
মৌলভীবাজারে কলেজছাত্র হত্যার বিচার দাবীতে মানববন্ধন

মৌলভীবাজারে কলেজছাত্র হত্যার বিচার দাবীতে মানববন্ধন


মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের শাহ মোস্তফা কলেজর মেধাবী ছাত্র এইচএসসি পরীক্ষার্থী রাজা মিয়া হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় প্রেসক্লাব সম্মুখে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
 মানববন্ধনে কলেজের শিক্ষাার্থীদের মধ্যে বক্তব্যে রাখেন মোঃ সুফিয়ান আহমদ, বাবলী বেগম, তারেক আহমদ, জগলু মিয়া, নোমান আহমদ প্রমুখ। বক্তারা রাজা মিয়ার হত্যার একমাত্র আসামী পারভেজের ফাঁসি দাবী করেন ও বিচার প্রক্রিয়া  দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।  
উল্লেখ্য, ২ মার্চ মৌলভীবাজার শহরের বড়কাপন এলাকায় ক্রিকেট মাঠে খেলাকে কেন্দ্র করে জৈনক পারভেজ আহমদ ক্রিকেটের ষ্ট্যাম্প দিয়ে রাজা মিয়াকে আঘাত করলে মূর্মর্ষ অবস্থায়  গত ৫ মার্চ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রাজার মারা যায়। এ ঘটনায় রাজা মিয়ার ভাই হাসনুর রহমান বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় পারভেজ আহমদকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে এ ঘটনায় আসামী পারভেজ আহমদ জেল হাজতে রয়েছে। ----ডিনিউজ
রাজাপুরের ফয়েজ মাষ্টারের অপকর্মের প্রতিবাদে মানববন্ধন

