Friday, October 28

যুবলীগের প্রতিবাদ সভা

সিলেট মদন মোহন কলেজের ছাত্রলীগ নেতা শিহাব উদ্দিন আল মামুনের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কানাইঘাট উপজেলার যুবলীগের উদ্যোগে বুধবার কানাইঘাট দক্ষিণ বাজার অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শফিউল আলম শামিমের সভাপতিত্বে ও তাজ উদ্দিন আহমদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন রফিক আহমদ, শহীদ আহমদ, শামিম, শাহিন ও শাহেদ প্রমুখ।


বৃত্তি প্রদান কানাইঘাট নয়াগ্রাম সমাজকল্যাণ সমিতির উদ্যোগে মঙ্গলবার নয়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কৃতী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানকরা হয়।সমিতির সভাপতি নজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালিকের পরিচালনায় বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কানাইঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আশিক উদ্দিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহাব উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী, নিজাম উদ্দিন, কাওছার আহমদ, নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য এবাদুর রহমান, হারুন রশিদ ও রফিক আহমদ প্রমুখ

Thursday, October 27

কানাইঘাটে ডাকাত সন্দেহে একজন গ্রেফতার

সিলেটের ত্রাস কুখ্যাত এনাম ডাকাত (৪০) কে কানাইঘাট থানা পুলিশ সিলেট নগরীর হুমায়ুন রশিদ চত্ত্বর এলাকা থেকে এক অভিযান চালিয়ে গত মঙ্গলবার গ্রেফতার করতে সম হয়েছে। কানাইঘাট ও সিলেটের কোতোয়ালী থানায় তার বিরুদ্ধে ৫টি ডাকাতি মামলার ওয়ারেন্টও রয়েছে। একাধিক ডাকাতি মামলার এ পলাতক আসামী কুখ্যাত এনাম ডাকাতকে গ্রেফতার করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সিলেটের পুলিশ প্রশাসন চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। অবশেষে গত মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কানাইঘাট থানার এস.আই.এনাম উদ্দিন ও এস.আই.হাবিবুর রহমান এক অভিযান চালিয়ে শহরের হুমায়ুন রশিদ চত্ত্বর থেকে এনাম ডাকাতকে গ্রেফতার করতে সম হন। গ্রেফতারকৃত ডাকাত এনামের বাড়ি কানাইঘাট উপজেলার ৫নং বড়চতুল ইউনিয়নের বড়চতুল গ্রামের তার পিতার নাম মৃত আব্দুস সামাদ। এনাম ডাকাত গত বছর কানাইঘাট - দরবস্ত রাস্তার হকারাই ফ্রেস কোম্পানীর পণ্যবাহী গাড়ি রাস্তায় বেরিকেড দিয়ে ডাকাতি ঘটনার নেতৃত্ব দেয়। সে পূর্বে একবার অস্ত্রসহ সিলেট শহরের তায়েফ হোটেল থেকে গ্রেফতার হয়েছিল। তাকে আজ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণের কথা রয়েছে।

Wednesday, October 26

কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১১টায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় সভাপতিত্ব করেন নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এস.এম সোহারাব হোসেইন। সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইনশৃঙ্খলা কমিটির উপদেষ্টা উপজেলা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাতী রানি দাস। পৌর মেয়র লুৎফুর রহমান, থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুর রহমান খানসহ সরকারী কর্মকর্তা ও ৯টি ইউনিয়নের সকল চেয়ারম্যান আইনশৃঙ্খলা কমিটির সকল সদস্য কানাইঘাটের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। সভায় আইনশৃঙ্খলার সার্বিক উন্নয়নে পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের একযুগে কাজ করার জন্য নির্বাহী কর্মকর্তা সোহারাব হোসেইন সকলের প্রতি আহ্বান জানান। বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বৃন্দ কমিউনিটি পুলিশের কার্যক্রম আরো শক্তিশালী এবং তাদের এলাকার মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার রোধ এবং হাওর এলাকায় শীত মৌসুমে অশ্লীল যাত্রাগ্রান ও জোয়ার আসর বন্ধে থানা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অপরদিকে বিকেল ২টায় উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী সরকারের সকল উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সততা ও নিষ্ঠার সাথে সরকারী কর্মকর্তাদের পাশাপাশি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় কানাইঘাটের সামগ্রিক উন্নয়ন এগিয়ে নিতে হবে। সরকারী কর্মকর্তা ৯টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বৃন্দের উপস্থিতিতে নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা তার বক্তব্যে কানাইঘাটে সরকারী দায়িত্ব পালনে তাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

