Sunday, January 20

:: এলজিএসপির প্রকল্প তদন্তকালে!!কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের দু’পক্ষের মধ্যে তুলকালাম কান্ড ::

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ রবিবার কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের ২০১০-১১ অর্থ বছরের এলজিএসপি প্রকল্পের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতি এবং অর্থ আত্মসাতের ঘটনার সরজমিন তদন্তকালে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও আহতের ঘটনায় তোলকালাম কান্ড ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, এলজিএসপির বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ না করে টাকা আত্মসাৎ ও অনিয়ম দূনীতির অভিযোগ এনে সম্প্রতি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্থানীয় কিছু লোকজন বাদী হয়ে সরকারের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ উপজেলা প্রকৌশলী রিয়াজ মাহমুদের নেতৃত্বে স্থানীয় এলজিইডির একদল কর্মকর্তা ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে ২০১০-১১ অর্থ বছরের এলজিএসপি প্রকল্পের কাজ তদন্ত করতে যান। এক পর্যায়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বুরহান উদ্দিন সড়ক হইতে কচুপাড়া ইটসলিং রাস্তা তদন্তের সময় প্রকৌশলী রিয়াজ মাহমুদ গত বছর এ রাস্তায় কোন ইটসলিংয়ের কাজ হয়েছে কিনা স্থানীয় মাষ্টার ফয়জুল হকের পুত্র বিলাল আহমদের কাছে জানতে চান। সে কোন কাজ হয়নি উল্লেখ করলে এ সময় উপস্থিত উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নাজমুল ইসলাম হারুন, ছাত্রলীগ নেতা মারুফ আহমদসহ আরো কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানের পক্ষ নিয়ে বিলাল আহমদকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। এসময় তার চাচা সাহাব উদ্দিন ও এলাকার লোকজন তাকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসলে তাদের উপরও আক্রমণ করে। এতে এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে পাল্টা হামলার চেষ্টা করলে হারুন-মারুফসহ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী চটিগ্রামের ইসরাক আলীর বাড়ীতে গিয়ে আশ্রয় নেন এবং সরকারী কর্মকর্তারাও নিরাপদে চলে যান এ সময় ছাত্রলীগ কর্মীদের দু’টি মোটরসাইকেল আটক করে স্থানীয় লোকজন। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে এক পর্যায়ে দ্রুত কানাইঘাট থানার সিনিয়র সাব-ইন্সপেক্টর মাসুদ পারভেজের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ও মোটর সাইকেল দুটি উদ্ধার করেন। স্থানীয় মুরব্বি মাষ্টার ফয়জুল হক, মৌলভী মালিক মিয়া, শামীম আহমদ, ফয়জুল হাসান, হেলাল আহমদ ও রফিক মিয়াসহ আরো অনেকে জানিয়েছেন, বিগত বছরে কচুপাড়া রাস্তায় কোন ধরণের ইটসলিংয়ের কাজ হয়নি। এছাড়া বীরদল বাজার একতা সড়কে নামমাত্র ইটসলিংয়ের কাজ করা হয়েছে। তদন্তের সময় তারা সরকারী কর্মকর্তাদের এলজিএসপির অর্থায়নে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের অনিয়ম, দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করলে চেয়ারম্যানের সাথে থাকা সদর ইউপির নাগরিক নন নাজমুল ইসলাম হারুন সহ আরো অনেকে স্থানীয় লোকজনকে হুমকী ধমকিসহ কয়েকজনকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে। তবে ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে এলজিএসপির টাকা আত্মসাৎ ও বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে যে অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বলেন, তিনি সুষ্ঠুভভাবে সবকটি প্রকল্পের কাজ করেছেন। নির্বাচনকেন্দ্রিক বিরোধ নিয়ে প্রতিহিংসার বশঃবর্তী হয়ে তার বিরুদ্ধে এ অপপ্রচার করা হচ্ছে। আজকের ঘটনাটি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে তাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য। ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল ইসলাম হারুন জানান, স্থানীয় কিছু বখাটে প্রকৃতির লোক সরকারী কাজের তদন্তের সময় বাধা দিলে আমরা এর প্রতিবাদ করলে আমাকেসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উপর হামলা চেষ্টা করা হয়। উপজেলা প্রকৌশলী রিয়াজ মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ২০১০-১১ অর্থবছরের সদর ইউনিয়নে এলজিএসপির উন্নয়নমূলক কাজে দুর্নীতির অভিযোগ এনে এলাকাবাসী কর্তৃক দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমি প্রকল্পগুলো সরজমিন তদন্ত করেছি। তদন্তের স্বার্থে এ মুহুর্তে সবকিছু বলা যাচ্ছে না বলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।





শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়