রাজাপুরের ফয়েজ মাষ্টারের অপকর্মের প্রতিবাদে মানববন্ধন

ফেনী: ঢাকার ভিকারুন্নেসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক পরিমলের মত দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর হাই স্কুল এন্ড কলেজে ফকির আহম্মদ ফয়েজ নামের আরেক পরিমলের সন্ধান পাওয়া গেছে। তার নানা অপকর্মের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে প্রাক্তণ শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভকালে ফয়েজ মাষ্টার সমর্থকদের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। খবর পেয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র, এলাকাবাসী ও অভিযোগের আলোকে জানা গেছে, আমুভূঞার হাট মাদরাসার কৃষি শিক্ষক থাকাকালীন যৌন হয়রানির দায়ে বহিস্কৃত ফয়েজ বিগত সরকার আমলে রাজাপুর স্কুলে নিয়মনীতি বহির্ভূতভাবে শিক্ষক পদে যোগদান করেন। এর আগে আমুভূঞার হাট ফোরকানিয়া মাদরাসার শিক্ষক থাকাবস্থায় এক শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ মেলামেশা করে ফয়েজ। বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেয়ে তাকে জুতা পেটা করে ঝাড়– মিছিল বের করে। একইভাবে প্রতিবেশী আবুল হায়াতের মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুললে এলাকা ছাড়া করা হয় তাকে। সেখান থেকে চট্টগ্রাম পূর্ব মাদার বাড়ী মাঝির ঘাট রোডে গৃহ পরিচারিকাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শারিরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি চাইলে তাকে অস্বীকার করায় ওই গৃহপরিচারিকা শালিস বৈঠকের তারিখ নির্ধারণ করলে সেখান থেকে রাতের আধারে পালিয়ে যায়। এরপর ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মহিপাল হোটেল নাইট হোল্ডে নিয়ে আসে। এখানে অপকর্ম অবস্থায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। এভাবে প্রাইভেট পড়ানোর নামে শিক্ষার্থীদের প্রথমে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। পরে একপর্যায়ে নিজ বাসায় ছাত্রীদের অসামাজিক কাজে বাধ্য করে। কয়েকজন বন্ধু নিয়ে রাজাপুর বাজারে কোচিং সেন্টার চালু করে। ওই সেন্টারে পতিতা এনেও অসামাজিক কার্যক্রম চালানোর সময় ওই ভবনের ভাড়াটিয়া ব্যংক কর্মকর্তার স্ত্রীর হাতে ধরা পড়ে। পরে শালিসি বৈঠকে তা মিমাংসা হয়। ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসী অধ্যক্ষের নিকট মৌখিক অভিযোগ করলে তিনি এক সপ্তাহ সময় নেন। এর কোন সমাধান না হওয়ায় ২২ আগস্ট ফয়েজের নানা অপকর্মের সংক্ষিপ্ত বিবরণ লিখিতভাবে অধ্যক্ষকে প্রদান করা হয়। অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানের সম্মানার্থে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও ফয়েজ আগবাড়িয়ে অন্য শিক্ষকদের নিয়ে লিফলেট প্রচার করে। তার বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করায় স্কুলের অধ্যক্ষকে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দেয় ফয়েজ। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে দাগনভূঞা থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।
ফয়েজ মাষ্টারের নানা অপকর্মের প্রতিবাদে এলাকাবাসী ও রাজাপুর হাই স্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তণ ছাত্র পরিষদের ব্যানারে বৃহস্পতিবার সকালে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বাজার থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি কিছুদূর এগিয়ে গেলে সংঘাতের আশংকায় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ফের তারা সংগঠিত হয়ে মিছিল নিয়ে কলেজ অঙ্গিনায় প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ বাধা দিতে চাইলে বিক্ষুদ্ধরা উত্তেজিত হয়ে উঠে। পরে পুলিশের সাথে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে রুদ্ধদার বৈঠকে স্বল্প সময়ের জন্য মানববন্ধনের অনুমতি দেয়া হয়। খবর পেয়ে ফয়েজ মাষ্টার সমর্থকরা মিছিল নিয়ে মানববন্ধনের দিকে এগিয়ে যেতে চাইলে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদিকে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী আরও জানায়, ফয়েজ মাষ্টার শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে বহিরাগত বখাটেদের নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা চালায়। স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে তারা পিছু হটে। এছাড়া একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থাকায় ফয়েজ মাষ্টার নির্বিঘেœ অপকর্ম চালিয়ে আসছে।
উল্লেখিত অভিযোগগুলো অস্বীকার করেন ফকির আহম্মদ ফয়েজ। তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের যে কোনটি সত্য প্রমানিত হলে তিনি স্বেচ্ছায় চাকরী ছেড়ে দিবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।

দাগনভূঞা থানার এস আই বদরুল জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বিক্ষুদ্ধদের জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রশাসনে স্মারক লিপি প্রদানের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।----ডিনিউজ
বাল্যবিয়ে : কনের বাবা-মা ও কাজীসহ ৮জনের জেল-জরিমানা