Tuesday, October 25

কানাইঘাটে সুরমা নদীর ওপর নবনির্মিত সেতুর কাজ ৭ বছরেও শেষ হয়নি
সিলেটের কানাইঘাট সুরমা নদীর উপর কানাইঘাটবাসীর বহু প্রত্যাশিত জিয়াউর রহমান সেতু’র নির্মাণ কাজ ২০০৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছিল। কানাইঘাটবাসীর বহু প্রত্যাশিত দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে কানাইঘাট- গাছবাড়ি-সিলেট, কানাইঘাট-দরবস্ত-সিলেট রাস্তার ত্রিমোহনীতে নন্দিরাই-বায়মপুর নামক স্থানে সুরমা নদীর উপর জিয়াউর রহমান সেতুর নির্মাণ কাজে শুভ উদ্বোধন করেছিলেন বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী। এই সেতুটি নির্মাণ করতে প্রাথমিকভাবে ব্যয়ভার ধরা হয়েছিল ২৪ কোটি ২৪ লাখ ৮৯ হাজার ৩১৮ টাকা। পরে সেতুটি দু’পারের দু’পার্শ্বে বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয় এবং দু’দিকে এপ্রোচ রোডের জন্য ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকার পৃথক আরেকটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। বেড়িবাঁধটি জোড়াতালি দিয়ে কোনোভাবে শেষ হলেও এপ্রোচ রোডের কাজ সময়ের ৬ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এই প্রকল্পগুলো স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয় বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায়। এই প্রকল্পের কাজ ৯শ’ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে বলে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ সময় বেঁধে দিয়েছিল। সেতুটির দৈর্ঘ্য ২৯৩.৯২ মিটার এবং প্রস্থ প্রায় ৯ মিটার ধরা হয়েছিল। ওই সেতুটি মেসার্স আব্দুল মোনায়েম লিমিটেড নির্মাণ করার দায়িত্ব পায়। সিলেট মহানগরী উত্তর পূর্বাংশে কানাইঘাট উপজেলা, জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, গোলাপগঞ্জ, বড়লেখাসহ উপজেলাগুলোর অবস্থান। সুরমা নদীর কারণে এ অঞ্চলের মানুষের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা দীর্ঘদিনে গড়ে ওঠেনি। যার ফলে এসব উপজেলার মানুষ সহজেই সিলেট নগরী কিংবা দেশের অন্য কোনো অঞ্চলে যাতায়াত করতে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিগত চার দলীয় জোট সরকারের আমলে এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে হারিছ চৌধুরী ও ফরিদ চৌধুরীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সুরমা নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমান স্মৃতিবিজড়িত কানাইঘাট সুরমা নদীর উপর তার নামে জিয়াউর রহমান সেতু নামকরণ করা হয়। এর আগে ২০০৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সেতুটির প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে নির্মাণাধীন আগের স্থান ডালাইচর-বায়মপুর স্থান থেকে সরিয়ে প্রায় অর্ধ কি. মি. ভাটিতে নন্দিরাই-বায়মপুর এলাকায় পুনরায় সেতুটির নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। এ বৃহত্ প্রকল্পটি বিগত জোট সরকারের আমলের প্রতিশ্রুতি এবং সরকারের আন্তরিক ইচ্ছার প্রতিফলন। কানাইঘাটবাসীর ধারণা ছিল যথাসময়েই আলোর মুখ দেখবে। কিন্তু ৭টি বছর অতিবাহিত হলেও সেতুটি এখন পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। এ নিয়ে অনেকের মনে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে সেতুটি পুরোপুরি নির্মাণ কাজ শেষ হবে কি? এ প্রশ্ন এখন এলাকাবাসীর। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সুরমা নদীর ব্রিজ, নদী ভাঙন রোধে বেড়িবাঁধ ও এপ্রোচ রোডের কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। অবশিষ্ট যে কাজ বাকি রয়েছে তা মাটির অভাবে শেষ করা যাচ্ছে না। খুব শিগগিরই শেষ হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
কানাইঘাট জাতীয় পার্টির উদ্যোগে উপজেলা দিবস পালন

উপজেলা দিবস পালন উপলক্ষ্যে কানাইঘাট উপজেলা ও পৌর জাতীয় পার্টির উদ্যোগে এক আলোচনা সভা গত রবিবার বিকেল ৪টায় কানাইঘাট দক্ষিণ বাজারস্থ পার্টির অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সিরাজুল হকের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক বাবুল আহমদের পরিচালনায় উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়রসহ সভাপতি গোলাম মোস্তফা কনাই, পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি মাষ্টার আব্দুল মালিক, জাতীয় পার্টি নেতা আতাউর রহমান, নাজিম উদ্দিন, আব্দুল হান্নান (লালপীর), কামরুজ্জামান কাজল, ঈমাম উদ্দিন, আব্দুর রব, আব্দুর রৌফ, হারুন আহমদ, মোহাম্মদ আলী, আবিদুর রহমান, মহিলা পার্টি নেত্রী রাবিয়া বেগম, ইউপি সদস্য শাহানা বেগম, উপজেলা যুব সমিতির আহ্বায়ক আলমাস উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম আহমদ, ওলিউর রহমান, মিছবাহ উদ্দিন, ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক নুরুজ্জামান ময়ূর, যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল আহমদ, শাহাব উদ্দিন, সাজু আহমদ প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, পল্লী বন্ধু সাবেক রাষ্ট্রপতি হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ, গ্রাম বাংলার মানুষের উন্নয়নের জন্য উপজেলা পরিষদ ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। বর্তমানে উপজেলা ব্যবস্থা প্রব্যর্তন করা হলেও তা নানা কারনে কার্যকর করা হচ্ছে না বিধায় তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়মূলক কর্মকান্ড মুখ তুবড়ে পড়েছে।

Saturday, October 22

প্রজন্ম প্রতিভা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের
বর্ষপুর্তী ওবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন


কানাইঘাট প্রজন্ম প্রতিভা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সপ্তম বর্ষপূতী ও বার্ষিক বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান গতকাল সকাল ১১টায় কানাইঘাট উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন হলে সম্পন্ন হয়েছে। উক্ত বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট রেঞ্জের ডি.আই.জি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন। প্রজন্ম প্রতিভা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি ফয়ছল আহমদের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আছাদ আহমদ ও নজরুল ইসলাম সাজুর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডঃ মোঃ আতিউল্লাহ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এস.এম সোহরাব হোসেইন, সিলেট জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এমাদউল্লাহ শহিদুল ইসলাম, উপজেলা আ'লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র লুৎফুর রহমান, কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সদর ইউপির চেয়ারম্যান অধ্য সিরাজুল ইসলাম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পক্টর ইশরাক ইব্নে ইসমাইল, কানাইঘাট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক মঈনুল হক, কানাইঘাট প্রেসকাবের সভাপতি এম.এ.হান্নান, জকিগঞ্জ সরকারী কলেজের প্রভাষক মোঃ লুৎফুর রহমান, পৌর আ'লীগের আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, যুক্তরাজ্য ওয়েল ফেয়ার এস্যেসিয়েশনের সদস্য সচিব শামিম আহমদ, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল ইসলাম হারুন, সংগঠনের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রশিদ আহমদ, কানাইঘাট সরকারী উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী জাকিয়া ফেরদৌস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফয়সাল আহমেদ, সভায় উদ্ভুধনী বক্তব্য রাখেন কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক লোকমান আহমদ। সভায় পবিত্র কোর-আন থেকে তেলায়াত করে হাফিজ মাওঃ ওলিউল্লাহ। অনুষ্ঠান শেষে উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিার্থীদের মাঝে বৃত্তি বিতরণ করেন প্রধান অতিথি ডিআইজি মকবুল হোসেন। পরে বিকেল ৩টায় এক মনোঞ্জ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে গান পরিবেশন করেন, বিশিষ্ট বাউল শিল্পি দেওয়ান কালা মিয়া, সিলেটের উদীয়মান শিল্পি সুনিয়া, পলিনা রহমান, জাকির হাসান

Friday, October 21

৭৭২ বোতল ফেনসিডলসহ ২ ব্যক্তি আটক

কানাইঘাটে বিজিবির অভিযানে ৭৭২ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিলসহ ২ জন আটক হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। জানা গেছে, আটগ্রাম বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার রফিকুল ইসলাম লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নের পূর্বচাতল গ্রামে অভিযান চালান। ৭৭২ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিলসহ আটক করেন একই গ্রামের মৃত ইলিয়াস আলীর পুত্র আব্দুল হাসিম (৩২) ও বাবুল মিয়ার পুত্র জুনেদ আহদ (২৫) কে। এ সময় একজন যুবক পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত ফেন্সিডিলসহ দু’ব্যক্তিকে কানাইঘাট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ৩ জনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কানাইঘাট থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

Tuesday, October 18




কানাইঘাটে ১৯ বোতল ভারতীয় অফিসার
চয়েজ মদসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
কানাইঘাট থানা পুলিশ ১৯ বোতল ভারতীয় অফিসার চয়েজ মদসহ মাদক ব্যবসায়ী বিলাল আহমদ (৩০) কে গ্রেফতার করেছে। সে উপজেলার ব্রাহ্মণ গ্রামের মৃত ফরমান আলীর পুত্র। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার এস.আই এনাম উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে রাত সাড়ে ১০টায় একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঝিঙ্গাবাড়ী ইউপির আগতালুক কান্দি নামক স্থান থেকে মাদক ব্যবসায়ী বিলাল আহমদকে গ্রেফতার করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তার অপর দুই সহযোগি পালিয়ে যায়। এ ব্যপারে এস.আই এনাম উদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে ১৯৯০ইং সনের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২২(গ) ধারায় মামলা (নং-২৩) দায়ের করেছেন।
অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামানকে
কানাইঘাট বিএনপি'র অভিনন্দন
কাওছার আহমেদ :

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান জামান সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন কানাইঘাট উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অভিনন্দন দাতারা হলেন, কানাইঘাট উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি ও শিল্পপতি মামুনুর রশিদ মামুন, বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আহমদ সিদ্দিকী দুদু মিয়া, সহসভাপতি শমসের আলম চেয়ারম্যান, রফিক আহমদ চৌঃ চেয়ারম্যান, সাহাব উদ্দিন চেয়ারম্যান, হামিদুল হক চেয়ারম্যান, হাজী আব্দুল হেকিম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলার শরিফুল হক, পৌর বিএনপি'র সভাপতি ইফজালুর রহমান, সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হোসেন বুলবুল, উপজেলা যুবদল যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন রশিদ, সায়িক আহমদ, ওলিউর রহমান, কাওছার আহমদ বাঙ্গালী, উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি নজরুল ইসলাম, সহসভাপতি রাশিদুল হাসান টিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক দিলাদার হোসেন শামীম, কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদল সভাপতি আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

