Friday, June 29

কুশিয়ারায় পানি বৃদ্ধিঃ কানাইঘাটে দুই ইউ,পির বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

কুশিয়ারায় পানি বৃদ্ধিঃ কানাইঘাটে দুই ইউ,পির বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

কানাইঘাটে সুরমা ও লোভার পানি বৃদ্ধি হ্রাস পাওয়ায় কানাইঘাট পৌরসভা, ১নং লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউপি, ২নং লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউপি, চতুল ইউপি ও ৬নং সদর ইউপির বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বিভিন্ন আশ্রয় শিবির থেকে বন্যার্ত লোকজন নিজ নিজ ঘর বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন। তবে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাতবাঁক ও দিঘীরপার ইউপির সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এছাড়া রাজাগঞ্জ ও ঝিঙ্গাবাড়ী ইউপির নিুাঞ্চল ক্রমশ প্লাবিত হচ্ছে। এসব দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। সাতবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার ফয়জুল ইসলাম, দিঘীপার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী জানিয়েছেন দুর্গত লোকদের মাঝে যেসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে তাহা মোটেও পর্যাপ্ত নয়। বাণবাসী এসব মানুষের জন্য জরুরী ভিত্তিতে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় বিত্তশালী এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প থেকে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এদিকে বন্যা দুর্গত এলাকায় পশু খাদ্যেরও চরম সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। কানাইঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সোহরাব হোসেন জানিয়েছেন এ পর্যন্ত সরকারী ভাবে প্রাপ্ত ৩৬ টন রিলিফের চাল ও নগদ ৮০ হাজার টাকা বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। বন্যা দুর্গত মানুষের জন্য আরোও রিলিফ বরাদ্দের জন্য কর্তৃপ বরাবরে আবেদন জানানো হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের প থেকে নিয়োজিত ম্যাজিষ্ট্রেট মিনহাজ উদ্দিনের সাথে তিনি পুরো উপজেলায় ত্রাণ বিতরণ মনিটরিং করছেন।
ফাইনালে ইতালি

ফাইনালে ইতালি

বিশ্ব রেকর্ড টানা ১৫টি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচজয়ী জার্মানিকে বিদায় করে ফাইনালে ইতালি।বৃহস্পতিবার ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইতালির জয় হয়েছে ২-১ ব্যবধানে।ম্যাচের শুরু দুই দলই ভোল খেলতে থাকে। বল দখলের লড়াই ও আক্রমণে প্রতিপক্ষের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণাত্মক ফুটবলই খেলছিল সিজার প্রাণদেল্লির দল। আর বালোতেল্লি জার্মানির রক্ষণে ভীতি ছড়াচ্ছিলেন।প্রথমটি ২০ মিনিটে। সেটি আরেক �ব্যাড বয়� আন্তোনিও কাসানোর চিপ থেকে করা জোরালো হেডে। ১৫ মিনিট পরেই জার্মানদের ম্যাচ থেকে একরকম ছিটকে দিয়ে করেন দ্বিতীয় গোল। �আধেক জার্মান� রিকার্ডো মন্তোলিভোর লং বল খুঁজে নিয়েছিল ওত পেতে থাকা বালোতেল্লিকে। দারুণভাবে বল রিসিভ করে বক্সের সামান্য বাইরে থেকে আগুন ঝরানো শটে লক্ষ্য ভেদ করেন ২১ বছর বয়সী স্ট্রাইকার।রোববারের ফাইনালে ইতালির প্রতিপক্ষ স্পেন।
আপলোড তারিখ : 2012-06-29 খবর;-ফেয়ার নিউজ

Thursday, June 28

কানাইঘাটে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতিঃ ত্রাণ অপ্রতুল্য

কানাইঘাটে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতিঃ ত্রাণ অপ্রতুল্য

নিজাম উদ্দিন/কাওছার আহমদ

কানাইঘাট পৌর এলাকার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার হাজার হাজার মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে অনাহারে অর্ধহারে জীবন যাপন করছেন। শত শত ুধার্ত মানুষকে ত্রাণের অপোয় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জড়ো হতে দেখা গেছে। তবে তারা ত্রাণ সামগ্রী পান নি। ৯০ শতাংশ পুকুর বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এবং ডিপ টিউবয়েল, নলকূপ বিকল হয়ে যাওয়ায় সর্বত্র বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বাধ্য হয়ে অনেকে বন্যার ময়লাযুক্ত পানি খেয়ে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। সরকারীভাবে উপজেলায় বন্যা দুর্গতদের জন্য মাত্র ৩৬মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৮০হাজার টাকা বরাদ্ধ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে অপ্রতুল্য বলে স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনও পর্যন্ত বানবাসী মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী পৌছেনি। দু’একদিনের মধ্যে সরকারীভাবে বরাদ্ধকৃত ত্রাণ সামগ্রী ৯টি ইউনিয়নে বিতরণ শুরু হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। বন্যায় সবচেয়ে তিগ্রস্থ ১নং লীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নে সরকারীভাবে বরাদ্ধ প্রাপ্ত ৪ মেট্রিক টন চাল নগদ আট হাজার টাকা ও খাবার স্যালাইন বানবাসী মানুষের মাঝে ঘুরে ঘুরে বিতরণ করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, সিলেটের অতিরিক্ত একজন জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ডাঃ ফয়েজ আহমদ। এছাড়া সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মিজানুর রহমান আজ বৃহস্পতিবার কানাইঘাট, পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি কানাইঘাট পৌরসভার উদ্যোগে রামিজা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। কানাইঘাট পৌরসভার পৌরসভার মেয়র লুৎফুর রহমান, পৌর এলাকার কয়েকশত বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম. সোহরাব হোসেন, আ’লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন আল মিজানসহ পৌরসভার কাউন্সিলাররা উপস্থিত ছিলেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ইতিমধ্যে সরকারীভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল ও নগদ টাকা বরাদ্ধ করা হয়েছে। বরাদ্ধের পরিমাণ আরো বাড়বে বলে তিনি জানিয়েছেন। এদিকে কানাইঘাট বাজার ও উপজেলা সদরের অনেক স্থান থেকে বন্যার পানি নেমে গেলেও ব্যাপক জলাবদ্ধতার কারণে জনদুর্ভোগ মারাত্মক আকার ধারন করেছে। তলিয়ে যাওয়া কানাইঘাট-দরবস্ত ও গাজী বুরহান উদ্দিন সড়ক থেকে পানি নেমে গেলেও এ দুটি সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ উঠে বিরাট বিরাট গর্তের সৃষ্টি ও রাস্তা দেবে যাওয়ায় সিলেটের সাথে কানাইঘাটের ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি বেড়েছে কয়েকগুণ। সরকারীভাবে অপ্রতুল্য ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্ধ দেওয়ায় ােভ প্রকাশ করেছেন ৯টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বানবাসী মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে কানাইঘাটকে বন্যা দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবী জানিয়েছেন তারা। সেই সাথে সরকারীভাবে প্রতিদিন বন্যার্তদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরনের দাবী তাদের। এদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ শুরু হয়েছে। গত দু’দিন উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে সাবেক সংসদ সদস্য জামায়াত নেতা অধ্য মাওঃ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বানবাসী মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। উপজেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে ১নং লীপ্রসাদ, ২নং লী প্রসাদ পশ্চিম, ৩নং দিঘীর পার পূর্ব ও ৪নং সাঁতবাক ইউনিয়নের বন্যা আক্রান্ত বিভিন্ন গ্রামের নারী পুরুষের মাঝে চিরা, মুড়ি, গুড়, ঔষধপত্র বিতরণ করেন। ত্রাণ বিতরণ কালে জমিয়ত নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাওঃ এবাদুর রহমান, মুফতি এহসান উল্লাহ, মাওঃ হেলাল আহমদ, পৌর জমিয়ত নেতা মাওঃ খালিদ আহমদ,মাওঃ নজরুল ইসলাম, প্রবাসী জমিয়ত নেতা হাফিজ মাহমুদ হোসেন, হাফিজ ইকবাল, মাওঃ নুরুল ইসলাম, হাফিজ হেলাল প্রমুখ।
৩৬ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম বিমান চলাচল শুরু

৩৬ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম বিমান চলাচল শুরু

৩৬ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম বিমান যোগাযোগ শুরু হয়েছে। হযরত শাহ আমানত বিমানবন্দরে উঠানামা শুরু করেছে বিমান।বিমানবন্দরের রানওয়েতে জমে থাকা পানি সরে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় দুটো বিমান অবতরণ করে। প্রবল বর্ষণের কারনে মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিমান উঠানামাসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। বিমানবন্দরের রানওয়ে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলাম অভিযোগ করেন, পানি নিস্কাশনের জন্য দফায় দফায় সাহায্য চেয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন থেকে কোন সাড়া মেলেনি। পরে সমালোচনার মুখে সিটি কর্পোরেশন বিকেল ৪টায় পানি নিস্কাশনের জন্য একটি দল পাঠায় বিমানবন্দরে। বিমাবন্দর কর্র্র্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ড্রেন পরিস্কার করার পর রানওয়ের পানি সরতে শুরু করে। পাশের দরিয়াখালের পানি অপসারণ করা হলে বিমান চলাচল উপযোগী হয়ে উঠে রানওয়ে। এরপরই শুরু হয় বিমান চলাচল।
আপলোড তারিখ : 2012-06-28 খবর:-ফেয়ার নিউজ
৩৩তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

৩৩তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) গতকাল বৃহস্পতিবার তেত্রিশতম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে। পিএসসির ওয়েসবাইট থেকে এ ফল জানা যাবে। এছাড়া টেলিটক মোবাইল থেকে ইঈঝ লিখে একটি স্পেস দিয়ে ৩৩ লিখে স্পেস দিয়ে রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়েও ফল পাওয়া যাবে।উল্লেখ্য, গত ১ জুন ৩৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারী পরীক্ষা হয়। ৪ হাজার ২০৬টি শূন্য পদের বিপরীতে এতে অংশ নেন এক লাখ ৯৩ হাজার ৫৯ পরীক্ষার্থী। খবর:-ফেয়ার নিউজ
আপলোড তারিখ : 2012-06-28

Wednesday, June 27

কানাইঘাটে ত্রাণের অপেক্ষায় পানিবন্দী লক্ষাধিক মানুষ

কানাইঘাটে ত্রাণের অপেক্ষায় পানিবন্দী লক্ষাধিক মানুষ

নিজাম উদ্দিন/কাওছার আহমদ:

গত ৩দিনের টানা বর্ষণ ও আকর্ষিক ভয়াবহ পাহাড়ী ঢলে বন্যা কবলিত কানাইঘাট উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে কানাইঘাট পৌর এলাকার কিছু কিছু অংশ ও কানাইঘঅট বাজার থেকে বন্যার পানি কিছুটা নেমে গেছে। গাজী বোরহান উদ্দিন ও সিলেট দরবস্ত-কানাইঘাট সড়কের অনেক অংশ তলিয়ে যাওয়ায় সব ধরনের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বন্যার পানির তীব্র স্রোতে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পাকা সড়ক ও ৫০০ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা মারাত্মক তি সাধিত হয়েছে। রাস্তার অনেক অংশ ভেঙ্গে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় উপজেলার সাথে অনেক ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মক বিঘœ ঘটছে। এদিকে সরকারীভাবে অপ্রতুল্য ত্রাণ সামগ্রী উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনও পর্যন্ত না পৌছায় অনাহারে-অর্ধাহারে দিন যাপন করছেন পানি বন্ধি লাধিক বানবাসী মানুষ। বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে শত শত বন্যা দুর্গত ুধার্থ মানুষ। ুধার্ত শিশুর আর্ত চিৎকার ও বস্ত্রহীন মায়ের বুকফাটা কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে বন্যা দুর্গত এলাকার বাতাস। একমুঠো ত্রাণের অপোয় পথ চেয়ে বসে আছে বন্যা কবলিত এলাকার লোকজন। উপজেলা পরিষদ, প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপ নাম মাত্র ত্রাণ তৎপরতা শুরু করলেও পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণের অভাবে হাহাকার করছে বন্যা কবলিত পরিবারগুলো। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, গত ৩দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুরমা, লোভা, সুরই, নুন ও ডোনা নদীর দু’তীর ডুবে গিয়ে কানাইঘাট পৌরসভা, লীপ্রসাদ পুর্ব ইউনিয়ন, লীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়ন, সাতবাক, কানাইঘাট সদর, বড় চতুল, ৩নং দিঘীরপাড় পূর্ব ৭নং দণি বানীগ্রাম, ৮নং ঝিংগাবাড়ী, ৯নং রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে ২শতাধিক গ্রাম। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন লাধিক লোক। বানে আক্রান্ত অনেকে ঘরের টিনের চালায়, গাছের ডালে ওঠে নিজের জীবন রা করলেও ঘরের মূল্যবাণ জিনিসপত্র ও গবাদি পশু রা করতে পারে নি। সমগ্র উপজেলার প্রায় হাজার খানেক কাঁচাঘর বানের পানিতে ভেঙ্গে গেছে। খোলা আকাশের নিচে বাস করছে এসব গৃহহীন পরিবার। কানাইঘাট পৌর শহরের বেশ কয়েকটি গ্রাম এখনও পানির নিচে রয়েছে। এবারের বন্যায় অতিতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে ভয়াবহ তি সাধিত হয়েছে। কানাইঘাট পৌরসভার মেয়র লুৎফুর রহমান জানান পৌরসভার রাস্তাঘাট, বিভিন্ন শিা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী ও পৌরবাসীর কোটি কোটি টাকার তি সাধিত হয়েছে। বন্যা আক্রান্ত গ্রামগুলির মধ্যে পৌরসভার নন্দিরাই, নওয়াখলা, ধর্মপুরের একাংশ, গবিন্দপুর, মহেষপুর, ডালাইচর, বিষ্ণুপুর, শিবনগর, নিজ চাউরা দণি ফাটাহিজল, শ্র্রীপুর, ১নং লী প্রসাদ ইউনিয়নের সতিপুর, বাজেখেল, মেছা, কান্দলা, উজান ফৌদ, নক্তিপাড়া, ভাটিবারাপৈত, সাউদগ্রাম, ভালুকমারা, নয়াখান, কাড়াবাল্লা, মন্তাজগঞ্জ ২নং লীপ্রসাদ ইউপি’র নিহালপুর, লীপ্রসাদ দণি, লোভারমুখ, কুওরঘড়ি, গুরকপুর, লামার গ্রাম, নয়াগ্রাম, নিহালপুর, হালাবাদী, নয়াগ্রাম, বাউরভাগ, আসামপাড়া, নয়াখেল, রাজার মাটি, ৪নং সাঁতবাক ইউপি’র চরিপাড়া, নয়াগ্রাম, পাত্রমাটি, চাপনগর, ভাড়ারি মাটি, লালারচক, জুলাই, সাঁতপাড়ি, ভবানীগঞ্জ, জয়পুর, ৬নং সদর ইউনিয়নের গোসাইনপুর, সোনাপুর, গবিন্দপুর, সুতারগ্রাম, নিজ গবিন্দপুর, জৈন্তিপুর, ছোটদেশ, ভাটিদিহি, উমাগড়, কচুপাড়া, বড়কান্দি, নিজ চাউরা উত্তর, ৫নং বড়চতুল ইউনিয়নের সোনাতুলা, মালীগ্রাম, কুড়ারপাড়, রায়পুর, হারাতৈল, দলইকান্দি, বেতু, সরুফৌদ, নয়াগ্রাম, কাজীর গ্রাম, আগফৌদ, পূর্বের ভাড়াই কাজির পাতন, বাঘার আগড়, রাউত গ্রাম, দুর্গাপুর, ৭নং দণি বানীগ্রাম ইউনিয়নের সরদারী পাড়া, নয়গ্রাম, ছত্রপুর, দণি বড়দেশ, নিজ বাউরভাগ, উজানীপাড়া, সাউদগ্রাম, বানীগ্রাম, মানিকগঞ্জ, বড়দেশ দণি, বড়দেশ উত্তর, ৮নং ঝিংগাবাড়ী ইউনিয়নের আমরপুর, গর্দনাকান্দি, ভাটরকোন, মিরার ছটি, বাধাইর পার, গোয়ালজুর, নারাইনপুর, চৈলতাবাড়ী, দর্জিমাটি, ফাগু, বাঁশবাড়ী, এবং ৯নং রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের খালপার, ফালজুর, নিজ রাজাগঞ্জ, খোয়াজপুর, তালবাড়ী, লোহাজুরী, লুন্টির পাহাড়, আতলার পাহাড়, কুছি গাং গ্রাম মারাত্মকভাবে তিগ্রস্ত হয়েছে। কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী জানান, সমগ্র উপজেলা বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। এই মুহুর্তে পানিবন্দী মানুষের মুখে ত্রাণ দিয়ে সহযোগিতা করতে সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্য সিরাজুল ইসলাম, সাঁতবাক ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার ফয়জুল ইসলাম, ২নং ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী, ১নং ইউপি চেয়ারম্যান ডাঃ ফয়াজ আহমদ, আব্দুল মুমিন চৌধুরী বলেন পাহাড়ী ঢলে ও বানের পানিতে সবচেয়ে বেশি তিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ইউনিয়নগুলো। এসব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাদের নিজ নিজ এলাকায় দ্রুত বানবাসী মানুষের জন্য ত্রাণ সামগ্রী প্রেরণের দাবী জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম.সোহরাব হোসেন জানান উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৬টন চাল বরাদ্ধ করা হয়েছে এবং জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় এম.পি হাফিজ আহমদ মজুমদারকে বন্যার সার্বিক বিষয় অবহিত করা হয়েছে। তাদের মাধ্যমে আরো বরাদ্ধ আসবে। স্থানীয় সাংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ মজুমদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বন্যা কবলিত এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমান ত্রাণ ও বানবাসীদের সর্বাত্মক সহযোগীতার জন্য ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। পানিবন্দী মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য সরকারের পাশাপাশি দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এগিয়ে আসারও আহব্বান জানিয়েছেন তিনি। অপরদিকে গতকাল কানাইঘাট-জামায়াত নেতা অধ্য মাওঃ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, কানাইঘাট পৌর শহরে ডালাইচর রামিজা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে, কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজ, পাবলিক স্কুল, কানাইঘাট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণ বিতরণের খবর পাওয়া গেছে।
পাহাড় ধসে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামে ৮৩ জন নিহত