বাল্যবিয়ে : কনের বাবা-মা ও কাজীসহ ৮জনের জেল-জরিমানা


নোয়াখালী: নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৬নং কাবিলপুর ইউনিয়নের দক্ষিন সাহপুর গ্রামে সানজিদা আক্তার মুক্তা (১৫) নামের এক স্কুল ছাত্রীকে বাল্যবিয়ে দেওয়ার অপরাধে  কনের মা.তার বাবা,  চাচা, দাদা ও কাজীসহ ৮ জনকে ১৬ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৭দিনের কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রামমাণ আদালত। ওই ছাত্রী মোহাম্মদপুর রামেন্দ্র মডেল উচ্চ বিদ্যালয়(কল্যান্দীঘ) হাই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রামমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট জাহেদ হোসেন ছিদ্দিক এ রায় দেন।  দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছে কনের বাবা দিদারুল আলম সবুজ, মা দিলরুবা আক্তার, দাদা শরিয়ত উল্ল্যা, চাচা আব্দুল মালেক, বিয়ের কাজী মাসুদ, বিয়ের স্বাক্ষী ইয়াকুব ,দীন ও ইসলাম মসজিদের ইমাম।
নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ আগস্ট ২০১৩ ইং শুক্রবার উপজেলার কাবিলর্পু ইউনিয়নের দক্ষিণ সাহপুর গ্রামে সবুজ মিয়ার মেয়ে ও মোহাম্মদপুর রামেন্দ্র মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রণীর সানজিদা আক্তার প্রকাশ মুক্তা (১৫) কে বাল্য বিয়ে দেয় তার পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার তাদের নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির থাকতে বলা হয়। পরে বাল্য বিয়ে দেওয়ার অপরাধে ভ্রামমাণ আদালতের মাধ্যমে কনের বাবা, মা, চাচা, দাদা ও বিয়ের কাজীসহ ৮ জনকে জরিমানা ও কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট জাহেদ হোসেন ছিদ্দিক জানান, ১৯২৯সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের বাল্য বিয়ে দেওয়ার অপরাধে কনের বাবা, মা, চাচা, দাদা ,কাজী ও বিয়েরস্বাক্ষীসহ ৮ জন প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা করে মোট ১৬ হাজার টাকা জরিমানা ও তাদের প্রত্যেককে অনাদায়ে ৭দিনের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।----ডিনিউজ
গণতন্ত্র ও সাম্প্রদায়িকতার মধ্যে কোনো নিরপেক্ষ অবস্থান নেই : তথ্যমন্ত্রী

গণতন্ত্র ও সাম্প্রদায়িকতার মধ্যে কোনো নিরপেক্ষ অবস্থান নেই : তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদী-সাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে দেখতে না চাইলে তাদের বর্জন করুন।
 
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০১৩ উপলক্ষে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
 
তথ্যমন্ত্রী বলেন, "ন্যায় ও অন্যায়ের মধ্যে অথবা গণতন্ত্র ও সাম্প্রদায়িকতার মধ্যে কোনো নিরপেক্ষ অবস্থান নেই। হয় আমাদের দেশটাকে আফগানিস্তান-পাকিস্তান-সিরিয়ার পথে নিতে হবে, নয়তো মহাজোটের পক্ষ নিয়ে দেশকে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে নিতে হবে।"
 
ইনু বলেন, "সবার আগে আমরা মানুষ, তারপর আমরা বাঙালি, তারপর আমরা কেউ মুসলিম, কেউ হিন্দু, কেউ খ্রিস্টান, কেউ বৌদ্ধ বা অন্য ধর্মাবলম্বী। এটা বুঝলেই মানুষে মানুষে সংঘাত বন্ধ হবে। সে কারণেই বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে এদেশকে জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির হাত থেকে মুক্ত করতে হবে।"
 
শহীদ সোহরওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ বি এম মাকসুদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান ও মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সালান।----ডিনিউজ
আ.লীগ উন্নয়নের রাজনীতি করে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আ.লীগ উন্নয়নের রাজনীতি করে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী


সাতক্ষীরা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ আ.ফ.ম রুহুল হক বলেছেন, মানুষকে হত্যার রাজনীতি আওয়ামী লীগ করেনা। আ.লীগ উন্নয়নের রাজনীতি করে। কি করে দেশের সাধারন মানুষ দু-বেলা দু-মুঠো ভাত খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে,  জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সর্বদা সেই চেষ্টাই করছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। তিনি বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ২৭ কোটি বই ছাপিয়ে বিনামূল্যে তা ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে পৌঁছানো হয়েছে। গরীব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনা, মেয়েদের পড়াশুনা অবৈতনিক করা হয়েছে। সারাদেশে ১ লক্ষ ৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকাকে জাতীয়করণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আর এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী আগামী ২০১৪ সালের নির্বাচনে আবারো শেখ হাসিনার সরকারকে ভোট প্রদান করে ক্ষমতায় আনার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। 
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বৃহষ্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার দক্ষিন পারুলিয়া গ্রামে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুজিবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ প্রশাসক মুনসুর আহমেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান এড. স. ম. গোলাম মোস্তফা, সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল হক ও দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনম তরিকুল ইসলাম। মন্ত্রী এখানে ৩৬ টি পরিবারের মাঝে বিদ্যুতের নতুন সংযোগের উদ্বোধন করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে দেবহাটা থানার ওসি আব্দুল বারী, পল্লী বিদ্যুতের ভারপ্রাপ্ত জিএম কামরুল ইসলাম গোলজার, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু রায়হান, সাংগঠনিক সম্পাদক আরশাদ আলী, আওয়ামীলীগ নেতা অহিদুল ইসলাম, পল্লী বিদ্যুতের এলাকা পরিচালক আকসাদ হোসেন মন্টু, পারুলিয়া ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্কা রানীসহ আওয়ামীলীগ ও সকল অঙ্গ সহেযাগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 
অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগের নিহত সকল নেতা-কর্মীদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে পরিচালনা করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুল হক ও উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম। 
এর আগে মন্ত্রী সন্ত্রাসী হামলায় নিহত শ্রমিকনেতা আলমগীর হোসেনের কবর জিয়ারত করেন এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গের সাথে দেখা করেন। শেষে মন্ত্রী উপজেলার চাঁদপুর আতাপুর এলাকায় ১৩৫ টি পরিবারের মাঝে বিদ্যুতের নতুন সংযোগের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবর রহমান।----ডিনিউজ
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নিবাচনে যাবে না বিএনপি : ফখরুল

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নিবাচনে যাবে না বিএনপি : ফখরুল

মানিকগঞ্জ: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দশম জাতীয় সংসদ নিবাচনে অংশ গ্রহন করবে না বিএনপি গতকাল বৃহ¯প্রতিবার নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দশম জাতীয় সংসদ নিবাচনের দাবীতে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত কর্মী সমাবেশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেছেন। 
মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপ্রতিত্বে মানিকগঞ্জ বিজয় মেলার মোঠে আয়োজিত কর্মী সমাবেশে মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ১৯৭১ থেকে ৭৫ সালে বর্তমান প্রধান মন্ত্রীর পিতা দেশের মানুষকে লবন খাওইয়েছে ৮০ টাকা কেজি। আর এখন তার কন্যা শেখ হাসিনা মানুষকে পিয়াজ খাওয়াচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। ৭১-৭৫ সালে শেখ মুজিবের রক্ষি বাহিনী মানুষ মেরেছে। আর ওনার কন্যা বর্তমানে মানুষকে মারছে পাখির মতো গুলি করে।
কর্মী সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাইন্সিলের সদস্য সাবেক দপ্তর বিহীন মন্ত্রী হারুণার রশীদ খান মুন্নু। বিএনপির জাতীয় নিবাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিবেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্ত।
প্রয়াত মহাসচিবের কবর জিয়ারত: প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পাচুরিয়ার পারিবারিক কবরাস্থানে প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের কবর জিয়ারত করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বি.এন.পি) র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার দুপুরে কবর জিয়ারত করেন তিনি।
এ সময় ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাথে উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত মহাসচিবের দুই ছেলে মানিকগঞ্জ জেলা বি.এন.পির সহ সভাপতি খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু এবং জেলা  বিএনপির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু, মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা, সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্তসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।----ডিনিউজ
সকল দলের অংশ গ্রহনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : যোগাযোগমন্ত্রী

সকল দলের অংশ গ্রহনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : যোগাযোগমন্ত্রী