এম. ইলিয়াছ আলীর রোগমুক্তির কামনায় কানাইঘাট বিএনপির মিলাদ মাহফিল

কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি এম. ইলিয়াছ আলীর রোগ মুক্তি কামনা করে কানাইঘাট উপজেলা বিএনপিও অঙ্গসংগঠনের যৌথ উদ্যোগে অস্থায়ী কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন থানা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ সিদ্দিকী দুদু মিয়া, আব্দুল হেকিম বিএ, থানা বিএনপির সহসভাপতি হাজী আব্দুল হেকিম, মখলিছুর রহমান মেম্বার, আজই মেম্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলার শরীফুল হক, বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলতাফুর রহমান, পৌর কাউন্সিলার রহিম উদ্দিন ভরসা, জাহাঙ্গীর আলম জাহান, নিজাম উদ্দিন, মিজানুর রহমান, আজির উদ্দিন ভেড়া, মোহাম্মদ আলী, নজরুল ইসলাম, থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন রশিদ, সায়িক আহমদ, কাওছার বাঙ্গালী, থানা ছাত্রদলের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি রাশিদুল হাসান টিটু, আজিজুল আম্বিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন শামীম, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রোমান সিদ্দিকী, ইসলাম উদ্দিন, সামসুল ইসলাম, ডালিম আহমদ প্রমুখ।

Saturday, October 15

কানাইঘাটে আত্মহননকারী কুমারী মাতা সুলতানার নবজাতক সন্তান উদ্ধার ডিএনও পরীক্ষা সম্পন্ন

কানাইঘাটে আত্মহননকারী কুমারী মাতা সুলতানার নবজাতক সন্তান উদ্ধার ডিএনও পরীক্ষা সম্পন্ন

কানাইঘাটে স্বামী ও সন্তানের স্বীকৃতি না পেয়ে আত্মহননকারী কুমারী মাতা ধর্ষিতা প্রতিবন্ধী সুলতানার নবজাতক কন্যা সন্তানকে দু’মাস পর অবশেষে উদ্ধার করা হয়েছে। কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুর রহমান খান জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার সুলতানার মা আমিনা বেগম ও নবজাতক সন্তানের দত্তক মাতা সিলেট সদর উপজেলার হাটখোলা ইউনিয়নের বাছাইর গ্রামের রুবেল মিয়া’র স্ত্রী মিনারা বেগম নবজাতক সন্তানটিকে নিয়ে থানায় হাজির হন। এদিকে উদ্ধার হওয়া নবজাতক কন্যা সন্তানটি’র পিতৃ পরিচয় নির্ধারনের জন্য আত্মহননকারী সুলতানার কথিত প্রেমিক গ্রেফতারকৃত রুবেল আহমদ (১৭) ও নবজাতক সন্তানটি’র ডিএনও পরীক্ষা গত বৃহস্পতিবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে বলে সুলতানার মায়ের দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর শফিকুল ইসলাম খান জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ধর্ষিতা সুলতানার গর্ভে জন্ম নেওয়া নবজাতক কন্যা সন্তানটিকে গ্রাম্য সালিশে জনৈক মহিলার কাছে দত্তক দেওয়া হলে মামলার তদন্তের স্বার্থে শিশু বাচ্চাটি উদ্ধারের জন্য তিনি সব ধরণের চেষ্টা চালান। সালিশদের কাছ থেকে নবজাতকটির দত্তক নেওয়া মা মিনারা বেগম কে চিহ্নিত করে স্থানীয় একজন ইউপি সদস্যের মাধ্যমে গত বৃহস্পতিবার মিনারা বেগম শিশু বাচ্চাটিকে তার নানী আমেনা বেগমের মাধ্যমে থানায় নিয়ে আসেন। আদালতের নির্দেশে শিশু বাচ্ছাটিকে তার নানী আমিনা বেগমের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে বলে শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ২২ সেপ্টেম্বর স্বামী সন্তানের স্বীকৃতি না পেয়ে কানাইঘাট পৌরসভার বিষ্ণুপুর গ্রামের আমিনা বেগমের মেয়ে সুলতানা (১৮) বিষ পানে আত্মহত্যা করে।