পাহাড় ধসে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামে ৮৩ জন নিহত

প্রবল বর্ষণে সৃস্ট পাহাড় ধসে গত রাতে আরো ৫৪ জন প্রাণ হারানোর ফলে বান্দরবান, কক্সবাজার ও বন্দর নগরীতে দু�দিনে মৃতের সংখ্যা ৮৩তে দাঁড়িয়েছে।সূত্র জানায়, বুধবার পর্যন্ত কয়েক দফা পাহাড় ধসে বান্দরবানে ৩২ জন, কক্সবাজারে ৩৪ জন এবং বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ১৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন।বাসস�র বান্দরবান সংবাদদাতা জানিয়েছেন, জেলার লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় মঙ্গলবার রাতে ভয়াবহ পাহাড়ধসে ১৩ শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী ৩২জন নারী-পুরুষ নিহত এবং ২শতাধিক মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন।এসব এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনায় এখনো ১০জন গ্রামবাসী নিখোঁজ রয়েছেন। অসংখ্য গবাদি-পশু এবং ২শতাধিক ঘর-বাড়ি মাটিতে চাপা পড়েছে।লামা উপজেলার ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম, সদস্য মো.জোবায়ের, শহিদুল্লাহ মিন্টু এবং এমুইচিং মার্মার নেতৃত্বে গ্রামবাসী, সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা নিহতের লাশসহ আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়েছে।ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম জানান, এ ইউনিয়নের মগনামা পাড়া ও রাইমাখোলা গ্রামে মঙ্গলবার রাতে প্রবলবর্ষণ,আকস্মিক ভূমিকম্প এবং বজ্রপাতের কারণে পাহাড় ধসের শতাধিক ঘর মাটি চাপা পরে। এতে ঘুমন্ত অবস্থায় নিহত হন ২৩জন গ্রামবাসী। নিহতদের ১০টি শিশু, ৮জন নারী এবং ৫জন পুরুষ। তাদের নামের তালিকা তৈরি হচ্ছে। হতাহদের সংখ্যা বাড়তে পরে বলে আশংকা করা হচ্ছে।্এদিকে জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী এলাকায় বানের পানিতে ডুবে একই পরিবারের ৩টি শিশুসহ ৬জন মারা গেছে। একই এলাকায় আরও ১০জন নিঁখোজ রয়েছেন। একই উপজেলার রেজু এলাকায় পাহাড় ধসে ৩জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল শামীম।জেলা প্রশাসক কেএম তারিকুল ইসলাম বুধবার সকালে জানান, ফাইতংয়ে পাহাড় ধসের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৩জনের মৃত্যুর সংবাদ তিনি পেয়েছেন। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ও রেজু এলাকায় ৯জন গ্রামবাসী পানিতে ডুবে এবং পাহাড় ধসে নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রা.) ফয়েজ আহমদ এবং লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামকে উদ্ধার কাজ তদারকি এবং প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য পাঠানো হয়েছে।পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, জেলা প্রশাসক কেএম তারিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার কামরুল আহসান এবং অন্যান্য পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধিরা ত্রাণবিতরণের প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানা গেছে।এদিকে জেলা শহরের ১৯টি বন্যা-আশ্রয় কেন্দ্র প্রায় ৪ হাজার বন্যার্ত লোক আশ্রয় নিয়েছেন। বুধবার সকালে বান্দরবান সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামস-উল-হুদা ১ হাজার ৭০০ জনের মাঝে রান্নাকরা খাবার বিতরণ করেন। জেলা প্রশাসক কেএম তারিকুল ইসলাম, ব্রিগেড সদর দপ্তরের জি-২ মেজর মুজিবুর রহমান, পৌর মেয়র মো. জাবেদ রেজা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ইশরাত জামান এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভীন ইয়াছমিন তিবরীজি বন্যা-আশ্রয় কেন্দ্রগুলো পরির্দশন করেন।পৌর মেয়ার জাবেদ রেজা জানান, ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিতদের মাঝে পৌর কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের সহায়তায় রান্নাখাবার পরিবেশন করছে ২দিন ধরে।
আপলোড তারিখ : 2012-06-27 খবর:-ফেয়ার নিউজ
একদিনের ব্যবধানে কানাইঘাটে বৃদ্ব খুন

একদিনের ব্যবধানে কানাইঘাটে বৃদ্ব খুন

একদিনের ব্যবধানে কানাইঘাটে ফের খুনের ঘটনা ঘটেছে। পুকুরে বাঁধ দেয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হন বৃদ্ধ ফয়জুল হক হেছাই (৭০)।আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের সোনারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বন্যার পানি থেকে পুকুর রক্ষার বাঁধ দিতে গিয়ে ফয়জুল হক হেছাইর সাথে বিরোধ দেখা দেয় তার চাচাতো ভাই বলু মিয়ার। এ নিয়ে বাক বিতন্ডা থেকে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় বলু মিয়ার পুত্ররা এসে পিতার পক্ষ নিয়ে ফয়জুল হক হেছাইর উপর দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে। এতে ঘটনাস্থলেই ত্রাণ হারান এ বৃদ্ধ। এ সময় ফয়জুল হক হেছাইকে রক্ষা করতে এসে গুরুতর আহত হন তার দু’পুত্র। খবর পেয়ে কানাইঘাট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। রাতেই পুলিশ লাশ উদ্দার করেছে। থানা সূত্রে জানা গেছে, ময়না তদন্তের জন্য লাশ আজ বুধবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। রাত ৯টায় এ রিপোর্টা লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্ত্ততি চলছে। ঘটনার পর থেকে বলু মিয়া ও তার পুত্ররা বাড়ী ছাড়া রয়েছে। প্রসঙ্গত গত সোমবার কানাইঘাটের বড়বন্দে প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন কলেজ ছাত্র বখতিয়ার আহমদ মোমিন।
কানাইঘাটে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা:উপজেলা সদরের সাথে সিলেটের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

কানাইঘাটে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা:উপজেলা সদরের সাথে সিলেটের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

টানা ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে ভয়াবহ পাহাড়ী ঢলে পুরো কানাইঘাট উপজেলা ডুবে গেছে। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় কানাইঘাট উপজেলা সদরের সাথে সিলেটের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পাশাপাশি পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। কানাইঘাট, দরবস্ত সড়ক ও গাজী বুরহান উদ্দিন সড়ক সিলেট, জকিগঞ্জ সড়কের কানাইঘাট অংশের অধিকাংশ রাস্তা ৪/৫ ফুট পানির নীচে তলিয়ে গেছে। কানাইঘাট বাজারে কোমর পানি বিরাজ করছে। বাজারের শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার খাদ্য দ্রব্য ও পণ্য সামগ্রী ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বাজারের সবধরণের দোকান পাট বন্ধ থাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসনেও বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। আকস্মিক ভয়াবহ পাহাড়ী ঢলের কারণে পানির তীব্র স্রোতে সুরমা নদীর ও গৌরিপুর বেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। উপজেলার অনেক স্থানে সুরমা নদীর বিভিন্ন বেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে প্রবল স্রোতে বন্যার পানি ফসলের পর ফসলের মাঠ ডুবে গেছে। অপরদিকে বন্যার পানি ঢুকে প্রায় শতাধিক গ্রামের বাড়ি ঘর আক্রান্ত হয়েছে। শত শত পুকুর ও খামার ডুবে গিয়ে মৎস্য সেক্টরের কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। কয়েক শত বাড়ি ঘর তলিয়ে যাওয়ায় আশ্রয়ের সন্ধানে মানুষ অন্যত্র নিরাপদ স্থানে ছুটে বেড়াচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে কানাইঘাট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, রামিজা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজ, কানাইঘাট মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মনসুরিয়া কামিল মাদ্রাসায় বন্যা দুর্গত মানুষের জন্য আশ্রয় সেন্টার খোলা হয়েছে। উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে। উপজেলাদের চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, নিবাহী কর্মকর্তা এস.এম সোহরাব হোসেন, কানাইঘাট পৌরসভার মেয়র লুৎফুর রহমান,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান ইকবাল, বিভিন্ন বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে দুর্গতের মধ্যে চিড়া, গুড়, খাবার স্যালাইন ও শুকনো খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। এছাড়া সরকারী ভাবে বন্যা দুর্গতদের জন্য ৬ টন চাউল প্রাথমিকভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্যোগে বেশ কয়েকটি মেডিকেল টিমও গঠন করা হয়েছে। বিশেষ করে কানাইঘাট পৌরসভা, ১নং লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব, ২নং লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম, ৩নং দীঘিরপাড়, ৪নং সাতবাঁক, ৫নং বড়চতুল এবং ৬নং সদর ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এসব ইউনিয়নের প্রায় ৯০ ভাগ বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে পানির তোড়ে প্রায় ৫০০ শতাধিক কাঁচা ঘর ধসে পড়েছে। এছাড়া উপজেলার সাথে ৯টি ইউনিয়নের সব ধরণের সড়ক বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় প্রায় লাখো মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছেন। মাঠ ঘাট ডুবে যাওয়ায় গো-খাদ্যের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে যে, ২৮০০ হেক্টর ফসলি জমির মধ্যে প্রায় ২২০০ হেক্টর, ৩০০ হেক্টর বীজ তলার মধ্যে ২০০ হেক্টর, ৭০০ হেক্টর আমন হেক্টরের মধ্যে ৬৮০ হেক্টর এবং ৬৫০ হেক্টর সবজি বাগানের মধ্যে ৪৬০ হেক্টর পানির নীচে তলিয়ে গিয়ে ক্ষতি সাধিত হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ও নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম সোহরাব হোসেন জানান বন্যার ভয়াবহতা তুলে ধরে ইতিমধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় এম.পি হাফিজ আহমদ মজুমদারকে সার্বিক পরিস্থিতি অবহিত করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গতদের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। ভারী বর্ষণের ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের খোঁজ খবর নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এদিকে কানাইঘাটকে বন্যা দুর্গত এলাকা ঘোষণা ও পানিবন্দী মানুষের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী দ্রুত প্রেরণের জন্য উপজেলা আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ জোর দাবী জানিয়েছে।
কানাইঘাটে কলেজ ছাত্র খুন