নোয়াখালী: বিরোধীদল আমাগী নির্বাচন নিয়ে যে আশঙ্কা করছে তা অমূলক। নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পল্লী উন্নয়ন ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচী শীর্ষক (আরইআরত্রমপি) প্রকল্পের আওতায় দুঃস্থ  মহিলাদের মধ্যে সঞ্চয়ের টাকা বিতরণের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন,  আমি এই এলাকার কারো সাথে কোন দ্বন্দ্বে যাবোনা। তাৎক্ষণিক কোন ওয়াদা বা কথা  তাৎক্ষণিক কোন সুবিধা নেওয়ার জন্য আমি বলবো না। এটা জনগণের সাথে ধোঁকাবাজি, এটা রাজনীতিবিদদের আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে জনগণের মাঝে। নেতা যদি কথা দিয়ে কথা না রাখে জনগন কার কাছে যাবে। আগামী নির্বাচন অতীতের মতো সকল দলের অংশ গ্রহনে অনুষ্ঠিত হবে। জনমতের হাওয়া যেদিকে যাবে, তারাই আগামী নির্বাচনে জয়ী হবে।সরকারের স্বরূপ বড় কথা নয়। নির্বাচনকালিন সরকার নির্বাচন কমিশনকে কতটুকু নিরপেক্ষ রেখেছে ত্রবং নির্বাচন নিরপেক্ষ হল কিনা ত্রটিই হচ্ছে দেখার বিষয়। সরকার প্রশাসনের কাছে দল বাজি চায় না, নিরপেক্ষতা চায়। আসামী ধরতে গিয়ে যেন গোপন হাতের লেনদেন মুখ্য হয়ে না উঠে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যন্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক (ডিসি)মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, নোয়াখালী পুলিশ সুপার, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, সম্পাদক।---ডিনিউজ
দেশে অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে : তরিকুল

দেশে অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে : তরিকুল

ঝিনাইদহ: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম বলেছেন, দেশে অঘোষিত জরুরী অবস্থা চলছে। বর্তমান সরকারের আমলে দেশে হত্যা, গুম, নির্যাতন বেড়েই চলেছে। সরকার বেছে বেছে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে গুম করছে, তারপর তাদের হত্যা করছে। সারা দেশে হত্যা-গুমের রাজনীতি চলছে উল্লেখ করে তরিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে তারা গুম করেছে। আজও তিনি ফিরে আসেননি। এছাড়া বিএনপির ১৫৭ জন নেতাকর্মী আজও ঘরে ফিরে আসেনি। দলীয় নেতা-কর্মী হওয়ায় হত্যাসহ সাড়ে সাত হাজার মামলা প্রত্যাহার করেছে এবং ৫০ হাজার আসামী মুক্তি দিয়েছে আওয়ামীলীগ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের প্রিয়া সিনেমা হল মিলনায়তনে জেলা বিএনপি আয়োজিত যৌথ কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তরিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বিএনপি সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে। জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটে আওয়ামীলীগ সরকারের মদদে। সন্ত্রাসীদের ছেড়ে দিয়ে হাসিনা নীরিহ নিরাপরাধ বিএনপি কর্মীদের হাজতে ভরছে। হাজতে এখন আর তিল ধারণের ঠাই নেই। 
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মী সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু এবং জাসাসের সাধারণ সম্পাদক কন্ঠশিল্পী মনির খান। কর্মী সভায় জেলার ৬ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জেলা শহরে একটি বর্ণাঢ্য মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা বের করা হয়। ---ডিনিউজ
শেখ হাসিনা একদিন ক্ষমতায় থাকলে দেশ এক বছর পিছিয়ে পড়বে : কাদের সিদ্দীকি

শেখ হাসিনা একদিন ক্ষমতায় থাকলে দেশ এক বছর পিছিয়ে পড়বে : কাদের সিদ্দীকি

ঢাকা : শেখ হাসিনা একদিন ক্ষমতায় থাকলে দেশ এক বছর পিছিয়ে পড়বে বললেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকি। এদেশের জনগণ আর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। হাসিনর উচিত সম্মানের সাথে তাড়াতাড়ি বিদায় নেয়া।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে দুপুরে দিগন্ত টেলিভিশনের সম্প্রচারের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদী অবস্থান ও সংহতি বন্ধন অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ইনু তথ্যমন্ত্রী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের জমিদারদের কাচারি ঘরের দরজার সামনে যাওয়ার যার যোগ্যতা নেই, তার সঙ্গে দিগন্ত টিভির জন্য দেন দরবার করে কোনো লাভ নেই।