Friday, October 14

বিভিন্ন মহলের পরষ্পর বিরোধী মতামত
মুশাহিদ(রহ:)মাজার থেকে সুগন্ধি ছড়াচ্ছে

প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, বহু ধর্মীয় গ্রন্থের লেখক, কানাইঘাট দারুল উলূম দারুল হাদিস মাদ্রাসার সাবেক মুহতমিম প্রয়াত হযরত আল্লামা মুশাহিদ বায়মপুরী (রহঃ)’র মাজার থেকে সুগন্ধ ছড়াচ্ছে- এ ধরণের খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে গত বুধবার রাত থেকে বায়মপুরী হুজুরের মাজারে ভিড় জমাচ্ছেন শত শত মানুষ। দারুল উলূম মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আলিমুদ্দীন দুর্লভপুরী জানান, গত সোমবার থেকে হুজুরের মাজার থেকে সুগন্ধ ছড়াচ্ছে। তিনি নিজে অনুভব করার পরও মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের কাছে বিষয়টি গোপন রাখেন। গত বুধবার তিনি মাগরিবের নামাজ শেষে হুজুরের মাজার জিয়ারতের সময় কবর থেকে সুগন্ধ খুশবু চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি অনুভব করে মাদ্রাসার ছাত্ররা বায়মপুরীর কবরের পাশে সমবেত হতে থাকেন। এশার নামাজ শেষে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষককের অনুরোধে মাওলানা আলিমুদ্দীন হুজুরের কবর জিয়ারত শুরু করলে কবরের নিচ থেকে হিমশীতল বাতাসের মাধ্যমে দুনিয়াবী সেরা সুগন্ধ বের হতে থাকে- যা তিনি কোনদিন অনুভব করেননি। অনেকে জিয়ারতের সময় বেহুশ হয়ে পড়েন বলেও তিনি জানান। মাওলানা দূর্লভপুরী আরো জানান, বাইয়মপুরী হুজুর ৪১ বছর আগে মারা যাওয়ার পর তার কবর থেকে এ ধরনের সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়েছিল। ইসলামের ইতিহাসে ইমাম বুখারী (রাহঃ), আউলিয়ায়ে কেরাম ও পীরে কামেলদের মাজার থেকে সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা রয়েছে। এদিকে, বাইয়মপুরী হুজুরের মাজার থেকে সুগন্ধ ছড়াচ্ছে- এ ধরনের খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে বুধবার রাত থেকে দূর-দূরান্ত হতে শত শত মানুষ মাজার প্রাঙ্গনে ভিড় জমান। মাজারে আগত অসংখ্য লোকজনদের সাথে কথা বলে পরষ্পর বিরোধী মতামত পাওয়া গেছে। কেউ কেউ বলেছেন, তারা মাজার থেকে সুগন্ধ অনুভব করেছেন। আবার অনেকে সে ধরনের কোন সুগন্ধ অনুভব করেন নি বলে জানান। কয়েকটি সূত্র থেকে জানা গেছে কয়েকদিন পূর্বে তাবলিক জামায়াতের একদল কাফেলা বাইয়মপুরীর মাজার জিয়ারত করে সুগন্ধি আতর মাজারে ছিটিয়ে দেন। এছাড়া গত বুধবার সিলেট শহর থেকে ১২/১৪ জন ব্যবসায়ী অনুরূপভাবে মাজার জিয়ারত করে সুগন্ধি আতর ছিটিয়ে দেন। এই সুগন্ধি আতরের খুশবু মাজার থেকে বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে। মাদ্রাসার ছাত্ররা ও স্থানীয় পুলিশ সদস্যরা মাজারটি বাঁশের বেড়া দিয়ে পাহারা দিলেও গত বুধবার রাতে মাজারে আগত অনেক লোক কবর থেকে মাটি তুলে এনে রোগ মুক্তির কামনায় গায়ে লেপনের পাশাপাশি পানির সাথে মাটি মিশিয়ে পান করতে দেখা যায়। অনেকে আবার মাটি তুলে বাড়িতে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। এ ধরনের ঘটনা শিরিকের সাথে তুলনা করেছেন এলাকার সচেতন আলেম ও ধর্মপ্রাণ মানুষ। তারা বলেছেন, বাইয়মপুরী (রহঃ) উপমহাদেশের একজন প্রখ্যাত আলেমেদীন ও পীরে কামেল নেকদার আল্লাহ’র বান্দা ছিলেন। মৃত্যুর পর তাঁহার আধ্যাত্মিক মু’জিযার কথা অনেকে জানেন কিন্তু তাঁহার মাজার থেকে সুগন্ধ বেরুচ্ছে- এমন খবর ছড়িয়ে একটি মহল নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি হাসিলের জন্য সহজ সরল মানুষকে শিরকের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তবে দারুল উলূম মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও কওমী মাদ্রাসার অনেক আলেম জানিয়েছেন, বাইয়মপুরীর মাজার থেকে সুগন্ধ ছড়াচ্ছে এ ঘটনা সত্য এবং তারা তা অনুভবও করেছেন। গতকালও থেমে থেমে মাজার থেকে সুগন্ধ ছড়াচ্ছিল বলে তারা জানিয়েছেন।