কানাইঘাটে কলেজ ছাত্র খুন

কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী ২নং লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের সোনাতনপুঞ্জি গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গতকাল ভোরে প্রতিপক্ষের সশস্ত্র হামলায় সিলেট মদন মোহন কলেজের একাউন্টিং বিভাগের মাস্টার্সের ফাইনাল বর্ষের ছাত্র ও সিলেট আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক বখতিয়ার আহমদ মোমিন (২৭) নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। আহত হয়েছেন তার আরো দুই স্বজন। নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, সোনাতনপুঞ্জি এলাকায় ১৭ একর টিলা বেষ্টিত বাগানের জায়গার দখল নিয়ে বড়বন্দ ১ম খন্ড গ্রামের আজিজুল হকের সাথে পার্শ্ববর্তী সিঙ্গারীপার গ্রামের সিরাজ উদ্দিন কনই গংদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। ১৭ একর জমির দখল নিয়ে আদালতে বর্তমানে মামলাও চলছে। জমি খন্ডটি আজিজুল হকের দখলে থাকলে প্রতিপক্ষের লোকজন জমি থেকে তাদের বেদখল করার জন্য গতকাল ভোর অনুমান ৫টায় সিঙ্গারীপার গ্রামের সিরাজ উদ্দী কনই ও আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাগান বাড়ীতে হানা দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় বখতিয়ার আহমদ মোমিন ও তার স্বজনদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। প্রতিপক্ষের হামলায় মর্মান্তিকভাবে দেশীয় সেলের আঘাতে মোমিন ঘটনাস্থলেই মারা যান। হত্যাকারীরা শিক্ষক মোমিনের লাশ গুম করার জন্য নিকটবর্তী ভারত সীমান্তের সিঙ্গারী নদীতে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় হামলাকারীদের হাতে নিহতের স্বজন গুলজার আহমদ (২৯) ও আমিন উদ্দীন (২৮) গুরুতর আহত হন। কয়েকজন পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। আহতদের আর্তচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে নিহতের লাশ সিঙ্গারী নদীর পাড়ে ফেলে রেখে খুনীরা পালিয়ে যায়। মদন মোহন কলেজের মেধাবী ছাত্র বখতিয়ার আহমদ মোমিনের মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে। হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে প্রথমে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল হোসেইন ও ওসি (তদন্ত) রুহুল আমিন গতকাল সকালে ঘটনাস্থলে যান এবং নিহত মোমিনের লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। এছাড়া খবর পেয়ে সিলেট উত্তর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার বীণা রাণী দাসও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি মোমিনের হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। উল্লেখ্য যে, নিহত বখতিয়ার আহমদ মোমিন সিলেট শহরে বসবাস করেন। গত রবিবার বিকেলে তিনি তার গ্রামের বাড়ীতে এসে বাগান বাড়ীতে রাত্রিযাপনের দিনই প্রতিপক্ষের হামলায় প্রাণ হারায়।

Sunday, June 24

কানাইঘাট বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

কানাইঘাট বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

গত শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে কানাইঘাট বিএনপির উদ্যোগে এক কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাবেক এমপি ও সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল কাহির চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা ছাত্রদলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হাজী জসিম উদ্দিনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন, সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন রশিদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী ইফজালুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী এমএ মতিন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলার শরীফুল হক, বিএনপি নেতা শমসের আলম, এখলাছ উদ্দিন, ডাঃ আব্দুস শহীদ, ডাঃ ইয়াকুব আলী, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ উদ্দিন সাজু, মামুন রশিদ, শায়িক আহমদ, জেলা ছাত্রদল সদস্য হোসেন আহমদ, উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি নজরুল ইসলাম, সহসভাপতি রাশিদুল হাসান টিটু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম শাহীন, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল খালিক, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, পৌর ছাত্রদল সভাপতি রহুল আমিন, সেক্রেটারী রুহুল আম্বিয়া, ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদল সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সেক্রেটারী কয়ছর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক করিম চৌধুরী প্রমুখ।
ফ্রান্সকে হারিয়ে সেমিফাইনালে স্পেন

ফ্রান্সকে হারিয়ে সেমিফাইনালে স্পেন

জাবি আলোনসোর জোড়া গোলে প্রথমবারের মতো ফ্রান্সকে হারিয়ে ইউরো ২০১২ এর সেমিফাইনালে ওঠেছে স্পেন। প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে এই প্রথম ফ্রান্সকে ২-০ ব্যবধানে হারালো বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এবার সেমিফাইনালে তাদের মুখোমুখি হতে হবে ইউরোপের ব্রাজিল বলে খ্যাত পর্তুগালের।কোয়ার্টার ফাইনালের শক্তিমত্তায় দুই ভারসাম্যপূর্ণ দল স্পেন ও ফ্রান্স মুখোমুখি। এত বড় ম্যাচে দু�দলের স্কোয়াডে প্রথম একাদশে নেই আগের ম্যাচের স্কোয়াড। স্পেন দলে ফার্নান্দো তোরেসের বদলে যেমন সেস ফ্যাব্রিগাস তেমনি ফ্রান্স দলে সামির নাসরির বদলে ফ্লোরেন্ত মালুদা।তবে ফ্রান্সের বিপক্ষে স্পেন দলের দাপটের কারণ তাদের টিকিটাকা ফুটবল । নান্দনিক পাসিং ফুটবলে মুগ্ধ রাখা স্পেনকে তাই লিডে পেতে বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি ফ্রেঞ্চদের বিপক্ষে।১৯ মিনিটে আলবার পাস থেকে দলকে এগিয়ে রাখেন রিয়াল স্টার শাবি আলোনসো।ম্যাচে ফ্রান্সকে ফেরাতে স্পেন শিবিরে পাল্টা আক্রমণ করে লঁরা ব্লাঁর শিষ্যরা। ৩২ মিনিটে ইয়োহান কাবায়ের ফ্রি কিক থেকে নেয়া শট প্রতিহত করে ফ্রান্সকে সমতায় ফিরতে দেন নি ইকার ক্যাসিয়াস।ভাগ্যটা ফ্রান্সের বড় খারাপই বলতে হবে। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও সমান আক্রমণ করেও স্পেনের জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হয় তারা।ফ্রান্সকে ম্যাচে ফেরাতে ফ্রাঙ্ক রিবেরির জ্বলে উঠা দরকার ছিল। কিন্তু তাকেও হতাশ করেন ক্যাসিয়াস।প্রতিপক্ষের দুর্বল ফিনিশিংয়ে সুযোগে নিজেদের আক্রমণে এগিয়ে রাখতে ভুল করেনি স্পেন। তেমনি এক স্প্যানিশ আক্রমণে ডি বক্সের ভেতর পেড্রোকে অ্যান্থনি রিভেইলা বাজে ট্যাকেল করলে পেনাল্টি স্পটের সুযোগ পায় দেল বস্কের শিষ্যরা।স্পটকিকে দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করে নিজের শততম ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখলেন শাবি আলোনসো। আর এ গোলের মধ্য দিয়ে ফ্রান্সের বিপক্ষে জয়টা নিশ্চিত করে ক্যাসিয়াস বাহিনী।আগামী ২৭ জুন রোনাল্দোর পর্তুগালের বিপক্ষে ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে নামবে ক্যাসিয়াসের স্পেন।সুত্র:-ফেয়ার নিউজ
শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রীর গায়ে সাপ পড়ে আতংক

শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রীর গায়ে সাপ পড়ে আতংক

হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে কুয়েত ফ্লাইটের এক যাত্রীর গায়ে ফলস সিলিং থেকে বিষধর সাপ পড়লে বিমানবন্দরে আতংকের সৃষ্টি হয়। পরে সাপটিকে মেরে ফেলেন বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষীরা।বিমানবন্দরের নিরাপত্তা শাখার কর্মী মোস্তাফিজুর রহমান এফএনএসকে জানান, ভোর ৫টায় কুয়েতগামী কিউআর-৩৪৪ ফ্লাইটের যাত্রীরা ৫ নম্বর বোর্ডিং ব্রীজ সংলগ্ন যাত্রী লাউঞ্জে বসেছিলেন। এসময় লাউঞ্জের সিলিং থেকে একটি বিষধর সাপ একজন যাত্রীর গায়ে পড়লে যাত্রী আতংকে চিৎকার শুরু করে। পরে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষীরা লাঠি দিয়ে সাপটিকে মেরে ফেলে। সাপটির দৈর্ঘ্য ৫ ফিট। এটি গোখরা প্রজাতির সাপ বলে নিরাপত্তা রক্ষীরা জানিয়েছেন।বিমানবন্দরে কর্তব্যরত গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা জানান, বছরখানেক আগে বিমানবন্দরে একজন যাত্রীর গায়ে সাপ পড়েছিল। তখন সাপুড়েদের ডেকে এনে বিমাবন্দর লাউঞ্জ থেকে বেশ কয়েকটি সাপ ধরা হয়। কর্মকর্তারা আরো জানিয়েছেন, বিমানবন্দরের সিলিংগুলোতে ইদানিং সাপের উৎপাত বেড়েছে।বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মকর্তা আশরাফুন্নেছা এফএনএসকে বলেন, লাউঞ্জের ফলস সিলিং থেকে সাপ পড়েছে যাত্রীর গায়ে। ফলস সিলিংয়ে সাপের বাসা আছে বলে তার ধারণা। এই ফলস সিলিং দেখার দায়িত্ব সিভিল এভিযেশনের প্রকৌশল বিভাগের। তাদেরকে সাপ নিধনের জন্য বলা হবে।অন্যদিকে বিমাবন্দরের ডিউটি সিকিউরিটি অফিসার নাসিমা শাহীন স্বপ্না যাত্রীর গায়ে ফলস সিলিং থেকে সাপ পড়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি লগবুকে নোট করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

সুত্র:-ফেয়ার নিউজ

আওয়ামী লীগ শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়েছে : শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগ শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়েছে : শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশ যাতে আবার জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদে পরিণত না হয় সে জন্য দেশের মানুষকে সজাগ থাকতে হবে। অবৈধভাবে কেউ যাতে ক্ষমতা কেড়ে নিতে না পারে সে জন্য সংবিধানে বিধান রাখা হয়েছে। শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের ৬৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, �শ্রমিকদের অধিকারের জন্য কথা আমি বলেছি। শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়েছি। তাহলে অন্যের উসকানিতে ভাঙচুর করে কেন তারা নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনছে। কারখানা বন্ধ হলে তাদের তো গ্রামে চলে যেতে হবে।� প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ �৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসে তখন দেশে ৪০ লাখ টন খাদ্য ঘাটতি ছিল। এবার যখন ক্ষমতায় আসে তখন ৩০ লাখ টন খাদ্য ঘাটতি ছিল। কিন্তু এসব ঘাটতি মোকাবিলা করে আমরা দেশকে খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত করেছি। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন গরিব ও সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে।শেখ হাসিনা বলেন, বিরোধী দল বলেছিল আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ৩০টির বেশি আসন পাবে না। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী দূরে থাক বিরোধীদলীয় নেতাও হতে পারবেন না। সেই তারাই পেয়েছেন ২৯টি আসন। এবার তারা বলছে আওয়ামী লীগ ১০টা আসনও পাবে না, জানি না এটা আবার তাদের জন্য প্রযোজ্য হয়ে যায় কি না। সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের ৬৩ বছরের মধ্যে ৩২ বছর দলের সভাপতির দায়িত্বে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই ৩২ বছরের মধ্যে দেশে গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সামরিক শাসনের অবসান হয়েছে এবং যুদ্ধাপরাধীদের কাঠগড়ায় নেওয়া হয়েছে। এই দেশ ছিল জঙ্গি, বাংলা ভাইয়ের দেশ। শেখ হাসিনা এসবের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন তাই আজ গণতন্ত্রের স্বাদ উপভোগ করছি। শেখ হাসিনা আরও ৩২ বছর দলের সভাপতি পদে থাকুন, তাহলে দেশে স্বাধীনতা অক্ষুণ� থাকবে, না হলে উপায় নেই।উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন আমির হোসেন আমু, লতিফ সিদ্দিকী, জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, সাহিত্যিক-সাংবাদিক রাহাত খান, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, জাসদের হাসানুল হক ইনু প্রমুখ। সূত্র:-ফেয়ার নিউজ
বাংলাদেশের বিদায় : ফাইনালে জিম্বাবুয়ে-দক্ষিণ আফ্রিকা

বাংলাদেশের বিদায় : ফাইনালে জিম্বাবুয়ে-দক্ষিণ আফ্রিকা

জিম্বাবুয়ে গ্রুপ পর্বে শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৬ উইকেটে হেরেও ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনালে উঠেছে। যদি ১৫ ওভারের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা জিতত তাহলে বাংলাদেশ নয় স্বাগতিকদেরই বিদায় নিতে। দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছে ১৭ ওভার ৪ বলে। গ্রুপ পর্বের খেলা শেষে তিন দলেরই পয়েন্ট আট করে হওয়ায় বাংলাদেশেকে টপকে আজ রোববার অনুষ্ঠেয় ফাইনালে উঠে গেছে আফ্রিকার দুটি দল।এর আগে জিম্বাবুয়ের হারারে স্পোর্টস ক্লাবে শনিবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১২৪ রান করে জিম্বাবুয়ে।ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হ্যামিল্টন মাসাকাদজার ৩৬ রানের পরও ৬০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে অস্বস্তি�তে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। ষষ্ঠ উইকেটে স্টুয়ার্ট মাতসিনেরির (২২) সঙ্গে ৩২ রানের জুটি গড়ে ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন ক্রেম ক্রেমার। শেষ পর্যন্ত ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন ক্রেমার। ১৬ রানে উইকেট নিয়ে ওয়েইন পারনেল দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলার। সূত্র:-ফেয়ার নিউজ
সেমিফাইনালে জার্মানি