তিনি বলেন, দিগন্ত টিভি বন্ধ করে সরকার ভালো কাজ করেনি। সরকার যদি ৫ মে দিগন্ত টিভি বন্ধ না করতো তাহলে তাহলে সেদিন হাজার হাজার মানুষ যে মারা যায়নি,  তার জবাব সরকারের মন্ত্রীরা দিতে পারতো।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ, কল্যাণ পার্টির সভাপতি লে, জে (অব.) ইব্রাহীম বীরপ্রতিক, জাগাপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ নেজামী, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কবি আবদুল হাই শিকদার, নয়াদিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ। ---ডিনিউজ
বিদেশিদের উদ্দেশে নাসিম: বন্ধু হয়ে থাকুন,প্রভু হওয়ার চেষ্টা করবেন না

বিদেশিদের উদ্দেশে নাসিম: বন্ধু হয়ে থাকুন,প্রভু হওয়ার চেষ্টা করবেন না

ঢাকা : আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বিদেশিদের উদ্দেশে বলেছেন, 'বন্ধু হয়ে থাকুন, প্রভু হওয়ার চেষ্টা করবেন না।'

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে তাঁতী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যৌথভাবে এই শোক দিবসের আলোচনা সভার আয়োজন করে।

নাসিম বলেন, 'বিদেশি বন্ধুদের বলতে চাই, আপনারা আমাদের বন্ধু, বন্ধু হয়েই থাকুন। প্রভু হওয়ার চেষ্টা করবেন না। রক্ত দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি।'

নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আপনারা স্বাধীন ও শক্তিশালী কমিশন। কারো পরামর্শ শুনবেন না। প্রয়োজনে আপনাদের আরো ক্ষমতা দেয়া হবে। অহেতুক কারো পরামর্শ শুনবেন না।

তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন সাড়ে ছয় হাজারের বেশি নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। একটি নির্বাচন নিয়েও কেউ অভিযোগ তুলতে পারেনি। ইতোমধ্যে কমিশন মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, সুষ্ঠ নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনে আপনাদের (নির্বাচন কমিশনকে) আরও ক্ষমতা দেয়া হবে।

বিএনপিকে প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে সরে আসার আহ্বান জানান মোহাম্মদ নাসিম। তিনি তাদের বলেন, জনগণের কাছে থাকলে চাইলে জামায়াত-শিবির, হেফাজতের সঙ্গ ত্যাগ করুন। তাহলে হয়ত জনগণ আপনাদের আস্থায় নিতেও পারে। আর তা না হলে আপনারা ইতিহাসের আস্তকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন। অহেতুক মাঠ গরম করবেন না। জামায়াত-শিবির, হেফাজতকে মাঠে নামাবেন না।

বিএনপিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র বলেন বলেন, সঠিক সময়েই নির্বাচন হবে। আমরা এ লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। আপনারাও প্রস্তুতি নিন। আমাদের নেত্রী সাড়ে চার বছরের যে উন্নয়ন করেছেন তা দেখিয়ে জনগণের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়া হচ্ছে। আমরাও ১ তারিখ থেকে ১৫টি টিম পাড়া-মহল্লা, গ্রামে গ্রামে যাবো। আমাদের ভুলত্রুটি থাকতে পারে। তা শুধরে আগামীতে ক্ষমতায় আসতে চাই। যে উন্নয়ন দেশে হয়েছে-তার আলোকেই জনগণ আবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।

মহানগর দক্ষিণ তাঁতী লীগের সভাপতি আব্দুস ছাত্তারের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সোবহান গোলাপ, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ সেলিম, তাঁতী লীগের আহ্বায়ক এনাজুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক খগেন্দ্র নাথ প্রমুখ।---ডিনিউজ