Thursday, October 13

স্মরণ

স্মরণ





শায়খুল হাদিস আল্লামা মুশাহিদ বায়মপুরী(রহঃ)
------মাহবুবুর রশিদ-----
আল্লাহপাক তার সৃষ্টির সেরা মাখলুক মানবজাতিকে ধ্বংসের পথ থেকে রা করে মুক্তির পথে নিয়ে আসার জন্য যুগে যুগে এমন কিছু নেককার মহামনীষী প্রেরণ করেন,যারা মানুষের জন্য নিয়ে আসেন হেদায়েতের আলো,পথ ভোলা মানুষকে দেখান জান্নাতের পথ,যাদের দ্বীনী দাওয়াত ও দোয়ার বদৌলতে পথহারা দিশেহারা মানব জাতি সঠিক পথের সন্ধান পেয়েছে। এ সোনালি কাফেলার স্বর্ণপ্রদীপ অন্যতম রাহবার বহুমুখী বিরল প্রতিভার অধিকারী উপমহাদেশের প্রখ্যাত হাদীস বিশারদ,উস্তাদুল মুহাদ্দিসীন ও মুফাসসিরীন ফকিহুল মিল্লাত কালজয়ী বিরল ব্যক্তিত্ব আল্লামা মুশাহিদ বায়মপুরী(রহঃ)।জন্ম ও বংশ পরিচিতঃ সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলার বায়মপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম ধার্মিক পরিবারে শায়খুল হাদিস আল্লামা মুশাহিদ বায়মপুরী(রহ:) ১৯০৭ ইংরেজীর ১৩২৭ হিজরীর মহরম মাসে পবিত্র জুমার দিনে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম ক্বারী মুহাম্মদ আব্দুল আলীম ও মাতার নাম হাফিজা সুফিয়া বেগম। উভয়েই পরহেজগার,দ্বীনদার ও মুত্তাকী ছিলেন। শিশুকালে তিনি পিতৃহারা হন ফলে মায়ের øেহ আদর্শে লালিত হন। মা হাফিজা সুফিয়া বেগম পবিত্র কুরআনে হাফিজা এবং উর্দূভাষায় শিতিা ছিলেন। মাত্র ৭ বছর বয়সে মায়ের কাছ থেকে তিনি কোরআন শরীফ,উর্দূ, ও বাংলা পূর্ণভাবে আয়ত্বে আনেন। মা ছিলেন তার বাল্যকালীন উস্তাদ।বাল্য শিাঃশিশুকাল থেকে আল্লামা মুশাহিদ ছিলেন অত্যন্ত তীè মেধাবী। ৭ বছর বয়সে গ্রামের পাঠশালায় ভর্তি হন। ১০ বছর বয়সে অন্ত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে প্রাথমিক শিা সমাপ্ত করে তৎকালীন কানাইঘাট ইসলামীয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন এবং একই মাদ্রাসায় ৭ বছর অধ্যয়ন করেন। মাদ্রাসায় অধ্যয়নের পাশাপাশি তিনি কিছুদিন লালারচক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিকতা করেন।উচ্চ শিার্থে বিদেশ গমনঃমাদ্রাসায় অধ্যয়ন ও চাকুরীতে বায়মপুরী হুজুরের মন ঠিকলনা। উচ্চ শিা লাভের জন্য তার মন ব্যাকুল হয়ে উঠল। কিভাবে কোথায় উচ্চ শিা গ্রহণ করা যায় এ ভাবনায় তিনি অস্থির হয়ে উঠলেন। অনেক চিন্তা-ভাবনার পর স্কুলের চাকুরী পরিত্যাগ করে পাশ্ববর্তী ভারতে চলে যান সেখানে রামপুর আলীয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন ও একই মাদ্রাসায় ৫ বছর অধ্যয়ন করেন। বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান লাভের পর হাদীস অধ্যয়নের জন্য রামপুর থেকে সরাসরি মিরাট চলে যান। মিরাটের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ও আলেম হযরত মাওলানা মশীয়তুল্লাহ সাহেবের নিকট দুই বৎসর হাদীস অধ্যয়নকালে উস্তাদের নির্দেশে কাফিয়া কিতাবের শরাহ(ব্যাখ্যা) ইজাহুল মাতালিব এবং আরো দুটি কিতাব রচনা করেন যা তার উস্তাদের নামে প্রকাশিত হয়। মিরাটে অধ্যয়ন শেষে দেশে ফিরে কানাইঘাট রহমানিয়া মাদ্রসায় প্রায় দুই বছর শিকতা করেন।দারুল উলুম দেওবন্দ গমনঃদেওবন্দের প্রতি প্রবল অনুরাগ ছিল আল্লামা মুশাহিদ বায়মপুরি(রহ:) এর। জ্ঞান লাভের জন্য আবারো দেশ ত্যাগ করে বিশ্ববিখ্যাত বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দ গমন করেন। ১৩৫৬ হিজরীতে(১৯৩৬ ইংরেজী) তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে ভর্তী হন। সেখানে তার হাদিসের শিক তৎকালীন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আলেম শায়খুল ইসলাম মুজ্জাদ্দিদে মিল্লাত কুতবুল আলম হযরত সায়্যিদ হোসাইন আহমদ মাদানী (রঃ) এর ব্যক্তিগত সান্নিধ্যে থেকে প্রায় দেড় বছর লেখাপড়া চালিয়ে যান এবং সর্বোচ্চ ডিগ্রি দাওরায়ে হাদীসের চূড়ান্ত পরীায় মূল নম্বরের চেয়ে প্রাপ্ত নম্বর বেশী পেয়ে প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেন।বিভিন্ন শিা প্রতিষ্টানে অধ্যাপনাঃব্যক্তিত্ব উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবীদ সুদ আলেমেদ্বীন আল্লামা মুশাহিদ বায়মপূরী দেওবন্দ হতে দেশে ফিরে বিভিন্ন শিা প্রতিষ্টানে ইসলামের খেদমতে মনোনিবেশ করেন। তন্মধ্যে সিলেট সরকারী আলিয়া মাদ্রাসা,আসামের বদরপুর মাদ্রাসা,গাছবাড়ী জামেউল মাদ্রাসা,যুক্ত প্রদেশের রামপুর জামেয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা,কানাইঘাট দারুল উলুম মাদ্রাসার নাম উল্লেখযোগ্য।