সেমিফাইনালে জার্মানি

কোনো গ্রিক রূপকথা নয় জয় হলো জার্মানির আক্রমণ ফুটবলের। ইউরো কাপে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় ম্যাচে গ্রিসকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে ফিলিপ লামের জার্মানি।আগামী ২৬ জুন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে ইংল্যান্ড ও ইতালির মধ্যকার বিজয়ী দলের বিপক্ষে লড়বে তারা।বাছাইপর্ব বা গ্রুপ পর্বের পৌঁছানোর লড়াই নয় লড়াইটি ছিল শেষ চারে উঠার। যেখানে গ্রিসকে হয়তো হালকাভাবেই নিয়েছে জোয়াকিম লো। কারণ আশ্চর্য হলেও লাইন আপে নেই মারিও গোমেজ, থমাস মুলার ও লুকাস পুডলস্কির মতো নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়। মূল স্ট্রাইকিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন ক্লোসা।এদিকে ছিল চমৎকার বোঝাপড়ার মাধ্যমে আক্রমণাত্বক জার্মান ক্লাসিক আর আরেক দিকে রক্ষণাত্বক গ্রিস। তারপরও বরাবরই গ্রিস শিবিরে আঘাত চালিয়ে যায় জোয়াকিম লোর শিষ্যরা।গ্রিসের রক্ষণের বেষ্টনি ভেঙ্গে ৩৯ মিনিটে মেসুত অজিলের পাসে জার্মানিকে লিড এনে দেন অধিনায়ক ফিলিপ লাম। ডি বক্সের বাইরে থেকে লামের জোড়ালো শট রুখতে পারেননি গ্রিক গোলরক্ষক সিফাকিস।দ্বিতীয়ার্ধে গ্রিস যোদ্ধাদের কানে হয়তো জয়মন্ত্র যপে দিয়েছিলেন কোচ ফার্ন্যান্দো সান্তোস। কারণ ৫৬ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে দলকে সমতায় ফেরান সামারস। তাকে সহযোগিতা করেন ডিমিট্রিস সালপিংগিডিস।গ্রিসের কাছে জার্মানির আটকে থাকাটা ছিল বেমানান। ঠিক ৬ মিনিট পর খেলায় নিজেদের আধিপত্য ফিরিয়ে আনেন সামি খাদিরা। জেরোমি বোয়েটাংয়ের পাসে গ্রিসের জালে বল জড়ান এ মিডফিল্ডার।ইউরো ২০১২-এর বর্তমান টপ স্কোরার মারিও গোমেজকে ফেলে ক্লোসাকে জোয়াকিম লো কেন দলে ভিরিয়েছিলেন তার জবাব মিললো ৬৭ মিনিটে। মেসুত অজিলের নেয়া ফ্রি কিক থেকে সহজ হেডে গ্রিস জালে বল জড়ান তিনি। এটি ছিল তার ৬৪তম আন্তর্জাতিক গোল।বারবার অ্যাটাক করেও গোলের দেখা পাননি রুস। ৭৪ মিনিটে মেসুত অজিলের পাসে ক্লোসার অ্যাটাক ভেস্তে দেয় সিফাকিস। তবে ফিরতি বল জালে জড়াতে এবার আর ভুল করেননি তিনি। ৪-১ গোলে লিড নেয় জার্মানরা।খেলার শেষ দিক ডি বক্সের ভেতর বোয়েটাংয়ের হ্যান্ডবলের কারণে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। আর সেই পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান সালপিংগিডিস।সূত্র:-ফেয়ার নিউজ

Friday, June 22

বাংলাদেশের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকার হার : এখন ফাইনালের স্বপ্ন

বাংলাদেশের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকার হার : এখন ফাইনালের স্বপ্ন

শুক্রবার দুর্দান্তভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েকে হারের স্বাদ দেওয়ার পর টাইগাররা হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকেও। জয়ের জন্য ১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মুশফিক বাহিনী। আশরাফুলের ৪০ রানের ইনিংসটির পর ২৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলে জয়ের পথে বড় অবদান রেখেছেন মাহমুদুল্লাহ। আর এই জয় দিয়ে ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্নটাও বেশ ভালোমতোই বাঁচিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ।১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম চার ওভারের মধ্যেই সাজঘরে ফিরেছিলেন জুনায়েদ সিদ্দিকী ও আনামুল হক। তৃতীয় উইকেটে ৪১ রানের জুটি গড়ে বেশ ভালোমতোই এগিয়ে যাচ্ছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল ও মুশফিকুর রহিম। কিন্তু নবম ওভারে বাংলাদেশকে বড় একটা ধাক্কা দেন ওয়েন প্রানেল। একই ওভারে তুলে নেন মুশফিক ও নাসির হোসেইনের উইকেট। পঞ্চম উইকেটে ২০ রান যোগ করেছিলেন আশরাফুল ও মাহমুদুল্লাহ। ১৩তম ওভারে দলীয় সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন আশরাফুল। তবে এরপর বাকি কাজটা বেশ ভালোমতোই করেছেন মাহমুদুল্লাহ ও জিয়াউর রহমান। ষষ্ঠ উইকেটে ৪০ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের ভিত্তি গড়ে দেন এই দুই ব্যাটসম্যান। মাহমুদুল্লাহ ২৮ রান করে আউট হয়ে গেলেও ২৩ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন জিয়াউর।এর আগে গত তিন ম্যাচের মতো গতকালও টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। আর বল হাতে শুরুটা ভালোই করেছিল মুশফিক বাহিনী। ইলিয়াস সানি ও মাহমুদুল্লাহর ভালো বোলিংয়ের সুবাদে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপের মুখে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ৭ ওভারের মধ্যেই মাত্র ৩৪ রানে সাজঘরে ফেরেন দক্ষিণ আফ্রিকার তিন নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান ডু প্লেসিস, কলিন ইনগ্রাম ও হাশিম আমলা। চতুর্থ উইকেটে ৫৬ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন জাস্টিন ওন্টোং ও ফারহান বেহারদিন। ১৬তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন জিয়াউর রহমান। স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন ওন্টোং। তাঁর ব্যাট থেকেই এসেছে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রান। এরপর দ্রুতই আরও তিনটি উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ পর্যন্ত রবিন পিটারসেনের ১০ রানের সুবাদে ১২৯ রানে শেষ হয় প্রোটিয়া ইনিংস।সংক্ষিপ্ত স্কোর: দক্ষিণ আফ্রিকা: ১২৯/৭ (আমলা ২০, প্লেসিস ১৩, ইনগ্রাম ১, অনটং ৪১, বেহারডিন ১৬, মরকেল ১২, ভিলাস ১২* মরিস ০, পিটারসন ১১*; সানি ২/২১, জিয়া ১/৭, মাহমুদুল্লাহ ১/১৮, মাশরাফি ১/৩৭)বাংলাদেশ: ১৩০/৭ (জুনায়েদ ৫, আশরাফুল ৪০, আনামুল ৪, মুশফিক ৭, নাসির ০, মাহমুদুল্লাহ ২৮, জিয়া ২৭*, ফরহাদ ১, মাশরাফি ০*; ডি ল্যাঙ্গ ৩/২৫, পার্নেল ২/১৮, মরকেল ১/১৪, মরিস ১/২৩) খবর:-ফেয়ার নিউজ
মাওলানা সাঈদীর অবস্থা সংকটাপন্ন: বিদেশে চিকিৎসার জন্য প্যারোলের আবেদন

মাওলানা সাঈদীর অবস্থা সংকটাপন্ন: বিদেশে চিকিৎসার জন্য প্যারোলের আবেদন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে প্যারোলে মুক্তি দেয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। তাঁর স্বাস্থ্যের মারাত্মক অবনতি হওয়ায় বিদেশে চিকিৎসার স্বার্থে এ আবেদন জানানো হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাওলানা সাঈদীর ছোট ছেলে মাসুদ সাঈদী জানান,“অ্যাডভোকেট এসএম কামাল উদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন ও নুরুজ্জামানের সমন্বয়ে তিন সদস্যের আইনজীবী দল প্যারোল আবেদন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের বাসায় গেছেন।” তিনি বলেন, “২০০৩ সালে লন্ডনের রয়াল ব্রমসন হাসপাতালে বাবার হার্টে দু’টি রিঙ পরানো হয়েছিল। তাই আমরা চাচ্ছি, এবারো একই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে।”এর আগে আজ সকালে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক সেন্টারে নব-গঠিত আট সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড জরুরি ভিত্তিতে মাওলানা সাঈদীর দু’টি টেস্ট করার জন্য বলেছে। কিন্তু বাংলাদেশে এ ধরনের পরীক্ষা করার কোনো ব্যবস্থা নেই।বোর্ডের প্রধান এবং কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রফেসর ডা. এম এ রশিদ কারামহাপরিদর্শক বরাবর যে চিঠি পাঠিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে, “মেডিক্যাল বোর্ডের সুপারিশ অনুসারে রিভাসকুলারাইজেশনের আগে ও পরে সিভিয়ারিটি নিশ্চিত হওয়ার লক্ষ্যে ইভালুয়েশন করা জন্য এফএফআর এবং আইভিইউএস করা অতি দ্রুত প্রয়োজন। কিন্তু এ ব্যবস্থা এই হাসপাতালে নেই। বিষয়টি অপনার সদয় অবগতি এবং মেডিক্যাল বোর্ডের সুপারিশ অনুসারে অতি দ্রুত পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বলা যাচ্ছে।” গতকাল বিকেলে বারডেমের ইব্রাহিম কার্ডিয়াক সেন্টারে মাওলানা সাঈদীর এনজিওগ্রাম করা হয়। এতে তাঁর বুকে নতুন করে আরো চারটি ব্লক ধরা পড়েছে।চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, নতুন যে চারটি ব্লক ধরা পড়েছে তার মধ্যে দু’টি রক্তনালীর শতকরা ৯৫ ভাগ বন্ধ হয়ে গেছে। দ্রুত তাতে রিং না লাগালে বা অপারেশন না হলে রোগীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হতে পারে।গত ১৩ জুন বড় ছেলে রাফীক বিন সাঈদীর জানাযা শেষে জেলখানায় ফেরার পর পরই মাওলানা সাঈদী বুকে প্রচণ্ড ব্যথা ও চাপ অনুভব করেন। কারা কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে তাকে বারডেমে পাঠান। বর্তমানে তাকে বারডেম হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। সূত্র:-খবরটোয়েন্টিফোর.কম
এভারেস্ট জয়ীদের প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা

এভারেস্ট জয়ীদের প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কার্যালয়ে এভারেস্ট বিজয়ীদের এক সংবর্ধনা দিয়েছেন। এভারেস্ট বিজয়ী চার বাংলাদেশি মুসা ইব্রাহীম, এম এ মুহিত, নিশাত মজুমদার ও ওয়াসফিয়া নাজরীন প্রত্যেকের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও এক লাখ টাকার চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।সংবর্ধনা দেয়ার কালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেক অর্জন। আমরা বাঙালি হিসাবে নিজেদের পরিচয় দিতে পারছি, একটা স্বাধীন দেশ ও পতাকা পেয়েছি। এর সবই এনে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা আত্মপরিচয়ের সুযোগ পাচ্ছি। ভবিষ্যত প্রজন্ম বাংলাদেশের পতাকা আরো উঁচুতে নিয়ে যাবে।’ এভারেস্ট জয়ী মুসা ইব্রাহীম বলেন, ৬৭তম দেশ হিসাবে বাংলাদেশ এভারেস্ট জয় করেছে। এই পথ ধরে আরও অনেকে এগিয়ে আসবে। বাংলাদেশে একটি মাউন্টেনারি ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা এবং একদিনে ১০ লাখ গাছের চারা লাগিয়ে গিনিস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান করে নেয়ার জন্য সরকার প্রধানের প্রতি আহ্বান জানান মুসা ইব্রাহীম। দুবার এভারেস্ট ঘুরে আসা মুহিত এভারেস্ট শৃঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে তার একটি আলোকচিত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। বক্তব্যশেষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও এস আই টুটুল। সূত্র:-খবরটোয়েন্টিফোর.কম
চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ ডুবি, উদ্ধার ১০

চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ ডুবি, উদ্ধার ১০

বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে এমবি চিটাগাং নামে একটি সিমেন্ট কিংকারবাহী লাইটারেজ জাহাজ ১৩ জনের মধ্যে ১০ জনকে বৃহস্পতিবার রাতে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব সৈয়দ ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, গভীর রাতে বহির্নোঙ্গর থেকেই তাদের উদ্ধার করা হয়। কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা বাকিদের উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।এছাড়া তিনি আরো জানিয়েছেন, ডুবে যাওয়া জাহাজটিও তীরে টেনে তোলার চেষ্টা চলছে।উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে এমভি চট্টগ্রাম নামের একটি লাইটার জাহাজ হাং সাং নামক একটি জাহাজ থেকে সিমেন্টের কাঁচামাল বোঝাই করে রওনা দেয়। এরপর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে লাইটারটি জাহাজ ডুবে যায়। জাহাজটিতে ১৩ জন ক্রু ছিল সুত্র ফেয়ার নিউজ
৫ জুলাই পবিত্র শবেবরাত

৫ জুলাই পবিত্র শবেবরাত

৫ জুলাই বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবেবরাত পালিত হবে।
বুধবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভা সূত্র জানায়, বাংলাদেশে বুধবার কোথায় ১৪৩৩ হিজরি সনের শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি।
ফলে ২১ জুন বৃহস্পতিবার পবিত্র রজব মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে। সে ক্ষেত্রে ২২ জুন শুক্রবার থেকে শাবান মাস শুরু হবে। সুত্র:-সংবাদ২৪ নেট
ছয়দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে কানাইঘাটে প্রাথমিক শিক্ষকদের র‌্যালী সমাবেশ

ছয়দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে কানাইঘাটে প্রাথমিক শিক্ষকদের র‌্যালী সমাবেশ

সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের পদকে ২য় শ্রেণীতে উন্নিতকরণ, সহশিক্ষকদের বেতন প্রধান শিক্ষকের একধাপ নিচেসহ ছয়দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় কানাইঘাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকারা উপজেলা সদরে র‌্যালী পরবর্তী নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেছেন। উপজেলা সরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি এম.এ. লতিফের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল আহমদের পরিচালনায় শিক্ষক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার হোসেন, সদস্য আনোয়ার উদ্দিন, উপজেলা শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের মধ্যে সহসভাপতি নীলিমা চক্রবর্তী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুক আহমদ, শিক্ষকনেতা আজিজুল হক, লুৎফুর রহমান, আব্দুল কাদির, শমসের আলম, নুরুল ইসলাম, মাহবুবুল করিম, এখলাছ উদ্দিন প্রমুখ। সভায় শিক্ষকরা অবিলম্বে তাদের ন্যায় সংঘত ছয়দফা দাবী বাস্তবায়নের জন্য প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তা না হলে সারাদেশে শিক্ষকরা নিয়ম তান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের দাবী আদায় করে ছাড়বেন বলে হুশিয়ার উচ্চারণ করেন।
জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে : শুক্রবার জিততেই হবে বাংলাদেশেকে

জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে : শুক্রবার জিততেই হবে বাংলাদেশেকে

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জিম্বাবুয়েকে সহজেই ৬ উইকেটে হারিয়ে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম জয় পেয়েছে। শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গ্র�প পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে হ্যামিল্টন মাসাকাজার অর্ধশতকের সুবাদে ৮ উইকেটে ১৪৯ রান করে জিম্বাবুয়ে। জবাবে ১৭ ওভার ৩ বলে ৪ উইকেটে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মোহাম্মদ আশরাফুলের ১৯, তামিম ইকবালের ১৩ ও আনামুল হকের ১১ রানের ছোট তিন ইনিংসের পরও ৫২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।চতুর্থ উইকেটে নাসির হোসেনের সঙ্গে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের (৩১) ৪৭ রানের জুটি ধাক্কা সামলে অতিথিদের খেলায় ফেরায়। ভুসিমুজি সিবান্দার সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হয়ে মুশফিকের বিদায়ে বড় একটা ধাক্কা খায় বাংলাদেশ।পঞ্চম উইকেটে সহ-অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ৫৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে সফরে বাংলাদেকে প্রথম জয় এনে দেন নাসির। ম্যাচ শেষে নাসির অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে। ১৫ বল হাতে রেখে পাওয়া জয়ে মাহমুদুল্লারও বড় অবদান। তিনি অপরাজিত থাকেন ২৯ রানে।এর আগে ব্যাট করতে নেমে ২২ রানেই সিবান্দার (১২) বিদায়ে জিম্বাবুয়ের শুরুটা ভালো হয়নি। আব্দুর রাজ্জাকের বলে আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে ব্যক্তিগত ৫ রানে মাসকাদজা বেঁচে না গেলে স্বাগতিকদের বিপদ আরো বাড়তো।দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলারের (২৭) সঙ্গে মাসাকাদজার ৪৮ রানের জুটি ধাক্কা সামলে স্বাগতিকদের ভালো অবস্থানে নিয়ে আসে।নবম ওভারে বল করতে এসে ১৮ রান দিলেও টেলরকে সাজঘরে ফেরত পাঠান জিয়াউর রহমান। পরের ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই ত্রেইগ আরভিনকে বিদায় করে চাপ আরো বাড়ান মাহমুদুল্লাহ।চতুর্থ উইকেটে স্টুয়ার্ট মাতসিকেনেরির (২৭) সঙ্গে ৫১ রানের আরেকটি কার্যকর জুটি গড়ে স্বাগতিকদের ভালো অবস্থানে নিয়ে আসেন মাসাকাদজা। কিন্তু দলীয় ১২৫ রানে মাতসিকেনেরি ও ৩ রান পরে মাসকাদজার (৫৬) বিদায়ে খেলায় ফিরে বাংলাদেশ। টানা তৃতীয় অর্ধশতক তুলে নেয়া মাসাকাদজার ৫৪ বলের ইনিংসে ৫টি চার ও ১টি ছক্কা।অতিথিদের দুর্দান্ত ফিল্ডিং আর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ ৪ ওভারে ৫ উইকেট হারানোয় ২৪ রানের বেশি করতে পারেনি অতিথিরা। ২৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে মাশরাফি বিন মর্তুজা বাংলাদেশের সেরা বোলার।সংক্ষিপ্ত স্কোর: জিম্বাবুয়ে: ১৪৯/৮ (সিবান্দা ১২, মাসাকাদজা ৫৬, টেইলার ২৭, আরভিন ০, মাতসিকেনেরি ২৭, চিগুম্বুরা ১, ক্রেমার ১০, উৎসেয়া ৩, জার্ভিস ৭*, পোফু ০*; মাশরাফি ২/২৮, জিয়া ১/১৮, হাসান ১/২৬, সানি ১/২৭, মাহমুদুল্লাহ ১/২৮)বাংলাদেশ: ১৫৩/৪ (তামিম ১৩, আশরাফুল ১৯, আনামুল ১১, মুশফিক ৩১, নাসির ৪১*, মাহমুদুল্লাহ ২৯*; জার্ভিস ১/১৮, ক্রেমার ১/৩০)
আপলোড তারিখ : 2012-06-21সূত্র ফেয়ার নিউজ

Tuesday, June 19

কানাইঘাটের শিক্ষক আবু তাহের হত্যা : সৎ ভাইয়ের ফাঁসি, স্ত্রীর যাবজ্জীবন

কানাইঘাটের শিক্ষক আবু তাহের হত্যা : সৎ ভাইয়ের ফাঁসি, স্ত্রীর যাবজ্জীবন

কানাইঘাটে মাদ্রাসা শিক্ষক আবু তাহের হত্যা মামলায় সৎ ভাইয়ের ফাঁসি ও স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের ভারপ্রাপ্তবিচারক মোঃ মঞ্জুরুল হক খান এ রায় দেন।ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আব্দুর রহমানকে এক ল টাকা জরিমানা এবং যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত মনোয়ারা বেগমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা না দিলে আরো ৫ বছরের কারাভোগ করতে হবে।দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছে, কানাইঘাট থানার দিঘীরপাড় পূর্ব ইউনিয়নের ব্রাণগ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে ও মাদ্রাসা শিক আবু তাহেরের সৎভাই আব্দুর রহমান (৪২) ও আবু তাহেরের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪১)।মামলার নথি থেকে জানা গেছে, হাফেজ আবু তাহের বিয়ানীবাজার থানার বড়দেশ হাফেজিয়া মাদ্রাসায় শিকতা করতেন। পরে তিনি কোরআনে হাফেজ শেষ করে বড়দেশ এলাকার একটি মসজিদে ইমামতির কাজ নেন। এ জন্য আবু তাহের ১/২ মাস পর পর ব্রাণগ্রামে নিজ বাড়ীতে যাতাযাত করতেন। এ সুযোগে তার সৎভাই আব্দুর রহমানের সাথে স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সে সম্পর্ক হাফেজ আবু তাহের জানতেন না। ২০০৭ সালের ১১ অক্টোবর তাহের কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরলে ওই রাতেই মনোয়ারা বেগম ও আব্দুর রহমান পূর্ব পরিকল্পনা অনুয়ায়ী ঘুমন্ত অবস্থায় আবু তাহেরের অন্ডকোষে বেদড়ক আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মোঃ তৈয়ব আলী বাদী হয়ে ১২ অক্টেবর কানাইঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।২০০৮ সালের ২৮ ফেব্রয়ারী ২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন কানাইঘাট থানার এসআই মোঃ কাইয়ুম মুন্সী । দীর্ঘ শুনানী ও ২৩ সাীর স্ব্যা গ্রহন শেষে আদালত এ রায় দেন।রাষ্ট্র পে এপিপি এডভোকেট ফারুক আহমদ চৌধুরী, আসামী পে এডভোকেট এম এ মালিক শামীম মামলাটি পরিচালনা করেন।
সূত্র:-দৈনিক সিলেট সুরমা ১৯ জুন
ইভিএমকে গ্রহণযোগ্য করার উদ্যোগ নিচ্ছে ইসি

ইভিএমকে গ্রহণযোগ্য করার উদ্যোগ নিচ্ছে ইসি

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সকলের কাছে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনকে গ্রহণযোগ্য ও গণমুখী করার উদ্যোগ নিচ্ছে। এজন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি করা হচ্ছে। এমনকি ইভিএমকে বিতর্কমুক্ত রাখতে বিদেশী পরামর্শ নিয়োগের বিষয়ও বিবেচনা করছে ইসি। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলো কাছ থেকেও ইভিএম সম্পর্কে আবার মতামত নিতে পারে ইসি। তবে ইভিএমকে সংরক্ষণের জন্য ইতিমধ্যে সিইসির কাছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ৩ সদস্যের কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে।সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ইসি চাচ্ছে না ইভিএম নিয়ে নতুন করে কোন রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হোক। বরং সবার কাছে ইভিএমকে কিভাবে গ্রহণযোগ্য করা যায় সেই পথ খোঁজা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় বা জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে �ধীরে চলো� নীতি গ্রহণ করেছে ইসি। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররাও তাড়াহুড়া করে ইভিএম ব্যবহারের পক্ষ নন। বরং কিভাবে ইভিএম ব্যবহার গ্রহণযোগ্য করা যাবে, কিভাবে এর ব্যবহার জনপ্রিয় করা সম্ভব তাই পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে।সূত্র জানায়, ইসি দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে আস্থায় আনতে একজন স্থানীয় তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞকে প্রধান করে কিমিট করার পরিকল্পনা নিয়েছে। ওই কমিটি রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিয়ে ইভিএমকে কার্যকর করতে যে সুপারিশ করবে সে মোতাবেক পরবর্তী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া স্থানীয় নির্বাচনে ব্যবহৃত ১২শ� ৩০টি ইভিএম মেশিন সংরক্ষণেরও উদ্যোগ নিয়েছে ইসি। জাতীয় নির্বাচনে পুরোপুরি ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা না থাকলেও আপাতত কিছু এলাকায় এটি ব্যবহার করা যায় কিনা তাও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এজন্য প্রয়োজনে আইনের কিছু বিষয়ে সংশোধনও আনা হতে পারে।সূত্র আরো জানায়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) সহায়তায় তৈরি ইভিএম ব্যবহার করে প্রথম ২০১০ সালের ১৭ জুন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের একটি ওয়ার্ডে ভোগ গ্রহণ করা হয়। এরপর ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৯টি ওয়ার্ডে, চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সবকটি ওয়ার্ডে এবং ১৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নরসিংদী পৌর উপ-নির্বাচনের সব কেন্দ্রে সাফল্যের সাথে ইভিএম ব্যবহার করে ভোট গ্রহণ করা হয়। তবে ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকায় আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে কিনা তা এখনো নিশ্চিত করেনি ইসি।এ প্রসঙ্গে সিইসি কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, ইভিএমকে আরো কার্যকর ও গ্রহণযোগ্য করতে যা করার প্রয়োজন কমিশন তাই করবে। এজন্য নির্বাচন কমিশনের স্থানীয় ও বিদেশীদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনেরও পরিকল্পনা রয়েছে।
আপলোড তারিখ : 2012-06-19 সূত্র ফেয়ার নিউজ
হ্রাস পাচ্ছে শেয়ারবাজার থেকে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা সংখ্যা

হ্রাস পাচ্ছে শেয়ারবাজার থেকে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা সংখ্যা

গত বছরের ১ জুন শেয়ারবাজারে সক্রিয় বিও (বেনিফিসিয়ারি ওনার্স) অ্যাকাউন্ট ছিল ৩৪ লাখেরও বেশি। আর এ বছরের জুনে সেই সংখ্যা কমে এসেছে ২৮ লাখে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজার থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। শেয়ারবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক বাকী খলিলি বলেন, �বাজারের অব্যাহত পতন আর ধ্বসের কারণেই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।�তিনি বলেন, �শেয়ারবাজার ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে চাঙ্গা করা সম্ভব নয়। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে নিয়ে আসতে হবে। কারণ তারই বাজারের মূল শক্তি। কিন্তু অনেক কথার পরও তা হচ্ছে না।�এক বছরে ছয় লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর বিও অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। তবে এই বিও অ্যাকাউন্টেরও বড় একটি অংশ সক্রিয় নয়। বরং শেয়ার লেনদেনে সক্রিয় আছে সাড়ে ১৭ লাখ অ্যাকাউন্ট।তিনি বলেন, �শেয়ারবাজারে আস্থা ফিরিয়ে এনে এখনো তা চাঙ্গা করার সময় আছে। এজন্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের যেমন বাজারে আনতে হবে, তেমনি শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নিতে হবে।�তার মতে, শেয়ারবাজার স্বল্পমেয়াদে চাঙ্গা করার কোনো ব্যবস্থা এ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নেই। আর অর্থমন্ত্রীসহ বেশ কিছু দায়িত্বশীল ব্যক্তির দায়িত্বহীন কথাবার্তা শেয়ারবাজারের ক্ষতি করছে।
আপলোড তারিখ : 2012-06-19 সূত্র ফেয়ার নিউজ
শামসুজ্জামান জামানের মুক্তির দাবী জানিয়েছেন কানাইঘাট বিএনপি নেতৃবৃন্দ

শামসুজ্জামান জামানের মুক্তির দাবী জানিয়েছেন কানাইঘাট বিএনপি নেতৃবৃন্দ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও সিলেট মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামসুজ্জামান জামানকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় কারারুদ্ধ করার তীব্র নিন্দা এবং তার নিঃশ্বর্ত মুক্তির দাবী জানিয়েছেন, কানাইঘাট উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সারাদেশে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রাণী মূলক মামলার ধারাবাহিকতায় সিলেটের আন্দোলন সংগ্রামের প্রিয় মুখ জাতীয়তাবাদী আদর্শের লড়াকু সৈনিক শামসুজ্জামান জামানকে মিথ্যা মামলায় করারুদ্ধ করা হয়েছে। অবিলম্বে তাকে সরকার মুক্তি না দিলে বৃহত্তর সিলেটে বিএনপি অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে, হুশিয়ার উচ্চারণ করা হয়। নেতৃবৃন্দ আজকের অর্ধদিবস হরতাল পালনের জন্য সিলেটবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিবৃতি দাতারা হলেন, কানাইঘাট-জকিগঞ্জ বিএনপি’র প্রধান সমন্বয়কারী চাকসুর সাবেক আপ্যায়ন সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, কানাইঘাট উপজেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ সিদ্দিকী দুদু মিয়া, পৌর বিএনপি’র সভাপতি ইফজালুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হোসেন বুলবুল, বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শমসের আলম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হামিদুল হক, ৮নং ঝিংগাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদ চৌধুরী, ৯নং রাজাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ডাঃ মানিক মিয়া, ৭নং বাণীগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলতাফ উদ্দিন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হেকিম বিএ, মখলিছুর রহমান মেম্বার, পৌর কাউন্সিলার শরিফুল হক, শরিফ উদ্দিন, হাজী জসিম উদ্দিন, মাষ্টার হোসেন আহমদ, মোহাম্মদ আলী মেম্বার, আলমাছ উদ্দিন মেম্বার, আজিজুল হক, আজির উদ্দিন ভেড়া, নজরুল ইসলাম রুকন, ইসলাম উদ্দিন মেম্বার, আব্দুল মালিক মেম্বার, তোতা মিয়া মেম্বার, রফিক আহমদ মেম্বার, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল মন্নান, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ উদ্দিন সাজু, মামুন রশিদ, উপজেলা শ্রমিকদলের আহ্বায়ক মোঃ জাকারিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক, এবাদুর রহমান লালই, তমিজ উদ্দিন, সেলিম উদ্দিন, জাফর আহমদ, থানা ছাত্রদলের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সহসভাপতি রাশিদুল হাসান টিটু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন শামীম, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আম্বিয়া, কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কয়সর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক করিম চৌধুরী, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক রোমান সিদ্দিকী, ইসলাম উদ্দিন প্রমুখ।