রাজনৈতিক জীবনঃএকজন রাজনীতিবীদ হিসেবেও বায়মপুরী যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেন। ১৯৬২ সালে আয়ূব খানের আমলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তার নির্বাচনী এলাকা ছিল-জৈন্তা-গোয়াইনঘাট,কানাইঘাট-জকিগজ্ঞ,বিয়ানীবাজার। ১৯৭০ সালের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে জমিয়তের প্রার্থী হয়েও নির্বাচন করেন।অনাড়ম্বর জীবন যাপনঃআল্লামা মুশাহিদ বায়মপুরী নিতান্ত সাদাসিদে জীবন যাপন করতেন। তিনি জাকজমক পছন্দ করতেননা। তাঁর জীবনের প্রতিটি কাজ সুন্নত মোতাবেক ছিল। লুঙ্গী,লম্বাকুর্তা,সাদাটুপী ও রোমাল ছিল তার সব সময়ের পোশাক।রচনাবলীঃগ্রন্ত রচনার েেত্র আল্লামা মুশাহিদ বায়মপূরীরর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে ফতহুল করিম,আল ফুরকান,সত্যের আলো ১ম ও ২য় খন্ড,সেমাউল কুরআন,মুশকিলাতে কুরআন,ইজহারে হক,তাফসিরে লাতায়িফে রাব্বানিয়্যাহ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।কৃতিত্ব ও অবদানঃ হযরত বায়মপুরী (রহঃ) বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সেমিনারে যোগদান করে শ্রেষ্ঠ আলোচক হিসেবে পুর®কৃত হয়েছেন। কৃতিত্ব ও অবদানের জন্য তার প্রাণপ্রিয় উস্তাদ শায়খুল ইসলাম আল্লামা সৈয়দ হুসাইন আহমদ মদনী(রহ:) তাকে যে বিশেষ সনদ বা সার্টিফিকেট দিয়েছিলন তা সংপ্তি হলেও খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। নিচে তার বাংলা অনুবাদ দেওয়া হলো।“ আমি এ ব্যাপারে বিশেষভাবে সনদ প্রদান করছি যে,সিলেট জেলার অন্তর্গত কানাইঘাট নিবাসী মাওলানা মুহাম্মদ মুশাহিদ সাহেব দারুল উলুম দেওবন্দ এর হাদীসে সর্বোচ্চ জামাতে(যেখানে হিন্দুস্থানের বাহিরের এবং হিন্দুস্থানের প্রত্যেক জেলার বিশেষ যোগ্যতা সম্পন্ন ১৮০ জন ছাত্র ছিলেন তন্মধ্যে) সর্বোচ্চ নম্বর লাভ করিয়াছেন। জমাতের মধ্যে প্রথম হওয়ার জন্য তাহাকে বিভিন্ন রকমের বিশেষ বিশেষ পুরষ্কার দেওয়া হইয়াছে। আল্লাহ তায়ালা তাহকে অত্যন্ত ভাল ও মহৎ জন্মগত গুনাবলী দান করেছেন। তাহার মস্তিক ও জ্ঞান শক্তি অত্যন্ত প্রখর এবং উজ্জ্বল,চরিত্র মহৎ ও পরিপূর্ণ। দারূল উলুম দেওবন্দে তিনি দেড় বছর ছিলেন,সেখানে তার জীবনধারা ছিল সুপবিত্র,কলুষমুক্ত এবং সর্বেেত্র প্রশংসনীয় আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস যদি কোন ইসলামী শিা কেন্দ্রের শিার খেদমত সমুহ তাহার হাতে অর্পন করা হয় তাহলে তিনি প্রত্যেকটি বিভাগে অত্যন্ত দতার সঙ্গে শিা দিতে পারবেন। মুসলিম জাতির পে এই সুযোগ্য যুবক হতে খেদমত গ্রহণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন এবং তার নিকট হতে কোন রকম উপকার গ্রহণ না করে তাকে নষ্ট করে দেয়া চরম দুর্ভাগ্যের ব্যাপার। আমি দোয়া করি আল্লাহতায়ালা যেন তার ইলম ও আমলে উত্তরোত্তর উন্নতি দান করেন এবং জাতির হেদায়তের কাজে কবুল করেন। আমীন। এছাড়াও একবার আল্লামা মুশাহিদ পবিত্র হজ্বে গিয়ে দেখলেন একটি মসজিদে শাফেয়ী মাজহাবাবের একজন বড় আলেম ওয়াজ করতেছেন। অনেক বড় মজমা ছিল সেখানে বায়মপুরী ও উপস্থিত ছিলেন। ওয়াজের এক পর্যায়ে ওই আলেম হানাফী মাজহাবকে কটা করে একটা কথা বলে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে হযরত বায়মপুরী(রঃ)দাড়িয়ে আরবি ভাষায় এক ঘন্টা শুধু হানাফী ফেকাহর প্রশংসা করে ওই মাওলানার জবাব দিতে শুরু করলেন। এ খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে বায়মপুরী হজুরকে অনেক লোক দেখতে আসেন।ওফাতঃ১৩৯০ হিজরীর ১০ই জিলহজ্ব(১৯৭১ সালে)৬৩ বছর বয়সে পবিত্র ঈদুল আজহার রাত্রিতে তার ওফাত হয়। এখানে উল্লেখযোগ্য যে, রাসুলে করীম ও প্রথম দুই খলিফা ৬৩ বছর বয়সে পরলোক গমন করেন। মৃত্যুকালে তিনি পাঁচ পুত্র,ছয় কন্যা,এক ভাই ও হাজার হাজার বন্ধু-বান্ধব,ছাত্র ও ভক্তদের শোক সাগরে ভাসিয়ে চির বিদায় গ্রহণ করেন। ঈদুল আযহার দিন লাধিক মানুষের শরীকানায় আছরের নামাযের পর তার ছোট ভাই মুজম্মিল সাহেবের ইমামতিতে জানাযার নামাজ অনুষ্টিত হয়। জানাজার পর তারই হাতে গড়া কানাইঘাট মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে তাকে সমাহিত করা হয়।মৃত্যু পরবর্তী অবস্থাঃদাফনের পর হুজুরের কবরের মাটি থেকে আতরের ঘ্রাণ বের হচ্ছে,কবরের মাটি নিয়ে অনেকের রোগ সেরেছে এ খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হলো মাটি নেওয়ার পালা। হযরতের কবরের মাটিতে আতরের ঘ্রাণ পাওয়া গিয়েছিল ইতিপূর্বে এ রকম ঘটনা ঘটেছিল ইমাম বুখারী(রহঃ) এর মৃত্যুর পর। ইমাম বুখারীর জীবনের কিছু কিছু ঘটনার হযরতের জীবনের ঘটনাবলীর পরো ও প্রত্যে সামঞ্জস্য পাওয়া যায়। যেমন (ক) কবরের মাটি নেয়া (খ) কবরের মাটি থেকে আতরের ঘ্রাণ বের হওয়া (গ) ঈদের রাত্রে ইন্তেকাল হওয়া (ঘ)৬২/৬৩ বছরে ইন্তেকাল হওয়া ইত্যাদি।