Monday, June 18

কানাইঘাট পৌর যুবলীগের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

কানাইঘাট পৌর যুবলীগের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

নবগঠিত কানাইঘাট পৌর আওয়ামী যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম পরিচিতি সভা গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় কানাইঘাট ডাকবাংলোয় অনুষ্ঠিত হয়। পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক এনামুল হকের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ ইয়াহিয়ার পরিচালনায় উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের অন্যতম সদস্য আব্দুল হেকিম শামীম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন, কানাইঘাট পৌরসভার কাউন্সিলার যুবলীগ নেতা তাজ উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম উদ্দিন, সদস্য আমিনুল ইসলাম, শহিদুর রহমান, আবুল হারিছ আজহার, জাকারিয়া, সাইফুল আলম, মুজিবুর রহমান, রেজওয়ান, ইকবাল, আব্দুর রহমান, সেলিম আহমদ, ইসমাঈল, জসিম উদ্দিন মেজর, আমিনুল ইসলাম বাবলু, পাভেল, কামরুল, আবুল বাশার, খাজা শামীম, কাওছার আহমদ, নূরুল আম্বিয়া, আশরাফুল আলম সুমন, জুবের আহমদ, শামীম আহমদ, জিয়া উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, কাওছার, সুহেল, মাহতাব ও শাহীন আহমদ। সভায় এক মাসের মধ্যে পৌর যুবলীগের ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিল সম্পন্নসহ সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
কানাইঘাট উপজেলা শ্রমিক দলের ২৯ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন

কানাইঘাট উপজেলা শ্রমিক দলের ২৯ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল কানাইঘাট উপজেলা শাখার ২৯ সদস্য বিশিষ্ট প্রথম আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। মোঃ জাকারিয়াকে আহ্বায়ক এবং এবাদুর রহমান লালই, তমিজ উদ্দিন, জাফর আহমদ ও সেলিম আহমদকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ২৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিকে গত ১৫ জুন সিলেট জেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি মাসুক আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক সুরমান আলী অনুমোদন দেন। কমিটির সদস্যরা হলেন-শরীফ উদ্দিন, আলিম উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, সাইদুল ইসলাম, আলমাছ উদ্দিন, আজির উদ্দিন, সাহিদুর রহমান, বিলাল আহমদ, ফয়সল আহমদ, আব্দুল আহাদ, ময়না মিয়া, রুবেল আহমদ, আশরাফ আহমদ হারিছ, মঈন উদ্দিন, আমিনুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার, শাহেদ আহমদ, শাহাদাত হোসেন, আমির উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী, মঞ্জুর হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, শাহীন আহমদ ও নিজাম উদ্দিন। এদিকে নবগঠিত উপজেলা শ্রমিকদলের নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়ে গত শনিবার বাদ মাগরিব কানাইঘাট বাজারে শ্রমিকদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের অংশ গ্রহণে এক আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল পরবর্তী দক্ষিণ বাজারে পথসভায় জেলা শ্রমিকদলের নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও নবগঠিত কমিটির সকল নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কানাইঘাট-জকিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির প্রধান সমন্বয়কারী চাকসুর সাবেক আপ্যায়ন সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন। বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা পৌর কাউন্সিলার শরীফুল হক, জসিম উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল মন্নান, যুগ্ম আহবায়ক সাজ উদ্দিন সাজু, মামুন রশিদ, নবগঠিত শ্রমিকদলের আহ্বায়ক জাকারিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক এবাদুর রহমান লালই, থানা ছাত্রদলের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সহসভাপতি জেলা ছাত্রদলের সদস্য হোসেন আহমদ, রাশিদুল হাসান টিটু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি রুহুল আমিয়া, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কয়ছর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক করিম চৌধুরী প্রমুখ।

Saturday, June 16

প্রণবই কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী

প্রণবই কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী

ভারতের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রণব মুখার্জিকেই প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা (ইউপিএ) । শুক্রবার ক্ষমতাসীন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চার (ইউপিএ) বৈঠকে প্রণবকে মনোনীত করার ঘোষণা করেন কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এ লক্ষ্যে ২৪ জুন মন্ত্রীত্ব ছাড়ছেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদ।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ৭ রেসকোর্স রোডে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাসভবনে কংগ্রেসের জোটগুলোর মধ্যে এক বৈঠকের পর সোনিয়া গান্ধী এ ঘোষণা দেন। বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপস্থিত ছিলেন।সোনিয়া গান্ধী বলেন, ‘প্রণব মুখার্জির দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আছে। আর এ পদের জন্য তাকে সব রাজনৈতিক দলই সমর্থন করবে।’এনডিটিভির খবরে আরও বলা হয়, মেক্সিকোতে জি-২০ সম্মেলন শেষে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং দেশে ফিরে এলে প্রণব মুখার্জি অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে ২৪ জুন পদত্যাগ করবেন। আগামী ২৫ জুন প্রণব মুখার্জি মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। । আগামী ১৯ জুলাই ভারতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।তবে গতকাল বৃহস্পতিবার ইউপিএর মনোনীত প্রার্থীকে প্রত্যাখ্যান করে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালামকে দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য মনোনয়ন দেওয়ার কথা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্র:-ঢাকা, ১৫ জুন (বাংলাটাইমস ডেস্ক)
সংকটের কবলে মুদ্রাব্যবস্থাপনা : টাকার মান কমছে-ই

সংকটের কবলে মুদ্রাব্যবস্থাপনা : টাকার মান কমছে-ই

এক বছরের ব্যবধানে বিশ্বের প্রায় সবগুলো প্রধান প্রধান মুদ্রার সাথে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় মূল্য অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে। ২০১১ সালের ৩০ জুন এক মার্কিন ডলারের দাম ছিল ৭৪ টাকা ১০ পয়সা। একই সময়ে এক ইউরোর দাম ৮৪ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০৬ টাকা। এক ব্রিটিশ পাউন্ডের দাম ১০৪ টাকা থেকে হয়েছে ১১৯ টাকা ০৪ পয়সা। এক বছর পর চলতি বছরের ১০ জুন সেই এক মার্কিন ডলারের সরকারি দাম দাঁড়িয়েছে ৮২ টাকা ১৭ পয়সা। এক বছরের ব্যবধানে কোনো মুদ্রার এত বেশি দরপতনকে তীব্র উদ্বেগের কারণ বলে জানিয়েছেন। তবে খোলা বাজারে মার্কিন এক ডলারের দাম এখন ৮৪ টাকা বলে জানা গেছে।টাকা আরো মূল্য হারাতে পারে বলে ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা আশংকা করছেন। তাদের মতে, অর্থ মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক টাকা নিয়ে খেলতে গিয়ে টাকাকে এতটাই দুর্বল করে ফেলেছেন যে, বিদেশের প্রায় সকল মুদ্রার সাথে টাকার দাম কেবলি কমছে। মাত্র ক�বছর আগেও যেখানে থাই মুদ্রা বাথ এর সাথে বাংলাদেশি মুদ্রার বিনিময় হার ছিল প্রায় সমান সমান, এখন তা অর্ধেকেরও নিচে নেমে গেছে। অন্য প্রায় সকল বিদেশি মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি মুদ্রার অবস্থা প্রায় একই রকম।অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত�র কঠোর নজরদারির কারণে মহাজোট সরকারের প্রথম দুই বছর পর্যন্ত টাকার মান কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও গত এক বছর ধরে কেবলি মূল্য হারাচ্ছে বলে মনে করেন কর বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক মোঃ শাহজাহান। তিনি বলেন, এখন এমন একটা সময়ে ডলারের সাথে টাকার মান দ্রুত পড়ে যাচ্ছে যখন পৃথিবীর অন্য প্রায় সকল মুদ্রার সাথে ডলারের অবস্থা দুর্বল। পুঁজিবাজারে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো একাকার হয়ে সামগ্রিক মুদ্রা ব্যবস্থাকেই মহা বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে বলে তিনি মনে করেন।সরকারি হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে মার্কিন এক ডলার সমান বাংলাদেশি ৮২ টাকা ১৭ পয়সা। খোলা বাজারে এই দর বাংলাদেশি টাকায় ৮৫ টাকা পর্যন্ত উঠছে। ২০০৯-১০ অর্থবছর পর্যন্ত টাকা-ডলারের গড় দর ছিল সর্বোচ্চ ৬৯.১৮ টাকা। ২০১০-১১ অর্থবছরে টাকা-ডলারের গড় দর ছিল সর্বোচ্চ ৭৬.৪৬ টাকা। আর ২০১১-১২ অর্থবছরে গড় দর ছিল সর্বোচ্চ ৭৯.৮৯ টাকা। বাংলাদেশ ইলেকট্রিকেল এসাসিয়েশনের সাবেক চেয়ারম্যান মীর নিজামউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, গেল ক�বছর ধরেই দেশীয় মুদ্রা অব্যাহত চাপে রয়েছে। স্থবিরতায় আক্রান্ত মুদ্রা ক্রমান�য়ে তার ক্রয় ক্ষমতা হারাচ্ছে।বর্তমানে টাকার অবাধ বিনিময়যোগ্যতা চালু থাকার কারণে এখন আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক টাকার বিনিময় হার নির্ধারণ করে দেয় না। আর্ন্তজাতিক মুদ্রার সাথে স্বনির্ধারিতভাবে বিনিময় হার নির্ধারিত হয়। বাণিজ্যিকভাবে প্রতিদ্বন্দ�ী যে দেশের মুদ্রা বেশি শক্তিশালী হবে তারাই লাভবান হয়। বিশেষ করে আমদানিকারক হলে তো কথাই নেই। এক সময় বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও ইইসি�র অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলেছিল, মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু করে সরকার যে দূরদর্শিতা ও বাস্তবতার পরিচয় দিয়েছিল, তার ফলে আশাতীত সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছিল। নতুন শতাব্দীর শুরুর দশকে বাংলাদেশ এশিয়ার অন্যান্য ইকোনমিক টাইগারদের সমপর্যায়ে গিয়ে দাঁড়াতে পারবে। অবশ্য হরতাল ধর্মঘট ও নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করে একটি অনুকূল গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে পারলেই এ রকম একটি আদর্শ অর্থনৈতিক অবস্থা সৃষ্টি করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন সিপিডি�র নির্বাহী পরিচালক।ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের সাবেক সভাপতি আর ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের উৎপাদন ব্যবস্থা আমদানি করা কাঁচামাল নির্ভর। টাকার ঘন ঘন অবমূল্যায়নের ফলে শিল্পে ব্যবহার্য সকল কাঁচামালের দাম বেড়ে যাবে। ব্যাক-টু ব্যাক এলসি নির্ভর রফতানি পণ্যও তার প্রতিযোগিতা করার ক্ষমতা হারাবে। অর্থ ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণেই মূলত টাকার অবমূল্যায়ন করতে হচ্ছে।এফবিসিসিআই�র সাবেক সভাপতি আঃ আউয়াল মিন্টু জানান, মুদ্রা মূল্যের তুলনামূলক স্থিতিশীলতাকে দেশের অর্থনীতির জন্য খুবই ইতিবাচক বলে মনে করা হয়। বিশ্ব অর্থনেতিক ব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তনের মুখে মুদ্রামান সন্তোষজনক পর্যায়ে না থাকলে আর্থিক খাত বিপর্যস্ত হয়ে যেতে পারে বলে তিনি মনে করেন।১ ইউএস ডলার = ৮২.১৭৫০ বাংলাদেশী টাকা১ ইউরো = ১০২.৯৮৫৮ বাংলাদেশী টাকা১ ব্রিটিশ পাউন্ড = ১২৭.৫৮৯০ বাংলাদেশী টাকা১ কানাডিয়ান ডলার = ৮০.১১৪১ বাংলাদেশী টাকা১ অস্ট্রেলিয়ান ডলার = ৮১.৬৬২৬ বাংলাদেশী টাকা১ হংকং ডলার = ১০.৫৯১৭ বাংলাদেশী টাকা১ ইন্ডিয়ান রূপী = ১.৪৭৪৫ বাংলাদেশী টাকা১ কুয়েতি দিনার = ২৯৩.০১১৩ বাংলাদেশী টাকা১ মালেশিয়ান রিংগিত = ২৫.৯২৬৮ বাংলাদেশী টাকা১ পাকিস্তানি রূপী = ০.৮৭১২ বাংলাদেশী টাকা১ সৌদি রিয়াল = ২১.৯১০৪ বাংলাদেশী টাকা১ সিঙ্গাপুরি ডলার = ৬৪.২৩০৬ বাংলাদেশী টাকা সূত্র ফেয়ার নিউজ আপলোড তারিখ : 2012-06-15

Friday, June 15

আজ পয়লা আষাঢ়

আজ পয়লা আষাঢ়

পয়লা আষাঢ় আজ। জলবতী বর্ষার প্রথম দিন। কবিগুরু বলেন, ‘নীল নবঘনে আষাঢ়গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে.....। গুরু-গুরু মেঘের গর্জন, মাঝেমধ্যে বিদ্যুৎ চমক, যখন-তখন ঝলমলে আকাশজুড়ে মেঘের ঘনঘটা আর অঝোরধারার বর্ষণ- এই হলো বাংলায় বর্ষার চিরচেনা রূপ।
ঋতুর হিসেবে আষাঢ়-শ্রাবণ দুই মাস বর্ষা বলে গণ্য হলেও প্রকৃতপক্ষে জুন মাসের হাত ধরে নেমে পড়ে বর্ষা। এ সময় থেকেই জলীয়বাষ্পবাহী দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হয়ে ওঠে। থাকে প্রায় আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত, যার পরিণাম প্রচুর বৃষ্টিপাত। বছরের প্রায় ৮০ শতাংশ বৃষ্টিই হয় বর্ষায়।এই অনাবিল বৃষ্টিধারা আর্দ্র-কোমল করে তোলে গ্রীষ্মের খরতাপে দগ্ধ ধরাতল। প্রকৃতিতে প্রাণসঞ্চার করে স্নিগ্ধ করে তোলে বাংলার নিসর্গ।
প্রচুর বৃষ্টিপাতে নদ-নদী, বিল-ঝিল ভরে ওঠে। ব্যাঙের ডাকে মুখর হয় গ্রামীণ পরিবেশ। টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ সৃষ্টি করে চলে এক ভিন্ন সংগীত। গ্রামীণ জনজীবনে যোগ হয় বর্ষার নতুন পানিতে মাছ ধরার আনন্দ। বন্যায় নদী-তীরবর্তী অঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে জীবনযাত্রায় দুর্ভোগ সৃষ্টি করে। তবে বন্যাবাহিত পলি বাড়ায় জমি হয় উর্বরা। এসব কারণে কৃষিপ্রধান আমাদের এই দেশে বর্ষার গুরুত্ব ব্যাপক।
বাঙালির মানসে, সৃজনেও বর্ষার প্রভাব-প্রতিক্রিয়া সুদূরপ্রসারী। কাব্য, সংগীত, সাহিত্য, চিত্রকলায় বর্ষা বৈচিত্র্যময়; রূপে, ছন্দে, স্পন্দনে উদ্ভাসিত। বিশেষত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংগীত ও কাব্যের একটা বিরাট অংশ বর্ষাবন্দনায় মুখরিত।
বিদগ্ধজনেরা বলেন, বাংলার বর্ষাকে কবিগুরু নতুন করে আবিষ্কার করেছেন। ‘বাদল-দিনের প্রথম কদম ফুল’, ‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’, ‘মন মোর মেঘের সঙ্গী’, ‘হূদয় আমার নাচে রে আজিকে’, ‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে’ থেকে শুরু করে ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’ এমন অজস্র গানে, কবিতায় বর্ষার যে চিত্রকল্প তিনি সৃজন করেছেন, তা বাদ দিয়ে যেন বাংলায় বর্ষার পূর্ণতা পায় না। সূত্র খুলনা নিউজ
কানাইঘাটে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী

কানাইঘাটে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী

কানাইঘাট থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে ১৩ বছরের এক কিশোরীর বাল্যবিবাহ ভন্ডুল হয়ে গেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার ১নং লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের দুর্গম এলাকা মিকিরপাড়া গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মিকিরপাড়া গ্রামের রুস্তুম আলীর ১৩ বছরের কিশোরী কন্যা ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী শারমিন আক্তারের সহিত বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা সোনারকান্দি গ্রামের তোতা মিয়ার পুত্র ফয়সল আহমদের বিয়ে গতকাল শুক্রবার ঠিক হয়। এ উপলক্ষে বর ও কনের পরিবারের পক্ষ থেকে দাওয়াতপত্রের কার্ড বিলিসহ বিয়ের সবধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। বাল্য বিবাহের বিষয়টি স্থানীয় লোকজন থানা পুলিশকে অবহিত করলে বাল্য বিবাহ বন্ধ করার জন্য থানার এএসআই আরিফুল হক গত বৃহস্পতিবার কনের বাড়ীতে যান। কনের বাবা-মার সাথে কথা বলে বাল্যবিবাহের কুফল এ সংক্রান্ত আইনের কঠোরতা তুলে ধরলে কনের পরিবার বিষয়টি বুঝতে পেরে কিশোরী মেয়ে শারমিন আক্তারের বিয়ে হবে না মর্মে পুলিশের কাছে লিখিত মুচলেকা দেন। ফলে গতকাল বাল্যবিবাহের হাত থেকে কিশোরী শারমিন আক্তার রক্ষা পায় এবং বিয়ে ভন্ডুল হয়ে যায়।
কানাইঘাটে অটোরিক্সা ছিনতাই ॥ থানায় মামলা দায়ের

কানাইঘাটে অটোরিক্সা ছিনতাই ॥ থানায় মামলা দায়ের

কানাইঘাটে এক অটোরিক্সা চালকে মারধর করে গাড়ী চিনিয়ে নেওয়ার ৬দিন পরও কানাইঘাট থানা পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতার কিংবা গাড়ি উদ্ধার করতে পারেনি। এ ঘটনায় থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার সূত্রে জানা যায়,গত ৭জুন রাত অনুমানিক ৮টার সময় কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের নুরুল হকের পুত্র এখলাছ মিয়া (৩০), ফয়েজ উদ্দিন (২৮) এবং ভাউরভাগ নয়াগ্রামের মৃত মতছিন আলীর পুত্র সমছুদ্দিন (৪৫), সিলেট-থ-১২-২৭২৮ নং অটোরিক্সা ভাড়া করে কানাইঘাটের মাছুখাল থেকে সিলেট শহরে যেতে বলে। পরে বিবাদীরা সিএনজি ড্রাইভার সেলিম আহমদকে পুনরায় গাড়ী ঘুরিয়ে কানাইঘাট বাজারের নিয়ে যেতে বলে। রাত অনুমান ৮টায় ছত্রপুর গ্রামের বুরহানউদ্দিন সড়কের তেরাজান ব্রীজের কাছে যাওয়া মাত্র আসামীরা ড্রাইভার সেলিমকে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং মারধর করে ফেলে রেখে। অটোরিক্সাটি চালিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গাড়ীর মালিক ভাটিদিহি গ্রামের আফতাব উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় ৮ জুন ৩ জনকে আসামী ও অজ্ঞাতনামা আরো ২ জনকে অভিযুক্ত করে একটি দরখাস্ত মামলা দায়ের করলে ১১জুন অভিযোগটি রেকর্ড করা হয়। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই.আখতারুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু অদ্যবধি পর্যন্ত মামলার এফ.আই.আরভুক্ত আসামী ও লুন্ঠিত অটোরিক্সাটি উদ্ধার করতে পারেননি পুলিশ।
কানাইঘাটে আকষ্মিক পাহাড়ি ঢলে চতুল-সুরাইঘাট রাস্তার কিছু অংশ ভেঙ্গে গেছে

কানাইঘাটে আকষ্মিক পাহাড়ি ঢলে চতুল-সুরাইঘাট রাস্তার কিছু অংশ ভেঙ্গে গেছে

কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের ভাউরভাগ লামারগ্রাম এলাকায় ভারত থেকে নেমে আসা আকষ্মিক পাহাড়ি ঢলে চতুল-সুরাইঘাট রাস্তার প্রায় হাফ কিলোমিটার পাঁকা রাস্তা ভেঙ্গে গিয়ে মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। স্থানীয় লোকজন জানান, গত মঙ্গলবার সীমান্তের কাইবাড়ী এলাকা দিয়ে ভারত থেকে হঠাৎ করে অন্তত ১৫/১৬ ফুট উঁচু বেগে পাহাড়ী ঢল নেমে আসলে লামারগ্রাম, সিঙ্গারীপাড়, গোরকপুর, বাউরভাগ গ্রামের অধিকাংশ বাড়ী ও পুকুরগুলো বাণের পানিতে তলিয়ে যায়। পানির তীব্র বেগে অতিক্রম করার সময় চতুল-সুরাইঘাট পাঁকা সড়কের লামারগ্রাম অংশের ৪টি স্থানে হাফ কিলোমিটার রাস্তা ভেঙ্গে বিরাট বিরাট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বানের পানিতে রাস্তার নির্মাণাধীন পাকাকরনের কংক্রিট, পাথর ও বালু পার্শ্ববর্তী মাঠে চলে যায়। রাস্তার নির্মাণ কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারকেফায়ত উল্লাহ জানিয়েছেন, আকষ্মিক পাহাড়ী ঢলে দু’দফায় তার প্রায় সাত লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বর্তমানে এ রাস্তা দিয়ে সবধরনের ছোট বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ জানিয়েছেন, কয়েকদফা পাহাড়ী ঢলে তার ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে দরিদ্র মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী প্রেরণের দাবী জানিয়েছেন তিনি।
কানাইঘাটে স্কুল ছাত্র অপহরণ চার জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

কানাইঘাটে স্কুল ছাত্র অপহরণ চার জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

কানাইঘাটে চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্র হুমায়ুন রশিদ অপহরণের মামলায় চার অপহরনকারীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবুল কাসেম মোঃ মোস্তফা এ রায় ঘোষণা করেন।রায়ে তাদের প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। জরিমানা দিতে না পারলে তাদেরকে আরো তিন বছর করে কারাভোগ করতে হবে। রায়ের সময় আদালতের কাঠগড়ায় তিন আসামী উপস্থিত ছিলেন। একজন পলাতক রয়েছেন।সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছেন- কানাইঘাট থানার ছোটদেশ গ্রামের মৃতঃ ইছহাক আলী ওরফে বুতু মিয়ার পুত্র মোঃ সাদ উল্যা মাষ্টার (৭৫), একই এলাকার মৃতঃ আব্দুর রহিম মাষ্টারের পুত্র শাহিদুর রহমান (৩৮), সাবেক মেম্বার আপ্তাব উদ্দিনের পুত্র মোঃ নাজিম উদ্দিন এবং জকিগঞ্জ থানার নোয়াগ্রামের মৃতঃ জাবেদ আলীর পুত্র জয়নাল আবেদীন ওরফে জয়নুল (৩৫)। এর মধ্যে জয়নাল বর্তমানে পলাতক। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে জানা য়ায়, ২০০৪ সালের ৪ ডিসেম্বর বিকেলে ছোটদেশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র হুমায়ুন রশিদ (১৪) স্কুল ছুটি শেষে পাশের বাজারে পিতার রাইছ মিলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যায়। সেখানে তার পিতা ব্যবসায়ী মোঃ আলা উদ্দিন বাজার খরচ করে ছোটদেশ গ্রামের বাড়িতে রাত ৭ টার দিকে তাকে পাঠিয়ে দেন। বাড়ী যাওয়ার পথে শাহিদুর, নাজিম, জয়নাল ও সাদ উল্যা হুমায়ুনকে অপহরন করে জকিগঞ্জের নয়াগ্রাম জয়নালের বাড়ীতে নিয়ে আটক করে রাখে। ওইদিন সে বাড়ী ফিরতে না দেখে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ করে তাকে না পেয়ে পরদিন কানাইঘাট থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করেন তার পরিবার। এদিকে অপহরনকারীরা বেনামী (উড়ো) চিঠি এবং হুমায়ুনের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে তার পরিবারে কাছে ৮ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় মোঃ আলা উদ্দিন বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নং- ৬ (৮/১২/০৪)। উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে কানাইঘাট থানা পুলিশ ঘটনার ৫দিনপর জয়নালের বাড়ী থেকে ছাত্র হুমায়ুন রশিদকে উদ্ধার করে এবং অপহরনকারী জয়নাল ও শাহিদুরকে গ্রেফতার করে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে কানাইঘাট থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাক ২০০৫ সালের ৭ মার্চ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করে। ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর আদালত এ মামলার ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচারকার্য্য শুরু হয়। দীর্ঘ শুনানী ও ১৫ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত উক্ত আসামীদের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০এর ৮ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাদের প্রত্যেককে উপরোক্ত দন্ডাদেশ প্রদান করেন। রাষ্টপক্ষে স্পেশাল পিপি এডভোকেট মোঃ আব্দুল মালেক ও আসামীপক্ষে এডভোকেট এটিএম মাসুদ টিপু এবং এডভোকেট শাহ মোঃ মোশাহিদ আলী মামলা পরিচালনা করেন।সূত্র দৈনিক সিলেট সুরমা ১৫ জুন ১২

Tuesday, June 12

কানাইঘাটে  কলেজে ভর্তি হতে এসে ছাত্রী নিখোঁজ

কানাইঘাটে কলেজে ভর্তি হতে এসে ছাত্রী নিখোঁজ

কানাইঘাট মহিলা কলেজে ভর্তি হতে এসে নিখোঁজের ১৭দিন পরও এস.এস.সি উত্তীর্ণ ফারহানা বেগম (১৭) এর কোন সন্ধান না পাওয়ায় তার পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। এঘটনায় নিখোঁজ ফারহানার পরিবারের প কানাইঘাট থানায় জিডি এন্ট্রি এবং র‌্যাব-৯ ও পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। নিখোঁজ ফারহানার মা শফিকা বেগম ও মামা ফয়জুল ইসলাম জানান, গত ২৪মে ফারহানা তার নিজ বাড়ী কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের গবিন্দপুর গ্রাম থেকে সকাল ৯টার দিকে কানাইঘাট মহিলা কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য বের হয়। এরপর ফারহানা নিজ বাড়ীতে ফিরে না যাওয়ায় তার স্বজনরা সম্ভাব্য সকল স্থান ও আত্মীয় স্বজনদের বাড়ীতে অনেক খুঁজাখোঁজি করে তার কোন সন্ধান না পেয়ে ২৫মে কানাইঘাট থানায় ফারহানা নিখোঁজের ঘটনায় তার মামা ফয়জুল হাসান জিডি করেন। জিডি নং- ১০১৮। মেয়ের কোন সন্ধান না পেয়ে মা শফিকা বেগম ৩১মে পুলিশ সুপার বরাবরে বাদী হয়ে অভিযোগ দেন। ফারহানার মা জানান, নিখোজের পর ২৬মে ০১৭১০-৯৮৩৮৮৭ এবং ০১৭৬৬-৯১০৭৪১ নাম্বার থেকে ফোনে ভাই ফয়জুল হাসান ও তার মেয়ের জামাইর মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকটি মেসেজ আসে। মেসেজে ফারহানা তাকে বাঁচানোর জন্য অনুরোধ করে নতুবা তাকে মেরে ফেলবে এ ধরনের মেসেজ পাঠায়। পরবর্তীতে ৩০মে ০১৭৪০-৯৪৩৩২৮ ও ০১৭৪২-৫৩৪৮৭৩ নাম্বার থেকে ফারহানা তার মায়ের নাম্বারে ফোন করে বলে মা তুমি যদি আমাকে জীবিত ফেরত চাঁও তা হলে ঘরবাড়ী জমিজমা চান মিয়া কুতুব আলী, শফিক ও ফাতেমার নামে লিখিয়ে দাও। তা না হলে ওরা আমাকে মেরে ফেলবে বলে কান্নাকাটি করে ফোন করে। এরপরথেকে ৪টি নাম্বার বন্ধ রয়েছে। ফোনে ফারহানা তার মাকে আরো জানায় ২৪ তারিখ কলেজ থেকে বাড়ী ফেরার পথে বীরদল গ্রামের বাঘের সড়ক থেকে কয়েকজন অপরিচিত যুবক একটি সিএনজিতে তাকে তোলে নিয়ে যায়। এখন সে কোথায় আছে তাও জানেনা। তার মায়ের দাবী জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বাড়ির লোকজন ফারহানাকে অপহরণ করে তোলে নিয়ে আটক করে রেখেছে। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন কয়েক বৎসর আগে ফারহানার বাবা মারা যান। সে দরিদ্র ঘরের সন্তান, এলাকার অনেকের আর্তিক সহায়তায় সে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। একটি ভিটবাড়ী ছাড়া তার পরিবারে কোন সম্পত্তি নাই। বাবা মারা যাবার পর জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে তার চাচাদের সাথে দ্বন্দ রয়েছে। এ ঘটনায় ফারহানাকে অপহরণ করা হতে পারে বলে অনেকে ধারনা করছেন। মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে নিখোঁজ ফারহানাকে উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। মামা ফয়জুল হাসান জানান তার নিখোঁজ ভাগ্নিকে দ্রুত প্রশাসন উদ্ধার করতে না পারলে তার প্রাণহানীর ঘটনা ঘটতে পারে। এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এ.এস.আই. আফসারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জিডি এবং পুলিশ সুপার বরাবরে দায়েরকৃত অভিযোগের সূত্র ধরে ফারহানাকে উদ্ধার করার জন্য তদন্ত চলছে। নিখোঁজের পর ফারহানা যে ৪টি ফোনে কথা বলেছে তার কল লিস্ট তৈরী করে তাকে খুঁজে বের করার সবধরনের চেষ্টা নেওয়া হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনের প থেকে। নিখোঁজ ফারহানার গায়ের রং উজ্জল শ্যামলা, উচ্চতা অনুমানিক সাড়ে ৪ফুট, স্বাস্থ্য ভালো, মুখ মন্ডল গোলাকার, নিখোঁজের সময় তার পরনে কালো স্যালোয়ার-কামিজ ও কালো খয়রি বোরকা ছিল।