লেখকঃ সাংবাদিক ও শিক্ষার্থী সদস্যঃ কানাইঘাট প্রেস কাব,কানাইঘাট,সিলেট।মোবাঃ০১৭২৭৬৬৭৭২০

থ্যসূত্রঃ ১/আল্লামা মুশাহিদ বাইয়মপুরী(র:) জীবন ও চিন্তাধারা[ অধ্যাপক মাওলানা মুবিুর রহমান সম্পাদিত}২/সিলেটের একশত একজন[ ফজলুর রহমান সম্পাদিত]

Wednesday, October 12

কানাইঘাটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ১২টি প্রশাসনিক কর্মকর্তার পদ শূন্য

কানাইঘাট উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ১২টি প্রশাসনিক কর্মকর্তার পদ শূন্য রয়েছে। নির্বাহী কর্মকর্তা মতিউল ইসলাম চৌধুরী গত ৯সেপ্টেম্বর ২০১১ইং তারিখে ঢাকায় বদলি হলে পাশর্্ববর্তী জৈন্তা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে কানাইঘাটের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়। কিন্তু ১৫দিন অতিবাহিত হলেও তিনি এসময়ের মধ্যে একদিনের জন্য ও কানাইঘাট অফিসে আসেন নাই। এতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারী কাজের অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের প্রশাসনিক পদগুলো শূন্য রয়েছে। পদগুলো হচ্ছে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা প্রাথমিক শিা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিা অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ও সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ সাইফুল ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে তার কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এ ব্যাপারে ভ্যাটেনারী সার্জন আব্দুল কাহিরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ডাঃ সাইফুল নৈমিত্তিক ছুটিতে আছেন। কিন্তু নৈমিত্তিক ছুটির নামে তিনি দীর্ঘদিন কেন কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। গুরুত্বপূর্ণ এসব পদ শূন্য থাকায় সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ব্যাহত হচ্ছে এবং জনসাধারণ পাচ্ছে না তাদের কাংখিত সেবা। এছাড়াও দারুনভাবে তিগ্রস্থ হচ্ছে প্রশাসনিক কার্যক্রম।

Monday, October 3

কানাইঘাটে সুরমা নদী থেকে
এক পাথর শ্রমিকের ভাসমান লাশ উদ্ধার

কানাইঘাটে তিন দিন পর সুরমা নদী থেকে এক পাথর শ্রমিকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সে উপজেলার ১নং লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের কান্দলা (কোনাপাড়া) গ্রামের আব্দুল হকের পুত্র আব্দুল করিম (২৬)। জানা যায়, গত শনিবার নিজ বাড়ী থেকে সন্ধ্যার পর স্থানীয় মুলাগুল নয়াবাজারে কেনাকাটার জন্য যান। ঐ দিন গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ী না ফিরলে তার আত্মীয়-স্বজনরা সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গা খোঁজাখুজি করে তার কোন সন্ধান না পেয়ে পিতা আব্দুল হক কানাইঘাট থানায় গত রবিবার একটি সাধারণ ডায়রী করেন। গতকাল সোমবার বেলা দেড় টায় স্থানীয় লোকজন সুরমা নদীতে রামিজা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মুখে ভাসমান অবস্থায় দেখে আত্মীয়-স্বজনদেরকে খবর দিলে তারা এসে আব্দুল করিমের লাশ সনাক্ত করেন। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে থানার ওসি (তদন্ত) রুহুল আমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে সিলেট ওমেক হাসপাতাল মর্গে পোষ্টমর্টমের জন্য প্রেরণ করেন। এ ব্যাপারে নিহতের পিতা বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।