Monday, June 11

১১ শর্তে ১৮ দলের সমাবেশ

১১ শর্তে ১৮ দলের সমাবেশ

পুলিশ সোমবার ফকিরাপুল ক্রসিং থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত মাইক ব্যবহারের এলাকা চিহ্নিত করে দেওয়াসহ ১১টি শর্তে ১৮ দলের নয়া পল্টনে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে । শর্তের মধ্যে আরো রয়েছে- মূল সড়কে মঞ্চ নির্মাণ করা যাবে না, সমাবেশ শুরুর দুই ঘণ্টার বেশি আগে লোক সমাগম করা যাবে না, বিকাল সাড়ে ৫টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে হবে।নির্ধারিত এলাকার বাইরে সমবেত না হওয়া এবং সমাবেশস্থলের বাইরে কোথাও যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি না করতেও বিএনপিকে বলা হয়েছে।শর্তে আরো বলা হয়েছে, সমাবেশ চলাকালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও জনস্বার্থবিরোধী কার্যকলাপ করা যাবে না। মঞ্চকে রাজনৈতিক বক্তব্য ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না।ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (সদর দপ্তর) হাবিবুর রহমানের সই করা অনুমতিপত্র রোববার রাত ৮টার দিকে বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনির কাছে পৌঁছানো হয়। সূত্র ফেয়ার নিউজ আপলোড তারিখ : 2012-06-10

Sunday, June 10

কানাইঘাট থানা পুলিশের হাতে তিন অটোরিক্সা চোর আটক

কানাইঘাট থানা পুলিশের হাতে তিন অটোরিক্সা চোর আটক

কানাইঘাটের ৩নং দিঘীরপাড় ইউনিয়নের লন্তির মাটি গ্রাম থেকে গত ৩জুন একটি অটোরিক্সা চুরি করে পরবর্তী গত শনিবার এক ল টাকা মুক্তিপণ আদায়ের সময় কানাইঘাট থানা-পুলিশ জকিগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তিন অটোরিক্সা চোরকে হাতে নাতে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত অটোরিক্সা চোরেরা হলো গোলাপগঞ্জ উপজেলার ছত্রিশ বইটিকর গ্রামের মজির উদ্দিনের পুত্র সোহেল আহমদ (২৮) একই উপজেলার আনিয়া পূর্বপাড় গ্রামের আফতাব আলীর পুত্র আজিজুর রহমান (২৮), একই গ্রামের মকবুল হোসেনের পুত্র সেলিম আহমদ (২৭)। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৩জুন কানাইঘাট লন্তিরমাটি গ্রামের জামাল উদ্দিনের মালিকানাধীন সিলেট-থ-১২-৯২১৩ নং অটোরিক্সাটি নিজ বাড়ী থেকে গভীর রাতে চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনায় জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় একটি জিডি করেন। পরবর্তীতে তার ছেলেকে ফোন দিয়ে অটোরিক্সা চোরেরা জানায় ১ল টাকা মুক্তিপণ দিলে গাড়ীটি ফিরিয়ে দেওয়া হবে। অটোরিক্সার মালিক গ্রেফতারকৃতদের ১৫হাজার টাকাও দেন। গত শনিবার মুক্তিপণের অবশিষ্ট ৮৫হাজার টাকা দেওয়ার দিন ধার্য্য করা হয়। বিষয়টি সিএনজি মালিক জামাল উদ্দিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই. আকিকুল ইসলামকে জানান। পরে একদল পুলিশ ফোর্স নিয়ে এস.আই আকিক জকিগঞ্জ রোডের শাহবাগ এবং গোলাপগঞ্জে পৃথক অভিযান চালিয়ে এ ৩জনকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃতদের গতকাল আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের পুলিশি রিমান্ড চাওয়া হবে বলে এস.আই.আকিক জানিয়েছেন।
কানাইঘাটে স্কুলের অফিসকক্ষে ঢুকে ছাত্রদল ক্যাডারদের অতর্কিত হামলা ॥ এক স্কুল শিক্ষক গুরুতর আহত

কানাইঘাটে স্কুলের অফিসকক্ষে ঢুকে ছাত্রদল ক্যাডারদের অতর্কিত হামলা ॥ এক স্কুল শিক্ষক গুরুতর আহত

কানাইঘাটে ছাত্রদল নামধারী ক্যাডারদের তান্ডবে কানাইঘাট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল রনক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা দেড়টায় পূর্ব শত্র“তার জের ধরে কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের একদল উশৃঙ্খল কর্মী দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কানাইঘাট ডিগ্রী কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে দলবেঁধে প্রবেশ করে অফিস কক্ষে বসা সহকারী শিক্ষক আব্দুল করিম চৌধুরীর ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এতে গুরুতর জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় তারা অফিস করে আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং করিম চৌধুরীর নিকট স্কুল ফান্ডের ১৬হাজার ৫শ’ ও তার ব্যক্তিগত আরও ৭হাজার ৫শ’ লুট করে। তার আর্ত চিৎকারে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক ছুটে এলে দুবৃত্তরা তাদের ওপরও হামলা চালায়। এসময় স্কুলের শিক্ষার্থীরা প্রাণ ভয়ে দিকবিদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এক পর্যায়ে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে ক্যাডাররা চলে যায়। পরে আহত স্কুল শিক করিম চৌধুরীকে নিকটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় করিম চৌধুরী বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে প্রতিষ্ঠানের ভিতরে প্রবেশ করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক মানব বন্ধন কর্মসূচীর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক কাওছার আহমদ জানান, ছাত্রদলের একদল সশস্ত্র ক্যাডার দলবেঁধে স্কুলে প্রবেশ করে সহকারী শিক্ষক আব্দুল করিম চৌধুরীকে এলোপাতাড়িভাবে পিঠিয়ে গুরুতর জখম করে, অফিস করে আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং তার কাছে রতি স্কুলের শিক্ষকদের বেতনের ১৬হাজার ৫শ’ টাকা লুট করে। এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার ওসি (তদন্ত) রুহুল আমিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কানাইঘাট ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষকের মারধরের অভিযোগ থানায় দাখিল করা হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কানাইঘাটের সমাজসেবী আব্দুর রবের ইন্তেকাল

কানাইঘাটের সমাজসেবী আব্দুর রবের ইন্তেকাল

কানাইঘাট উপজেলার তিনছটি গ্রামের সমাজসেবী,শিানুরাগী মোঃআব্দুর রব আর নেই। গত মঙ্গলবার ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়ীতে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন) । মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি ৩ ছেলে ১ মেয়েসহ অসংখ্য আতœীয় স্বজন রেখে গেছেন। মরহুমের জানাজার নামাজ ঐদিন তিনছটি জামে মসজিদ মাঠে অনুষ্টিত হয়। জনাজার নামাজে ইমামতি করেন গাছবাড়ী জামিউল উলুম মাদ্রাসার সাবেক অধ্য হাফিজ মাওঃ আব্দুর রহিম। আব্দুর রব পুলিশের চাকুরী দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু হয়। চাকরী জীবনে তিনি কুমিল্লা,চট্রগ্রাম,রাঙ্গামাটি,সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করেছেন। এক সময় পুলিশের চাকরী ছেড়ে দিয়ে মধ্যেপ্রাচ্যে পাড়ী জমান। সেখানে ৮-৯ বছর চাকরী করে দেশে ফিরে এসে বাশবাড়ী তাহিরীয়া সালাফিয়া মাদ্রাসায় ১০-১২ বছর শিকতা করেন । পরবর্তীতে শিকতা থেকে অব্যাহতি নিয়ে নিজ এলাকায় সমাজসেবার কাজে নিজেকে আতœনিয়োগ করেন। মরহুম আব্দুর রব কানাইঘাট প্রেসকাবের সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সেলিম এর আপন ফুফা।বিভিন্ন মহলের শোকঃ সমাজসেবী আব্দুর রবের মৃত্যুতে শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন সিলেট-৫ কানাইঘাট-জকিগজ্ঞ আসনের সাবেক সাংসদ অধ্য মাওঃ ফরিদ উদ্দিন চৌধূরী,বীরদল এন.এম একাডেমীর প্রধান শিক জার উল্লাহ,সহকারী প্রধান শিক মো:মহিউদ্দিন, কানাইঘাট প্রেসকাবের সভাপতি এম.এ.হান্নান,সহ-সভাপতি,বাবুল আহমদ,আব্দুর রব, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এখলাছুর রহমান, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আম্বিয়া চৌধূরী,দপ্তর ও পাঠাগার সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, ক্রীড়া সম্পাদক জামাল উদ্দিন, সদস্য মাহবুবুর রশিদ,কাওছার আহমদ,আব্দুন নূর প্রমুখ।

Friday, June 8

সপ্তাহের শেষ দিনে সূচক পতন

সপ্তাহের শেষ দিনে সূচক পতন

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক পতনের মধ্য দিয়ে সপ্তাহের শেষ দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে । এদিন লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। সকাল সাড়ে ১০টায় এ বাজারে লেনদেন শুরুর পর সূচক বাড়তে থাকলেও ১৫ মিনিটের মাথায় তা কমে যায়। এরপর আবার বেড়ে বেলা ১১টার দিকে আগের দিনের চেয়ে ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৮২৭ পয়েন্টে পৌঁছায়। এরপর সূচক এগোতে থাকে ওঠানামার মধ্য দিয়ে। বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে ডিএসইর সাধারণ সূচক দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭৬৯ পয়েন্টে, যা আগের দিনের চেয়ে ২২ পয়েন্ট কম। খানিকটা পতনের পর বেলা ১টায় সূচক বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৮২২ পয়েন্টে। বেলা ২টায় তা আবার কমে ৪ হাজার ৭৯৫ পয়েন্ট হয়। বেলা আড়াইটায় লেনদেন শেষ হয় সূচকের ঘরে আগের দিনের চেয়ে কম পয়েন্ট নিয়ে। বুধবার লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাধারণ সূচকে যোগ হয় প্রায় ৫০ পয়েন্ট, দিন শেষ হয় সূচকের ঘরে ৪ হাজার ৭৯১ পয়েন্ট নিয়ে। সপ্তাহের চতুর্থ দিন হাতবদল হয় প্রায় ৩০৭ কোটি টাকার শেয়ার। সূত্র:ফেয়ার নিউজ আপলোড তারিখ : 2012-06-07

Thursday, June 7

১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকার বাজেট ঘোষনা

১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকার বাজেট ঘোষনা

আগামী ২০১২-১৩ অর্থবছরের জন্য ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকার বাজেট ঘোষনা করা হয়েছে আজ। আজ জাতীয় সংসদে বিকেলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল নুহিত এই বাজেট ঘোষনা করে।বিকেল ৩টা ২৩ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত অধিবেশনকক্ষে প্রবেশ করেন। এর পূর্বে দুপুর একটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেট ও ২০১১-১২ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি বাজেট ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৬৮ কোটি টাকা। অনুন্নয়ন ব্যয় ১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে ১৮ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা।অভ্যন্তরীণ খাত থেকে আসবে ৩৩ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২৩ হাজার কোটি টাকার ব্যয় মেটানো হবে ব্যাংকঋণ থেকে। বাকি ১০ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা আসবে ব্যাংকবহির্ভূত খাত থেকে।অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, আমি ২ লাখ কোটি টাকার বাজেট করার চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু পারিপার্শ্বিক কারণে তা করা সম্ভব হয়নি।সরকার বলছে, অভ্যন্তরীণ ঋণ এবং বৈদেশিক সাহায্য থেকে এই ঘাটতি সমন্বয় করা হবে। অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় প্রবৃদ্ধিকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলেছেন। অর্থমন্ত্রী মনে করছেন, আগামী অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশে নেওয়া সম্ভব।বিনিয়োগ হ্রাস, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় দুবর্লতা, মূল্যস্ফীতি, বাণিজ্য ঘাটতি ও বাজেট ঘাটতির ঝুঁকি সামনে রেখে নানা বাড়তি ব্যয়ের চাহিদা মেটাতে বড় আকারের বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারি ব্যয়ের সাশ্রয়, ব্যয়ের গুণগত মান এবং সার্বিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বাড়ানোর জন্য কি ধরনের উদ্যোগ প্রয়োজন তা তার সুস্পষ্ট কথা নেই। তবে তিনি তার বক্তব্যে বেশি কিছু সংস্কারের কথা বলেছেন।অর্থমন্ত্রী জেলাওয়ারি বাজেটের কথা তুলে ধরে বলেন, বাজেট শ্রেণীবিন্যাস কাঠামো করার একটি খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। এটি বর্তমানে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। আশা করছি, আগামী অর্থ বছরের মধ্যে এই কাঠামো আমরা চূড়ান্ত করতে পারবো। আর সেটি চূড়ান্ত করতে পারলে জেলা বাজেট করার ক্ষেত্রে কারিগরি বাধা দূর হবে।মন্ত্রী বলেন, গত দিনগুলোতে জনগণের চাহিদা পূরণে আমরা যেমন নিবেদিত ছিলাম, আগামীতেও তেমন থাকব।` এবারের বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে গত বাজেটগুলোর ধারাবাহিকতায়। তিনি বলেন, এর জন্য দরকার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। গড়ে তুলতে হবে সহিষ্ণু রাজনৈতিক সংস্কৃতি। বাজেটে অনুন্নয়নসহ অন্যান্য খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা যা জিডিপির ১৩ দশমিক ১ শতাংশ। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা।

সূত্র:- খবরটোয়েন্টিফোর.কম